ব্লগিং এর পঞ্চম বর্ষ এবং ফেলে আসা দিনগুলি - ৬
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ১২ এপ্রিল, ২০১৪, ০৭:৩৪:১১ সন্ধ্যা
‘তারকা ব্লগারের কান্ড’ শিরোনামের লেখাটিতে গত পর্বে উল্লেখিত আমার সেই নিকটাত্মীয় আমার পক্ষে মন্তব্য (আমার পক্ষে মন্তব্য করার রহস্য উদঘাটন সম্ভব হয়নি, কারণ তখনো সে থাবা বাবা আর পিয়ালদের ঘনিষ্ট দোসর ছিল) করতে গিয়েই ফ্যাসাদে(!) পড়লো। অন্য একজন ব্লগার(কানু), যিনি তথাকথিত সেই ‘যৌবনজ্বালা’র একজন সদস্য, সম্ভবত অর্থ এবং ক্ষমতার ভাগ বাটোয়ারা অথবা অন্য কোন কারণে অমি রহমান পিয়ালদের সাথে দ্বন্দ তৈরী হয়েছিল। (অর্থ ও নেতৃত্বের ভাগ বাটোয়ারার বিষয়টি বুঝে আসার জন্য সেই ‘যৌবনজ্বালা’ ফোরামের এই পর্যন্তকার সর্বশেষ সংস্করন ‘গণজাগরন মঞ্চ’ এর সাথে বর্তমানে ছাত্রলীগের দ্বন্ধের বিষয়টিই যথেষ্ট।) তিনি আমার এ নিকটাত্নীয়ের যৌবনজ্বালা ফোরামের বিগ বস হওয়ার কাহিনী, নেট নোংরামীর লিঙ্ক, অমি রহমান পিয়ালের সাথে তার সম্পর্কের ঘটনাবলী, তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীর (এটি শুধুমাত্র জাময়াতা-শিবিরকে সাইজ করার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার কারণেই তথাকথিত বলা হলো) শাস্তির দাবীতে স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য পুরস্কৃত হওয়া সহ আরো অনেক তথ্য প্রদান করে আমাকে আঘাত করার জন্য ছোট করে প্রশ্ন করেছিল, আপনিও কি এসবের সাথে জড়িত? শালা ভগ্নীপতি দু’জন এক সাথে... ????
‘কানু’ নিকের উক্ত ব্লগারের কমেন্টে আমি এমন কৌশল করে জবাব দিয়েছি, যাতে করে তারা বুঝতে পারে আমি তাদের মধ্যে আমার শ্যালককে গোয়েন্দা হিসেবে অনুপ্রবেশ করিয়েছি। উক্ত জবাব নিয়ে আরেকজন ওখানে পোস্ট দিয়েছিল- এভাবে।
তাদের মধ্যে সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়ার কারণে কি না জানি না, বর্তমানে আমার শ্যালক স্থায়ীভাবে ঢাকায় অবস্থান করলেও গণজাগরন মঞ্ঝে যায়নি, পিয়ালদের সাথে কোন দহরম মহরম তো নেইই, অধিকন্তু আমার সাথে সাক্ষাতে সে ওদের বিপক্ষে বলেছিল। অথচ আবুধাবী থেকে ছুটিতে আসলে থাবা আর পিয়ালদের নিকট ওর কদরের সীমা থাকতো না।
আমার শ্যালকের এমনতরো পদস্খলনে আমি যতটা বিস্মিত এবং মর্মাহত হয়েছি তার চেয়ে বেশী লজ্জিত হয়েছি উক্ত ব্লগারের প্রশ্নের কারণে। ওর প্রশ্নগুলো বার বার আমার মস্তিস্কে আঘাত করতেছিল। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়েছিলাম সেদিন। আমার বুঝে আসতে কষ্ট হচ্ছিল যে, আমার শ্যালকের মতো এমন ভদ্র পরোপকারী, অমায়িক ছেলেটি কিভাবে তাদের খপ্পরে পরে দেশের সেরা বেয়াদবদের সহযোগী হলো।
ইতিমধ্যে ওর কিছু ছোটখাটো পদস্খলন দৃষ্টিগোচর হওয়াতে সংশোধনের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম, তারউপর পদস্খলনের শেষ দরজায় গিয়ে পৌঁছার সংবাদটি ছিল কাটা ঘায়ে নুনের ছিটার মতো। তার নিকট জানতে চাইলাম সে এই নিকৃষ্ট লোকগুলোর সাথে মিশে ফাহেশা একটি ফোরামের সাথে যোগ দিল কেন? জবাবে সে বললো, “এটি আগে খারাপ ফোরাম ছিল। এখন আমি এই ফোরামের এডমিন, চেষ্টা করছি ফোরামকে ভালো করার। আগের ‘যৌবনজ্বালা’ বাদ দিয়ে এখন ‘যৌবনযাত্রা’ করা হয়েছে।” বুঝার বাকী রইলো না, সব উপকরণ ঠিক রেখে বোতল বদলানো হয়েছে মাত্র।
সে যেখানে গিয়ে ঠেকেছে ওখান থেকে ফেরানো আমার পক্ষে সম্ভব নয়, আর এমন লোক আমার প্রতিষ্ঠানে রাখাও উচিৎ হবে না। আত্মীয় হওয়ার কারণে চট্ করে ভিসা কেন্সেল করে দেশে পাঠিয়ে দিলেও নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হবো। তাই তাকে বার বার চাপ দিতে থাকলাম যেন আমার নিকট থেকে রিলিজ নিয়ে অন্যত্র চাকুরী খোঁজ করে নেয়। না, সে কিছুতেই আমাকে ছাড়তে রাজী নয়। সে বুঝানোর চেষ্টা করে, আমার এবং আমার প্রতিষ্টানের প্রতি তার খুবই দরদ এবং মায়া বসে গেছে, এমতাবস্থায় সে অনত্র গিয়ে স্বস্তি পাবে না, ইত্যাদি। আমার সাথে থাকার আকুতির পরও আমি মেনে নিতে পারিনি, শেষ পর্যন্ত আরো পরে অনেকটা বাধ্য করেছিলাম আমার প্রতিষ্ঠান ছাড়তে।
অরপি-থাবা বাব নামের এসব নরাধমরা এদেশের অসংখ্য ভদ্র যুবক যুবতীকে এভাবে পথহারা করে ছেড়েছে। গণজাগরণ মঞ্চ এই ‘যৌবনজ্বালা’র সৃষ্ট। এদের পক্ষেই সম্ভব ছিল উঠতি যুবক যুবতীদের মধ্যে নির্লজ্জতা ছড়িয়ে দেয়া। যারা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ করেছেন, তারা দেখেছেন কতটা বেহায়া এবং নির্লজ্জ ছিল ‘... ’জাগরণ কর্মীরা।
চলবে...
বিষয়: বিবিধ
১৩১৭ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরো জানার অপেক্ষায়.....
মন্তব্য করতে লগইন করুন