ব্লগিং এর পঞ্চম বর্ষ এবং ফেলে আসা দিনগুলি - ৫
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ২৮ মার্চ, ২০১৪, ০৮:৩৪:৫৮ রাত
আমাকে গালি দিয়ে তার ব্লগে ব্লক করার পর উক্ত অমি রহমান পিয়াল সম্পর্কে নানা জনের নিকট থেকে নানা কথা শুনে তার ব্লগ স্ট্যাডি শুরু করলাম। ওনার ব্লগের হেডিং এ রকম-
‘রাজাকার মুক্ত ব্লগ, ভুল করেও ঢুকিস না!!!’।
আবার প্রোফাইলে লেখা, “জামাতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্র শিবির সম্পর্কে মহানবীর (দঃ) সতর্কবাণী :
শেষ জমানায় কিছু প্রতারক সৃষ্টি হবে। তারা ধর্মের নামে দুনিয়া শিকার করবে। তারা মানুষের নিকট নিজেদের সাধুতা প্রকাশ ও মানুষকে প্রভাবিত করার জন্য ভেড়ার চামড়ার পোষাক পড়বে (মানুষের কল্যাণকারী সাজবে)। তাদের রসনা হবে চিনির চেয়ে মিষ্টি। কিন্তু তাদের হৃদয় হবে নেকড়ের হৃদয়ের মতো হিংস্র। (তিরমিজী)”
অতপর ব্লগে তার নিজস্ব লেখা এবং কপিপেস্টগুলোর প্রতি দৃস্টি নিক্ষেপ করে দেখলাম, একটি পোস্টও বাকী নেই যেটাতে জামায়াত শিবিরকে খোঁচা এবং গালি দিয়ে কথা বলেননি। তার মধ্যে একটি পোস্ট দেখলাম, ‘রাজাকার প্রজন্মের প্রতি মুক্তি যোদ্ধা প্রজন্মের আহবান’ শিরোনামে।
একদিকে বলা হচ্ছে, রাজাকার (জামায়াত শিবির আর নিরপেক্ষ ব্লগার অর্থে) মুক্ত ব্লগ, ভুল করেও ঢুকিসনা; মানে এসবের কোন প্রতিবাদ করিসনা, করলে খবর আছে। জামায়াত শিবিরকে উদ্দেশ্য করে বিশ্রী গালাগালি, রাজাকার প্রজন্ম আর মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম নাম দিয়ে জাতিকে চরম বিভক্ত করণ, আবার প্রোফাইলে হাদীস ঝুলিয়ে রেখে এটার সাথে জামায়াত শিবিরকে জড়িয়ে ভেজাল হাদীস তৈরী করণ এবং কোন ব্লগার তার ব্লগে গিয়ে এসবের প্রতিবাদ করলে তা মুছে দিয়ে উক্ত ব্লগারকে ব্লক করে একচেটিয়া রাজত্ব করে চলেছে ব্লগে।
এসব দেখে জামায়াত শিবিরের প্রতিনিধি হিসেবে নয়, একজন সচেতন ব্লগার হিসেবে প্রতিবাদ করা ঈমানী দায়িত্ব মনে করেই প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিলাম। যেহেতু ওনার ব্লগে আমি ব্লকড্, তাই ‘তারকা ব্লগারের কান্ড!’ শিরোনামে একটি পোস্ট লিখে তার এসব বৈপরিত্য তুলে ধরলাম। অল্প সময়ের মধ্যেই পোস্টটি হিট পয়েন্টে চলে গেলো। তার সমর্থক আর আমার সমর্থকদের মধ্যে শুরু হলো ব্লগযুদ্ধ। আলহামদুলিল্লাহ্ এই যুদ্ধে আমিই জয়ী হলাম। (+) (-) রেটিং এ অধিক (+) পেয়ে আমিই এগিয়ে থাকলাম। এটি ছিল একজন গালিবাজ আর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী ব্লগারের বিরুদ্ধে চরম চপোটাঘাত। শুধু তাই নয়, এই পোস্টের কমেন্টের মাধ্যমে জানা হয়ে গেল এই তথাকথিত তারকা ব্লগারের নানা অপকর্মের ফিরিস্তি।
ক. চরম আর্থিক সংকটে নিমিজ্জিত এই ব্লগার জামায়াত শিবিরের বিরেুদ্ধে পেইড ব্লগার হিসেবে আবির্ভূত হয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আর্থিক সুবিধা আদায় করে মালদারে পরিনত হয়।
খ. ‘যৌবন জ্বালা’ ফোরাম নামে একটি ফাহেশা সংগঠন তৈরী করে উঠতি যুবক যুবতিদেরকে সংগঠিত করে প্রতিভাবানদেরকে ফোরামের বিভিন্ন পদ দিয়ে দেশ এবং প্রবাসের অনেক যুবক-যুবতীকে উক্ত ফোরামের সদস্য করে এদের মধ্যে নোংরা ভিডিওর আদান প্রদানের মাধ্যমে এদেরকে চরম চরিত্রহীন করে তোলে।
গ. দেশ বিদেশে অবস্থানরত উক্ত ‘যৌবন জ্বালা’ ফোরামের সদস্যদের মাধ্যমে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবীতে গণস্বাক্ষরের নামে সদস্যদের আশ-পাশের লোকদের নিকট থেকে স্বাক্ষর নেয়া হয়, যা বেশীরভাগ স্বাক্ষর দাতা শুধুমাত্র পরিচিতির কারণে স্বাক্ষর করেছেন ঠিকই কিন্তু জানতেননা কি জন্য স্বাক্ষরটি করেছেন। আমার জানামতে অনেক জামায়াত শিবিরের সমর্থকের নিকট থেকেও নানা কৌশলে স্বাক্ষর আদায় করেছিল ওরা।
ঘ. বেশী স্বাক্ষর গ্রহণকারীকে ফোরামে নেতৃত্বপ্রদান অথবা উচ্চমূল্যায়ন অথবা প্রয়োজনে মালের ভালো ভাগ দেয়া হয়েছে।
উক্ত পোস্টের এক কমেন্টের সূত্র ধরে জানা হয়ে গেলো আমার এক নিকটাত্মীয়, যাকে আবুধাবীতে আমার প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত রেখেছি দীর্ঘদিন যাবৎ। সেও উক্ত ‘যৌন জ্বালা’ ফোরামের নেতা এবং অমি রহমান পিয়ালের খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু। সে ছুটিতে যখন দেশে গিয়েছিল তখন ঐ খবিসি ফোরামের পক্ষ থেকে বিপুল সম্মানজনক সংবর্ধনা দিয়েছিল তাকে।
চলবে....
বিষয়: বিবিধ
১৫৭১ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তুই লোকমান ব্লগারের লেখা পড়লে ভাল লাগবে। সঠিক কাজটা করছে ভদ্রলোক। এরকম আরো অনেক মন্তব্য।
আপনাকে ধন্যবাদ।
পরামর্শ থাকলো- আপনিও লিখবেন কিন্তু।
মন্তব্য করতে লগইন করুন