ব্লগিং এর পঞ্চম বর্ষ এবং ফেলে আসা দিনগুলি - ২
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ লোকমান ২১ মার্চ, ২০১৪, ০৭:২৮:০৮ সন্ধ্যা
প্রথম পর্ব
প্রায় দু’মাস ব্লগটি অধ্যয়ন করে ১৮মে’ ০৯ তারিখে খুলে ফেললাম একটি একাউন্ট। স্বনামে ব্লগিংএ কোন বাধা নেই বিধায় ‘মোহাম্মদ লোকমান’ নামে একাউন্ট খুলতে গিয়ে দেখি তা হয়ে গেলো ‘মোহাম্মদ লোমান’। তাড়াহুড়া করতে গিয়েই হয়ত এই দশা। অনেক চেষ্টা করেও সঠিক নামে অন্য একটি একাউন্ট খোলা সম্ভব হলো না। পরে অবশ্য জেনেছি একটি মেইল থেকে একাধিক একাউন্ট খোলা যায় না। কতৃপক্ষকে বলেও কোন সুরাহা করতে না পেরে শেষ পর্যন্ত সেই ‘লোমান’ নামেই পরিচিত হতে হলো। ‘মোহাম্মদ লোমান’ নামটি আমার মনপুত না হলেও পরবর্তিতে আমার প্রতিপক্ষ নাস্তিক-লীগ ব্লগারদের জন্য আমাকে ঘায়েল করার হাতিয়ারে পরিনত হলো। তারা আমার সাথে পেরে উঠতে না পারলে শেষ সম্ভল হিসেবে ‘লোমান’ নামটিকে ব্যঙ্গ করে হলেও ঝাল মেটানোর চেষ্টা করতো।
ব্লগে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন হওয়ার পর দেরী না করে ডায়রির পাতা থেকে পোস্ট করে দিলাম ‘প্রবাসীর আকুতি’ নামে একটি স্বরচিত কবিতা। প্রবাসে এসে কেসেটের মাধ্যমে দেশে রেখে আসা আমার ছোট্ট মেয়েটির ‘আব্বু’ ডাক শুনে তা রচনা করেছিলাম। লেখাটি পোস্ট করে কিছুক্ষণ পর পর পাতা খুলে দেখতে থাকলাম কেউ কমেন্ট করলো কি না। নাহ্! কোন কমেন্ট তো নেই-ই, অধিকন্তু পাঠকও হতে গোনা কয়েকজন মাত্র। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম আমাকে তখনো ‘নিরাপদ ব্লাগার’ ঘোষণা করা হয়নি, তাই আমার লেখা প্রথম পাতায় না আসার কারণে ব্লগারদের চোখে পড়েনি। পাঠক আর কমেন্ট না থাকলে কি হবে, আমার লেখাটি যে ওয়েব পেইজে প্রকাশিত হয়েছে, সাথে ছবিটিও। সেটিই ছিল আমার নিকট মহা খুশীর সংবাদ। নেটের সাথে যুক্ত বন্ধুদেরকে জানিয়ে দিলাম আমার লেখাটির সংবাদ। কয়েকজনের নিকট থেকে প্রশংসাও পেলাম ফোনে।
তখন আমি ‘জেনারেল’ পদ মর্যাদার(!) ব্লগার। আমার লেখায় কমেন্ট আসুক আর না আসুক, দু’তিন দিন পর পর একটা করে পোস্ট দেওয়া এবং ভাল লেখা পেলে তা পড়ে মন্তব্য করা অব্যাহত রাখলাম। লেখা প্রথম পাতায় না আসলেও আমার মন্তব্যের সূত্র ধরে দুয়েকটি মন্তব্য পেতে থাকলাম। এরই মধ্যে কেটে গেলো একটি মাস। ঠিক ১৮জুন’০৯ তারিখে একটি বার্তা পেলাম, ‘আপনি একজন নিরাপদ ব্লগার আপনার লেখা সরাসরি প্রথম পাতায় সকল পোস্ট অংশে প্রকাশিত হবে। আর সম্পাদকের বিবেচনা সাপেক্ষে তা নির্বাচিত পাতায়ও প্রকাশ হতে পারে।' বার্তাটি পেয়ে ঝটপট লিখে ফেললাম ‘নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া কয়েকটি ঘটনা’- শিরোনামে একটি পোস্ট। হঠাৎ যেন পাঠক আর কমেন্টের বন্যা বইতে শুরু করলো। অনেকগুলো কমেন্ট আর পাঠক পেয়ে বেশ উৎসাহিত বোধ করতে লাগলাম।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫১ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরো লিখবেন কিন্তু...
ালেখা লেখি চালু রাখার ইচ্ছে আছে। দোয়া করবেন।
ঠিকাছে ধরে নিলাম ‘আপনি পড়েছেন’
নামটা কিভাবে সংশোধন করলেন সেটা একটু খুলে বলবেন কি?
আর ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন: যে কোন লেখার শিরোনামের নীচে লেখকের নামের আগে 'লিখেছেন' শব্দটা দুই বার কেন?
সামুতে ব্লগিং করতে গিয়ে এটি একটি সমস্যা ছিল তখন। আমার নাম সামু এবং সোনারবাংলা দুটাতেই ইংরেজিতে হয়ে গিয়েছিল। টুডে ব্লগে এসে বাংলা হলো।
ধন্যবাদ, চলতে থাকুক ব্লগিং এর ইতিহাস।
সামুতে আমি সেইফ হয়েছিলাম সাত দিনে । নাস্তিক বিরোধী লেখা লিখায় দুই বার ব্যান হয়েছিলাম । তৃতীয় বার নাস্তিক বিরোধী মন্তব্য করায় ২০১৩ ইং ১৯ ফেব্রুয়ারীতে চিরতরে ব্যান করে দিয়েছে ।
আরেকটু বড় করে লিখুন পড়তে না পড়তেই শেষ।
আমাকে অনেক চেষ্টা করেও ব্যান করাতে না পেরে প্রায় দুই বছর পর তাদের পুরা শক্তি ব্যয় করে জানাকে বাধ্য করেছে আমাকে ব্যান করতে। জানাকে এর কৈফিয়ত চেয়ে লিখার পর আমার সেই ব্লগটি ফেরৎ দিয়েছিল,লগ ইন না করতে পারার শর্তে। আর অন্য নামে আরেকটি নিক খোলার সাথে সাথেই প্রথম পাতায় লিখার সুযোগ দিয়েছিল। নিকটি এখনো আছে তবে খুব একটা লিখি না।
অ.ট. আপনার একটি লেখায় জানতে পারলাম আপনি চট্টগ্রামের এবং গাছের বিজনেস করেন। আরো কয়েক মাস আগে পরিচিত হলে শেষোক্ত বিষয়ে কাজে লাগতো হয়ত। আমি চট্টগ্রামের বাকলিয়া এলাকায়...
আমিও বিডিটুডে ব্লগ সাইটে রেজিস্ট্রেশন করার সময় নিক আইডিটা আহমদ মুসা'র স্থলে "আহমদমুসা" হয়ে গিয়েছিল। অনেক চেষ্টা তদবীরের পর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সামান্য একটা 'গ্যাপ' পেয়েছি নিক নামের মাঝে।
ঠিক বলেছেন, শিখতে হলে অবশ্যই কষ্ট করতে হয়।
চেষ্টা করবো ফেলা আসা ইতিহাস থেকে কিছু শিক্ষনীয় বিষয় তুলে ধরা যায় কি না।
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন