রাজনৈতিক অস্থিরতা বাজারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ
লিখেছেন লিখেছেন কুমারেষ ০৩ জানুয়ারি, ২০১৩, ০২:৫৬:১৮ দুপুর
২০১২ সাল ছিল পুঁজিবাজারের জন্য চ্যালেঞ্জিং। বছরজুড়ে তারল্যসংকট ছিল একটি বড় সমস্যা। গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে এ সমস্যা কিছুটা হলেও কমেছে। তবে ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এটা মোকাবিলা করতে পারলে এ বছর একটি স্থিতিশীল বাজার দেখা যাবে। গতকাল বুধবার প্রথম আলো ডটকমের সঙ্গে আলাপকালে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী এসব কথা বলেন।
আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ২০১২ সাল পুঁজিবাজারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জিং বছর গেল। গত সেপ্টেম্বরের পর থেকে তারল্যসংকট অনেকটা কমে গেছে। কলমানি রেট অনেক কম। ২০১২ সালের অর্থনীতির সূচক অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। রপ্তানির উন্নয়ন ৫ শতাংশ হয়েছে। বিদেশি রেমিট্যান্স ১৩ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রয়েছে। কিন্তু এর প্রভাব বাজারে দেখা যায়নি। ২০১৩ সালে এর প্রভাব বাজারে পড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। একই সঙ্গে ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধসের পর পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট যেসব সংস্কার করা হয়েছে, ধীরে ধীরে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও মনে করেন তিনি।
আহমেদ রশিদ লালী বলেন, ‘২০১৩ সালে শেয়ারবাজারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে রাজনৈতিক অস্থিরতা।’ তবে এ বছর সার্বিক অর্থনীতির ইতিবাচক প্রভাব পড়লে এবং বড় বিনিয়োগকারী ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়লে খুব সহজেই ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। এর পাশাপাশি এ বছর স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এতে বাজারে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অনেক বেড়ে যাবে।
গত এক বছরের সফলতা ও ব্যর্থতা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএসইর এই নেতা বলেন, সব কাজেই সফলতা বা ব্যর্থতা থাকে। বাজারে স্থিতিশীলতা আনার ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যর্থতার কথা শিকার করলেও গত এক বছরে বেশ কিছু সফলতার দিক তুলে ধরেন তিনি। তিনি বলেন, গত বছর ডিএসইতে এমএসএ প্লাস সফটওয়্যার ও অনলাইন লেনদেন চালু করা হয়েছে। স্টক এক্সচেঞ্জ ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ডিএসইতে নতুন সূচক গণনা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিএসইসির ফ্রি ফ্লট নির্দেশনার ভিত্তিতে এবং এসঅ্যান্ডপির মেথোডলজি নিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে এই সূচক গণনা করা হচ্ছে। এ মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে বিএসইসির অনুমোদনক্রমে নতুন সূচক চালু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ ছাড়া ডিএসইর ৫৮ বছরের ইতিহাসে ২০১২ সালে সেটেলমেন্ট গ্যারান্টি ফান্ড গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ডিএসই তহবিলে ২৫ কোটি টাকা দিয়েছে। এর গাইড লাইন বিএসইসি অনুমোদন দিলে ব্রোকাররা এই তহবিলে অংশ নেবে। একই সঙ্গে গত বছর স্টেট অব দ্য আর্ট সার্ভিল্যান্স সফটওয়্যারের ব্যাপারে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ডিএসই। আগামী ফেব্রুয়ারি অথবা মার্চের মধ্যে এটি ডিএসইতে স্থাপন করা সম্ভব হবে। আগামী ২০ অথবা ২১ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর ওয়েবসাইটের বাংলা সংস্করণ চালু করা হবে বলেও জানান ডিএসইর এই নেতা। এতে সব বিনিয়োগকারী সহজেই এই ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারবেন।
সব মিলিয়ে ২০১৩ সালে একটি স্থিতিশীল বাজার দেখা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আহমেদ রশিদ লালী।
বিষয়: বিবিধ
৯৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন