রাসুলুল্লাহ সা. কিসের তৈরি্ নূরের না মাটির?
লিখেছেন লিখেছেন বিন রফিক ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০২:৫৫:৩০ দুপুর
এক শ্রেণীর লোক আছেন যারা মনে করেন রাসুল সা. নূরের তৈরি- এটা প্রচার করার মাধ্যমে রাসুলের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়। তাদের অন্যতম দলীল হচ্ছে পবিত্র কুর'আনের সূরা মায়িদার ১৫ নং আয়াত।তারা আয়াতের শেষাংশে উল্লেখিত "তোমাদের কাছে আল্লাহর পক্ষ থেকে নূর ও সুস্পষ্ট কিতাব এসে গেছে" কথাকে প্রমাণ হিসেবে তুলে ধরেন। আয়াতটি বুঝতে হলে সম্পূর্ণ আয়াত তো পড়তে হবেই, এই আয়াত যেহেতু আগের আয়াতগুলোর সাথে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এসেছে, তাই আগের আয়াতগুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রেক্ষাপট তো জানতে হবেই।
আসুন পুরো আয়াত দেখি- দেখুন তানজিল.নেটে
"হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন! কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্জল জ্যোতি (নূর) এসেছে এবং একটি সমুজ্জল গ্রন্থ"
আগের প্রসঙ্গঃ সূরার ১২ নং আয়াত থেকে আলোচ্য আয়াতের ধারাবাহিকতা শুরু। আলোচনার প্রসঙ্গ বনী ইসরাঈল ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়। বলা হচ্ছে, তাদেরকে অনেক সুযোগ সুবিধা দেবার পরেও তারা আল্লহর বিধান ভুলে গেছে, আইন কানুন বিকৃত করে ভুল অর্থ গ্রহণ করেছে। মোট কথা, আল্লাহর হুকুমকে গোপন করে ফেলেছে। অন্য আয়াত থেকে আমরা জানতে পারি, তারা বিশেষ করে হালাল হারামের ব্যাপারে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য অনেক কিছু গোপন করে ফেলেছিল।
আমরা জানি, আল্লাহ নতুন নবী বা রাসুল প্রেরণ করতেন তখনই যখন মানুষ পূর্বের নবীর শিক্ষা থেকে দূরে সরে যেত যাতে তাদেরকে আবার সঠিক পথে আনা যায়। এখন, ইহুদী- খ্রিষ্টানরা যখন আল্লাহর শিক্ষাকে ভুলে গেছে, গোপন করে ফেলেছে তখন একজন নবী এসে মূল শিক্ষা আবার উন্মোচন করে দেওয়া দরকার। তাই, আগের আয়াতেগুলোয় তাদের গুণাবলী বর্নণা করে ১৫ আয়াতে এসে বলা হচ্ছে -তোমরা যা গোপন করতে আল্লাহ তা প্রকাশ করে দিচ্ছেন। সেজন্য আল্লাহ পাঠিয়ে দিয়েছেন আলো ও স্পষ্ট কিতাব।
অর্থ্যাৎ, এখানে আলোর কাজ হচ্ছে গোপনকৃত শিক্ষা প্রকাশ করে দেওয়া।
এবারে আসুন কিছু ব্যাপার চিন্তা করি।
১. হযরত মুহাম্মদ সা. পৃথিবীর সর্বকালের শ্রেষ্ট মানব। এর কারণ কি এটা, যে তিনি ছিলেন আলোর তৈরি? মাইকেল এইচ হার্ট তাঁকে ইতিহাসের ১০০ প্রভাবশালী মানুষের তালিকায় প্রথমে রাখেন কি এই কারনে? না। তিনি একটি কুসংস্কারাছন্ন, অজ্ঞ, বিপথগামী সমাজকে অন্ধকারচ্ছন্নতা থেকে নিয়ে আসেন আলোর পথে। গড়ে তোলেন ন্যায় ও জ্ঞানের সমাজ। অনেকে এখন বলবেন আমরা কি তাঁকে মাইকেল এইচ হার্টের মুল্যায়ন দিয়ে বিচার করব?
আচ্ছা, মানুষের পৃথিবীতে আসার কারণ কী? মানুষ হল আল্লাহর খলিফা বা প্রতিনিধি যার কর্তব্য হচ্ছে খোদায়ী বিধান মোতাবেক পৃথিবীকে সুন্দর করে গড়ে তোলা। রাসুল সা. যথার্থভাবে সেটা করতে পেরেছিলেন বলেই তিনি মহানতম মানব।
২. আচ্ছা, তিনি যখন জন্ম গ্রহণ করেন তখন কি আরব দেশে বা বিশ্বের অন্য কোথাও আলোর অভাব পড়েছিল। সূর্য কি কোথাও হারিয়ে গিয়েছিল যে পৃথিবী আঁধারে ঢাকা পড়েছিল? না। পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গিয়েছিল, তবে সেটা সূর্যের আলোর তথা ফিজিক্যাল আলোর অভাবে নয়, ঐশী জ্ঞানের আলোর অভাবে। তাই মুহাম্মাদ সা. হলেন জ্ঞানের আলো।
৩. কুর'আনের বক্তব্যঃ
কুর'আন বলছে, তিনি ছিলেন আমাদের মতই বাশার বা মানুষ। যেমন সূরা কাহাফের সর্বশেষ অর্থাৎ ১১০ নং আয়াত বলছে- বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ।
আর মানুষ মাটির তৈরি। রেফারেন্স সূরা আন'আম (৬>২); সুরা হিজর (১৫>২৬); সূরা হাজ্জ্ব (২২>৫); সূরা মুমিনূন (২৩>১২) ইত্যাদি।
৪. নূরের মানুষ কীভাবে মাটির মানুষের মডেল হবেন?
সূরা আহযাবের ২১ নং আয়াত বলছে যে -
তোমাদের জন্য রাসুলের জীবনেই রয়েছে উত্তম নমুনা বা আদর্শ (উসওয়ায়ে হাসানাহ)
এখন, যিনি আমাদের মত মাটির মানুষ না হবেন, তিনি কি করে আমাদের মডেল হবেন। তিনি যা করতে পারবেন, আমরা তা কীভাবে করব? তিনি হয়তো রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়তে পারবেন, আমরাও কি পারবো? এ প্রশ্ন আসতেই পারে। বাস্তবতা হচ্ছে, তিনি মাটির মানুষ হয়েও রাত জেগেছেন, যুদ্ধ করেছেন, তাই আমরাও তা পারবো।তাই কোন অজুহাতের সুযোগ থাকছে না।
সূরা আলে ইমরানের ৩১ নং আয়ত বলছে, "আল্লাহকে ভালবেসে থাকো যদি তবে রাসুলকে অনুসরণ কর।"
কিন্তু তিনি যদি হন ভিন্ন পদার্থে তৈরি তবে কীভাবে তা হবে?
ঘোড়ার ঘাড়িতে চেপে কি মটর গাড়িকে অনুসরণ করা যাবে? নাকি সাইকেলে বসে উড়োজাহাজকে?
শেষ কথা বলতে চাই, তিনি নূরের তৈরি বললে মোটেই তাঁর সম্মান বাড়ে না। তাঁর মূল ক্রেডিট হল কলুষিত সমাজে সংস্কার সাধন ও আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠা। আমাদের এসব তর্ক থামিয়ে তাঁর আদর্শ প্রচার, প্রসার ও বাস্তবায়নে কাজ করা দরকার নয় কি?
http://islam.alomoy.com/2014/09/muhammad-pbuh-light.html
বিষয়: বিবিধ
২২২৪ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মানবের রাসুল মানবই হতে পারেনঃ
ভিন্ন শ্রেণীর সাথে পারস্পরিক মিল ব্যতীত হেদায়েত ও পথ প্রদর্শনের উপকার অর্জিত হয় না । ফেরেশতা ক্ষুধা পিপাসা জানে না, কাম-প্রবৃত্তিরও জ্ঞান রাখে না এবং শীত গ্রীষ্মের অনুভুতি ও পরিশ্রমজনিত ক্লান্তি থেকে মুক্ত । এমতাবস্থায় মানুষের প্রতি কোন ফেরেশতাকে রসুল করে প্রেরণ করা হলে সে মানবের কাছেও উপরোক্ত্ কর্ম আশা করতো এবং মানবের দুর্বলতা ও অক্ষমতা উপলব্ধি করতো না ।
বলুনঃ যদি পৃথিবীতে ফেরেশতারা স্বচ্ছন্দে বিচরণ করত, তবে আমি আকাশ থেকে কোন ফেরেশতা (নুরের তৈরী) কেই তাদের নিকট পয়গম্বর করে প্রেরণ করতাম (বনী ইস্রাঈল-৯৫)
৭,৭ নবী রাসুল নুরের তৈরী বা ফেরেশতা নন তাও আল্লাক তায়ালা কুরআনে উল্লেখ করেছেনঃ-
আর আমি তোমাদেরকে বলিনা যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে এবং একথাও বলি না যে, আমি গায়বী খবরও জানি; একথাও বলি না যে, আমি একজন ফেরেশতা (নুরের তৈরী); আর তোমাদের দৃষ্টিতে যারা লাঞ্ছিত আল্লাহতাদের কোন কল্যাণ দান করবেন না । তাদের মনের কথা আল্লাহ ভাল করেই জানেন । সুতরাং এমন কথা বললে আমি অন্যায় কারী হব (হূদ-৩১)
৮) বিদআতীরা নবীকে নূর প্রমাণ করতে যেয়ে দলীল স্বরূপ কুরআন থেকে কতিপয় আয়াত পেশ করে থাকে । যেমন,
৮,১ মহান আল্লাহ এরশাদ করেনঃ ‘তোমাদের নিকট নূর-তথা একটি উজ্জ্বল জ্যোতি এবং স্পষ্ট কিতাব এসেছে । এর দ্বারা আল্লাহ যারা তার সন্তুষ্টি কামনা করে, তাদেরকে নিরাপত্তার পথ প্রদর্শন করেন, এবং তাদেরকে স্বীয় নির্দেশ দ্বারা অন্ধকার থেকে বের করে আলোর দিকে আনয়ন করেন এবং সরল পথে পরিচালনা করেন’(সূরাহ আল্ মায়িদাহঃ ১৫-১৬)
অত্র আয়াতে নবীর গুণ স্বরূপ (অথবা আত্মা) তাকে নূর বা জ্যোতি বলা হয়েছে, সৃষ্টিগতভাবে তাকে নূরের তৈরী বলা হয়নি । আর কিভাবে তিনি গুণগতভাবে নূর বা জ্যোতি হলেন, তা সাথে সাথে আল্লাহ পরের আয়াতেই ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন ।
৮,২ এরশাদ হচ্ছেঃ ‘হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি । এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে । (সূরা আল্ আহযাব: ৪৫-৪৬)
নবী (সাঃ) কে উক্ত আয়াতে (রূপে) যে মহান আল্লাহ গুণগত দিক থেকে নূর বা জ্যোতি বলেছেন তা অত্র আয়াতেই স্পষ্ট ।
৯,১ এরশাদ হচ্ছে: ‘অতএব তোমরা আল্লাহ তাঁর রাসূল এবং অবতীর্ণ নূরের প্রতি ঈমান আনয়ন কর । তোমরা যা কর, সে বিষয়ে আল্লাহ সম্যক অবগত (সূরাহ আত্ তাগাবুন: ৮)
৯,২ অন্য সূরায় মহান আল্লাহ বলেনঃ ‘সুতরাং যারা তাঁর (মুহাম্মাদ এর) উপর ঈমান এনেছে, তাঁকে সম্মান করেছে, সাহায্য করেছে এবং তার উপর যে নূর অবতীর্ণ করা হয়েছে তার অনুসরণ করেছে তারাই হল প্রকৃত সফলকাম (সূরা আল্ আরাফ: ১৫৭)
উক্ত আয়াতদ্বয়ে আল্লাহ কুরআনকেও ‘নূর’ বলেছেন ।নূর পার্টিরা কী বলবে কুরাআনও নূরের সৃষ্টি !অথচ কুরআন মহান আল্লাহর বাণী ইহাই সকল মুসলিমদের বিশ্বাস । কুরআনকে সৃষ্টবস্তু জ্ঞান করা স্পষ্ট কুফরী,
অতএব, কুরআনকে নূর বলার পরও যদি নূরের সৃষ্টি না বলা হয়,
তবে রাসূলকে নূরের সৃষ্টি কোন্ যুক্তিতে বলা হবে ?
কারণ মহান আল্লাহ নবীকে যেমন ‘নূর’ বলেছেন, ঠিক তেমনিভাবে পবিত্র আল কুরআনকেও ‘নূর’ বলেছেন ।
১০) প্রশ্ন করতে পারেন যে, আপনি বলেছেন নবী সা. মাটির তৈরী । অথচ, রাসূল সা. তার এক হাদিছে বলেন যে,
১০,১ আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন । এর জবাব কী ?
এ উত্তরটা একটি হাদিছ দিয়ে-ই দেই । আল্লাহর রাসূল সা. অন্য হাদিছে বলেন যে,
১০,২ আল্লাহ সর্বপ্রথম আমার রূহ সৃষ্টি করেন । ঐ হাদিছ এবং এই হাদিছের মর্ম একই ।
অর্থাৎ আল্লাহর রাসূলের রুহ মোবারক নূরের তৈরী, সমস্ত শরীর নয় ।
কেননা মহানবী সা. এর রূহ বা পবিত্র আত্না মাটির তৈরী হবে তো দূরের কথা, কোন মানুষের আত্নাই মাটির তৈরী নয় । বরং সমস্ত মানুষের আত্নাই নূরের তৈরী ।
১১) সৃষ্টির উপাদানের উপর ভিত্তি করে কোন ব্যক্তির মর্যাদা নির্ণয় করা সরাসরি কুরআন ও হাদীছ বিরোধী কথা ।
১১,১ কারণ মহান আল্লাহ বলেই দিয়েছেনঃ.
‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে ঐব্যক্তি বেশি সম্মানিত যে তোমাদের মধ্যে সর্বধিক তাক্বওয়াশীল’ পরহেযগার (সূরা হুজুরাত: ১৩)
১১,২ নবী (সাঃ) বলেনঃ হে মানব মন্ডলি! নিশ্চয় তোমাদের প্রতিপালক এক, সাবধান! কোন আরবীর আজমীর (অনারব) উপর, কোন আজমীর আরবীর উপর প্রাধান্য নেই । অনুরূপভাবে কোন লাল বর্ণের ব্যক্তির কালো ব্যক্তির উপর, কোন কালো ব্যক্তির লাল বর্ণের ব্যক্তির উপর প্রাধান্য নেই ।
প্রাধান্য একমাত্র তাকওয়া পরহেযগারিতার ভিত্তিতে হবে । ‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকট তোমাদের মধ্যে ঐ ব্যক্তি বেশি সম্মানিত যে তোমাদের মধ্যে সর্বধিক তাক্বওয়াশীল’-পরহেযগার (আহমাদ প্রভৃতি, হাদীছ ছহীহ । দ্রঃ শাইখ আলবানীর গায়াতুল মারাম, পৃঃ১৯০, হা/৩১৩)
কাজেই নবী (সাঃ) নূর থেকে সৃষ্টি না হয়ে মাটি থেকে সৃষ্টি হওয়া তাঁর জন্য মোটেও মানহানিকর বিষয় নয় যেমনটি অসংখ্য বিদআতী তাই ধারণা করে বসেছে ।
বরং নবী (সাঃ) মাটির তৈরী হয়েও সৃষ্টির সেরা ব্যক্তিত্ব, সর্বাধিক মুত্তাক্বী-পরহেযগার । সমস্ত সৃষ্টি কুলের সর্দার, নবীকুল শিরোমণী, আল্লাহর খালীল-অন্তরঙ্গ বন্ধু । আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে হাশরের মাঠে মহান শাফাআতের অধিকারী, হাওযে কাউছারের অধিকারী, সর্ব প্রথম জান্নাতে প্রবেশকারী । মাক্বামে মাহমূদের অধিকারী, রহমাতুল লিল আলামীন, শাফিঊল লিল মুযনিবীন ।
এসব বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের মাঝে কোনই দ্বিমত নেই । ইহাই ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈনে ইযাম, আইম্মায়ে মুজতাহিদীনের বিশ্বাস । যুগ পরম্পরায় এই বিশ্বাসই করে আসছেন সকল সুন্নী মুসলিম ।
১২) ‘সৃষ্টির উপাদানের ভিত্তিতে ব্যক্তি শ্রেষ্ঠত্ব অজর্ন করে’ এটা ইবলীস শয়তানের ধারণা ও দাবী মাত্র ।
১২,১ এই অলিক ধারণার ভিত্তিতেই সে (ইবলীস) আগুনের তৈরী বলে মাটির তৈরী আদমকে সিজদাহ করতে অস্বীকার করে ছিল (উপরের ৪,১ ও ৪,২ দ্রঃ) ।
‘নবী (সাঃ) কে নূরের তৈরী গণ্য করা হলে তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ হবে, আর মাটির তৈরী গণ্য করলে সেই শ্রেষ্ঠত্ব বিলুপ্ত হবে, তাতে তার মানহানী হবে’ মর্মের
যুক্তিটি শয়তানের যুক্তির সাথে মিলে কিনা চিন্তা-ভাবনা করার উদাত্ত আহ্বান রইল ।
১২,২ কাফেররাও নবী রাসুলকে মাটির তৈরী মানুষ বলে তাঁর প্রতি ঈমাম আনে নাই, অনুসরণ করে নাই, তাকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করে নাই (উপরের ৫,১ থেকে ৫,৮ দ্রঃ) ।
আপনারা যারা নূরের তৈরী আক্বীদা পোষণ করেন, মাটির তৈরী বলে কি আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করতে চান না ?!!
এ রকম ভাবলে কাফেরদের সাথে মিলে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায় নয় কি ?
শেষ কথা আল্লাহ খালেক (সব কিছুর স্রষ্টা) আর সবকিছু তার মাখলুক (সৃষ্টি)
আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘আল্লাহ সমস্ত কিছুর স্রষ্টা ও তিনি সমস্ত কিছুর কর্মবিধায়ক । আকাশ ও পৃথিবীর চাবিও তাঁরই কাছে’ {যুমার ৬২-৬৩}
আর শ্রেষ্ঠ মাখলুক হল মানুষ (মাটির তৈরী) [যে কারনে আল্লাহ নুরের তৈরী ফেরেশতাকে মাটির তৈরী মানুষ আদম (আঃ) কে সেজদা করার আদেশ দিলেন]
মানুষের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) । তাঁর শ্রেষ্ঠতের বহু কারন রয়েছে । তন্মধ্যে
তাঁর প্রতি আল্লাহর বানী আল কুরআন নাযিল হয়েছে এবং তিনিই আল্লাহর বানীর সর্বাপেক্ষা বুঝদ্বার ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষক ।
আল্লাহ আপনার প্রতি ঐশীগ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না । আপনার প্রতি আল্লাহর করুনা অসীম (নিসা-১১৩)
এরা নবি প্রেম এর নামে বাড়াবাড়ি করে তাকে অপমানিতই করে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন