কাদের সিদ্দীকি প্রমাণ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর বড়সড় রাজাকার
লিখেছেন লিখেছেন বিন রফিক ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৪৭:২৭ রাত
১৯/২/২০১৩ রোজ মঙ্গলবার বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত কলামে প্রমাণ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর বড়সড় রাজাকার। তার কলামের অংশবিশেষ হুবহু তুলে ধরা হল-
**মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পক্ষ থেকে উকিল নোটিস পেয়েছি। যুদ্ধাপরাধী বলায় তিনি আমার নামে মামলা করবেন। তিনি সিএসপি পরীক্ষা দিয়ে পাকিস্তান সুপিরিয়র সার্ভিসে যোগ দিয়েছিলেন। সুনামের সঙ্গে পাকিস্তানে চাকরি করেছেন। অনেক তকমা বা প্রশংসা পেয়েছেন।
২৬ মার্চ আমরা যখন মুক্তিযুদ্ধ শুরু করি তখনো তিনি পাকিস্তানি কর্মচারী ছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই বাংলাদেশের শত্রু। তার সিনিয়র বা জুনিয়র অনেক সিএসপি জীবন বাজি রেখে মুজিবনগর সরকারের নির্দেশে রণাঙ্গনে ছিলেন। আর মহীউদ্দীন খান আলমগীরসহ যারা পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখতে হানাদার বাহিনী বা পাকিস্তানের আজ্ঞাবহ হিসেবে প্রশাসন চালিয়েছে, যেহেতু পাকিস্তান হেরেছে, সেহেতু পাকিস্তানি অনুগত অফিসারদের দশবার ফাঁসি হওয়া উচিত। সেদিন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা তো জানতাম না মহীউদ্দীন খান আলমগীর পাকিস্তানে চাকরি করেছেন। শুধু চাকরি করেনি, মাস্টারি, ডাক্তারি নয় ডিসিগিরি করেছেন। এখনো যেমন ডিসি-ওসিরা লাঠিয়াল হয়ে সরকার টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করে, ভদ্রলোক তেমন করেছেন।
তাই উকিল নোটিস পেয়ে জানিয়ে দিয়েছি। তিনি যে নিরন্তর পাকিস্তানের হয়ে চাকরি করেছেন, পাকিস্তানের প্রতি অনুগত ছিলেন তার গেজেট-ফেজেট আছে দেখে নিতে পারেন। বাংলাদেশ সরকারের গেজেটেও তার নাম আছে, পূর্ব পাকিস্তান গেজেটেও আছে। কুকর্ম করলে নাম থাকবেই। হানাদারদের পক্ষে রাজাকার হলে যদি ফাঁসি হয়, ডিসি হলে দশবার ফাঁসি হলেও শাস্তি কম হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ছিল সব থেকে ছোট দরের খুনি। ওসি, ডিসি, এসপিরা তো অনেক বড় দরের ঘাতক বা খুনি।
আগে মনে হতো আমি যেভাবে যুদ্ধ দেখেছি, অন্যায়-অত্যাচার, খুন-খারাবি সবাই বোধহয় সেভাবেই দেখেছে, এটাই আমার ভুল। মাস্টার, ডাক্তার, কেরানি, ইঞ্জিনিয়ার তারা প্রশাসন চালায় না, তারা চলে। কিন্তু ম্যাজিস্ট্রেটরা প্রশাসন চালান। ছোট ম্যাজিস্ট্রেটের ছোট কাজ, বড় ম্যাজিস্ট্রেটের বড় কাজ। এডিসি, ডিসি র্যাঙ্কের অফিসাররা জেলার পুরো প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে। কাউকে গ্রেফতার করা, কাউকে মুক্তি দেওয়া তাদের কাজ। চার পয়সার দাম নেই, জেলা সদরে রাজসিংহাসনে বসে মানুষের নিবর্তনমূলক আটকাদেশে সই করে, 'আমি সন্তুষ্ট হইয়া আপনাকে এত দিনের আটক আদেশ দিলাম।' সেই ডিসি পদে মহীউদ্দীন খান আলমগীর ছিলেন। পাকিস্তান হানাদারদের হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে তিনি সম্পৃক্ত নন, তো কে সম্পৃক্ত?
টাঙ্গাইলে যেমন আশিকুর রহমান ডিসি ছিলেন, তাকে সে সময় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাকিস্তান প্রশাসনের ডিসি যুদ্ধাপরাধীদের ওই সময়ই ফাঁসিতে ঝুলানো উচিত ছিল।
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৪৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন