বেআইনী বিচার কার্যক্রমে আদালত অবমাননা হয়না, হয় তার প্রতিবাদ ও নিন্দা চালালে
লিখেছেন লিখেছেন বিন রফিক ২০ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৩২:৫১ দুপুর
খবরঃ এইচআরডব্লিউর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনাল শুরু থেকেই বিতর্কের তুঙ্গে। আন্তর্জাতিক বলে চালিয়ে দেওয়া হলেও তার ছিল না সেই স্বীকৃতি। জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি, এইচআরডাব্লিউ সহ কোন আন্তার্জাতিক মানবাধিকার সংস্হা একে সমর্থন দেবার কোন কারণ খুঁজে পায়নি। সর্বশেষ স্কাইপি ও সুখরন্জন বালির ঘটনা প্রহসনের ট্রাইবুনালের চেহারা আরো উন্মোচিত করে দিলেও আইনের নামে বেআইনী এই কার্যক্রম অবিরত রেখে যাওয়াই ছিল মানবাধিকারের চরম লঙ্গন।
গত ১৬ আগস্ট জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যাপক গোলাম আযমের বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি বলে কঠোর সমালোচনা করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
এইচআরডব্লিউর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের এই রায় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের মানদ- পূরণ করতে পারেনি। গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়া ত্রুটিযুক্ত ।
সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড এডামস বলেন, গোলাম আযমের বিচার প্রক্রিয়া পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। যারা অপরাধের শিকার হয়েছেন এবং তাদের স্বজনদের অবশ্যই ন্যায়বিচার এবং সঠিক উত্তর পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তা একমাত্র স্বচ্ছ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব।
১৫ জুলাই বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫ অভিযোগে গোলাম আযমকে ৯০ বছরের কারাদ- দেয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ে এও বলা হয়, অপরাধ অনুযায়ী তার মৃত্যুদ-ই প্রাপ্য। বয়স এবং অসুস্থতা বিবেচনায় তাকে কারাদ- দেয়া হয়।
ব্র্যাড এডামস বলেন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ১৯৭১ সালে সংঘটিত বর্বরতার বিচারে সমর্থন দিয়ে আসছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য বিচারে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের কথা বলে আসছে।
তিনি বলেন, আমরা সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করেছিলাম স্বচ্ছ বিচারের ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আমাদের সতর্কবার্তা অবজ্ঞা করেছে। সরকার গোলাম আযমের সাজা নিশ্চিত করতে পেরেছে যা তারা চেয়েছিল। কিন্তু সরকার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। গোলাম আযমের মামলায় বিচারকরা প্রসিকিউশনের পক্ষ হয়ে তদন্ত করেছেন। বাংলাদেশের বিচারকদের শুধুমাত্র তাদের সামনে হাজির করা নথির ভিত্তিতে বিচার করার ক্ষমতা রয়েছে।
অ্যাডামস আরো জানান, গোলাম আযমের বিচারকার্যে নানাবিধ সমস্যা রয়েছে। এসবের মধ্যে প্রধান সমস্যা হলো বিচার প্রক্রিয়ায় বিচার বিভাগের পক্ষপাত এবং অধিকারের লঙ্ঘন।
বিষয়: বিবিধ
১২৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন