সিন্ডিকেট এবং আমরা

লিখেছেন লিখেছেন বলা সহজ ১০ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৩৯:৪৬ সকাল

বাংলাদেশে একটি অতি পরিচিত শব্দ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট কোন কোন সময় আমাদের অর্থনীতির জন্য উপকারী হিসেবে আর কোন কোন সময় জনগনের জন্য নাভিঃশ্বাসের কারণ হয়ে আবির্ভূত হয়। বিভিন্ন অপরাধ দমন করার জন্য সময়োপযোগী বিভ্ন্নি আইন প্রণয়ণ করা হয়। সময়ে সময়ে অপরাধীদের এইসব আইনের মাইনকা চিপায় আটকে রেখে বিভিন্ন মহল কিছু না কিছু আদায় করে কিংবা প্রদান করে। যাই হোক, আমরা সাধারণ মানুষ সাধারণ ভাবে চিন্তা করি। এইসব সিন্ডিকেট এর হাতে গোনা কয়েকজন মিলে পুরো দেশের জনগণের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে আর পত্রিকায় পাতায় কয়েকজনের নাম দেখে আমরা বিষ্মিত হয়। এর পর আবার ভুলে যাই আর তাদের অন্যায়ের যাতাকলে নিষ্পেষিত হতে থাকি। যারা ক্ষমতায় থাকে সিন্ডিকেট তাদের রঙে রঙিন হয়ে উঠে আর আমরা, আমাদের আইন, প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করাকে ফরজ হিসেবে গ্রহন করি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? দেশে বেকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর প্রকৃত সংখ্যা সরকারের অজানা। এইসব সিন্ডিকেট নামধারী সুবিধাভোগী গোষ্ঠী যখন তাদের অন্যায় আবদার রক্ষার আন্দোলনের নামে স্থবির করে দেয় জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠানের চাকা তখন আমাদের তথাকথিত মানবতাবাদী স্বার্থভোগী মহল তাদের সাথে আলোচনা করে তাদের দাবীদাওয়া মেনে নেয়ার খেলায় মেতে উঠে। আমরা যারা তৃতীয় সারির অর্থনীতির দেশ, যখন আমাদের অর্থনীতির এগিয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তখন এইসব স্বার্থবাদীদের কেন এতো তোয়াজ করতে হয় আমার ছোট্ট বুদ্ধিতে বুঝে উঠতে পারি না। প্রশাসন কেন তাদের কঠোর হস্তে দমন করেনা। কি আর হবে, এসব অকেজো লোকজন দিয়ে? তাদের ছাটাই করে নতুন লোকবল নিয়োগ করলে দেশের বেকারত্বের হার যেমন কমবে পাশাপাশি অলস স্বার্থান্বেষী মহলের এইসব আস্ফালন ও বন্ধ হবে। কারণ যখন চাকুরী থাকবে না তখন উপরি আয়ের পাশাপাশি জীবনধারনের উৎসও বন্ধ হয়ে যাবে। তখন পেট বাঁচানো তাদের জন্য ফরজ হয়ে যাবে। আর অহেতুক আন্দোলনের নামে যাচ্ছেতাই করার সুযোগ পাবে না্। আর প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে যেখানে কর্মচারী কল্যাণ সমিতি আছে সেখানে কিছু নীতিবাক্য শিখানো যায়। যেমন প্রায়ই দেখা যায় এইসব শ্রমিক নেতা নামধারী কিছু কিছু কর্মচারী ঐ প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত কোন কাজই করে না, বা তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেনা। তাদের বুঝানো উচিত, তারা যারা অন্যান্য কর্মচারীদের পক্ষে কথা বলবে বা সব কর্মচারীর পক্ষ থেকে দাবী দাওয়া কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবে তার জন্য তো তাদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বে অবহেলার কোন অবকাশ নেই। কারণ একজন নেতা কখনো নিজ দায়িত্ব অবহেলা করতে পারে না। তার দায়িত্ব পালন করার পর পরবর্তী সময়ে যে অন্যের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করে সে-ই তো প্রকৃত নেতা, তাই নয় কি?

আমাদের দেশের উন্নয়নের গতি নিশ্চিত করতে হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে। আর যেখানে প্রশাসন অপারগ সেখানে সাধারণ জনগণকে একতাবদ্ধ হয়ে দূর্ণীতিবাজদের দমন করতে হবে। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া অপরাধ, কিন্তু জেনেশুনে অন্যায়কে পাশ কাটিয়ে যেতে দেয়া কি তার চেয়ে বড় অপরাধ নয়?

বিষয়: বিবিধ

১০৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File