পাকিস্তান যা পারেনি অস্ত্র দিয়ে, ভারত তা করছে সংস্কৃতি দিয়ে

লিখেছেন লিখেছেন আজব মানুষ ২৫ মার্চ, ২০১৩, ১০:১০:৪৯ রাত



০১

১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে জন্ম নেয়া তথাকথিত ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান দুইটি পৃথক ভূ-খন্ডের মাধ্যমে ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান নামক এই দু’টি ভূ-খন্ডের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফরাক। একটি থেকে আরেকটির দূরত্ব কয়েক হাজার মাইলের।

ভূ-খন্ডের দিক দিয়ে যেমন দূরত্ব ছিল, তেমনি দুই প্রান্তের মানুষ জনের মাঝেও ধর্ম ব্যতিত ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, এবং ব্যবহারসহ প্রায় সব কিছুরই দূরত্ব ছিল। পশ্চিম পাকিস্তানের মূল ভাষা ছিল উর্দু আর পূর্ব পাকিস্তানের ভাষা ছিল বাংলা। পাকিস্তানের ধর্মীয় অনুভূতি উগ্র আর পূর্ব পাকিস্তানের সহনশীল। পশ্চিম পাকিস্তান ভূ-খন্ডের জনগন ছিল (যা এখনো বলবৎ) বহু জাতি তত্ত্বে বিভক্ত, কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান বলা চলে শুধুমাত্র বাঙ্গালি জাতি তত্ত্বের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এমনি যোজন যোজন বৈপরিত্ব সত্ত্বেও পূর্ব-পশ্চিম মিলে এক পাকিস্তান পরিচয়ে পথচলা শুরু করে উভয় ভূ-খন্ডের জনগণ।

নতুন রাষ্ট্র হিসেবে সবকিছুই নতুন করে শুরু করতে হয়েছিল পাকিস্তানের শাসক শ্রেনীকে। তেমনি এক মূহুর্তে প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা কি হবে ? পশ্চিম ভূ-খন্ডের সংখ্যা ঘরিষ্ঠতা ও প্রভাবাধিন শাসক শ্রেণী শুধুমাত্র উর্দূকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করতে তোড়জোড় করতে শুরু করে। কিন্তু সাড়ে সাত কোটি জনগণের মুখের ভাষা বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা করতে পূর্ব ভূ-খন্ডের মধ্য থেকে দাবী উঠে।

পূর্ব পাকিস্তানের জনসংখ্যা যেহেতু পশ্চিম পাকিস্তানের চাইতেও বেশি সেহেতু তাদের এমন দাবী করা মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। তাছাড়া তারা কিন্তু বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবী না করে বরং এটিকে উর্দুর পাশাপাশি অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবী করে। তৎকালিন শাসক শ্রেণী যদি সে সময় পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের এই মৌলিক দাবীটিকে মেনে নিত, তাহলে তাদের তেমন কোন ক্ষতিতো হতই না! বরং বর্তমান যে ইতিহাস সে ইতিহাস হয়তো অন্যভাবে লেখা হত।

পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের প্রাণের দাবী বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করাকে শাসক শ্রেণী মোটেও গ্রাহ্য করেনি। কার্জন হলে এক সমাবেশে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন, উর্দুই পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা।

প্রতিবাদে ফেটে পড়ে পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের জনগণ। সালাম, রফিক, বরকত আর জব্বারদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়েও মায়ের ভাষায় কথা কলার অধিকার আদায়ে ক্ষান্ত হয়নি। যার ধারাবাহিকতায় ৭১-এ মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে নয় মাস পাক হানাদারদের সাথে লড়াই করে বাংলার দামাল ছেলেরা চিনিয়ে আনে স্বাধীনতার টকটকে লাল সূর্য। বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা পায় স্বাধিন-সার্বভৌম একটি মানচিত্রের।

০২

আমাদের দেশে বর্তমানে এক ধরনের মহামারি দেখা দিয়েছে। সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে এটি এতই প্রকট আকার ধারন করেছে যে কোন প্রতিশেধকই এখন আর কাজ করছে না। অভিজাত শ্রেণী থেকে শুরু করে একেবারেই পতিত শেণী, উচ্চবৃত্ত থেকে শুরু করে নিন্ম বৃত্ত পরিবার, বয়স্ক থেকে শুরু করে শিশু পর্যন্ত সবাই এই মহা ব্যাধিতে নিমজ্জিত। আর এর নাম ভারতীয় সংস্কৃতিক আগ্রাসন। বয়স, স্থান, কাল, পাত্র বেধে পার্থক্য থাকলেও মোটামুটি সবাই এখন এই আগ্রাসনের শিকার। দেশ-জাতির কি ক্ষতিটাই না তারা করছে! তা বুঝেও সবাই গিলে নিচ্ছে এই টোপ।

ডরিমনের ফাঁদে শিশুরাঃ

আমাদের বাচ্চারা এখন মায়ের ভাষা বাংলা শিখার আগেই হিন্দিতে কথা বলা রপ্ত করে ফেলছে। আর এটি সম্ভব হচ্ছে ভারতীয় চ্যানেল গুলোর কল্যানে। বাচ্ছাদের কাছে সব সময়ই জনপ্রিয় থাকে কার্টুন জাতীয় বিনোদন। ভারতীয় চ্যানেলে এখন ডরিমনে সয়লাব। আর এটি ছাড়া অন্যকিছু বাচ্চারা মানতেই চায় না। ডরিমনের হিন্দী কথোপকথন থেকেই তারা শিখে নিচ্ছে হিন্দি ভাষা। শিশুরা হল কাদা মাটির ন্যায়। কামার যেমন কাঁদামাটিকে ইচ্ছে মত রূপ দান করতে পারে, তেমনি বাচ্চাদেরও যেমন ইচ্ছে তেমনি করে গড়া যায়। হচ্ছেও তাই। ডরিমনের প্রভাবে আমাদের দেশের ভবিষ্যত গঠনের পুষ্পকলি শিশুদের ভেতর দারুন ভাবে প্রভাব ফেলছে। ছোট্ট ছোট্ট শিশুরা এখন আনায়সে হামকো-তুমকো মার্কায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করছে।

কার্টুন সিরিজগুলো শিশুদের মনোজগতে সুদূঢ় প্রসারী প্রভাব বিস্তারে সহযোগীতা করে। এইতো কয়েক বছর আগেও আমাদের রাষ্ট্রীয় চ্যানেল বিটিভিতে মিনা কার্টুন সিরিজ দেখাতো। তখন এটি শিশুদের মাঝে বেশ প্রভাব ফেলেছিল। স্কুল ও পড়ালেখার প্রতি যেমন ভালবাসা তৈরী হয়েছিল, তেমনি সামাজিক দায়বদ্ধতা আর সত্য ও সততার প্রতিও তাদের দায়িত্বানুভূতি ভালই জাগ্রত করতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর সিসিমপুর নামক কার্টুনে খেলতে খেলতে শিক্ষা দেয়ার ধরনটিও প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু ডরিমন থেকে কি শিখছে আমাদের শিশুরা? নবিতার মিথ্যাবাদিতা আর অন্যকে গায়েল করার পাশাপাশি স্কুল ফাঁকি দেয়ার মানস তৈরীই বেশি লক্ষনীয়। আর ভাষা! সে তো না বললেও হয়।

জালে আটকা পড়ছে নারীরাঃ



দৃষ্টিকটু হলেও আপনার মা, বোন, বউ কিংবা বাড়ির কাজের মেয়েটি এসবই দেখছে

বাংলাদেশে বেশির ভাগ পরিবারের নারীরা এখন ভারতীয় চ্যানেলের প্রতি এতটাই আসক্ত যে রীতিমত এটি এখন দেশীয় সংস্কৃতি আর মূল্যবোধের জন্য হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। এখনকার নারীদের অড্ডা কিংবা বৈঠকের অন্যতম বিষয় হয়ে উঠেছে অমুক চ্যানেলে অমুক সিরিয়ালের আলাপন। স্টার প্লাস, স্টার জলসা, জি বাংলাসহ একাধিক চ্যানেল রয়েছে, যে গুলোর মোহে মজেছে আমাদের দেশের নারী সমাজ। ভাল কি শিখছে তারা এসব সিরিয়াল কিংবা নাটক থেকে তা তারাই বেশি ভাল বলতে পারবেন। কিন্তু খারাপ যে অনেক কিছুই শিখছে তা অনায়াসেই বলে দেয়া যায়।

একটা সময় ছিল, যখন আমাদের নারীরা একান্নবর্তি পরিবারে একাত্ম হয়ে থাকতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করতেন, কিন্তু এখন তা দিনে দিনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। আর এর জন্য বড় ভূমিকা রাখছে ভারতীয় সিরিয়ালগুলো। এসব সিরিয়ালের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে থাকে বৌ-শ্বাশুড়ি, কিংবা ননদ-ভাবি অথবা জা-জা’র মধ্যকার ধ্বন্দ, চুলোচুলি আর প্যাঁচ লাগিয়ে একে অপরের ঘর ভাঙ্গা কিংবা পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যেটি, সেটি হল এসব সিরিয়ালে, দৃষ্টি কটু বেশ-ভূষা, পরকীয়া আর অবৈধ সম্পর্কগুলো থাকে অতি সাধারণ বিষয়। আর এসব দেখে তারাও ধাবিত হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাতন্ত্র সংস্কৃতির বিপরীত ধারায়।

ভেঙ্গে পড়ছে আমাদের সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রতাঃ

নারী, শিশু আর তরুণরা-তরুনীরা যখন অন্য দেশীয় সংস্কৃতির করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হয়ে হারিয়ে ফেলছে নীজেদের জাতীয় মূল্যবোধ। তরুণরা যেমন ঐশ্বরিয়া-ক্যাটরিনাদের হাড়ির খবর রাখতে ব্যস্ত, তেমনি তরুনীরা ব্যস্ত সালমান খান-শাহরুখ খানদের খোঁজে। ভারতের কোন নায়ক-নায়িকার অভিষেক হচ্ছে, হীট খাচ্ছে তার সবই তাদের নখদর্পণে। অথচ আমাদেরও যে একটি সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্রতা রয়েছে তা তাদের প্রায়ই অজানা। এমনকি আমাদের শিল্পীদের পর্যন্ত অনেকে চিনেও না!

ঘরে ঘরে যখন ভারতীয় টিভি-চ্যানেলের আধিখ্যতা, পত্রিকা স্টলগুলোতে যখন সানন্দা মার্কা পত্রিকার ছড়াছড়ি তখনি সর্বশেষ আঘাত হানা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির ওপর। মহান বিজয়ের মাসে আমদানীর অনুমতি দেয়া হল ভারতীয় সিনেমা আমাদানীর। ভাষার মাস ফেব্রুয়ারীতে করা হল হিন্দি শিল্পীদের নিয়ে কনসার্ট, যেটি দেখতে আমাদের মন্ত্রীরা মাটিতে বসতে পর্যন্ত সংকীর্ণতা বোধ করেননি!

শুধু কি তাই! বাংলাদেশের একটি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে দু;দেশের শিল্পীদের নিয়ে নির্মিত একটি মেগা ধারাবাহিক, যদিও বলা হচ্ছে দু দেশের তবে সেখানে ভারতীয়দেরই আধিক্য। তার ওপর সম্পূর্ণ সামাজিক, ধর্মীয়সহ সকল মূল্যবোধই কোলকাতা কেন্দ্রীক। সাংস্কৃতিক সম্পর্কের কথা বলে সুরদরিয়া এপার-ওপার নামে করা হচ্ছে রিয়ালিটি শো। এ ছাড়াও আর টিভি, দিগন্ত টিভিসহ আরো দুয়েকটি টিভি নাটকে চর্চা করা হচ্ছে কলকতার মানুষদের মাঝে প্রচলিত বাংলা ভাষার। সম্প্রতি ঈদসহ ভিবিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ দিনে বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানগুলোতে আনা হচ্ছে ভারতীয় শিল্পীদের। এসব কার্যক্রম থেকে কতটুকু লাভবান হচ্ছি আমরা তা বোধগম্য নয়।

তারা পারে আমরা পারি নাঃ

বাংলাদেশে অনেকগুলো ভারতীয় টিভি চ্যানেল সম্প্রচার করা হয়। এটি নিয়ে আমাদের তেমন মাথা ব্যাথা হওয়ার কথা ছিল না, যদি আমাদের দেশীয় চ্যানেল গুলোও ভারতে দেখা যেত। খেলাধূলা, সিনেমা, গান, সাংবাদ ভিত্তিক ভারতীয় চ্যানেলগুলো দেখার বিনিময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। অথচ আমাদের একটি চ্যানেলও ভারতে সম্প্রচার করার অনুমতি ভারত সরকার আজ পর্যন্ত কোন এক অদৃশ্য কারনে দিচ্ছে না।

দোষ ওদের নয়, আমাদেরঃ



এরই নাম কি বন্ধুত্ব!!!

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে সবাই চায় একে অন্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে। ভারত তাদের সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের সে মনভাবই ফুটিয়ে তুলেছে, যা আমরা মোটেও পারিনি। জাতি হিসেবে এটি আমাদের সামষ্টি ব্যর্থতা। এখন দেখা যাচ্ছে, দর্শক হিসেবে আমারা নিজেদের গুলোর চাইতেও ভারতের গুলোর প্রতি ক্রমশ আশক্ত হয়ে পড়ছি। তার একটি উদাহরণ উঠে এসেছে ব্লগারের লেখায়, গত রোযার ঈদে আমাদের দেশের একটি বেসরকারি চ্যানেলের লাইভ মিউজিকে এসেছিলেন কলকাতার এই সময়ের হালের ক্রেজ রূপঙ্কর। আমার দেশে সে কতটা জনপ্রিয় দেখে খানিক বিরক্ত হলেও খারাপ লাগেনি রূপঙ্করের গান। আমি নিজেও তার ভক্ত। তবে দেশের শিল্পীর মর্যাদা আমার কাছে প্রথম। তারপর ভিনদেশী শিল্পী। লাইভে অনেক মহিলা ফোন করে বলছিলনে “ রূপঙ্কর দা, আমি, আমার মা আপনার ভীষণ ভক্ত। আমরা সারাদিন আপনার গান শুনি”। হায়রে বাঙালি দেশের গানের কথা কেউ ই বললেন না। যাই হোক এক দর্শক রূপঙ্করের একটি গানের রিকোয়েস্ট করলেন। রূপঙ্কর সেই গানটি আমাদের বাংলাদেশের একটি অডিও এ্যালবামে বছর ৫ আগে গেয়েছিলেন। রূপঙ্কর বললেন “ বাণিজ্যিক কারনে বাংলাদেশের গান ভারতে চলেনা তাই ওই গানটি তিনি গাইতে পারছেন না।” কারন তিনি ভুলে গেছেন কিংবা প্রাকটিস নাই!!!! লজ্জা লাগলো নিজের কাছে। আমাদের দেশের একটি এ্যালবামে তিনি গান গাইলেন অথচ সেই গান তিনি গাইতে পারলেন না। তার কি ই বা দোষ। রূপঙ্কর বললেন বাংলাদেশের টি ভি চ্যানেল সেই দেশে না চলার কারনে ভারতের শ্রোতা কিংবা দর্শক বাংলাদেশের গান স¤পর্কে খুব জানেন না। কাজেই ভারতে তিনি কলকাতার গান ই করেন। এই কারনে বাংলাদেশে গাওয়া তার নিজের গানের প্রাকটিস নিজেই করেন না! অভাগা বাঙালি আমরা ভারতের সঙ্গীত, মুভি ছাড়া চলতে শিখিনী। (ব্লগার মোসাদ্দেক উজ্জল, ৩১ আগস্ট ২০১২)।

অথচ তাদের কলকাতার নাটকের চাইতে আমাদের নাটক কোন অংশেও কম নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে আমাদের গুলোই ভাল মানের হয়ে থাকে। ভারতের জি বাংলার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান মিরাক্কেল এর উপস্থাপক মির আফসার আলী ( মির) বলেন, “একটা সময় কলকাতায় যখন ডিশের ব্যবস্থা ছিলনা তখন বুস্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিটিভির এক ঘণ্টার নাটক দেখতেন কলকাতার দর্শক। সেটা হয়তো আশির দশকের কথা। আর আমাদের বাংলাদেশের নাটক গুলো দেখে কলকাতার নির্মাতারা অনুপ্রানিত হতেন। এবং আমাদের বাংলাদেশের নাটক দেখেই তখন ডি ডি মেট্রো সহ কলকাতার টি ভি চ্যানেল গুলোতে নাটক নির্মাণ করা হত।”

ভারতের এই দু’জন সাংস্কৃতিক ব্যক্তির কথা থেকেই ফুটো উঠেছে আমাদের সাংস্কৃতিক দেউলিয়াত্ব। তাই এখনো সময় আছে আমাদের জাতীয় বিবেককে জাগ্রত করার। ভীনদেশীয় সংস্কৃতিতে গা না ভাসিয়ে আমরা আমাদের সাংস্কৃতি বিশ্বামানে উন্নীত করে ছড়িয়ে দেব বিশ্বময় এমন প্রত্যাশার লালন এবং তার কার্যক্রম শুরু করার মানস আমাদেরকে সৃষ্টি করতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১৭২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File