বঙ্গবীরের বিরুদ্ধে প্রদত্ত রায় জাতীয় লজ্জা
লিখেছেন লিখেছেন আজব মানুষ ১৮ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৪৬:৩২ বিকাল
মুক্তিযুদ্ধের সময় ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ম,খা আলমগীরকে (লোকে বলে মাথা খারাপ আলমগীর ) তার রাজকারের ভূমিকা জাতীর কাছে প্রকাশ করে দেয়ায় বাংলাদেশের অন্যতম কালপুরুষ বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা করেছে আ.লীগ দলীয় সংকীর্ণমনা কোন এক মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবীরের বিরুদ্ধে তার সে সত্য সাক্ষের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় আজ আদালত নিজ জিম্মায় জামিন দিয়েছেন তাকে।
এযে জাতী হিসেবে কত লজ্জাস্কর, তা বোঝানো কঠিন। বুকের পাজর ভেঙ্গে যেন খান খান হয়ে যাচ্ছে। একজন রাজাকারকে রাজকার বল্ল, এতে রাজাকারের মান যায়; আর বীর মুক্তিযোদ্ধাকে দাঁড়াতে হয় আদালতে! বিচারপতি যদি মনে করেন তিনি তার যিম্মায় নিয়ে বঙ্গবীরকে জামিন দিয়ে মহৎ কাজটি করেছেন তিনি; তাহলে বলবো, না মাননীয় বিচারপতি আপনি কোন মহৎ কাজতো করেনই নাই। বরং আপনি সমস্ত মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আদালতে দাঁড় করিয়ে ছেড়েছেন।
আপনার উচিত ছিল এই মামলাটি আমলে না নিয়ে রাজাকার মখালুমগীরকে অতিসত্ত্বর গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া।
মাননীয় বিচারপতি, আপনি হয়তো জানেন এই বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সত্য কথাটি বলার কারনে কত অপমানীত হতে হয়েছে। শাহবাগের কতগুলো গর্দভ তাকে নব্যরাজাকার, বঙ্গরাজাকার ইত্যাদি হাবিজাবি কত কিই না বলেছে। আপনি এসব বিষয়ে কিভাবে চুপ থাকতে পেরেছেন?
যে মুক্তিযোদ্ধা তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন, তাকে প্রশ্ন করতে চাই; হে মহৎ মুক্তযোদ্ধা আপনি একজন রাজাকারের উৎপাদককে রাজাকার বলায় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীর উত্তমের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে মানহানির মামলা করেছেন। কিন্ত এই মুক্তিযোদ্ধাকে শাহবাগ থেকে যারা অপমান, অপদস্থ করেছে, তাদের ব্যাপারে আপনি চুপ থাকতে পারলেন কিভাবে? বঙ্গবীর যদি রাজাকার হন, তাহলেতো একই অভিযোগ আপনার বিরুদ্ধেও দাঁড়ায়। কারন ৭১’র রনাঙ্গনে আপনি যা করেছেন, বঙ্গবীরও সে কাজটিই করেছেন। বরং আপনার ছেয়ে অনেক অনেক বেশি ভূমিকা রেখেছেন আমাদের এই ছোট্ট মানচিত্রটির জন্য।
হে মহান মুক্তিযোদ্ধা আপনাকে বিনীত অনুরোধ, প্লীজ আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সংকীর্ণ রাজনৈতিক রূপে রূপান্তরিত করবেন না। সাদাকে সাদা আর কালকে কাল বলুন। সকল রাজকারদের বিচারের দাবী তুলুন।
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন