মসজিদ নিয়ন্ত্রেণে আ,লীগের মুখ্যম অস্ত্র জেএমবি
লিখেছেন লিখেছেন আজব মানুষ ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৮:০০:২৭ রাত
আ,লীগের একটি কমন ও ভাইটাল অস্ত্রের নাম জেএমবি। যখন যেভাবে প্রয়োজন, তখন সেভাবেই এটিকে ব্যবহার করতে পারে ভারতবান্ধব এই দলটি। গত জোট সরকারের আমলে বিভিন্ন ইস্যুতে যখন একের পর এক আন্দোলন মাঠে মারা যাচ্ছিল, এমনকি ট্রাম্প কার্ডের মত গভীর ষড়যন্ত্রগুলোও মাঠে মারা যাচ্ছিল; ঠিক তখনই ২০০৫ সালে তারা এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সহযোগিতায় দেশের ৬৪টি জেলায় এক যোগে বোমা হামলা করে মানুষ মেরেছিল।
এই সন্ত্রাসীবাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এবং আমির ছিল যুবলীগের সাবেক সেক্রেটারী বর্তমান আ,লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও সংসদের হুইপ মির্যা আযমের আপন ছোট বোনের স্বামী আব্দুর রহমান। যাকে জীবন বাজি রেখে বাংলা ভাইয়ের সাথে সিলেট থেকে গ্রেফতার করেছিলেনে র্যোবের তৎকালিন উপপ্রধান কর্ণেল #গুলজার উদ্দিন আহমদ। পরবর্তিতে সেনা সমর্থিত তত্ত্ববধায়ক সরকার তাকেসহ ৬ সন্ত্রাসীকে ফাঁসীতে শাস্তি প্রধান করে।
আপনাদের নিশ্চয় মনে থাকার কথা, ২০০৯ সালে আ,লীগ ক্ষমতায় আসার দুই মাসের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহ নামে একটি কিলিং মিশনে দেশপ্রেমিক ও ইসলামপন্থি সেনা অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল। সে হত্যাকান্ডের মাত্র ৩দিন আগে কর্ণেল গুলজারকে (মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসি করুন -আমিন) র্যাব থেকে বিডিআরে বদলি করা হয়েছে। এবং এই হত্যাকান্ডে তাকে সবচেয়ে নিশংসভাবে হত্যা করে লাশকে আগুনে জ্বালিয়ে পুড়ে ফেলা হয়েছিল।
ধারনা করা হয়ে থাকে, কর্ণেল গুলজার এমন নির্দয় হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন কেবলমাত্র মির্যা আযমের বোনের স্বামী, দেশ ও ধর্মের শত্রু শায়খ (!) আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনার কারনেই।
যাই হোক, অনেক চড়াই-উতরাই আর ষড়যন্ত্র করে আ,লীগ ক্ষমাতায় এসেছে ২০০৯ সালে। এরপর থেকে জেএমবি নামক মিসাইলটি অদৃশ্য হয়ে যায়। বিরোধী শক্তিকে মোকাবেলায় নতুন শব্দ ছিল জঙ্গি এবং আইএস। গ্যাস্ট্রিকের কারনে কারো বায়ু একটু বেশি শব্দ করে ব্যাপন হলেই সেটাকে আইএস অথবা জঙ্গি উত্থান বলে চালিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ক্ষমাতা দখল করে।
কিন্তু বিধিবাম, নিজেদের পাতা ফাঁদে যে এভাবে পড়তে হবে তা আ,লীগ ঘুর্নাক্ষরেও ভাবতে পারিনি। একের পর এক বিদেশি হত্যার পর মাইনকার চিপায় পরে হিন্দুপ্রতিম ভারতীয় আশির্বাদদুষ্ট এই সরকার। শেষে প্রতিপক্ষকে গায়েলের জন্য আইএস চ্যাপ্টার বাদ দিয়ে পুরাতন অস্ত্রে শান দেয়া শুরু করেছে তারা।
“So long as the Muslims have the Quran, we shall be unable to dominate them. We must either take it from them, or make them lose their love of it.” ইংরেজ বেনিয়ারা যখন ভারতের স্বাধীনতা দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল, তখন তৎকালিন এমপি গ্লাডষ্টোন উপরের কথাগুলো বলেছিল। বর্তমান শেখাছিনা সরকারও বুঝতে পেরেছে, এখন যদি তাদের এই অবৈধ ক্ষমতাকে যেকোন মূল্যে আকড়ে থাকার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আর এজন্য তারা জানে জনগণের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিতে হবে।
সরকার ভালভাবেই জানে, যতদিন জনগণ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলে, ততদিন তারা এতে সফল হবেনা। যেহেতু দেশের ৯২ শতাংশ জনগণ মুসলিম, সেহেতু সরকার পরিকল্পনা করেছে, সমস্ত মসজিদ নিয়ন্ত্রণের। কিন্তু হঠাৎ করে এভাবে মসজিদগুলো পুলিশ, গোয়েন্দা ও দলীয় ক্যাডার দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করলে মানুষ ক্ষেপে যাবে এবং সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নামবে। যাকে বলে হীতে বিপরীত। তাই তারা তাদের গোপন সেই অস্ত্রকে আবারও মাঠে নামিয়েছে।
সরকারের পেটুয়া পুলিশ প্রধান মসজিদগুলো নিয়ন্ত্রণের গোষণার পর থেকেই দেশের কোন না কোন মসজিদে বোমা হামলা হচ্ছেই। আজও হয়েছে এবং ভয়ঙ্করভাবে হয়েছে। একেবারেই আত্মঘাতি বোমাহামলা।
এই হামলাগুলোর পর এখন দেশের যেকোন মসজিদে কিংবা সব মসজিদে সরকারি নিয়ন্ত্রণ পানির মত সহজ কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং জনগণ এটিকে সহজভাবেই নেবে। এতে করে তারা জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাসকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। এখন যদি তারা আইন করে প্রতি জুমার নামাজের খুতবায় গীতা পাঠ করতে হবে, দাঁড়িয়ে নয় টুলে বসে নামাজ পড়তে এবং ভাষার জন্য যে জাতি জীবন দিয়েছে, তারা আরবীতে নয় বাংলাতে প্রার্থনা করতে হবে; তাও জনগণ মেনে নিতে বাধ্য হবে। কারন ততদিনে মুসলমানদের অনুভূতি সরকারি চেতনায় লালিত হবে।
এসব কিছু না ঘটার আগেই জনগণকে সরকার এবং তাদের পালিত জেএমবি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে। বাংলার ১৬ কোটি জনগণকে হতে হবে একেকজন গুলজার, তিতুমীর, শরিয়ত উল্লাহ আর নুর আলদীনের মত জাগরণের মূর্ত প্রতিক। তবেই দেশে আসবে শান্তি, শৃংখলার
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন