লাশেই মনের সুখ........
লিখেছেন লিখেছেন আজব মানুষ ০৪ মে, ২০১৪, ০৮:২৫:০৭ রাত
বহু আগে বিটিভিতে একটি নাটক দেখেছিলাম, যার সারাংশ হল এই রকম; এক মহিলা বাসা পরিবর্তন করে হাজারিবাগ এলাকায় উঠেছেন। কিন্তু সমস্যা হল, নতুন বাসায় তার সেটেলড হতে কষ্ট হচ্ছে, কারন হাজারীবাগের টেনারীর চামড়ার দুর্গন্ধ তার সহনীয় মাত্রার নয়। কিন্তু চাইলেইতো তার পক্ষে এখন বাসা ছেড়ে যাওয়ার সুযোগ নাই। একদিন, দুইদিন, তিনদিন করে অনেক দিন কেটে গেল......
একদিন ঐ মহিলা তার বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে গেল। সারাদিন ভালই কাটল, কিন্তু বাধ সাধলো রাতে যখন ঘুমাতে গেল তখন। কিছুতেই তার ঘুম আসছে না। বিছানায় এপাশ ওপাশ করতে করতে অনেক রাত কেটে গেলেও যখন ঘুম আসছে না, তখন আর টিকতে না পেরে মহিলা তার বান্ধবিকে গিঢে তার চামড়ার বেনেটি ব্যাগটি ছেয়ে নিল।
অবাক বান্ধবি চামড়ার ব্যাগের কারন জানতে চােইলে মহিলা বলল, হাজারীবাগে থাকতে থাকতে এখন আর চামড়া গন্ধ ছাড়া তার রাতে ঘুম হয় না। কিন্তু এখানে যেহেতু টেনারি নািই, সেহেতু চামড়ার ব্যাগ দেয়ে দুধের স্বাধ ঘোলেতে মিটানো আরকি...
#আমার ফাঁসী চাই বইটি যারা পড়েছেন, তাদের নিঃসন্দেহে মনে থাকার কথা, শেখাছিনা সবচেয়ে বেশি খুশি হয় যখন মানুষের লাশ দেখতে পায়। তার মনের তৃপ্তি আর আন্দোলনকে সফলতার রূপ দিতে নিজের কর্মীর লাশ দেখতেও তার কার্পন্য হয় না। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনকে সফল করতে নিজ দলের কর্মী হত্যা করার পারদর্শিতা আলোচ্য বইতেই বলা আছে।
নারায়নগঞ্জে সেভেন মার্ডর সংঘঠিত হওয়ার পর ক্ষমতাসীন আ,লীগের প্রকাশ্য কর্মকাণ্ড হচ্ছে স্থানীয় আ,লীগ আয়োজিত এই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত গডফাদার সংসদ সদস্য #শামিম ওসমানের জনসভা।
মিডিয়ার মাধ্যমে যতদূর জানা গেছে, তাহল, দুপুরের পর থেকে মাইকে দোকান-পাট বন্ধ করে জনগণকে এই সমাবেশে অংশগ্রহন করতে আহ্বান জানানো হয় (বুদ্ধিমান মাত্রই জানা কথা, তাদের আহ্বান করা অর্থ হল সাড়া দেয়া ফরজে আইন) কিন্তু নারায়নগঞ্জের মানুষ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তারা দোকানপাট বন্ধ করে বাসা-বাড়িতে চলে গেছেন।
সমাবেশে শামীম ওসমানে আত্মপক্ষ সমর্থন, সরকারের গুনগান আর শেষে হুমকি ধামকি দেখে গত চার/পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল।
সম্ভবত ২০১০ সালের কথা। চবিতে শিবির ক্যাডারদের সাথে ছাত্রলীগের পাণ্ডাদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হলে সেখানে দুই শিবির নেতা নিহত হয়। টিভি-মিডিয়া প্রথম থেকেই তাদেরকে শিবির কর্মি আক্ষা দিলেও, এক পর্যায়ে #সময় টিভির কমল দে ছাত্রলীগের মনছুর নামক এক নেতার সাক্ষাতকার নিতে যায়।
ছাত্রলীগ নেতা তার বক্তব্যে ঘটানার জন্য শিবির ক্যাডারদের দায়ী করলেও স্বিকার করে নিহত ২ জন শিবির কর্মী। কিন্তু তাকে থামিয়ে দিয়ে #কমল দে তাকে শিকিয়ে বলে দুই জনের একজনকে আপনাদের বলে দাবী করেন। ছাত্রলীগ নেতা প্রথমে অবাক হলেও পরে শিখানো বুলি আওড়ায় এবং এটা নিয়ে প্রশাসন এবং মিডিয়া পানি ঘোলা করতে চাইলে শেষে ক্ষান্ত দিতে বাধ্য হয়।
৭ খুনের পাঁচ দিন এবং অপহরণের ৮দিন পর আজ শামীম ওসমান সমাবেশ করলেন, এবং খুনিদের রেহাই না দেয়ার ঘোষনা দিলেন। আজ বিকেলের আগ পর্যন্ত দেশের মানুষ জানে খুনি নুর হোসেন এই শামীম ওসমানের একনিষ্ট কর্মী। যেখানে নুর হোসেনের ছবি, সেখানে মূখ্য হিসেবে শামীম ওসমানের ছবিও আছে। কিন্তু আজ বিকেল থেকে নতুন হাস্যকর এক নতুন ঐহি নাযিল হল। হাস্যকরই বটে।
ক্ষমতায় থাকলে দিনকে রাত, রাতকে দিন বানানো একেবারেই সহজ কাজ। যে নজরুল ইসলামকে খুন করার অভিযুগে অভিযুক্ত শামীম ওসমান, সেই নজরুল ইসলাম নাকি তার একনিষ্ঠ ত্যাগি ছোট ভাই, তার দলের কর্মী!
নজরুল ইসলাম খুন হল, এতদিন পর শামীম ওসমানের কাছে অডিও সিডি নাযিল হয়েছে সয়ং জিবরাইল এসে তাকে অডিও সিডি দিয়ে গেলেন। যে সিডির বলে নজরুল হয়ে গেলেন শামীম ওসমানের ভ্রাতা আর নুর হোসেন হয়ে গেল শামীম ওসমানের শত্রু! আসলেই পারে আ,লীগ। আপাত দৃষ্টিতে কিছু মনে না হলেও, শেষমেষ আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে কিভাবে কে লাশে সুখ খুজে ফিরে?
বিষয়: বিবিধ
১৬০২ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন