ফেলানী হত্যার তিন বছর। বিচারের বাণী আজও নিভৃতে কাঁদে
লিখেছেন লিখেছেন আজব মানুষ ০৬ জানুয়ারি, ২০১৪, ১১:০৩:২৪ রাত
২০১১ সালের জানুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রামের কয়েকজন ব্লগার ও শোকার্ত তরুণদেরকে পুলিশের লাঠির ভয়ে রাস্তা থেকে সড়ে দাঁড়াতে হয়েছিল। তারা গিয়েছিল সেদিন চট্টগ্রামের জাকির হোসেন রোডস্থ খুলশী এলাকায় অবস্থিত ব্লাডি সংস্থা বিএসএফ’র দেশ ভারতের হাইকমিশন অফিসের সামনে মানববন্ধন করতে। কিন্তু ভারতপ্রতীম পুলিশ সেদিন দাঁড়াতে দেয়নি আমাদের। শোকে মুহ্যমান সকলের ছিল একটাই দাবী, ফেলানী হত্যিার বিচার চাই, বিচার চাই...
শুধু চট্গ্রাম নয়, গোটা বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ৭-ই জানুয়ারী২০১১ সালে বিএসএফের এমন বর্বরতার বিরুদ্ধে অগ্নি শর্মা হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের শোকার্ত ও বিক্ষুব্দ মানুষের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিল গোটা পৃথিবীর মানুষেরা। বিশ্বমিডিয়ায় স্থান করে নিয়েছিল আমাদের বোন ফেলানী। এমন কি ভারতের অনেক বিবেকবান মানুষও এমন বর্বরতার বিরুদ্ধে ফুঁষে উঠেছিল। তারাও দোষি বিএসএফের সদস্যদের বিচারের দাবী তুলেছিলেন।
সীমান্তে প্রতিনিয়ত হত্যাকান্ড সংগঠিত হলেও ফেলানীর হত্যাকাণ্ডটি ছিল হৃদয়বিদারক। তার মৃত্যু পরবর্তি ঝুলে থাকা ছবিটি দেশ-বিদেশের যেই দেখেছেন তারই হৃদয় বিদীর্ণ হয়েছে। কণে সেজে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার এক বুক স্বপ্ন নিয়ে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি ভারত থেকে বাবার সাথে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে নিজেদের বসতে আসছিল ১৪ বছর বয়সী ফেলানী। বাংলাদেশের মুক্তাকাশে বেড়ে ওঠা ফেলানী দশ বছর আগে ভারতে পাড়ি জমিয়েছিল বাবার চাকরীর কারনে। সে সেখানেই একটি মাদ্রাসায় পড়া-লেখা করতো। বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম আদরের মেয়েকে তারই মামাত ভাইয়ের সাথে বিয়ে দেয়ার উদ্দেশে নিয়ে আসছিলেন দেশে।
সেদিন তার গায়ে লাল রঙের শীতপোশাক, পরনে নীল পায়জামা। কিন্তু ভারত থেকে আসার পথে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটা সীমান্তের খিতাবের খুটি এলাকায় বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে কাঁটাতারের বেড়ায় দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা ঝুলেছিল ফেলানী। তার পা ওপরের দিকে, চুল নিচের দিকে। পানি, পানি করতে করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ঐ কাটাতারেই ঝুলন্ত অবস্থায়।
বর্বর এই হত্যাকাণ্ড এবং লাশ ঝুলে থাকার ছবি সম্বলিত সংবাদ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ হয়। হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি উঠে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে।
শেষমেষ ভারত ঘোষণা দেয়, তারা ফেলানী হত্যার বিচার করবে। সেনাবাহিনীর কোর্টমার্শালের সমতূল্য বিএসএফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট গঠন করে সেখানে ফেলানী হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে বিএসএফের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে অভিযুক্ত করে আসামী করা হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বিএসএফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল।
দীর্ঘ আড়াই বছর পর গত আগস্ট মাসের ১৩ তারিখে ফেলানী হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। বিএসএফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি কমিউনিকেশনস সি পি ত্রিবেদীর নেতৃত্বে মোট পাঁচজন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত কোর্টে এ বিচার কার্যক্রম চলতে থাকে। মামলার স্বক্ষ্য দিতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মামা ২ দফা ভারত যান। ফেলানীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন
মাত্র ২৪ দিনের মাথায় গতকাল মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। তাতে অভিযুক্ত নিজে খুনের কথা স্বীকার করার পরও আসামী বিএসএফের সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দিয়েছে বিএসএফ পরিচালিত আদালত। সবচেয়ে আশ্চার্যজনক বিষয় হল, রায় ঘোষণার পর পরই অমিয় ঘোষকে তার ১৮১ কোম্পানির হাওলায় ছেড়ে দেয়া হয়।
বিয়ের পোষাক নয়, কবরের পোষাক পরেছে আমাদের বোনটি
এমন হতবাক করা রায় শোনার পর ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম ক্ষুব্ধ হয়েছেন, রায়ও প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা রায় প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাবার। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এই রায়ের প্রশ্নে বাংলাদেশের সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়াতো হয়ইনি, উপরন্তু ফেলানীর বাবা-মায়ের দাবীটিও গ্রহণ করেনি। সরকার কেবল এতটুকুই করেছে যে, দয়া করে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ একটা বিবৃতি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ভারতের আদালতে যদি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকে এবং সেটা যদি করা হয় তাহলে এই রায়ের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে!!!!
শুধু তাই-ই নয়, ফেলানী হত্যার বিচারের নামে ন্যায়বিচারের সাথে তামাশার প্রতিবাদে আমরা ফেলানীর ভাইয়েরা ব্যানারে প্রতিবাদি তরুণরা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করলেও সেদিনের সেই মানববন্ধনটি পুলিশ করতেতো দেয়ইনি, উপরন্তু ৮জনকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আজ ৪ মাস যাবত তারা এখনো জেলে বন্দী রয়েছে। আমারা তাদের নিঃশর্ত মুক্তি কামণা করি।
এভাবেই গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রতিবাদিদের।
ফেলানী শুধু একটি মেয়ে নয়, সে গোটা বাংলাদেশ। সে ঝুলেনি, বরং ঝুলেছে কাটাতারে বাংলাদেশ। ফেলানী ফোটা ফোটা রক্তে ঝরেনি ঝরেছে বাংলাদেশের মানচিত্রের রক্ত।
ফেলানীর বাবা-মায়ের এমন করুন চেয়ে থাকা ছাড়া আর কিইবা করার আছে? তাদের চাওনিতেই ফুটে ওঠছে এই জাতির দুর্ভোগ..
ফেলানী হত্যার বিচার আমরা চেয়েছি, যেন তার হত্যাকারির বিচারের মাধ্যমে পাখির চেয়ে করুণ ভাবে আমার দেশের মানুষগুলোকে ঐ জানোয়ারগুলো আর না মারতে পারে। যে খানে একটি পশুর মানবাধিকার রয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের মানুষ বলে কি তার কোন মানবাধিকার থাকতে পারবে না!
ভারতীয় বিএসএফ ফেলানী হত্যার বিচারের নামে তামাশা করেছে, ধোঁকা দিয়েছে। না তারা ফেলানী কিংবা তার বাবা-মায়ের সাথে নয়, বরং ওরা গোটা বাংলাদেশের সাথে এমন প্রতারণ ও তামাশা করেছে। আমরা বিক্ষুব্ধ, আমরা মানতে পারি না এমন ধোকাবাজি।
আমরা বাংলাদেশের মানুষ কখনোই মেনে নেব না, এমন প্রতারণা। ওদের শক্তি আর বুলেটের বিপরীতে আমাদের রয়েছে ১৮ কোটি জনগণের ৩৬ কোটি হাত। আবার আমরা হাতে হাত রাখবো, নামবো রাজপথে। আমাদের বোনটি এমন করুণ মৃত্যুর জন্য দায়ীদের যথাযোগ্য শাস্তির দাবীতে আমরা ঘর থেকে বের হব। ফিরবো না আমরা ন্যায় বিচার ছাড়া। সরকারকে অবশ্যই যেতে হবে জাতি সংঘে, চাইতে হবে বিচার।
চোরে চোরের বিচার কিভাবে করবে? তাই ন্যায় বিচার পেতে হলে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে যেতে হবে।
হরিণ এবং ফেলানী
ভারতের আদালতে একটি মামলা চলছে সেদেশের সুপারস্টার সালমান খানের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ১৪ বছর আগে রাজস্থানে শুটিং করতে গিয়ে তিনি শিকার করেছেন বিড়ল প্রজাতির একটা হরিণ শিকার করেছেন। শুধু সালমান খানের নয়, তাঁকে এই শিকারে উৎসাহিত করার অভিযোগে বিচার হচ্ছে সাইফ আলী খান, সোনালি বেন্দ্রে প্রমুখের। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, সালমান খানের তিন বছর থেকে ছয় বছরের জেল হতে পারে।
একদিকে একটি হরিণের জন্য মানবতা আর অন্যদিকে ফেলানীর মত অসহায় এক নারী শিশুর করুণ হত্যা কান্ডের গঠনা বিবেচনা করলে ধিকৃত হবে ন্যায় বিচার। ভারত ফেলানীর সাথে তামাশা করছে না, তারা তামাশা করছে ন্যায় বিচারের সাথে।
সড়কের নাম হোক ফেলানী সড়ক
বিএসএফ’র নির্মম হত্যারে শিকার বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী হত্যার প্রতিবাদ করও কোনো সুবিচার মেলেনি। সবাই ভেবেছিল ভারত সরকার এর কোনো প্রতিকার করবে। কিন্তু আসলে তা আর হয়নি। বিচারের নামে প্রহসন করে ফেলানীর পরিবার তথা গোটা বাংলাদেশীদের দগদগে ক্ষতে তারা আবারও আঘাত করেছে। এতে একটু একটু করে পুঞ্জিভূত হয়েছে ক্ষোভ। প্রতিবাদে সরব ছিল সোশ্যাল মিডিয়া, আর সেই ক্ষোভের স্ফূরন ঘটল আবার নতুন রূপে। ক্ষোভ প্রকাশে কর্তৃপক্ষের কাছে হাইকমিশন অফ ইন্ডিয়া, গুলশান-১, বাড়ি নম্বর-২ এর ১৪২ নম্বর সড়কটিকে ‘ফেলানী রোড’ নামে নামকরণ করার দাবিতে অনড় তরুণশ্রেণী। শুধু ঢাকার নয়, চট্টগ্রামের খুলশীর জাকিরহোসের রোডে অবস্থিত ভারীয় উপহাই কমিশনারের সামনের সড়কটির নাম করনও হোক ফেলানীর নামে।
ভারতীয় পণ্য বর্জন করুন
আমরা বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু গোলামী কিংবা দাসসুলভ আচরণ সহ্য করবো না। তাই আসুন যতদিন ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার না পাব এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধ না হবে, ততদিন ভারতের পণ্য বর্জন করি।
শুধু এয়ারটেলই নয়, আপনি যদি ২ টাকা দিয়ে একটি মেনটস চ্যুইয়গামও কিনে খান তাহলে সেটা দিয়েও আপনি সহযোগীতা করছেন, বিএসএফ’র সন্ত্রাসী কর্মাকান্ডে।
বন্ধ হোক সীমান্ত হত্যা
ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্থলভাগের সীমানা রয়েছে ২,৪২৯ মাইল। এই সীমানা বাংলাদেশি মানুষদের জন্য জমদূত হয়ে আবির্ভূত হয়েছে। প্রতি বছর অসংখ্য বাংলাদেশি মানুষকে হত্যা করা হয় ভারতীয় বিএসএফ গুলি করে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১১ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন যশোর জেলার বেনাপোলের সাদীপুর সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় মুন্না (১৮) নামের এক বাংলাদেশী যুবক। এ সময় বিএসএফের গুলিতে আহত হয় মামুন (২৩) নামের অপর এক যুবক। একই দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁর নীতপুর সীমান্তে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে সানাউল্লাহ (৩২) নামের এক বাংলাদেশীকে। ২০১২ সালের পয়লা বৈশাখ চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে ফারুক হোসেন (২৫) নামের এক যুবককে। একই বছরের মে দিবসে রহমত নামের এক বাংলাদেশীকে হত্যা করে বিএসএফ। ২০১১ সালের বিজয় দিবসে বাংলাদেশের বিজয়ের যখন ৪০ বছর উদযাপিত হচ্ছিল ঠিক সেই দিন বিএসএফ বাংলাদেশী নাগরিককে হত্যা করে। মেহেরপুরের গাংনি সাহেববাড়ি সীমান্তে ওই দিন নিহত হন নাহারুল (৪০) নামের এক বাংলাদেশী। একই দিন কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি সীমান্তে বোমার আঘাতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন (২৭)। আহত হয় মোহর আলী নামের অপর এক যুবক। ওই দিন দিনাজপুরের বিরামপুর সীমান্তে মতিয়ার (২০) ও তাইজুদ্দিন (৩০) নামের দুই বাংলাদেশীকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করে। ২০১২ সালের ২০ আগস্ট ঈদুল ফিতরের দিন লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার হাটখাতা সীমান্তে বিএসএফ সদস্যরা জাহাঙ্গীর আলম বাবলু নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে।
২০১৩ সালের ১লা জানুয়ারী ইংরেজি নববর্ষের দিন ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফ হত্যা করেছে মুক্তার আলম ও তরিকুল ইসলাম ওরফে নুর ইসলাম নামের দুই যুবককে। এ সময় তাদের গুলিতে আহত হয় আরো তিন যুবক। তারা হলো আমজাদ, সামাদ ও রাজু। এর ২২ ঘণ্টার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর সীমান্তে মাসুদ আহম্মেদ ও শহীদুল ইসলাম নামের দুই বাংলাদেশী যুবককে হত্যা করেছে বিএসএফ।
ভারতের সাথে ছয়টি দেশের সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তান সীমান্তেও কোনো নিরস্ত্র মানুষ হত্যার ঘটনা নেই। অথচ বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে গড়ে প্রতি চার দিনে একজন নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হচ্ছেন। গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর মিডিয়া রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এমআরটি) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মহাজোট সরকারের গত সাড়ে চার বছরে ২৫০ জনেরও বেশি বাংলাদেশীকে হত্যা করেছে বিএসএফ। ২০১২ সালে বিএসএফের হাতে খুন হয়েছেন ৪২ জন, ২০১১ সালে ৩৪ জন, ২০১০ সালে ৭৪ জন এবং ২০০৯ সালে নিহত হয়েছেন ৯৬ জন।
বিষয়: বিবিধ
৬০৬৪ বার পঠিত, ৪৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পোস্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
তথ্যবহুল পোস্টটি ষ্টিকি করা হোক।
যাজ্জাকাল্লাহ খায়ের
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7218
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
ফেলানীর দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফেলানী হত্যার পরে যেভাবে আনন্দে বগল বাজিয়েছেন,ভরা মজলিসে মনমোহন সিংয়ের অটোগ্রাফ নিয়েছেন তাতে মনে হলো ফেলানী হত্যার জন্য তিনি মনমোহন বাবুদের প্রতি যারপরনাই কৃতজ্ঞ।
আমাদের সৈয়দ আশরাফ তো হত্যাকান্ডের পক্ষে সাফাই গেয়ে কড়া বিবৃতি দিতেও দেরী করেনি।
ধিক্কার এই নতজানু কাপুরুষসম ভারতনীতিকে !!
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7218
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 917
"> যমুনার চরে লিখেছেন : বাংলার কৃতি সন্তান আরেক ফেলানী.....আমি এয়ারটেলে কোনো রিজার্জ করি না
আসুন আমরা সবাই এয়ারটেলে কোনো রিজার্জ করা হতে বিরত থাকি। পাশাপাশি তাদেরকে অন্যান্য সকল ক্ষেত্রেও যতদূর সম্ভব বয়কট করি।
ধন্যবাদ।
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7218
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
নাচতে না জানলে সবসময়ই উঠোনের দোষ হয় ।
আমাদের দেশের মেয়ের জীবন ও ইজ্জত নিয়ে ভারত যেভাবে খেলেছে বা খেলছে আমাদের শাসকরা ছাড়া সকলের বিবেক জাগ্রত হয়ে তীব্রপ্রতিবাদ করেছে কিন্তু ভারত তাতে কোন কর্ণপাত করেনি তার প্রতিশোধ কিছুটা হলেও যুক্তরাষ্ট্র নিয়েছে এতেও যদি ভারতের উপলব্ধি না হয় তাহলে হাসিনার মত নির্লজ্জহীন ভারতের বর্তন শাসকরাও একদিন লাঞ্চিত হবে ।
অশেস ধন্যবাদ আমেরিকাকে।
কারন বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের বোঝা ভারত নেবে না। তবে, ভারত যা করার তা অবশ্য অনেকাংশেই সফলভাবে করে নিয়েছে বা নিচ্ছে। আর তা হল, ভারত আমাদের েএই দেশটাকে তাদের মার্কেট করে নিবে। এটা তাদের জন্য অনেক বেশি সুবিধাজনক।
তাই, ভারতীয় পণ্যের তালিকা লেখাশুরু করলে শেষ করা সম্ভব হবে না। এজন্য আমাদের সবাইকে একটু চোখ-কান খোলা করে চলতে হবে।
আমরা যে পণ্যটি কিনব, সেটার প্রস্তুতকারক দেশটি কোথায় একটু দেখে, শুনে কিনলতে হবে। সেটাই অনেক ভাল হবে বলে মনে করি।
কিন্তু কিছু বর্জন করতে পারবেনা এই দেশের মানুষ। কারন আমাদের ভিতর দেশ প্রেম নাই।
আমি এয়ারটেল সীম বিনা পয়সায় দিলেও নেইনা । প্যারাসুট নারকেল তেলের নয় খুজি গন্ধরাজ নয়ত জুঁই নারকেল তেল। ভারতীয় ফ্যাশনের সেক্সি পোষাক নয় দেশী শালীন পোষাক খুজি।
আমাদের প্রথমে নিজেদের ভিতর দেশ প্রেম জাগ্রত করতে ও আমল করতে হবে তারপর এই দেশের যাবতিয় ভাদাদের পাছায় লাথি মেরে ভারত পাঠানো যাবে।
আপনার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
অনেক তথ্যবহুল এবং রাজপথ থেকে লেখা আপনার অসাধারণ পোষ্টটির জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে!
ফেলানীর জন্য শুধু দোয়া, আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন