ফেলানীর হত্যাকারিকে বেকসুর খালাস দেয়ার প্রতিবাদে ডাকা মানববন্ধন থেকে গ্রেফতার ৬ জন
লিখেছেন লিখেছেন আজব মানুষ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:২৬:৪৫ রাত
এই ব্যানারটি হাতে ধরে দাঁড়াতে দিল না।
আজ কোন কথা বলার মত মন, মানসিকতা নেই। অবিশ্বাস্য ভাবে ঘটে গেল ঘটনাটি। বাংলোদেশের কোন মানুষের পক্ষেই এটি বিশ্বাস করা কষ্টকর। তারপরও ঘটেছে।
প্রস্তুতি মাত্র শুরু করছি, মানববন্ধনের জন্য।
এই লোকটা প্রেসক্লাবের পাশের মসজিদে আসর নামাজ পড়তে এসেছে। দাড়িয়ে দাড়িয়ে আমাদের পেস্টুন গুলো দেখছিল। ক্ন্তিু তাকেও গ্রেফতার করেছে।
আমাদের প্লে-কার্ডগুলো ছিনিয়ে নিচ্ছে, পুলিশ
একজনকে নিয়ে যাচ্ছে।
গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে একজন ফেলানীর ভাইকে।
কমিউনিস্ট পার্টির ইন্দনেই আমাদের মানববন্ধনে হামলা চালিয়েছে পুলিশ। সেখানে তাদেরও একটি সমাবেশ ছিল, যেখানে কমিউনিস্টদের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বক্তব্য দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের সমাবেশের চাইতেও আমাদের মানববন্ধনে লোক বেশি, তারা দাঁড়াতে পারছিল না। তাই পুলিশ দিয়ে ফেলানীর ভাইদেরকে গ্রেফতার করিয়েছে।
এরাই প্রকৃত দেশপ্রেমিক। শুধুমাত্র সীমান্তে দেশের সন্তানদের হত্যার প্রতিবাদ করতে এসেছে। তাই বিরানী নয়, গ্রেফতার করেছে সরকার এদের
এরা কুত্তার চেয়েও অধম, কুকুরটি যেন সেই কথাই বলতে এসেছে।
যাদেরকে গ্রেফতার করেনি, তাদেরকে এরা এমনসব অসহনীয় ভাষায় গালাগাল করেছে, যা রীতিমত অকল্পনীয়। আমরা ফেলানীর ভাইয়ের মানববন্ধন করতে গেছি, ভারতীয় বিএসএফের প্রহসন, সন্ত্রাস আর বর্বরতার বিরুদ্ধে। তাতেই তারা আমাদেরকে কুত্তার বাচ্চা, শুয়য়েরর বাচ্চা..........সহ এমনসব গালাগাল করেছে, যা এখানে ভাষায় প্রকাশ করার মত না। আমরা কার কাছে এর নিস্তার চাইবো?
মানববন্ধনের জন্য বানানো ফেস্টুন
কারো যদি কোন জারয সন্তান থাকে, তাহলে সেটা তার কার্যক্রমেই প্রকাশ পায়। বাংলার দামাল ছেলেদের রক্তে কেনা স্বাধীন মায়ের ঘরেও কিছু জারয সন্তার রয়েছে। সেটাও তাদের কার্যক্রমেই প্রৃকাশ পেল।
আমাদের বোন #ফেলানিকে গুলি করে কাটাতারে ঝুলিয়ে অমানুসিক ভাবে হত্যা করলো। বিচারের নামে তামাশা করে খুনীকে বেকসুর খালাস দিল ভারতীয় #বর্বর খুনি বিএসএফের তথাকথিত আদালত।
#ফেরানীর শোকার্ত ভাইয়েরা এর প্রতিবাদে চট্টগ্রামের প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করতে গিয়েছিল। সেটাও করতে দিল না! হায়! এটা কি স্বাধীনতা? এর জন্যই কি ৩০ লাখ বীর জীবন দিল। বিপন্ন এই মানবতার হাল ধরবে কে?
আরো একবার আ.লীগ সরকার প্রমাণ তারা বাংলাদেশের জনগণের নয়, তারা ভারতের তাবেদার। এদেরকে এই বাংলাদেশে রাখা যাবে না।
আমরা বসে থাকবো না। এর চেয়ে অনেক বড় কর্মসূচী আমাদের করতে হবে। আজ মাত্র ১৫০ জনের মত উপস্থিত হয়েছে। কিন্তু আগামীতে দেড় হাজার নয়, আরো অনেক বেশি উপস্থিত হবে। সেখানে ফেলানীর খুনীদের ফাঁসীর দাবীর পাশাপাশি এসব বণ্য পশু পুলিশ সদস্যেদের চাকরিচ্যুত করে বাংলাদেশ থেকে নাগরিকত্য বাতিল করে দেশ থেকে বহিষ্কারের দাবীতে।
যাদের আজ গ্রেফতার করা হল, এরা শুধু ফেলানীর ভাই নয়, এরা বাংলাদেশের বীর। জানি না! তাদের মামলা বিষয়াদি কে দেখবে? হয়তো তারা কোন রকমের আইনি সহযোগীতা পাবে না। কিন্তু তারা এর প্রতিদান একদিন পাবেই। কারা এরেস্ট হয়েছে, আমরা তাদের চিনি না। কারণ ফেসবুকে প্রচারণায় অভূতপূর্ব সাড়া পেয়েছি। মানববন্ধন শুরু হওয়ার আগেই অন্তত ১৫০ শতাধিক উপস্থিত হয়েছিল। নিশ্চয় আরো বেশি হত, শেষ পর্যন্ত...
এসব পুলিশ সদস্যের বিচার হতেই হবে। এদের নাগরিকত্ব বাতিল করতে হবে
বিষয়: বিবিধ
২৩৭৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন