ব্রেকিং নিউজঃ বিচারপতি লীগের চার নেতা কর্মীর ফাঁসীতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দণ্ডাদেশ

লিখেছেন লিখেছেন আজব মানুষ ০৩ জুন, ২০১৩, ০৭:০৮:১৬ সন্ধ্যা

সবকিছু ঠিকঠাক মত চলছে। বাংলাদেশের মানুষের ঐশ্বরিক কষ্ট ছাড়া বলা চলে আর কোন কষ্টই তাদের নেই। সবাই হাসি-খুশি। কোন ফ্যাসাদ, দাঙ্গা, হাঙ্গামা নাই। পারস্পরিক কিছু খুনশুটি হচ্ছে, তবে সেটাও মিটমাট হয়ে যায় কাঁচের মত স্বচ্চ ভাবে। কারো কোন অভিযোগ নাই। পৃথিবীতে যত্র-তত্র বাংলাদেশের নামডাক শোনা যাচ্ছে।

দেশের জনগণ যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে বাকশালী সরকারকে হটিয়ে দেশপ্রেমিক গোষ্ঠিকে ক্ষমাতায় বসিয়েছে অবাধ, স্বচ্চ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে।

ক্ষমতায় এসেই নতুন সরকার কলঙ্কিত পুলিশ বাহিনী ভেঙ্গে নতুন ভাবে গঠন করেছে। র‌্যাবের অতীত ইতিহাস ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তারা জনগণের কাছে নাকে খত দিয়েছে, বাকশালের সময়কার মত আর কোন সময়ই নিয়ম-নীতি ভঙ্গ করে লিমনদের ন্যায় কাউরে কষ্ট দেবে না। জনগণও তাদের ক্ষমা করে দিয়েছে।

দুর্নীতি মুক্ত সমাজ আর আমলাতন্ত্রের সত ঝ্বঞ্জালের খোলস থেকে বের হয়ে স্বচ্চতাও জবাবদিহীতা মূলক প্রশাসনের স্বকিয়তা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতার দরুণ নব আলোয় আলোকিত এই এক অপরূপ বাংলাদেশ বিশ্বময় আইডলে পরিণত হয়েছে। খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এসে বাংলাদেশ থেকে ফর্মুলা চেয়ে নিয়েছে, নিজ দেশের জন্য।

এতকিছুর মাঝেও, আজ বিশ্বের বড় বড় সব নিউজ মিডিয়া আমাদের বিটিভির সৌজন্যে লাইভ টেলিকাস্ট করছে। কারণ আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অন্যন্য মাইল ফলকের দিন। আজ বিশ্বের জন্য রোল মডেল হওয়ার মত গুরুত্ব পূর্ণ এক রায় দেবে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। তাই এই রায়ের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব।

প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসেছেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি রায় পড়া শুরা করবেন। আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আছে এই আদালরেই এক সময়কার দাপুটে কয়েকজন বিচারপতি। পিনপতন নিরবতা। রায় পড়া শুরু। কিন্তু সেটাতো আর লাইভ দেখানো যাবে না! তাই এখন চলছে বিরতি

>>>>>>>>>>>>>>

হঠাৎ করে সবখানেই ব্রেকিং নিউজ ভেসে আসতে লাগলো। রায় হয়ে গেছে। বিচারপতি লীগের সভাপতি বিচারপতি কালামানিক, উপদেষ্ঠা বিচারপতি এসকে সিঙ্গারা, সাবেক প্রধান বীচারপতি ত্রাণ খেয়েরুল ও মহাসচিব বিচারপতি নিসামুল হক কাচিমকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বিস্তারিত রায়ে বলা হয়েছে,

১। বাংলাদেশের নিকট অতীতের বাকশালি সরকারের সময়কার সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি এসকে সিঙ্গারা সাহেব বিচারপতি লীগের উপদেষ্টা ছিলেন। এসময় তিনি হিন্দু হয়েও মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় ইসুতে উল্টা-পাল্টা রায় দিয়ে দেশে সাম্প্রদায়িকতা ছরেয়ে দিয়েছিলেন, এতে ব্যাপক প্রাণহাণি হয়েছে। তাই তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

২। বিচারপতিলিগের তৎকালিন সভাপতি বিচারপতি কালামানিকের কারনে তখন দেশে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছিল। দৈনিক আমাদের দেশ পতিকার ওপর অন্যায়ভাবে শত্রতা উদ্ধার, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে লন্ডনে একাধিক বাড়ি নির্মান, দলীয় বিবেচনায় মামলার রায় দেয়ার মাধ্যমে বিরধীদল নিধনের প্রচেষ্টার ফলে শতশত লোকের প্রাণহাণি ঘটে। অতএব তাকেও মৃত্যু দণ্ড দণ্ডিত করা হল।

৩। বিচারপতিলীগের আরেক মহাসচিব জাস্টিস নিসামুল হক কাচিম যুদ্ধাপরাধ বিচার চলাকালিন সময়ে আসামী পক্ষের টাকা খেয়ে ও পাশবর্তি একটি দেশের প্ররোচনায় বাহিরের একজনের সাথে স্কাইপ ক্যালেঙ্কারির মাধ্যমে বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় রায় পরবর্তি সময়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। এর শাস্তি মৃত্যুসণ্ড ছাড়া অন্য কিছু হতেই পারে না।

উপরোক্ত অপরাধ সংঘটানের কারনে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরী হয়। যার ফলে শতশত লোকের প্রাণহানি ঘটে। সর্বপরি দেশের মান-সম্মান বিনষ্ট হয়। এসব অপরাধ সম্পূর্ণ দোষ বিচারপতিলীগের সভাপতি বিচারপতি কালামানিক, উপদেষ্টা বিচারপতি এসকে সিঙ্গারা ও মহাসচিব বিচারপতি নিসামুল হক কাচিমকে ফাঁসীতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হল।

৪। অন্য একটি মামলায় বিচারপতিলীগের আরেক উপদেষ্টা সাবেক বিচারপতি ত্রান খেয়েরুলের নজিরবিহীন শাস্তি প্রাণ করেছে আদালত। রায়ে বলা হয়, তিনি সর্বদা ন্যায় বিচারের বয়ান করেও তত্ত্ববধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দুর্মজাল সৃষ্টি করেছে। যেহেতু প্রমাণ হয়েছে তিনি ত্রাণ খাই রুল দেয় জাতীয় বিচারপতি, সেহেতু তার ঐ রায়টি অবৈধ। বাংলাদেশে যত সংকট তখন তৈরী হয়েছে, তা মূলত এই রায়কে কেন্দ্র করেই।

অতএব জনগণের সাথে প্রতারণ করে রায় দিয়েছেন, এবং তারপরবর্তি বিশৃংখলা ও গণহত্যার জন্য তিনিই দায়ী তাই তাকে জনসম্মুখে ফাঁসীতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার নির্দেশ দিচ্ছে। এবং সে সাথে আফিল বিভাগে এই মামলা নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত তাকে কাঠগড়ায় অর্ধচন্দ্র হয়ে থাকার নির্দেশ প্রধান করছে।

রায়ে শোনার পর জনগণ আনন্দে রাস্তায় নেমে আসে। তারা বলেন, দেশের সম্মান বিনষ্টকারীদের উচিত শাস্তি হয়েছে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সরকার থেকে বলা হয়েছে, যেহেতু জনগণের দাবীতে এই মামলায় সরকার বাদী হয়েছে, জনগণ এখন খুশি তাই সরকারও খুশি। তবে আদালতে যেন সবাই ন্যায় বিচার পায় সে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন সরকারের বিচারমন্ত্রী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, এই দিন ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে বাকশালকে ক্ষমতায় আনার মামলার রায় দেয়ার কথা থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় হওয়ার আদালত এই মামলার রায় পিছিয়েছে।

সবশেষে অবস্থা; জনগণ আজ দারুণ খুশি। স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ যেন তারা আজই অর্জন করতে পেরেছে।

.........................ইহা একটি উর্বর মস্তিষ্কের অবাস্তব কল্পণা

বিষয়: বিবিধ

১৭৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File