তাসলিম নাসরিনের সাথে আমিও একমত যে ছেলেদেরও মেয়েদের পোষাক পড়া উচিত।

লিখেছেন লিখেছেন আড়িয়াল খাঁ নদীর মাঝি ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ১০:১৮:৪৪ সকাল

বলেনতো সৃষ্টিকর্তার কি আজব সৃষ্টি যে মানুষ সৃষ্টির সময়ই সে বিভেদ করে রেখেছে। কি দরকার ছিল এই বিভেদের। এর কারণেইতো আজ নারী-পুরুষ, জাত-অজাত ইত্যাদি নানারকমের বিভেদ দেখা যাচ্ছে শুধু কি তাই এই বিভেদের প্রতিক্রিয়া পড়েছে পোষাকের উপরও। কি দরকার ছিল পোষাকের ক্ষেত্রেও এই বিভেদের।

আবার যদি বলি সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই নুরি, পাথর, উদ্ভিদ ইত্যাদির বিবর্তনের প্রতিফল স্বরুপ এই মানুষ্য জাতির সৃষ্টি। আচ্ছা ঠিক আছে তাই যদি হয় তাহলে মানুষ আবার নারী-পুরষ রুপে ভাগ হলো কিরুপে। বিবর্তনের যুগে কি এটম বোমার মতো এমন কোন জিনিস বিস্ফোরণ হয়েছিলে যার রেডিয়েশনের ক্ষতিকরা প্রতিক্রিয়া স্বরুপ নারী-পুরুষ নামে মানুষ জাতির সৃষ্টি। তাহলেতো বলতে হয় মানুষ বিকলাঙ্গ জাতি রেডিয়েশনের প্রতিক্রিয়ার কারনে নারী-পুরুষ উভয়েরই দৈহিক গঠন কিছুটা আলাদা।

যেটাই বলি মানুষ সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টি অথবা বিবর্তনের বিবর্তনের বিকলাঙ্গ রুপ নারী-পুরষ বিভাজন সৃষ্টি হওয়া উচিত হয়নি।

আমাদের জনাব তাসলিম নাসরিন সেই সত্যটি সবার সাথে তুলে ধরেছেন যেটা অনেক মৌলবাদি বা প্রগতিবাদিদের ভালো নাও লাগতে পারে।

বিভেদ যখন হয়েছেই তো সমতা আনতে দোষ কি দৈহিক সমতা আনতে না পারি পোষাকে ক্ষেত্রে তো আনতে পারি।

এই আলাদা আলাদা পোষাকের কারনে পুরুষ জাতি নারী জাতির উপর আকৃষ্ট হয়ে মাঝে মাঝে বলাৎকারের মতো ঘটনা ঘটায়, যদি নারী-পুরুষ উভয়েই এক রকম পোষাক পরে তাহলে হয়তো কিছুটা কমতে পারে।

সৃষ্টিকর্তা্রই বলি বা বিবর্তনের প্রতিক্রিয়াই বলি নারী জাতি এক অদ্ভুদ সৃষ্টি। এদের মনের কথা সহজে কেউ বুঝতে পারে না পোষাকের এবং দৈহিক পার্থক্যের কারনেতো আরো। এই নারীদের পোষাক যদি পুরুষদের পড়ানো হয় তাহলে কিন্তু কামুক পুরুষদের হাত থেকে নারীদের বাচানো সম্ভব কেননা পুরুষরা তাদের মনের কথা গোপন রাখতে পারে না তাদের মনের ইচ্ছা তার শরীরের উপরও প্রবাহিত হয়। যদি নারীদের পোষাক পড়ানো হয় তাহলে নারী পোষাকের কারনে তার মনোভাব প্রকাশ পাবে তার দৈহিক বৈশিষ্ট্যর কারনে। কারন পুরষের ছোট মামাকে দিয়েতো বিশ্বাস নেই যেকোন সময় সে সজাগ হয়ে যায় । এই মামা মসজিদ মানে না , মন্দির মানেনা, ক্লাশ মানে, রাস্তাঘাট মানে না যেকোন সময় সজাগ হয়ে যায় । সুতরাং এই পোষাক পড়ার কারনে পুরুষ সব সময় লজ্জিত থাকবে কখন কি হয়ে যায়।

তবে কিছু কিছু পোষাকের সমস্যাও আছে যেমন মেয়েদের পেন্টি যদি কোন পুরুষকে পড়ানো হয় তাহলে তা ফিট করবে কিনা ? মেয়েদের পেন্টি পড়িয়ে যদি কোন পুরুষকে রাস্তা দিয়ে হাটানো যায় তাহলে যে দৃশ্য ফুটে উঠবে তা মেয়েরা সহ্য করতে পারবে কিনা সন্দেহ। তবে আমি নিশ্চিত এটা যে নারী ধষর্ণের সংখ্যা কমে পুরুষ ধর্ষণের সংখ্যা জ্যামেতিক হারে বাড়তে থাকবে।

তখনই নারী পুরুষের সমতা অর্জন সম্ভব হবে এবং আমাদের তাসলিম নাসরিন হয়তো এটাই চাচ্ছেন।

বিষয়: বিবিধ

২৫৪২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File