অসম্মতির যৌনভোগ নাম তার ধর্ষণ, সম্মতি থাকলে তা হয় আনন্দাকর্ষণ।
লিখেছেন লিখেছেন আড়িয়াল খাঁ নদীর মাঝি ০৮ জানুয়ারি, ২০১৩, ১১:০১:০৪ সকাল
কলেজে পড়া কালে আমার এক হিন্দু সহপাঠি ছিল সে তার ব্যক্তিগত জীবনের যৌনভোগের গল্প শেয়ার করেছিল এভাবে যে, কলকাতায় তার এক চাচাতো ভাই তার পরিবার নিয়ে থাকে। তার সেই ভাই প্রবাসি। একবার সেই সহপাঠি কলকাতায় বেড়াতে গিয়েছিল। তো একদিন সে তার বৌদি কে বলল যে বৌদি যদি আমি এখন তোমার সাথে জোরাজুরি করি তাহলে কি হবে, তার বৌদি বলল তাহলে তা রেপ করা হবে । আচ্ছা আর যদি তোমার সম্মতি থাকে তাহলে কি হবে ? বৌদির উত্তর সেটা খুব মজা হবে।
তো বর্তমানে বাংলাদেশে এই যৌনমিলনের অবস্থা হচ্ছে এই রকম। যদি ছেলে মেয়ে দুজনের সম্মতি থাকে তাহলে আর ধর্ষনের ব্যপার ঘটছে না। দিন দিন আমাদের তরুন সমাজের এই সম্মতি আদায় করার দক্ষতা হারিয়ে ফেলছে। কেন হারাবে না ! চোখের সামনে যদি মাদকতা ছায়া থাকে, থাকে যদি নগ্ন আকর্ষনের যৌন হাতছানি তাহলে তরুন সমাজের মাথা ঠিক থাকবে কেন ?
মেয়েদের পিছন থেকে কোন কথা বললে বা অঙ্গভঙ্গি করলে তা হয়ে ইভটিজিং কিন্তু মেয়েরা যদি উস্কানি মুলক পোষাক পড়ে, শারিরিক অঙ্গভঙ্গি ফুটিয়ে তোলে তাহলে সেটাকে কি নামে অভিহিত করবেন? শিল্প ? চুশিলরাতো তাই বলে।
উস্কানিমূলক কথাবর্তা বা উস্কানিমূলক পোষাক যদি দোষের কিছু না থাকে তাহলে বিরোধীদলের উস্কানিমূলক কথায় কি দোষ থাকতে পারে।
গরীবের ধর্ষন আর ধনীদের ধর্ষনের মধ্যে পার্থক্য কি জানেন ? সেটা হলো গরীব মানুষদের সমাজ নিয়ে টিকে থাকতে হয়, সমাজের সাথে মিলে মিশে থাকতে হয় তা না হলে টিকে থাকতে পারে না। আর ধনীদেরতো সেই সমস্যা নেই অর্থ দিয়ে ওরা ওদের শত বদনাম ঘুচে দিতে পারে। এরা নাকি ধর্ষণটাকে উপভোগ করে। এই ধনীদের সমাজে ধর্ষণের হার অনেক বেশী যা আমরা জানি না জানার দরকারও নেই কিন্তু আমরা ভাই গরীব মানুষ এই ব্যপার থেকে নিরাপদ থাকতে চাই। আমাদেরতো আর এতো অর্থ নাই যে সবকিছু লুকিয়ে রাখতে পারবো।
চুশিলদের নারী অধিকারের নামে নিরাপত্তায়হীনতায় ফেলছে আমাদের এই গরীব পরিবারের মেয়েদের।
এর থেকে মুক্তির উপায় কি ? আমার ভাই উত্তর নাই কেননা আমি উত্তর দিতে চাইলে আমাকে বলবেন ঐ যে আইছে আর এক মৌলবাদি। পুরানা পাগলে ভাত পায় না নতুন পাগলের আমদানি।
বিষয়: বিবিধ
২০০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন