নাস্তিকতা এবং মানসিক রোগ

লিখেছেন লিখেছেন বিজয় ১৪ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৫:০২:১৩ সকাল

একজন আস্তিক যখন বিপদে পরেন তখন তিনি সাধারণত কয়েক ধরনের চিন্তা করেন ১. আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন, ২. আল্লাহ ভরসা ঠিক হয়ে যাবে, ৩. আল্লাহর কাছে দোআ করেন বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য, ৪. বিপদ থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করেন এবং আল্লাহর কাছে দোআ করেন বিপদ থেকে উদ্ধার করার জন্য. অর্থাত দেখা যাচ্ছে আল্লাহ বিশ্বাসী মানুষরা বিপদে আল্লাহর উপর নির্ভর করেন, এই নির্বরতা একটা মানুষের মানুষিক স্বাস্থের জন্য উপকারী. অন্যদিকে একজন নাস্তিক যেহেতু আল্লাহ বিশ্বাস করেন না সে কারণে বিপদে নিজেকে blame দিতে থাকেন এবং অল্পতে হতাশ হয়ে পরেন. অনেক সময়ে নাস্তিক মনে করে সে একটা স্টুপিড কারণ সে বিপদটা মোকাবেলা করতে পারছে না. এগুলি মনের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর. তবে এগুলি আমার কথা নয়, গবেষনার ফলাফল.

একজন নাস্তিক 'meaning of life ' খুঁজে পায়না. যেহেতু নাস্তিকরা মনে করে মৃত্যর সাথে সাথে সবকিছুর পরিসমাপ্তি ঘটবে. অন্যদিকে আস্তিকরা যেহেতু পরকাল বিশ্বাস করে এবং মনে করে ভালো-মন্দের ফলাফল সে পরকালে পাবে সে কারণে জীবনের একটা 'meaning ' তার কাছে রয়েছে. একজন আস্তিক ফাসির মঞ্চেও স্বাভাবিক থাকতে পারে এবং আল্লাহর কাছে বিচার দেয় পরকালে যেন সঠিক বিচারটা করা হয়, আর নাস্তিক ফাসির কথা শুনলেই তার অবস্থা কুপুকাত. ফাসিতো অনেক বড় বিষয় যদি বলা হয় এক বছর পর awami লীগ ক্ষমতায় থাকবেনা তখন তোকে কে বাচাবে, এতেই একজন নাস্তিক তটস্থ হয়ে পরে.

আস্তিকদের ক্ষেত্রে ও কিছু সমস্যা রয়েছে, যেমন বউ-বাচ্চাকে সময় না দিয়ে দীর্ঘদিন ইসলাম প্রচারের কারণে ফ্যামিলি থেকে দুরে থাকা, কিংবা ইসলামের নামে বোমাবাজি করা. তবে এগুলু ইসলামের সমস্যা নয়, এগুলু ইসলাম না বুজার সমস্যা.

পশ্চিমা বিশ্বে মানুষ কাগজে-কলমে খ্রীষ্টান হলেও এরা বিশ্বাসের দিক থেকে অধিকাংশই নাস্তিক. যেহেতু নাস্তিকরা ফ্যামিলি কনসেপ্টে বিশ্বাস করে না, সেহেতু তারা নতুন নতুন সম্পর্কে জড়াচ্ছে আর ভাংতেছে, কোনো ধরনের স্টেবিলিটি নাই. এধরনের অবস্থা সন্তানদের মনের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে. অন্যদিকে নতুন নতুন পার্টনার এর সাথে সম্পর্কের কারণে sexual রোগ ছড়িয়ে পরছে অনেক বেশি.

সর্বশেষ গির্জার উপর পরিচালিত কিছু গবেষনার ফলাফল উল্লেখ করে লেখাটি শেষ করতে চাই. যারা গির্জায় যায় আর যারা যায় না, এ দুগ্রুপের উপর পরিচালিত একাধিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যে যারা গির্জা যায় তুলনামুলকভাবে তাদের মনের অবস্থা ভালো. এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন গির্জায় যাওয়ার ফলে অনেক লোকের সাথে দেখা হয়, কথা হয়, সুখ-দু:খ শেয়ার করতে পারে. তবে মসজিদের ক্ষেত্রে কোনো গবেষণা হয়েছে কিনা আমার জানা নাই, হলে হয়ত একই ফলাফল আসবে.

আমি personally অনেক নাস্তিকের সাথে কথা বলেছি, অধিকাংশ নাস্তিকই অকপটে স্বীকার করেছে যে তারা আসলে সুখী না . কোনো কোনো নাস্তিক বলার চেষ্টা করেছে ধর্মে অনেক নিয়ম-কানুন. কিন্তু অফিস-আদালত, বানিজ্য, স্কুল-কলেজ সব কিছুতেই তো কোনো না নিয়ম আছে. নিয়মের কারণেই জগতে এখনো কিছুটা সুখ-শান্তি আছে.

বিষয়: বিবিধ

১৪০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File