Mobilization
লিখেছেন লিখেছেন বিজয় ০৬ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৪২:৪৭ সকাল
আমি ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে চার মেয়াদী বি.এস.এস (অনার্স) শেষ করে লন্ডন আসি এবং এখানে এক বছর মেয়াদী একটা মাস্টার্স করি. এক সময় আমি খুব গর্ববোধ করতাম যে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স পাস করেছি. অথচ এখানে এসে মাস্টার্স করার পর সে গর্ববোধ খুব একটা বাকি নাই. যতটুকু বাকি আছে সেটা বড় ক্যাম্পাস এবং বাংলাদেশের সকল জেলা, ধনী-গরিব ফ্যামিলি এর স্টুডেন্ট এর সাথে মিশতে পারার কারণে. বাংলাদেশে চার বছর অনার্সে যতটুকু সময় খরচ করেছি এখানে মাস্টার্স করতে তার চেয়ে বেশি সময় দিতে হয়েছে. একেকটা প্রেজেন্টটেসান, essay প্রস্তুত করতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় খরচ করতে হয়. অথচ বাংলাদেশে বিগত তিন বছরের প্রশ্ন যোগার করে immediate আগের বছরের প্রশ্নগুলু বাদ দিয়ে নোট করলেই হলো. এইজন্য পরীক্ষার আগের একমাস পড়াই যথেষ্ঠ. এই পদ্ধতির শিক্ষা ব্যবস্থায় মেধার বিকাশ হবার সুযুগ অনেক কম. বাংলাদেশের পাবলিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষকদের ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স, পিএইচডি করার অভিজ্ঞতা রয়েছে. কিভাবে মাদ্রাসা ছাত্রদের ভর্তিতে বাধা দেয়া যায় এসব বেআইনি পরিকল্পনা বাদ দিয়ে কিভাবে উন্নত বিশ্বের শিক্ষা পদ্ধতি থেকে আমাদের দেশের উপযোগী করে নতুন কিছু করা যায় সে বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অথরিটির মনোযোগ দেয়া দরকার. এতে করে মেধার বিকাশ নি:সন্দেহে অনেকগুন বৃদ্ধি পাবে. তবে সেক্ষত্রে শিক্ষকরা রাজনীতিতে বেশি সময় দিতে পারবেননা. উন্নত বিশ্বে শিক্ষার মেথড নিয়ে অনেক গবেষণা হয় যেখানে আমরা একই মেথড যুগ যুগ ধরে কন্টিনিউ করি. দ্বিতীয়ত এখানে স্কুল লেভেল এ পড়াশুনার চাপ কম থাকে, তবে ইউনিভার্সিটি লেভেল এ চাপ অনেক বেশি থাকে যেহেতু তখন ব্রেন অনেক matured থাকে. তাছাড়া ছোটবেলায় চাপ না থাকায় স্বাধীন চিন্তার অভ্যাস গড়ে উঠে. আমাদের দেশে ঠিক উল্টোটা ছোটবেলায় অনেক বেশি চাপ থাকে.
এবার আসি অন্য একটা প্রসঙ্গে- ভাষাগত দিক থেকে আরবি ভাষাভাষী মুসলমানদের পরই বাংলা ভাষাভাষী মুসলমানদের অবস্থান, অর্থাত আমরা দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগুষ্ঠি. অথচ ২০০৫ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় আমাদের ইমান-আকিদা, তাওহিদ, শিরক এসব বিষয়ে আন্ডারস্ট্যান্ডিং অনেক দুর্বল. লন্ডনে দেখা যায়, স্কুলগুলুতে যখন সামার ভ্যাকেশন থাকে তখন মুসলিম ছাত্রদের টার্গেট করে মসজিদগুলু ইসলামের বিভিন্ন বেসিক বিষয়ের উপর সর্ট কোর্স করিয়ে থাকে. আবার মেইনস্ট্রিম মাদ্রাসার পাশাপাশি স্কুল ছাত্রদের টার্গেট করে পরিচালিত হয় evening মাদ্রাসা যেটা আমাদের দেশের মক্তবের মত. তবে এসব মাদ্রাসায় কোরআন শিক্ষার পাশাপাশি ফিকহ এর বিভিন্ন বিষয় পরানো হয়. আমাদের দেশেও সামার কোর্স এর আদলে ডিসেম্বর মাসে, এসএসসি / HSC পরীক্ষার পর এ ধরনের শর্ট কোর্স করানো যেতে পারে. এটা হতে পারে ৩ দিন / সপ্তাহ, অথবা মাসবেপি.
বিষয়: বিবিধ
১১৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন