আগমনের সব কৃতজ্ঞতা মহান মহীয়ানের!!
লিখেছেন লিখেছেন সাদামেঘ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৯:২১:৫৮ রাত
মনের ঘুমন্ত অনুভুতিকে জাগরিত করেছ। জীবন সাজাতে আমার পায়ে ভালবাসার বেড়ি পরিয়েছ। খুব অল্প সময়েই আমাকে পরিবর্তন করেছ। ক’দিনেই খুব কাছে এসেছো। আমার হাতে তুলে দিয়েছ তোমার মনে লালিত ত্রিশ বছরের স্বপ্ন। আর দিয়ে গেলে একত্রিত জীবনের কিছু মূল্যবান স্মৃতি।
পরে থাকা স্মৃতি গুলো মনে পড়তেই দু’চোখের কোনে এসে ভীর করে বেদনাশ্রু। আমাকে আতংকিত করে বিষ্ফোরিত আলোর ন্যায়। আমার ইচ্ছার ডাকে তুমি সাড়া দিয়েছ, আমাকে তোমার সাথী করেছ, আজ তাই দুজনে এক পথের পথিক। এক ছাদের নিচের বাসিন্দা।
আমরা দুজনে সে পথ দিয়ে উদ্দেশ্য মূলক স্থানে পৌছবো রাতের ঘন আন্ধকারও হবে নির্মল তুমি পাশে আছো বলে। ঘন গভীর অন্ধকারও নির্মল আলোর কাছে হবে পরাজিত দুজনের ভালবাসার কাছে। ক্রমাগত চলছে এজীবন কোন বাধ্য বাধকতা ছাড়াই এই নতুন জীবনের যাত্রা।
সল্পসময়ের দর্শনেই উভয়ের মাঝে বিশাল পরিবর্তন করে দিয়েছে মহান স্রষ্টা। জীবনের বিশাল সমুদ্রের অনেক দুর পর্যন্ত অসীম শূন্যতাকে সাথী করে অগ্রসর হয়েছি। কোন প্রিয়মুখ থেকে প্রেরনা যুক্ত কথা কখনো উস্কানি দেয়নি সম্মুখে আরেকটু অগ্রসর হতে। উৎসাহের পরিবর্তে বাঁধাই এসেছে সকল প্রিয়মুখ থেকে।
এক সময় যেন ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে পরেছি। সামনে আগানোর জন্য মনের প্রতি আত্মবিশ্বাসের শক্তি ছাড়া কিছুই ছিলনা। আমি যেন বুঝতে পারছিলাম সবার বোঝা হয়ে উঠছি দিনে দিনে, সবার থেকে পাচ্ছি শুধুই অবহেলা নামক ব্যবহার। তখন আমার সামনে আসতো জোর করেই আসতো তোমার ভাবনা গুলো।
আমি ভয়ে ভাবতে চাইতাম না যদি তোমাকে ভাবার মাঝেও কষ্ট লুকায়িত থাকে, তবুও ভাবনা গুলো খুব জিদ ধরে মনের চতুর্পাশে এসে ভীর করে শ্লোগান দিতো তুমি একদিন আমারই হবে। আমি সেই ভাবনা গুলোকে প্রশ্রয় দিতেও যেন ভয় পাচ্ছিলাম, পরে দেখলাম এই মূহুর্তে তোমার ভাবনাই আমাকে কিছুটা শান্তনা দিয়ে ভাল রাখতে পারে।
কিছুতেই ভাবতে পারিনি সত্যিই তুমি একদিন আমারই হবে। এখনো মাঝে মাঝে মনে হয় আমি যেন স্বপ্ন ঘরে বন্দি আছি, স্বপ্নের মহারাজ আমায় দেখাচ্ছে এই স্বপ্ন। মনে হয় আমি কল্পনাতে এই কাহীনির মুখোমুখি হয়েছি। তুমি জীবন সাথী হয়ে আসার পূর্বে যখনই কিছু করতে চেয়েছি তখনই কতেক চেনা মুখ এসে বাঁধা দিয়েছে।
প্রেরনাকে বিমুখতায় ভরে দিয়েছে যাতে সম্মুখে আর যেতে না পারি। আপনজনদের থেকে বাঁধা প্রাপ্ত হয়ে অনেক কষ্টে এসেছি এই দূর্গম পথে। একা একা পাড়ি দিয়ে এসে পৌছলাম ক্লান্ত শ্রান্ত হয়ে জীবনের এই বাঁকে। পৃথিবীতে বুঝমান হওয়ার পর থেকে যে কাজই করতে চেয়েছি শুধু বাঁধাই পেয়েছি উৎসাহের পরিবর্তে, এই সময় পৃথিবীর সবকিছু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছি অমুখাপেক্ষি বিধাতার দিকে।
সবাই যেখানে বাঁধা দিয়েছে, বিধাতা সেখানে করেছে সহযোগীতা। সত্যি সত্যিই বিধাতার কাছে কেউ চাওয়ার মত চাইলে বিমুখ হয়না। সৃষ্টিকর্তা মানুষের মত ছলনা করেনা। বরং দু’হাত ভরে দান করেন। মানুষের থেকে পেয়েছি অনাদর, অবহেলা, কষ্ট, আর পরিশেষে মহান স্রষ্টার কাছে চেয়ে আমি সব পেয়েছি।
মহান স্রষ্টা আমার সব কষ্ট, সব হতাশা, সব না পাওয়াকে পূর্ণ করেছেন তোমার মাধ্যমে। তুমি আমার জীবনে নায়কের ভূমিকা নিয়ে এসেছো। জীবনের চোরা বালি থেকে তুমিই আমার হাত ধরে উঠিয়েছ, আমাকে দিয়েছ সুন্দর পথের দিশা, আমি আজ যেন সুখের রাজ্যের রানী হয়েছি।
আমি আজ পূর্ণ হয়েছি তোমাকে পেয়ে, আমার জীবনে তোমার আগমনের সব কৃতজ্ঞতা মহান মহীয়ানের। আসলেই মানুষ স্রষ্টার কাছে যতটা ব্যকুলতা প্রকাশ করে চাইতে পারে আর কারোর কাছেই সেভাবে চাওয়াও যায়না পাওয়া যায়না। মানুষের কাছে চাওয়ার মাঝে লজ্জা আছে উপহাসের। সাথে আছে ভয় সম্মান হানি হওয়ার।
কিন্তু সকল সৃষ্টির স্রষ্টার কাছে চাইতে জানলে উপহাসেরও লজ্জা নেই। আর মান হানিরও ভয় নেই। তিনি তো বসেই আছেন দেয়ার বাহানায়। কিন্তু কে আছে চেয়ে নেবে দু’হাত পেতে? আমরা চাওয়ার মত চাইতে পারিনা বলেই এবং চাওয়ার ও পাওয়ার মাঝে দীর্ঘ সময় ধৈর্য ধরতে পারিনা বলেই আমাদের অনেক চাওয়া পূর্ণ হয়না।
আর আমরা চাওয়ার বস্তুটা না পেয়ে হতাশিত হয়ে ক্ষতির মধ্যে পতিত হই। মূলত আমাদের সবার ধৈর্য শক্তি কম। তাই অল্পতেই হতাশিত হই। কেঁদে কেঁদে মরতে বসি। মানুষের কাছে ধন্যাধরি সামান্য লোকসানেই। ক্ষতির অপর পিঠেই লাভের কথা লুকানো আছে। যদি সবাই চাওয়ার মত চাইতে পারি ধৈর্য সহকারে।
১৯ শে মে ২০০৯
বিষয়: বিবিধ
১১৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন