একান্তে প্রিয়তমের কাছে!!
লিখেছেন লিখেছেন সাদামেঘ ২৪ মে, ২০১৪, ০৩:০৪:১৫ রাত
প্রশংসার সবই কেবল তোমারী! তুমি যে আলোকিত করো জীবন আমাদেরই!
গাছের থেকে পড়ছে তাল! শুনছে একজনায়! যে জন শুনছে! সে জন যায় নাই! গেছে আরেক জনায়! যে জন গেছে সে জন দেখে নাই! দেখছে আরেক জনায়! যে জন দেখছে! সে জন তুলে নাই! তুলছে আরেক জনায়! যেজন তুলেছে! সে জন খায় নাই! খাইছে আরেক জনায়! যে জন খাইছে! সে জন টেস্ট বুঝে নাই! টেস্ট বুঝছে আরেক জনায়! বলুন তো সবাই এই লেখাটা কিসের উদাহরন?
পারবেন? আচ্ছা থাক আমিই বলছি জবাবটা! গাছ থেকে তাল পড়েছে! শুনেছে কান! সে যেতে পারে নাই! গেছে পা! পা তালকে দেখে নাই! তাল দেখেছে চোখ! চোখ দেখেছে! কিন্তু তুলতে পারে নাই! তুলেছে হাতে! হাত খেতে পারে নাই! খেয়েছে মুখে! মুখ স্বাদ বুঝে নাই! স্বাদ বুঝেছে জিহবায়! মূলত এই উদাহরনটি হলো একজন মানুষের!
একজন মানুষকেই মহান স্রষ্টা মালিক এতগুলো গুণে গুণান্বিত করেছেন! শ্রবন শক্তি দিয়েছেন! দৃষ্টি শক্তি দিয়েছেন! বুঝার মত জ্ঞান দিয়েছেন! চলা ফেরার যোগ্যতা দিয়েছেন! আর আমরা মানুষরা কি করছি সেই লালন পালনকারি মালিকের জন্য? নিজেদেরকে ভাসিয়ে দিয়েছে পৃথিবী নামক এক রঙ্গ সাগরে! কখনো দর্শক নিজেই! আবার কখনো মঞ্চের পরিচালক! কখনো নিজেই নাচি! কখনো নাচাই সকলকে! এতে কে খুশি হলো আর কে নারাজ হলো তা খতিয়ে দেখার কেউ নেই! তবে অংশ গ্রহন করে কেউ কেউ পায় করোতালি! কেউ কেউ পায় ফুলের মালা! সেই করোতালি কি খুব দামি? সেই মালা কি খুবই মূল্যবান? আমাদের বিবেগ থাকা সত্বেও আমরা যেসব নাফরমানি করছি! তার কারনে কি আমরা সেই কঠিন বিচারের কাঠগড়ায়আসামি হবোনা? তবে কেন আমাতে ভয় নেই? কে আমাকে অভয় দিয়েছে? কে পালাতে সহযোগীতা করেছে? সে কি বাস্তবেই আমার সহযোগী? নাকি গ্রেফতার হতে সহায়তাকারি? যার টা খাই! যার জমিনে বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করি! যার দেয়া জীবন নিয়ে অহংকার করি! যার নিমক খেয়ে নাফরমানি করি! সে কি আমাকে ছাড় দেবে? দেবে না! অবশ্যই সব ব্যপারে জবাব দিহিতা নিবে! সেদিন আমি কত অসহায় থাকবো? সেই কথাটা কি একবারও আমরা ভেবে দেখি?
অনেকদিন থেকে নিয়মিত হতে পারছি না ব্লগে! কারন পত্রিকা পড়লে মনকে কিছুতেই ভালো রাখতে পারিনা! তাই পত্রিকা পড়া বন্ধ রেখেছি! তারপরও মানুষ তো আমি! কিছু তো বিবেগ আছে যা নিয়ে চলছি সবসময়! একটি নরম মন তো আছে! যেখানে আছে মানুষের জন্য অগাদ ভালোবাসা! হয়তো সেই ভালোবাসা গুলোকে প্রকাশ করতে পারিনা! কিন্তু মানুষের কষ্টে কষ্ট পাই মনে! মানুষের হাহাকারে হতাশিত হই নিরবে! মানুষের বিয়োগে কান্না করি গোপনে! প্রার্থনা করি মহান স্রষ্টার কাছে! হে আমার মালিক তুমি সব দেখছো, শুনছো, সব তোমার কাছে দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার! তোমাকেই একমাত্র শক্তিশালি ক্ষমতাধর জানি! মানি! তুমিই আমার প্রিয়তম মাতৃভূমিকে রক্ষা করো! আমি তো অসহায়! দূর্বল! কি করতে পারি আমি? যেখানে অস্ত্র! বোমা! বারুদ! ক্ষমতার অপব্যবহার! সেখানে আমার মত দূর্বলেরা গুলি খেয়ে শুধু প্রানই দিতে পারে! তোমার জমিনের তো কোন নিরাপত্তা দিতে পারেনা! পারেনা আপামর জনতাকে আশার বাণী শুনাতে! তাই তো তোমার কাছে জানাচ্ছি আত্মার আকুল আবেদন! তুমি দেখছো কে কি করছে? কে প্রকৃত অপরাধি! কে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে! তাকে তুমি তোমার ক্ষমতায় পাকড়াও করো! মিশরের ফিআউনকে যেভাবে নীল দরিয়ায় ডুবিয়ে দিয়ে তোমার ক্ষমতার প্রকাশ করেছিলে! সেভাবে আরেকবার তুমি এ যমানার ফিরআউনকে ও বাংলার দরিয়ায় ডুবিয়ে শিক্ষা দাও! আরেক বার আগামির জন্য নির্দশন দাও তুমি সকল ক্ষমতার অধিকারি! সকল কর্মের চাবিই তোমার কাছে! তুমি সব পারো! যারা পৃথিবীর ক্ষমতা পেয়ে জালিম রুপ ধারন করে তাদেরকে তুমি আরেকবার পাকড়াও করো! হে আমার অন্তর্যামী! তুমি গ্রহন করো এ মাটির কান্না! এ ভূমির মাঝে বসবাস কারি সাধারনের আর্ত্মাদ! তুমিই নিরাপত্তা দাও এ জমিনকে তোমার ক্ষমতায়! তুমি যে সকল ক্ষমতা ধরের ক্ষমতাধর! তোমার কাছেই মাজলুমের সকল আবেদন! তুমি গ্রহন করো এই আবেদন! মোচন করো এজাতির রোদন! নিরাপদ করো এজমিনের! শাস্তি দাও সকল জালিমের! একান্তে প্রিয়তমের কাছে এই আবেদন! গ্রহন করো হে প্রতিপালক!
বিষয়: সাহিত্য
১১৭৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন