পাওয়ার আনন্দই আলাদা!!
লিখেছেন লিখেছেন সাদামেঘ ১৮ জুলাই, ২০১৩, ০৬:৩৬:১৩ সকাল
অনেক অনেক পাওয়ার পূর্ণতার আনন্দ নিয়ে লিখতে বসা। যে কোন কিছু পেতে কে না ভালবাসে? সবাই চায় কিছুনা কিছু তার পাওয়ার তালিকাতে থাক। হোক তা সামান্য কিছু। পৃথিবীতে মানুষের চাওয়ারও শেষ নেই পাওয়ার ও শেষ নেই। শেষ নেই আকাংখার। যত আছে ততই লাগে। আর এই লাগার যেন কোন শেষ নেই। এজগতের সব মানুষই আলাদা এবং সবার রুচিও আলাদা ধরনের। পছন্দও আলাদা আলাদা। আর প্রত্যেক পূর্ণতার ক্ষন গুলোও হয় আলাদা। আর সেই আনন্দঘন মূহুর্ত্বগুলো একেকজনে একেক ভাবে ধরে রাখে। কেউ ছবি তুলে ফ্রেমে রেখে, কেউ ভিডিও করে কম্পিউটরে রেখে, আর কেউ মূল্যবান কোন জিনিস গিফট দিয়ে আর কেউ গিফট পেয়ে তা সযতনে রেখে। একেক জনের যত্ন ভিন্ন ভিন্ন। আর কেউ আনন্দময় মূহুর্ত্বগুলো মনে রাখে সুন্দর জায়গায় বেড়াতে যেয়ে। পৃথিবীতে সব মানুষই ছোট থেকে ছোট যেকোন জিনিসই পেতে খুবই আনন্দবোধ করে। আমিও এর ব্যতীক্রম নই আমি পেলেও খুশি হই আর দিতে পারলে তো আর খুশি হোক তা সাধারন কলম, ডায়রী বা রুমাল আংটি। আর প্রিয়জন থেকে সামান্য কোন জিনিস পেলে তো কথাই নেই আনন্দ আর আনন্দ যে আনন্দের শেষ নেই, আর এই পাওয়া গুলো যদিও ছোট ছোট হয় তবুও মনের মাঝে পূর্ণতা আসে। কার বেলাতে কেমন আমি জানিনা আমার তাই মনে হয়েছে সবসময়। পূর্ণ জীবনটাতেই চাহিদার প্রকাশ। আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে এবং আমি বেশি আনন্দোপভোগ করি তখন, যখন আমার প্রিয় কাউকে কিছু দিতে পারি আর তা তার কাজে ব্যবহার করতে পারে। তখন আমার মনটাতে যেন প্রশান্তি অনুভব করি। এজীবনের হিসাব কষতে গেলে দেখা যাবে আমার জীবনে পাওয়ার ভাগটাই বেশি তাই তো মাঝে মাঝে ভয় হয় এতো সুখ কি সইবে? মহান স্রষ্টার কাছে আবেদনের সবটুকুই তিনি যেন শেষ সময় পর্যন্ত এভাবেই রাখেন। জীবনের একটি ঘটনা উল্লেখ করছি...... বুঝ হওয়ার পরে যখন নামাজ পড়তাম নামাজি ছিলনা হঠাৎ একদিন যখন নামাজ পড়ছি বাবার পুরাতন লুঙ্গি বিছিয়ে বাবা দেখেই রাতে ঘরে আসার সময় একটা জায়নামাজ (নামাজি কিনে আনছে আর এনেই আমার হাতে দিয়ে বলেছে এটা তোর জন্য তুইই সবসময় এটাতে নামাজ পড়বি কত যে খুশি লেগেছিল তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভবনা। আমি আনন্দের আতিসয্যে আমার বাবাই শ্রেষ্ঠ বাবা। আমার বাবার মহ বাবাই হয়না। এরপর ক্লাস মেটের মধ্যো থেকে অনেকেই অনেক কিছু গিফট করেছে বিশেষ করে প্রাইমারি থেকে বিদায়ের সময় সবাই সবাইকে এটা ওটা গিফট করে, আমিও করেছি এবং পেয়েছিও আমার সেই গিফটের জিনিসগুলো আজো রেখেছি যত্নের সাথে। কিছু কিছু নষ্টের পথে। গিফটের জিনিসের মধ্যে আছে রুমাল, পাখা, ডায়রী, কলম, থ্রী পিজ, আর্ট করা ফুল, সবার ছবি, টিচারগণের থেকে পাওয়া বাংলা ও ইংরেজী ডিকশনারি। আসলে কোন স্মৃতিই ভোলার নয় তবুও ভুলে থাকতে হয়। এটাই হয়তো জীবন। বর্তমানে কে কোথায় আছে তার কোন খোজ খবর নেই অথচ একটা সময় ছিল যখন মোবাইল নামের যন্ত্রটার এত ব্যবহার ছিলনা তখনও একজন একজনের খোজ খবর নিতে ক্লাসের আধা ঘন্টা আগেই বাসা থেকে বের হয়ে যেতাম আগে যাওয়ার জন্য মায়ের কাছে কবুনিও খেতে হতো কিন্তু এখন এত আধুনিকতার মাঝেও কেউ কারোর খোজ নিতে পারিনা। তাই সকল টিচার ও ছাত্রীদের জন্য মহান স্রষ্টার কাছে প্রার্থনা তিনি যেন আমার সেইসব প্রিয় মানুষদের সুখের জীবন দেন। যেন তারা সবসময় ভাল থাকে সুস্থ থাকে, আজকের এই সময়ে সবার স্মৃতিকথা মনে পড়ছে। মনে পড়ছে তাদের গিফটের কথা। তখন এত দামি দামি গিফট ছিলনা কিন্তু কারোর মাঝে আন্তরিকতার অভাবও ছিলনা। বর্তমানে আপনজনেও এত আন্তিরকতা নেই আগেকার সময়ে ক্লাসমেট, প্রতিবেশি, ও ভাই বোনের মাঝে যতটা আন্তরিকতা ছিল বিদ্যমান। দিনদিন যেন মানুষ পাষানে পরিণত হয়েছে। সেদিনের পাওয়ার আনন্দগুলোই আজকের স্মৃতিচারন কষ্টের কারন। সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে আহা কত মধুর ছিল সেইসব দিনগুলো.........। সেই দিনগুলো তো ফিরে পাওয়া যাবেনা তাই সবাই সবার প্রিয় ব্যক্তিদের যেকোন কিছু গিফট করে আমাদের মাঝে ভালবাসার মহল গড়ে তুলি। যে মহল ভাঙেনা ঝড়ে, ভাঙেনা ভুলে, শুধুই ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ রাখে একে অপরকে। আর আমাদের এই সুন্দর দেশ থেকে দুর করি সকল বৈষম্যতা। সবাই সবাইকে গিফট দিয়ে কাছে টেনে নেই প্রকাশ করি পূর্ণতা। আর কষ্ট নয় এখন থেকেই সবাইকে আপন করে নেই জীবনের এখনো অনেক বাকি তবে সামনে অনেক কিছুই পাওয়ার আছে। আমাদের চিন্তাকে ক্ষত না করে সুন্দর করি সবার জন্য.........। শুভ কামনা সকলের জন্য
বিষয়: বিবিধ
১২০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন