হঠাৎ স্বপন হঠাৎ ভাঙন!! (ক)
লিখেছেন লিখেছেন সাদামেঘ ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ০৯:৪০:০৩ রাত
মোবাইলে ক্রিং ক্রিং ক্রিং হ্যালো! হ্যালো! হ্যালো...................কে? মেয়ে কন্ঠ শুনেই যেন আকাশের চাঁদ পেয়ে গেল হাতে মাহমুদ। না! কারো কোন সাড়া শব্দ নেই যা অযথা বিরক্ত আর ভাল লাগেনা। কে যে বার বার এমন বিরক্ত করছে কে জানে বলেই ঠাস করে রেখে দিল মনিরা। মাহমুদ তো এবার সুযোগ পেল বার বার নানা রকম নাম্বর থেকে মিসকল শুধু কি মিস কল রীতিমত মিস কলে বিরক্ত হয়েই মনিরা কল করে কে আপনি? কথা বলুন! কোন প্রয়োজনে কল করেছেন? নাকি দুষ্টোমি করেই? না এবারও কোন সাড়া শব্দ নেই, কোন সাড়া না পেয়ে আবারও রেখে দেয় মনিরা।
এবার মিসকলের সাথে যোগ হলো মেসেজ! প্রতিদিন মানে প্রতিদিন কয়েকটি মেসেজ লোকটার কি টাকা কাটেনা যে, এত মেসেজ দেয়? যাক গে যার মাথা তাঁর ব্যথা। মনিরা মেসেজ গুলো খুলে পড়েও না। নতুন মোবাইল নতুন নম্বর আত্মীয় স্বজন কারো কাছে তেমন নাই ও এই নম্বরটা। কিন্তু কে বার বার এমন করছে? বুঝতেছি না। এমন করে মেসেজ আসতে আসতে ইনবক্স প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে এখন মোবাইলের উপরের অংশে ফুলফিল দেখাচ্ছে যে, মেসেজে ভরে গেছে ইনবক্স না আর বসে থাকা যায়না এবার মেসেজ গুলো বসে বসে কাটতে হবে শুধু বাড়তি ঝামেলা কার এমন পারের খেয়ে টাকা নষ্ট করার শখ? বুঝিনা কেন মানুষে এমনটি করে?
করুক যার মনে চায় সে। মেসেজ কয়েকটা ফটাফট মুছে দিল মুনিরা কিন্তু কি মনে করে যেন একটি মেসেজ পড়ে দেখতে ইচ্ছে করছে। তাই একটি মেসেজ খুলে পড়া শুরু করল।
যদি কখনো তোমাকে ভুলে যাই!
মৃত্যু যেন করে আমায় আলিঙ্গন!
তোমাকে যদি কোন কারনে কাঁদাই!
সাথে কাঁদে যেন আমার নয়ন!
মেসেজটা পড়ে মনিরার কেমন যেন ভাল লাগলো তাই সে ভাবলো যতগুলো মেসেজ আছে ইনবক্সে সবগুলোই পড়বে। বাস্তবেও তাই করল। পরীক্ষা ও শেষ এখন আসল বই পড়ার কোন তাগাদা নেই। তাই ঘর গুছানোর কাজ শেষ করেই মোবাইল নিয়ে বসে বসে মেসেজ পড়া শুরু প্রতিটি মেসেজের ভাষা যেন হৃদয় মাতানো। মেসেজ গুলো একটার চেয়ে একটা আরো বেশি ভাল লাগতে থাকল।
বিষয়: বিবিধ
১২৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন