"আসমানি সাহায্যের প্রতিক্ষায় (বাস্তবতার আলোকে)"
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ০২:৫৪:১০ দুপুর
পৃথিবীতে কোন মানুষই পরিপূর্ণ সুখী নয়! সবার মাঝেই আছে কোন না কোন অপূর্ণতা! হোক তা ছোট থেকে ছোট বা বড় থেকেও বড়!পৃথিবীতে নারী জাতিকে মা বানিয়ে আর পুরুষকে বাবার আসনে বসিয়ে চলছে আল্লাহর দেয়া নিয়মে! এরই মাঝে কত ঘটনা, দূর্ঘটনা, কত অমানুষিকতা, কত অশালীনতা হচ্ছে তার কোনই ইয়াত্তা নেই! অনেক মায়ের শুধু ছেলে সন্তান আছে মেয়ে নেই সে কারনে তিনি ভোগেন মেয়ে না থাকার কষ্টে! অথচ একটু বিবেগ খাঁটিয়ে চললে কিন্তু তিনিও ছেলের বউদেরকে মেয়ে হিসেবে মেনে নিতে পারেন! কিন্তু তা করতে হৃদয়ের যে উদারতা প্রয়োজন তা তার নেই! আর এজন্যই মেয়ের অভাব সে কোনদিনই পূরন করতে পারেনা!
শ্বশুরবাড়ির সাথে সম্পর্কের ব্যাপারটা আসলে নতুন কোন বিষয় নয়। মানব সভ্যতার শুরু থেকেই এই সম্পর্ক চলে এসেছে। এবং কেয়ামতের আগ পর্যন্ত এভাবেই চলবে। কোরআন এবং সুন্নাহ থেকে আমরা বিভিন্ন মানবিক সম্পর্কের সীমা-পরিসীমা, দায়িত্ব-কর্তব্যের ব্যাপারে জ্ঞান পাই। একটা বিষয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ আর তা হল এই সম্পর্কের দায়িত্ব গুলো কখনও একপক্ষীয় হলে চলে না। একজন সন্তানের যেমন তার পিতামাতার প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হয় তেমনি পিতামাতারও সন্তানের জন্য অনেক কিছু করতে হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই যেটা হয় আমরা কেবল নিজের অধিকার আর পাওনা গুলো নিয়েই ভাবি, কর্তব্য নিয়ে ভাবতে চাই না।
আরেকটা বিষয় হল আমরা আমাদের সমাজে চলে আসা রীতিনীতি আর প্রথাগুলোকে আঁকড়ে ধরে থাকি এমন করে যে ইসলামকে বেমালুম ভুলে যাই। এমন অনেক প্রথা আছে যার মূল সূত্রপাত অন্য কোন ধর্মবিশ্বাসে। কিছু রীতিনীতি এমন যে শ্বশুর বাড়িতে একজন মেয়েকে দাসীর মত করে ব্যবহার করা হয়। কিছু পরিবারে শাশুড়ীরা ছেলে এবং ছেলের বউয়ের প্রতিটি বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন এবং সিদ্ধান্ত দেন, তার অমতে একটা কাজ করতে দেন না। এমনকি খোদ আমেরিকাতেও এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে শাশুড়ীরা এমন আচরণ করেন। আবার একইসাথে, এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে পুত্রবধূ ও শাশুড়ীর মাঝে ভালোবাসা ও সৌহার্দ্যের এক সুন্দর মিষ্টি সম্পর্ক দেখা যায়। কিন্তু এই পরিবারের সংখ্যা সংখ্যায় অনেক কম।
আমাদের সমাজের পুরোনো প্রথা হলো আমি আমার শাশুড়ী থেকে কষ্ট পেয়ে আসছি তাই আমি যখন শাশুড়ী হবো তখন তা উসূল করবো। আসলে এই কাজটা কখনোই ঠিক নয়। আমি কষ্ট পেয়েছি তাই আমি চাই আমার থেকে যেন কেউ কষ্ট না পায়। সমাজটাকে আমরা উল্টো পায়ে চালাচ্ছি। ইসলামের সরল ও সুন্দর পথটা ভুলো বেধর্মীদের প্রথাকে আমাদের প্রথা বানিয়ে নিয়েছি আর আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) এর উত্তম আর্দশকে ভুলে গেছি তাই আজ সমাজের আনাচে-কানাচে অশান্তির হাওয়া বইছে। কোন পরিবারে বউ ভালো না তো কোন পরিবারে শাশুড়ী ভালোনা। আর কোন পরিবারে শাশুড়ী ভালো কিন্তু স্বামীর চরিত্র ভালোনা। এই কারনে আমাদের সমাজের বেশীরভাগই ক্ষয়চিত্র দেখা যায়।
গতকাল চব্বিশে ফেব্রুয়ারীতে স্বদেশ থেকে এক বোনের মিস কল পাই। কয়েকবার মিসকল আসাতে কল করি। কুশলবাক্য বিনিময়ের পর বলতে শুরু করল ভাবি দুঃখের কথা বলার কেউ নাই, স্বামী ও বুঝেনা আর মাকে বললে তো তিনি হার্টআ্যাটাক করবেন ভয়ে বলিনা। বোনদেরকে বললে তারাও বুঝায় সবর কর আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে যাবে। জানেন ভাবী এই সংসার আর করতে ইচ্ছে করেনা। কাজ করলেও বলে করিনা। সব সময় শাশুড়ী শুধু তার ছেলেকে বলতে থাকে তোর বউ কাজ করেনা, রান্না করেনা, আমি অসুস্থ হয়েও সব করি সে শুধু বসে বসে খায়। তখন আমার অশিক্ষিত স্বামী মায়ের কথা শুনে আমার মা বোন তুলে গালা-গালি করে। মৃত বাবাকে তুলেও বকা-ঝকা করে আর সহ্য হয়না ভাবি বলতে পারেন আমার এতগুলো বোনের মধ্যে কোন বোনের ভাগ্যে এমনটি হয়নি কেন আমার ভ্যাগ্যে এমন হলো?
বাচ্চাকে স্কুল থেকে এনে রান্না করি এরপর যখন খেতে আসি তখন ঠিকমতো তরকারি পাইনা। অনেক সময় ভাত থাকেনা কারন শাশুড়ী আম্মার ভাতিজা-ভাগিনাদেরকে খাইয়ে দেয়। কোলের বাচ্চাটা দুধ খায় বুঝেন পেটে কত ক্ষুধা থাকে কিন্তু কি করবো? স্বামী ও বুঝেনা প্রবাসে থাকার কারনে দেখেনা। বললে উল্টো আমাকেই বকা-ঝকা করে ইচ্ছা হয় সবকিছু ছেড়ে চলে যাই। আমি চুপ করে শুনছিলাম তার কথা যতই শুনছিলাম থমকে গেছি কিন্তু অবাক হইনি। তাকে বললাম সবর করো সবরকারীর সাথে আল্লাহ্ থাকেন। কিভাবে সবর করবো ভাবি? সপ্তাহে একদিন মুরগী অথবা গরুর গোশত রান্না করি, আমি নিজে রান্না করি যেদিন গরুর গোশত রান্না করি সেদিন সবাই খেয়ে কিছু চর্বি আমার জন্যে রেখে দেয়।
আর যেদিন মুরগী রান্না করি সেদিন মুরগীর খাচাটা রাখে এসব দেখে কি খাওয়ার আর রুচি থাকে বলেন? এখন আমার মেয়ে প্রায় পাঁচ বছরের সে গোশত খেতে পারে এজন্য একপিচ গোশত মেয়ের প্লেটে দিয়ে শাশুড়ীজান বলেন তোর মেয়ে খাওয়া শিখেছে তোর এখন থেকে আর খাওয়া লাগবেনা। তোর ভাগেরটা তোর মেয়ে খাবে আর তুই শুধু তরকারি দিয়ে খাবি। জিহবাহকে বেঁধে রাখ আর বল এই জিহবাহ তোর ভাগেরটা তোর মেয়ে খাবে। বলেন এগুলো কি কোন মা বলতে পারে? আমি তার কথা যতই শুনছিলাম ততই হতবিহবল হচ্ছি মানুষ কেন নিজেকে পরিবর্তন করেনা। কেন শাশুড়ীরা মা হতে পারেনা। সামান্য খাওয়া নিয়ে এত জুলুম? ভাবী শুনেনঃ আমার স্বামী সংসারে অর্ধেক খরচ দেয় আর আমরা মন ভরা তো দুরের কথা পেট ভরেও খেতে পারিনা। আর একখান সোনার চাঁদ ননদ আছে আসলেই শাশুড়ীজানকে বলে আম্মা আপনি বউ পালতে পারেন না।
শাশুড়ীজানকে টিভির রিমুট নিয়ে শিখিয়ে দেয়, বলে হিন্দি সিরিয়াল দেখেন আর শিখেন কিভাবে বউ পালতে হয়। সংসার হাতের মুঠোয় রাখেন নয়তো আরো বুড়ে হলো আপনার কোন ছেলেরা আপনাকে ভাত দেবেনা। আমার ভাইয়েরা যদি এই সিরিয়াল গুলো দেখতো তবে বউগুলো সব সোজা হয়ে যেত। সংসার টিকিয়ে রাখতে তারা না খেয়েই এখানে পড়ে থাকতো। সেই কথা শুনার পর থেকে গত কয়েক বছর ধরে শাশুড়ী আম্মা বিকেল থেকে হিন্দি সিরিয়াল দেখা শুরু করে মাঝখানে মাগরীব পড়ে আবার দেখা শুরু করে রাতের দশটা এগারোটা যতক্ষন না শশুর ঘরে আসে। আর এসব দেখে দেখে আমাদেরকে খাবারে কষ্ট দেয়, কথায় কথায় কটূকথা বলে কষ্ট দেয়, মানুষের কাছে হেয় করে আমরা কাজ করিনা, ঘুমাই থাকি, বাড়ির বুয়ারও কিছু সম্মান আছে কিন্তু আমরা ঘরের বউ হয়েও উনাদের কাছে বুয়ার চাইতেই নিকৃষ্ট অবস্থায় আছি।
বলেন তো আমি ও তো মানুষ আর কত সহ্য করবো? বলেন ভাবী এই শাশুড়ী যদি আরো বৃদ্ধ হয় তখন কি আমাদের উনাকে সম্মান শ্রদ্ধা করতে ইচ্ছা করবে? মন থেকে কোন ভালোবাসা আসবে? আসবেনা। কারন উনি পদে পদে আমাদেরকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছেন এই কারনে তখন আর তাদের জন্যে কোন ভালোবাসা বা শ্রদ্ধাবোধ থাকবেনা থাকবে শুধু ঘৃনা। যতদিন এবাড়িতে থাকি মন চাইলেও কোনকিছু খেতে পারিনা। আমাদের স্বামীরা সংসার খরচ দিয়েও আমরা খেতে পারিনা আর ননদী কিছু না করেও সবচেয়ে ভালোটা তার প্লেটে দেয়, সবচেয়ে ভালোটা তার বাড়িতে পাঠায় বলেন আমাদের কোন মূল্য আছে? কুকুরেরও মূল্য আছে কিন্তু আমাদের বউদের কোন মূল্য নেই। বলেন ভাবীঃ একটা মুরগীতে যখন হয়না তখন দুইটা মুরগী আনুক, সংসার খরচ তো আমরাও দেই কিন্তু খেতে পাইনা কেন? এই কথাটা স্বামীকে ও বলতে পারিনা আর বাপের বাড়িতেও বলতে পারিনা স্বামী পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে। বলেন তারা কি মরবে না? আল্লাহ্ কি এইসবের হিসাব নেবেনা?
স্বামীকে বলতে গেলে সে রেগে যায়। এই নিয়ে সংসারে অশান্তিও হয় সে ফোন করেনা, আমাদের খরচ দেয়না, খোজ-খবর নেয়না। তাই তার কাছে বলা বন্ধ করেছি। মনে তো আর আরেক বিয়ে বসার সাধ নাই তাই সবকিছু মুখবুঝে সহ্য করছি। আর এখন শুধু সকাল বিকাল প্রার্থনা করে যাচ্ছি বিয়ের বাকি তো আরো কয়েকজন বাকি আছে তাদের বউ যেন এমন হয় এই পরিবারের সবাইকে শিক্ষা দিয়ে দেয়। বিয়ের সময় বলেছে আমরা কিছু চাইনা আবার একথাও বলেছেন না চাইলে কণে পক্ষ আরো বেশী দেয়। তখন বাবার বাড়ি থেকে সব ফার্ণিচার নিয়ে এসেছি। যৌতুক নিয়ে এসেও কোন লাভ হলোনা। বিয়ের পর থেকে যে কপালে দুঃখ লাগছে লেগেই আছে মরনের আগে আর সেই দুঃখ শেষ হবেনা। তাই সবসময় শুধু আল্লাহকে বলে যাচ্ছি আর আসমানি সাহায্যের প্রতিক্ষায় আছি তখন এই সমস্যা গুলোর সমাধান হবে? নাকি এভাবে ধুকে ধুকেই বাকি জীবন শেষ করতে হবে?
আমি বললাম দেখ বোন তুমি অভিসাপ দিওনা। তুমি কাকে অভিসাপ দিচ্ছি তারা তো তোমারই আপনজন। আর এই দুনিয়ারা সামান্য সময়ের এখন থেকেই আমাদের আখেরাতের সামান যোগাড় করে নিতে হবে। তাই আমি তোমাকে বড়বোন হয়ে পরামর্শ দিচ্ছি তুমি যদি আমাকে বড়বোনের মতো মনে করো তবে তুমি যতটুকু পারো তোমার সাধ্যানুযায়ী কাজ করো এবং সওয়াবের আশায় করো সববিষয়ে সবরই একমাত্র পথ যদি এইপথের পথিক হতে পারো ইন-শা-আল্লাহ্ এর প্রতিদান তুমি উভয়স্থানেই পাবে। আর বেশী বেশী সালাত আদায় করো দেখবে মনে প্রশান্তি পাবে। পারলে তাহাজ্জুদ পড়ে পড়ে পরিবারের লোকদের হেদায়াত প্রার্থনা করো এই দুনিয়ার সময় তো অল্প খেলেও চলে যাবে আর বেশী খেলেও চলে যাবে। মরতে আমাদের সকলকেই হবে। তাই যে তোমার প্রতি আমার প্রতি জুলুম করল আমরা তাদের জন্যে দু'হাত তুলে আল্লাহ্ তা'য়ালার কাছে হেদায়াতের প্রার্থনা করবো। হয়তো আমার কথা গুলো তোমার পছন্দ হবেনা। তবুও বলি যারা এমনটি করছে তাদের জন্যে খাসভাবে দোয়া করো যেন তাদের হেদায়াত হয়। তোমার স্বামীর জন্যে প্রার্থনা করো তার যেন সে তোমার প্রতি সদয় হয়। সে বলল ভাবীঃ আমার জন্যে খাস করে দোয়া করবেন আমি ফি আমানিল্লাহ্ বলে কল কেটে দিলাম।
এই বোনের কথা শুনে সত্যিই খুবই কষ্ট লাগলো রাতে মনে হয়ে ঘুমাতে পারিনি। মানুষের মন কতটা সংকীর্ণমনা হলে এমনটি করতে পারে। অথচ ছেলে আর মেয়ে উভয়ই একমায়ের সন্তান তবে কেন ছেলের বউয়ের সাথে এমন জুলুম? কোন কোন পরিবারে এর ব্যতীক্রম ও হয় শাশুড়ী ভালো আর বউ ভিন্ন মন-মানষিকতার সেখানেও জুলুমের আরেক রুপ। এসব কথা শুনে নিজের ভবিষ্যতের জন্যে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইলাম হে আল্লাহ্ আমি যেন আমার পরিবারের লোকদের সাথে এমনটি না করি। হে আল্লাহ্ আপনি আমাকে সেই সময় হেফাজত কইরেন যখন আমিও শাশুড়ী হবো। আল্লাহ্ না করুন এই বোনের ভেতর অতটা দ্বীন-ইসলামের জ্ঞান নেই সে ও তো এক সময় এই কষ্ট গুলো মনে হলে বৃদ্ধা শাশুড়ীর সাথে খারাপ আচরণ করবেনা কে বলতে পারে। আর এই শাশুড়ী আম্মার মনে কেন উদয় হয়না একদিন তাকেও মরতে হবে। আর মহান মালিক আল্লাহ সুবহানু ওয়া তা'য়ালার কাছে সবকিছুর পংখানুপংখু ভাবে হিসাব দিতে হবে? মহান আল্লাহ উভয়কেই ইসলামের সঠিক জ্ঞান দান করতো জান্নাতের পথে পরিচালনা করুন।
পরিশেষেঃ যারা এখনো অবিবাহিত ভাইয়া ও বোনেরা আছেন তারা বিয়ের পীড়িতে বসার আগে সীরাতে রাসূলুল্লাহ্ (সঃ) ভালো করে পড়ে নেবেন। এবং নিজে ইসলাম জেনে কোন লাভ নেই যদি না সেই ইসলামের আলোয় নিজ পরিবারকে আলোকিত করতে পারেন। আপনি খুব জ্ঞানী ইসলামের বিষয়ে কিন্তু এই জ্ঞানের আলো কেন আপনার পরিবারের লোকদের কাছে পৌচাচ্ছেন না? কেন আপনার জ্ঞান দিয়ে নানা রকম জুলুম থেকে তাদেরকে ফেরাচ্ছেন না? আপনার মাকে আপনি সম্মান করবেন করুন কিন্তু মায়ের ভেতর তো ইসলামের জ্ঞান send করতে হবে আপনাকে। আপনি মনে করছেন আমি ইসলামের কথা বললে আপনার মা মনে কষ্ট পাবে। আর তিনি কষ্ট পেলে আপনি জান্নাতে যেতে পারবেন না তাইনা? অথচ আপনার ঘরে আরেকজনের মেয়েকে এনে তাকে যে কষ্ট দিচ্ছেন সে কথা কি একবারও ভেবে দেখেছেন যে, তার জন্যেও আপনি জান্নাতে যেতে পারবেন না। মনে রাখবেন যেই মাকে আপনি সম্মান করছেন সেই মাকে, যেই বউকে আপনি ভালোবাসছেন সেই বউকেই মহান আল্লাহ তার আদালতে দাড় করাবেন উভয়ে উভয়ের প্রতি জুলুমের কারনে। তখন আপনার ভালো লাগবে? আপনি কেমন পুরুষ আপনার মাকে আপনি কুরআন বুঝাতে পারেন না? আপনি কেমন স্বামী আপনার স্ত্রীকে আদর্শ স্ত্রী করে গড়ে তুলতে সহযোগীতা করেন না? তাই অনুরোধঃ আল্লাহর সামনে ও সারা পৃথিবীর মানুষের সামনে আপনার মা, বোন, স্ত্রী, ও কণ্যাকে লাঞ্চনা পাওয়ার আগেই তাদের ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করুন। যার ভীতর কুরআনের জ্ঞান আছে সে একটি মশালের মতো আর এক মশাল থেকে কোটি মশাল জ্বালানো ব্যাপারই না। আপনার ভেরতের কুরআনের নুরকে দিয়ে আপনার পরিবার সমাজ ও পৃথিবীকে আলোকিত করুন। যেন সে আলোয় আলোকিত হয়ে উভয়ের জন্যে জান্নাতের রাস্তা প্রসস্থ হয়। মনে রাখবেন একজন পুরুষই বউ ও শাশুড়ীর মাঝে কুরআন ও হাদীসের আলোকে জ্ঞান বিতরণের সেতুবন্ধন। তার উত্তম আচরণ মা স্ত্রী উভয়েই পাওয়ার যোগ্য। মহান আল্লাহ আমাদের হেদায়াত দিন ও হেদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন। হেদায়াত আসবে অচিরেই আর মানবকূল সেই আসমানি সাহায্যের প্রতিক্ষায়................।
বিষয়: বিবিধ
১১৯৫ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর নবী রাসূলেরা ছিলেন আল্লাহর স্পেশাল বান্দা । আল্লাহ উনার বানী যাতে উনার পয়গম্বরগণ সঠিকভাবে পৌছাতে পারে সেজন্য নবী রাসূলদের পারিবারিক জীবন নির্ঝন্ঝাট রেখেছিলেন ।
নবী রাসূলদের কারও জীবনের কাহিনীতে কি শোনা যায় সে উনার স্ত্রী ও মায়ের মধ্যে দা-কুমড়ো সম্পর্কের কারণে নবীজী পেরেশান ছিলেন ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন