""অনন্তসাথীর সন্ধানে"(১ম পর্ব)"
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ৩০ অক্টোবর, ২০১৬, ০৪:০৬:৪৫ বিকাল
বয়ষ বেড়ে বুড়িয়ে যাচ্ছে বলে অনেকেই সমালোচনা করতো ওয়াহিদাকে নিয়ে। মানুষের মুখের এই কাঁটা যুক্ত কথাকে হজম করে কিশোরী বয়ষটা পাড় করছে সে। আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে পাড়া-প্রতিবেশী কেউই বাদ যায়নি এই সমালোচনা থেকে। সমালোচনা বললে ভুল হবে, বলতে হবে নরম কোমলীয় মনটাকে কড়াতের আঘাতে আঘাতে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত করে দিতো। মাঝে মাঝে লোকের দেয়া এই কষ্ট থেকে মুক্তির পথ খুজতো সে। নিরবে-নিভৃতে আল্লাহ্ তা'য়ালাকে বলতো মানুষের কটুকথার আঘাত থেকে মুক্তি দিতে। এই এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে শয়তান উস্কে দিতো (তুই আত্মহত্যা কর) বলে বলে। কিন্তু ওয়াহিদার অন্তরে ছিলো আল্লাহ্ তা'য়ালার ঐশী জ্ঞানের আলোয় ভরপুর। যে আলোয় সে নিজের অন্তরকে আলোকিত করে নিয়েছিলো অনেক আগেই। ক্ষনে ক্ষনে সে মনের সাথে লাড়াই করতো এই বিষয়টা নিয়ে কোন সমাধানে আসতে পারতো না ঠিক। কিন্তু মনের মাঝে সে অনুভব করতো আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা প্রশান্তির। ২০০০ সনের পরে এর রেশ আরো বাড়তে থাকে। যখন আপন পিতাও তাকে পরোলোকের মতো কুঠারের আঘাতের ন্যায় আঘাত করতে থাকে তখন সে আর সহ্য করতে পারে না। এক পর্যায়ে শুধু মা ছাড়া আর বাকি সবার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। জীবনটা তার সংকীর্ণকায় রুপ নিতে থাকে প্রতিনিয়ত। এসব আঘাত তাকে যেন কয়লার মতো পোঁড়াতে থাকে সর্বদাই। কাঠ-খড়ী তো মূহুর্ত্বেই জ্বলে শেষ হয়ে যায় কিন্তু কয়লার জ্বলা যেন শেষ হয়না। ওয়াহিদা নিজেকে সপে দিয়েছে আল্লাহর কাছে আর আল্লাহর উপরই পূর্ণ ভরসা করেছে। যদি তাকদীরে বিয়ে থাকে তবে হবেই ইনশা-আল্লাহ্। সে শেষ রাতের প্রার্থনায় আল্লাহ্ তা'য়ালাকে বলতে থাকে তার জন্য উত্তম ও কল্যাণকর ব্যবস্থা করতে। আর নয়তো আল্লাহ্ তা'য়ালার পক্ষ থেকে এমন ব্যবস্থার, যেন সে ইলম্ অর্জন করতে করতে মরতে পারে। আল্লাহ্ তা'য়ালার অপার মহিমায় তার জন্য ইলম্ অর্জনের ব্যবস্থাই আগে হয়ে গেলো। কথায় বলে চাওয়ার মতো চাইতে পারলে আল্লাহ্ কাউকে ফেরায়না খালি হাতে। ২০০৩ থেকে শুরু হয় তার ইলম্ শিক্ষার। পরিবারের কারো সহযোগীতা ছাড়াই আল্লাহ্ রাহমানুর রাহীম তার জন্য সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। ওয়াহিদা নিজের এলম্ শিখে এবং অন্যকেও শেখার দায়িত্ব নিয়েছে এই সুবাদে নিজের খরচটাও যোগান দিতে সহজ হয়েছে।
এখন সে অনেক অনেক ভালো আছে। তাই প্রতিনিয়ত আল্লাহ্ তা'য়ালার শুকরিয়া এভাবে করে হে আল্লাহ্ ! আপনার অনুগ্রহেই আমি আজকে এলম্ শিক্ষার মজলিসে। (জান্নাতের বাগানের কলি হতে পেরেছি)। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি এই বাগানেই ফুল হয়ে ফুটতে চাই আর এলমের সৌরভ ছড়াতে চাই প্রতিটি অন্তরে না হোক কতেক অন্তরে। যারা অজ্ঞ থেকে পাবে হেদায়েতের আলো। আর আমার জন্য হবে জান্নাতের যাবার উছিলা। আর আমার জন্য এমন সাথি মিলিয়ে দিন যে আমাকে নয় আপনার বিধান কায়েমে আমাকে সহযোগীতা করবে। আমার রুপ লোকের কাছে প্রকাশের চেয়ে আমার পর্দাকে পছন্দ করবে। আমরা অক্ষমতার চেয়ে আমার আল্লাহ্ ভীরু মনকে বুঝতে চেষ্টা করবে। সে প্রতিরাতে এমনই ভাবে দোয়া করতো। এভাবেই কাটছিলো ওয়াহিদার দিনকাল। সাধারনত একটি কথা প্রচলিত আছে কারো ভালো কেউ দেখতে পারেনা। তার আত্মীয়-স্বজনরা যে যখনই আসে ওদের বাসায় তখনই নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়। একেক জনে একেক কথা বলে ( বিয়ে হলে এতদিনে বাচ্চা বড় হয়ে যেত, বয়ষ বেড়ে যাচ্ছে, যৌবনকালের শুকোর ও সুন্দর লাগে আর বয়ষ বাড়লে সুন্দরীকেও অসুন্দর লাগে, এখন লোকের চাহিদা আছে তাই প্রস্তাব দেয় বয়ষ বাড়লে লোকের কাছে আর চাহিদা থাকবেনা, তখন ঘরের খুঁটি ও বানানো যাবেনা, কেউ বা বলে ওর জন্য কাউকে মুখ দেখানো যাবেনা।, নারী কুড়িতে বুড়ি একটা প্রবাদ আছে সেটাও চালানো হলো তার উপর। ধৈর্যের সিমা অতিক্রম হলো কিছুই করার নেই তার। অপেক্ষা শুধু আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ অনুগ্রহের। লোকের কটূকথার আঘাতে সে শুধু নিরবেই আল্লাহ্ তা'য়ালার কাছে মনের সকল আকুতি-মিনতি জানাতে থাকে আর এভাবেই নানা রকম ঝড়ের মোকাবেলা করতে করতে চলতে থাকে সে।
মাসের কয়েকটা দিনও ভালো কাটাতে পারেনা শুধুমাত্র মানুষের নিকৃষ্ট মুখের কটূকথার দরুন। কারো সমানে পড়লেই শুরু হয় সেই একই কথার যন্ত্রনা। যা সে সইতে পারতোনা শুধুই কাঁদতো আল্লাহর দরবারে। এভাবে চলতে চলতে ২০০৬ সালে একটি বিয়ের প্রস্তাব আসে তার। ছেলে প্রবাসী সৌদি আরবের উমলেজ শহরে থাকে। মোটামুটি দ্বীনদার। শুরু হয় দুই পরিবারের কথাবার্তা আদান-প্রদান, বায়োডাটা লেন-দেন, ছবি দেয়া-নেয়া। এমন করে চলতে থাকে ছেলে দেশে আসলেই বিয়ে হবে। কিন্তু ছেলের সেখানে নানাবিধ সমস্যার কারনে আসতে পারেনা আর বিয়েও হয়না। ছেলে পরিবার খুব পছন্দ করে আটকে রাখে। আর প্রতি সপ্তাহে কণেকে দেখতে আসে একরকম বিরক্ত সে। বরের মা বাবা দুজনেই আসে মেয়েকে সামনে রেখে নানা কথাবার্তায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে তারা। তাদের ভালো লাগে কিন্তু সে খুবই অসহায় বোধ করতে থাকে। এভাবেই দিন মাস বছর পেরিয়ে আবারো অপেক্ষার তাসবীহ জ্বপা শুরু হয় ওয়াহিদার পরিবারের। একপর্যায়ে কণের আত্মীয়-স্বজনরা কণের মা-বাবাকে বেশ গাল-মন্দ করে। কেমন প্রস্তাব আপনারা চুপচাপ বসে আছেন? ছেলের দেশে আসার খবর নেই প্রতিসপ্তাহে লোক এনে এনে টাকা খরচ করাচ্ছে কোন তো কাজ হবে বলে মনে হচ্ছেনা। কণের মাকে বলে আপনি লোভী তাই বিদেশী ছেলের আশায় মেয়েকে আইবুড়ী বানাচ্ছেন। পরে কণের মা রাগ করে বরপক্ষকে জানিয়ে দেয় আমরা অন্য জায়গায় দেখছি আপনাদের সাথে আত্মীয়তা করবোনা। তখন আরো অনেক অনেক বিয়ে জন্য আসে কিন্তু ততদিনে ওয়াহিদা পূর্ণপর্দা ও ইসলাম মেনে চলা একজন মুসলিমাহ্ হয়ে যান। সে তখন চায় একজন দ্বীনদার স্বামী। যারা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসে তারা বেশীর ভাগই দুনিয়া দার। এমন কি বরের মা পরিধান করে আসে জর্জেটের পাতলা শাড়ি, হাতা কাটা ব্লাউজ। তখন সে আর ভাবতে পারেনা।
ওয়াহিদার চোখে ঘুম নেই দু'চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে অযাচিত ভাবনা জীবনের কয়েকটা বছর এভাবে পর্দা করে চলার পর এখন এই রকম পরিবারের বউ হলে তো বাকি জীবন (দাইউস) বেপর্দা হয়ে চলে অবশেষে জাহান্নামের লাকড়ী হতে হবে। তাই সে আল্লাহ্ কে বলতে থাকে হে আল্লাহ্ আমি তোমার হুকুম পর্দা তাই মেনে আসছি। তুমি আমাকে এমন ব্যবস্থা করে দাও যেন আমি জীবনের বাকিটা সময়ও পর্দা মেন্টেইন করে চলতে পারি। আমি কারো জন্য পর্দা করিনা শুধুমাত্র তোমার রাজী-খুশীর জন্য পর্দা করি। প্রায় তিন বছর অপেক্ষার পর যখন ২০০৮ সালের শেষদিকে একটা বিয়ে আসে যেন হয়েই যাবে। ছেলে ইতালিতে টেইলর মাষ্টার ভালো ইনকাম নামাজ পড়ে কিন্তু বয়ষ অনেক বেশী ওয়াহিদার বয়ষের তিনগুণ। সে তারপরও মত দেয় যে, আসুক তারা। সমস্যা বাঁধে অন্য জায়গায়। ছেলে পক্ষ দেখতে আসে। কণে তার মামাকে বলে রাখে বর ছাড়া কেউ যেন তাকে না দেখে। মামা সে ব্যবস্থা করেন। কারন তার পরিবারের কারোর ই ইসলামই জ্ঞান নেই। তাই নিজের বিয়ের অনেক কথাই তাকে বলতে হচ্ছে। যখন সে বরের সামনে যায় বর তো তাকে দেখেই অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা যেন এই প্রথম কোন মেয়েকে দেখছে। বলে যে আমি আপনাকে কোন প্রশ্ন করবোনা কারন আমার সব প্রশ্নের জবাব আমি পেয়ে গেছি ঘরের দেয়ালে টাঙানো ডেইলি রুটিন দেখে। আপনার যদি কোন আপত্তি না থাকে তবে আজকেই বিয়ে হোক। ওয়াহিদা তো অবাক কি বলে এই লোক? মাথা ঠিক আছে তার? দেখতে এসেই বিয়ে এটা শুনে তার মনে খটকা লাগে। সে কিছুক্ষন বসে বলে আমি চলে যাই। বর বলে আমি তোমার মাঝে আমার স্ত্রীর শরীরের ঘ্রান পেয়েছি, আমি সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি বিয়ে করেই যাবো ইনশা-আল্লাহ্।
সে চলে যায় ভেতরের রুমে সে ভাবে বিয়ে কোন ছেলে খেলা নয়। সারা জীবনের ব্যপার। বিয়েতে জানা-শুনা খোজ-খবর নেয়ার একটা ব্যপার আছে। আর সে স্ত্রীর শরীরের ঘ্রান পেয়েছে সেটা আবার কেমন কথা? তারা আমাদের খোজ খবর নিক আমরাও তাদের খোজ খবর নেবো। যখন উভয় পরিবার উভয় পরিবারকে পছন্দ করবে তখনই হবে বিয়ে। বলা নেই কওয়া নেই এসেই হুট করে বিয়ে না এ হয়না। নিশ্চয়ই কোন সমস্যা আছে ছেলের বা তার পরিবারের। সে কয়েক বছর ধরে বাবার সাথে কথা বলেনা। তারপরও এটা সারা জীবনের ব্যপার তাই সে তার বাবাকে বলে আব্বু আমি আপনার মেয়ে আপনি যেখানেই বিয়ে দেন আমি রাজী আছি। কিন্তু আমি যেভাবে নিজেকে গড়ে তুলেছি আপনি ছেলের বাড়িতে গিয়ে খোজ খবর নিবেন আর দেখবেন আপনার মেয়ে সেখানে মানিয়ে থাকতে পারবে কিনা। নয়তো বেপর্দা জীবনের চেয়ে আমাকে কেটে ভাসিয়ে দিন সাগরে সেটাও আমার জন্য ভালো। আর এতই যদি আমি আপনাদের বোঝা হই তবে এই নিন দা আর আমাকে শেষ করে দিন। বেপর্দা বেহায়া জীবনের চেয়ে দা'র নিচে জীবন দেয়া অনেক ভালো। আপনি পারলে একজন দ্বীনদার ছেলে আমার জন্য খুজুন যে আমাকে একবেলা বা দু'বেলা খাওয়াবে, পরের বেলা শান্তনা দিবে তবুও পর্দার সাথে রাখবে। মেয়ের কথা শুনে বাবা হতবাক প্রায় আটবছর বছর পর মেয়ে এই কথা বলছে বাবা মেয়ের কথামত ছেলেদের থেকে সময় চান। কিন্তু ছেলে পক্ষ সময় দিতে নারাজ। ছেলের দুলাভাই বলে ছুটির কয়েকমাস চলে গেছে অল্প ছুটি বাকি আছে বিয়ের কাজ তাড়াতাড়ি হলেই ভালো হয়। আমাদের টাকা পয়সার কম নেই। কোনটার অভাব নেই। বিয়ের গয়না আমরা নিয়েই এসেছি বাকি সবকিছু এখান থেকে কিনেই বিয়ে হবে। তাদের শেষ কথা আমরা বিয়ে না করিয়ে এখান থেকে যাবোনা। তাদের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তারা ঝামেলা যুক্ত পরিবার।
কণের বাবা সাফ সাফ জানিয়ে দিলো আমাদের নিজেদের মাঝে বুঝাপড়ার একটা ব্যপার আছে, খোজ-খবর নেয়ার ব্যপার আছে। আপনারা ভাবুন আমি একসপ্তাহের সময় চাই তারপর বাকি কথা বার্তা। বরপক্ষ অনেক গন্ডগোল করলো বিয়ে আজকেই হবে বলে। কণের চাচা-চাচিরা সবাই চায় ইতালিয়ান ধনী লোক কিছুদিন পর বউকেও নিয়ে যেতে পারবে। তবে কি সমস্যা? চাচিরা এসে ওয়াহিদাকে বুঝাচ্ছে তোমার বাপ-চাচাদের কি আছে? ছেলে প্রতিষ্ঠিত। কি জন্য তুমি রাজী হচ্ছোনা? একচাচি তো বলেই বসলো এখন বিয়ে হোক ভালো না লাগলে পরে বাদ দিয়ে দিও। ওযাহিদা কোন সময় চাচা-চাচিদের সাথে কটূবাক্যে কথা বলেনি। সে তখন বলে ওঠে চাচি বিয়ে অনেক সম্মানের বিষয় আর ভেঙে যাওয়া লজ্জার তাই ভাঙার চেয়ে চিন্তা ভাবনা করে কাজ করাই হলো জ্ঞানী লোকের কাজ। ওর কথা শুনে ছোট মামা বাদে সবাই চলে যায়। বলে যায় এই কপালে বিয়ে নেই। আমরা আর কোন সময় তার ব্যপারে আসবো না। তখন বর পক্ষও কণের বাবাকে বলে যায় আমরা ছেলের বড়ভাইয়ের বাসায় রাতে থাকবো আপনারা সিদ্ধান্ত নিন তাহলে কালকে বিয়ে। কণের বাবা বলে দেয় দেখি কি করা যায়। বরপক্ষ অনেক ঝামেলা করার পর বলে যায় এই মেয়েকেই সে বিয়ে করবে প্রয়োজনে উঠিয়ে নিয়ে হলেও। সারারাত সে ঘুমাতে পারেনি। ছোট চাচাকে কল করে বাসায় আসতে বলে। সে যে কি অস্থিরতার মধ্যে আছে বলে বা লিখে বোঝানো যাবেনা। ছোট মামাকে বলে মামা আমার জীনবটা এমন কেন? কেন আমি পরিবারের বোঝা? পৃথিবীতে কি আর কারো সন্তানের বয়ষ বেশি হয়ে বিয়ে হয়নি? আমি তো খারাপ কিছু করছি না। আমি তো একমাত্র আল্লাহ্ জন্য এলম্ শিখছি মানুষকে শেখাচ্ছি। আর আমি তো শুধু একজন দ্বীনদার মানুষ চেয়েছি। এই কি আমার অপরাধ?
মামা বলেন আমি কি করবো? আত্ম-হত্যা মহা পাপ। আর আল্লাহ্ রহমতই আমাকে সে কাজ থেকে বিরত রেখেছে। আমি আল্লাহ্ তা'য়ালার খুশির জন্য এতটা বছর জীবন যুদ্ধ করে পর্দা করে আসছি। আর আপনারা সবাই আমার সেই কাজকে সেই কষ্ট করে পর্দা করাকে হত্যা করতে চান? মামা আপনি আমার বাবাকে বুঝান আমি পালিয়ে যাবোনা কোন অসম্মাজনক বা অসামাজিক কাজও আমার দ্বারা হবেনা ইনশা-আল্লাহ্ আর আব্বু আমার দোষ দেয় আমার জন্য বিয়ে ভেঙে যায়। সব বিয়ে কি আমার জন্য ভাঙে? আব্বুর জন্যেও অনেক বিয়ে ভাঙে। অনেক লোক এসে বলে মেয়ে মাদ্রাসায় পড়ে বাপের মুখে দাড়ি নাই কেন? বাবা কি ঠিক মত নামাজ পড়ে কিনা? যখন আমি এপ্রশ্নের সম্মুক্ষিন হয়ে সত্যতা বলে দেই তখনই বিয়ে ভেঙে যায়। সব দোষ কি আমার একার? আমার আব্বু কেন নিয়মিত নামাজ পড়েনা? মুখে দাড়ি রাখেনা। তাই আমিও আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি আমার আব্বুকে হেদায়াত দিয়ে আমার বিয়ে হোক। কারন আমার আব্বুকে কেউ বলবে দাড়িরাখেনা নামাজ পড়েনা এটা আমার জন্য খুবই কষ্টকর। ওয়াহিদার কথা শুনে মামার ও এতদিনের অনেক ভুল ভাঙে। মামা কথা দেয় তাকে যে করেই হোক আমি এ বিয়ে হতে দেবোনা। মামা সেবার খুবই কষ্ট পেয়েছিলো আত্মীয়-স্বজনদের কথায়। কিন্তু ওয়াহিদার জন্য সবকষ্ট মুখ বুঝে মেনে নিয়েছিলো। এই মূহুর্ত্বে ছোট মামা ও ছোট চাচাই হলো তার একমাত্র বন্ধু।
চলবে.............।
বিষয়: বিবিধ
১০৭২ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন