Rose Rose মানত কি? Rose Rose

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২৫ মে, ২০১৬, ০৬:৩০:১৫ সন্ধ্যা

আমরা অনেকেই অনেক কাজের জন্য মানত করি। কোন স্বপ্ন পূর্ণ হওয়ার জন্য মন্ত করি। বাস্তবতায় আমরা জানিনা মানত কি? মানত করলে কি লাভ হয় আর কি ক্ষতি হয়। কোন গুনাহ হয় কিনা তা অনেকেরই জানান নেই। তাই আসুন না জেনে নেই কোরআন হাদীসের আলোকে মানত কি? লেখাটি সংগৃহীত সুত্র ও মূলঃ ইসলাম হাউজ.কম

(শায়খ আব্দুল আজীজ বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহ এর নির্দেশনায় সংগঠিত)

রিয়াদ, সৌদি আরব থেকে। লেখাটি পড়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে তাই আমার ব্লগে পোস্টাকারে পোস্ট করলাম কারো উপকারে আসলে আমিও নিজেকে নেকী অর্জনের আকাংখা রাখি।

মানত কি?

--------

‘মানত’ বা ‘মান্নত’ আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। যেমন আমরা কখনো কখনো বলি, যদি আমি পরীক্ষায় পাশ করি তাহলে মাদরাসায় একটি ছাগল দান করব। এটি একটি মানত। অতএব, কোনো বিষয় অর্জিত হওয়ার শর্তে কোনো কিছু করার ওয়াদাকে সাধারণত: আমরা মানত বলে থাকি। কেউ বলে মানত, আবার কেউ বলে মান্নত। তবে এটি শর্তযুক্ত মানত। আবার শর্তহীন মানতও আছে। যেমন, আনন্দের খবর শুনে কেউ বলল, আমি এটা লাভ করেছি? তাই আমি মসজিদে একটি ফ্যান দান করব। এটাও মানত। তবে শর্তহীন।

মানত কাকে বলে?

---------------

আমরা বাংলাতে বলি মানত। আরবিতে বলা হয় نذر (নযর), বহুবচনে নুযুর।

মানত বা নযরের আভিধানিক অর্থ হল, নিজের দায়িত্বে নেয়া। যা নিজের দায়িত্ব নয় তা অপরিহার্য করে নেয়া। শরীয়তের পরিভাষায় মানত বলা হয় – নিজের উপর এমন কিছু ওয়াজিব (আবশ্যিক) করে নেয়া যা আসলে ওয়াজিব ছিল না। সেটা শর্তযুক্তও হতে পারে আবার শর্ত মুক্তও হতে পারে।

মানতের হুকুম

-----------

আসলে মানত করা ঠিক নয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে সব সময় উম্মতদের নিরুৎসাহিত করেছেন। বিষয়টি আমরা অনেকেই জানি না। বরং মনে করি মানত করা খুব সওয়াবের কাজ। আসলে এটি কোনো সওয়াবের কাজ নয়। বরং মাকরূহ।

অধিকাংশ ইমাম ও ফিকাহবিদের অভিমত এটাই। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন।

তবে যদি কেউ মানত করে ফেলে তাহলে তাকে তা পালন করতেই হবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্তাবলী ও নিয়ম-নীতি আছে। আমরা সে বিষয়ে পরে আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ।

মানত করা নিষেধ

---------------

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন।

হাদীসে এসেছেঃ

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাদি আল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন আমাদের মানত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, "মানত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মানতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়"।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩২৫)

হাদীসে আরো এসেছেঃ

ইবনে উমর (রাযিঃ আল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "মানত কোনো কিছুকে আগেও করে না, পিছেও করে না। বরং এর দ্বারা কেবল কৃপণ ব্যক্তি থেকে বের করা হ"য়।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩২৬, সহীহ সুনান নাসায়ী)

হাদীসে আরো এসেছেঃ

ইবনে উমর (রাযিঃ আল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন। আর বলেছেন, মানত কোনো কল্যাণ বয়ে আনে না। এটা শুধু কৃপণ ব্যক্তি থেকে সম্পদ বের করে"।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩২৭, আহমাদ)

হাদীসে এরপরে আরো বর্ণিত হয়েছেঃ

হযরত আবু হুরাইরা (রাযিঃ আল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "তোমরা মানত করবে না। কেননা মানত তাকদীরের কোনো কিছু-কে ফেরাতে পারে না। এটা শুধু কৃপণ থেকে সম্পদ খসায়"।

(সহীহ বুখারি ও মুসলিম, হাদীস নং ৪৩২৯, সহীহ সুনান তিরমিজী, সহীহ সুনান নাসায়ী)

হাদীসে তারপরে আরো এসেছেঃ

আবু হুরাইরা (রাযিঃ আল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, "যেই বস্তু মহান আল্লাহ আদম সন্তানের জন্য নির্ধারণ করেননি মানত সেটি তার নিকটবর্তী করে না। বরং তাকদীরে যা আছে মানত সেটাই নিয়ে আসে। এর মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয় যা সে খরচ করতে চায় নি"।

(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪৩৩১)

উদ্ধৃত হাদীসগুলো থেকে আমরা জানতে পারলাম–

(এক) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানত করতে নিষেধ করেছেন। অতএব মানত করা ঠিক নয়। আমরা অনেকে বিপদ-আপদে পতিত হলে মানত করে থাকি। আর মনে করি এটা সওয়াবের কাজ। আল্লাহ খুশী হবেন। কিন্তু আসলে তা সওয়াবের কাজ নয়। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করতে নিষেধ করেছেন তাতে আল্লাহ খুশী হবেন না। এবং এতে কোনো সওয়াবও হয় না। তাই আমাদের উচিত হবে কোনো অবস্থায় মানত না করা। অবশ্য মানত করে ফেললে তা পালন করতেই হবে কারণ মানত করলে তা পূর্ণ করা ওয়াজিব হয়ে যায়।

(দুই) মানত করার মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়। এ কথা বলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুঝিয়েছেন, মানত করা একটি অনর্থক কাজ। সাধারণত কৃপণ স্বভাবের লোকেরা মানত করে থাকে। তারা সুস্থ ও নিরাপদ থাকা কালে দান-সদকা করে না। কিন্তু বিপদে পড়লে আল্লাহর পথে খরচ বা দান সদকা করার বড় বড় মানত করে।

(তিন) তাকদীরে যা লেখা আছে তা হবেই। মানত করার মাধ্যমে তাকদীরের লেখা পরিবর্তন করা যায় না। তাকদীরের প্রতি যাদের যথাযথ ঈমান নেই সাধারণত তারাই মানত করে থাকে।

(চার) মানত করা হোক বা না হোক - ফলাফল একই হবে। তাকদীরে যা লেখা আছে সেটাই আসবে অবধারিতভাবে।

(পাঁচ) আলোচিত সবগুলো হাদীসই মানত না করার জন্য মুসলিমদের-কে নিরুতসাহিত ও নিষেধ করেছে। বলা হয়েছে, এটি কোনো ফল বয়ে আনে না বরং শুধু কৃপণের সম্পদ খরচ করায়।

এ সকল বিষয় জানার পর কোনো মুসলিমের পক্ষে কোনো প্রকার মানত করা উচিত নয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, যে কাজটি করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন, আমরা সেটাকে সুন্নাত মনে করি। অনেককে বলতে শুনা যায়, আপনি ওখানে মানত করেন, তাহলে উদ্দেশ্য সিদ্ধ হবে, বিপদ দূর হয়ে যাবে। অনেক খানকাহ ও দরবার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের দরবারে বা খানকায় মানত করার জন্য মুসলিম জনগণকে উৎসাহিত করে থাকে। দরাজ গলায় বলে, আমাদের এই খানকায় মানত করে কেহ বিফল হয়নি। এমনটি কতটুকু যৌক্তিক - আসা করি বুঝতে পারছেন। মহিমান্বিত আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে হিফাজত করুন! ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন!

সূত্র ও মূলঃ ইসলাম হাউজ.কম

(শায়খ আব্দুল আজীজ বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহ এর নির্দেশনায় সংগঠিত)

রিয়াদ, সৌদি আরব

বিষয়: বিবিধ

১৪৯৪ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

370089
২৫ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:০৭
মোস্তাফিজুর রহমান লিখেছেন : "মানত কোনো কিছুকে ফেরাতে পারে না। তবে মানতের মাধ্যমে কৃপণ ব্যক্তির সম্পদ বের করা হয়"।
মনতটা অনেকটা আল্লাহকে বাধ্য করারমত (নাউযুবিল্লাহ), আল্লাহকে বলা তুমি আমাকে এটা দিবা তাহলে আমি এটা দিব। বিনিময়ের মতই। অথচ আল্লাহ অভাবমুক্ত অমুখাপেক্ষী তার সৃষ্টি থেকে।
২৫ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:২৮
307145
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! সুন্দর মন্তব্য করেছেন। জাযাকুমুল্লাহ।
370095
২৫ মে ২০১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৬
শেখের পোলা লিখেছেন : অনেকে কথায় কথায় মানত করে। অনেক সময় তা আদায়ও করেনা,এতে অবশ্যই গুনাহ হয়। আর পীরের চেলারা রীতিমত উৎসাহ দেয় মানত করার জন্য। এগুলো মানুষকে ধোঁকায়ই ফেলে,গোনাহের পথে এগিয়ে নিয়ে যায়।
২৫ মে ২০১৬ রাত ০৮:০১
307157
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আমাদের সবার শুভ-বুদ্ধির উদয় হোক। জাযাকুমুল্লাহ।
370110
২৫ মে ২০১৬ রাত ১০:৩২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ধন্যবাদ শিক্ষনিয় পোষ্টটির জন্য।
২৭ মে ২০১৬ রাত ১০:০৮
307259
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। জাযাকুমুল্লাহ।
370119
২৫ মে ২০১৬ রাত ১০:৫৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, অনেক উপকৃত হলাম, মানত কিছুই ফেরাতে পারে না।

তবে সাদাকাহ ব্যপারে আরেকটি পোষ্ট করার অনুরোধ রইল, কারণ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত: সাদাকাহ দ্বারা বালা মুসিবত দূর হয়।

তাই মানত না করে সাদাকাহ করা উচিত। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া। অনেক অনেক ধন্যবাদ
২৬ মে ২০১৬ দুপুর ০১:৫৩
307171
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : হুজুর আমার অনুরোধটি আপনি করেই ফেললেন!!!
২৬ মে ২০১৬ রাত ০৮:৪৩
307194
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

যেমন, আনন্দের খবর শুনে কেউ বলল, আমি এটা লাভ করেছি? তাই আমি মসজিদে একটি ফ্যান দান করব। এটাও মানত। তবে শর্তহীন।

মানত মাকরূহ বা নিষিদ্ধ- কিন্তু এটা তো মানত নয়, বরং এটা সাদাকাহ, কৃতজ্ঞতার প্রকাশ!

এ বাক্যটির কারণে পাঠক ভালো খবর শুনে সাদাকা করা থেকে বিরত হতে পারেন!
২৬ মে ২০১৬ রাত ০৯:৪৭
307209
আবু জান্নাত লিখেছেন : এ ব্যখ্যাটিতে আমারও খটকা ছিল, কিন্তু লিখাতো আপুর নয়, অন্যদের লেখা শেয়ার করা, তাই আপুকে প্রশ্ন করে বিরক্ত করতে চাইনি। শুকরিয়া।
২৭ মে ২০১৬ রাত ১০:১২
307260
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। সুন্দর মন্তব্য করেছেন মানত না করে সদকাহ করা উত্তম। ইনশা-আল্লাহ আপনার অনুরোথ রাখতে চেষ্টা করবো। জাযাকুমুল্লাহ।
২৭ মে ২০১৬ রাত ১০:১৬
307261
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। ভাই আবু সাইফ সুন্দর মন্তব্য করেছেন মানত না করে সদকাহ করা উত্তম। তবে সাদকাহ আপনি যেকোন সময়ই করতে পারেন। কোনকিছু পাওয়ার পর বদলা হিসেবে এমন সদকাহ না করাই ভালো। আপনি সাধারন সময়ে সাদকাহ করুন। জাযাকুমুল্লাহ।
২৮ মে ২০১৬ রাত ০১:২৩
307267
আবু সাইফ লিখেছেন : @মাহবুবা সুলতানা লায়লা : আপু, আপনি বলছেন "কোনকিছু পাওয়ার পর বদলা হিসেবে এমন সদকাহ না করাই ভালো।"
আসলেই কি তাই? শোকর আদায়ের পথ সংকীর্ণ হয়ে যাবে যে!!
"ভালো খবর শুনে শুকরিয়াস্বরূপ সাদাকা করা ভালো কাজ নয়"- আপনার মন্তব্যে তো এমনটাই মনে হচ্ছে!

দুঃখিত! একমত হতে পারলে খুশী হতাম!
আরেকটু ভেবে/ঘেঁটে দেখতে অনুরোধ রইলো!
আল্লাহতায়ালা সাহায্য করুন Praying Praying
২৮ মে ২০১৬ দুপুর ০১:০১
307277
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! আবু সাইফ ভাইয়া আমি আপনাকে বুঝাতে পারলাম না। আমি একটি জিনিস পেলাম বিনিময়ে আরেকটি জিনিস দিলাম সেটা কি বদলা হলনা? আমি বুঝাতে চাচ্ছি কোন বিনিময় ছাড়াই তো আমরা সাদকাহ করতে পারি। আর সেটাই উত্তম।
370142
২৬ মে ২০১৬ সকাল ০৬:৫৭
ক্রুসেড বিজেতা লিখেছেন : ভালো লাগলো, , ধন্যবাদ ।
২৭ মে ২০১৬ রাত ১০:১৭
307262
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। জাযাকুমুল্লাহ।
370168
২৬ মে ২০১৬ দুপুর ০১:৫৪
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম, আপনার লিখাটি থেকে অনেক কিছুই জানতে পারলাম, ধন্যবাদ আপনাকে
২৭ মে ২০১৬ রাত ১০:১৭
307263
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। জাযাকুমুল্লাহ।
370195
২৬ মে ২০১৬ রাত ০৮:৪৩
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকিল্লাহ
কিন্তু-
যেমন, আনন্দের খবর শুনে কেউ বলল, আমি এটা লাভ করেছি? তাই আমি মসজিদে একটি ফ্যান দান করব। এটাও মানত। তবে শর্তহীন।

মানত মাকরূহ বা নিষিদ্ধ- কিন্তু এটা তো মানত নয়, বরং এটা সাদাকাহ, কৃতজ্ঞতার প্রকাশ!

এ বাক্যটির কারণে পাঠক ভালো খবর শুনে সাদাকা করা থেকে বিরত হতে পারেন!!!

দোয়া কবুলের জন্য দোয়ার আগে/পরে সাদাকাহ করা উত্তম কাজ, আগেও ছিল! তাই এটাকে "মানত" এর সাথে জুড়ে দেয়া মোটেও সঠিক মনে হয়না!!

আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন!!
২৬ মে ২০১৬ রাত ০৯:৪৭
307210
আবু জান্নাত লিখেছেন : এ ব্যখ্যাটিতে আমারও খটকা ছিল, কিন্তু লিখাতো আপুর নয়, অন্যদের লেখা শেয়ার করা, তাই আপুকে প্রশ্ন করে বিরক্ত করতে চাইনি। শুকরিয়া।
২৭ মে ২০১৬ রাত ১২:৩১
307224
আবু সাইফ লিখেছেন : মূল থেকে যিনি/যাঁরা অনুবাদ (+সম্পাদনা?) করেছেন তাঁদের ভুল হয়ে থাকতেও পারে!!
আপনি যদি মূলের সাথে মিলিয়ে দেখতে পারতেন, ভালো হতো!
২৭ মে ২০১৬ রাত ১০:২০
307264
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। ভাই আবু সাইফ সুন্দর মন্তব্য করেছেন মানত না করে সদকাহ করা উত্তম। তবে সাদকাহ আপনি যেকোন সময়ই করতে পারেন। কোনকিছু পাওয়ার পর বদলা হিসেবে এমন সদকাহ না করাই ভালো। আপনি সাধারন সময়ে সাদকাহ করুন। আর আমি মূল লেখাটাই পোস্টাকারে পোস্ট করেছি। জাযাকুমুল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File