"একটু নড়া' চড়ায়"
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ১৩ এপ্রিল, ২০১৬, ০৯:৪৬:১৮ রাত
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর যিনি পাহাড়সম পাপে নিমজ্জিত থাকা মানুষকে এখনো বাঁচিয়ে রেখেছেন। যিনি অধিক পাপ করার পরেও চান তার বান্দা তওবাহ করুক। আল্লাহর প্রতি রুজ্জু হোক। আল্লাহর বিধানকে বাদ দিয়ে গত কয়েকদিনে পুজার যে আয়োজন চলছে মহান আল্লাহ বান্দাহকে জমিন সহকারে একটু নাড়া দিয়ে দেখলেন। মানুষ সঠিক পথে আসে কিনা। আমাদের এই দেশে ৯০/৯৫% ভাগ মুসলমানের দেশে যদি হয় মূর্তি পুজা তবে আর কি বলার আছে। মহান আল্লাহ তো অধিক ছবরশীল নয়তো মূতুর্ত্বেই সব খতম হয়ে কেয়ামত হয়ে যেত। একসময় বুঝতাম না আল্লাহর ছবর নামের মর্মার্থ। এখন বুঝি আসলেই মহান আল্লাহ যদি ছবরশীল না হতেন তবে পৃথিবী অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে যেত।
হে মানুষেরা তোমাদেরকে কেন পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে একবারও কি চিন্তা করেছ? চিন্তা করেছ কি কাজ তোমার? আর কি নিয়ে তুমি ব্যস্ত? সকল মানুষকে সামান্য একটু ন'ড়া চ'ড়া দিয়ে মহান আল্লাহ সতর্ক করছেন। এখনো সময় আছে সঠিক পথে ফিরে এসো নয়তো আল্লাহর আযাব পেতে নিজেকে তৈরি করো। এই তো একটু আগে, সন্ধ্যা ৭টা ৪৫মিনিট বা ৫০ মিনিটে কি ভয়াবহ ভূমিকম্প হলো। মানুষ একটুতেই আতঙ্কিত হয়ে উঠলো। অথচ যারা কোরআনের এই বিধানকে মানুষের মাঝে প্রচার করে তাদেরকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সূরা যারিয়াতের ৫৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলেনঃ আমি জিন ও মানুষকে আমার ইবাদত করা ছাড়া অন্য কারো গোলামির উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি।
ইবাদত যতক্ষন না একনিষ্ঠভাবে একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য করা ততক্ষন তা অগ্রহণযোগ্য। আল্লাহ বলেনঃ সূরা বায়্যিনাহ এর ৫ নং আয়াতে তাদেরকে এছাড়া অন্য হুকুম দেয়া হয়নি যে, তারা যেন দ্বীনকে আল্লাহর জন্য খালিস করে একমুখী হয়ে আল্লাহর দাসত্ব করে এবং নামাজ কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে- এটাই সঠিক মজবুত দ্বীন। এখন একটু ভাবলেই আমরা বুঝতে পারি আমরা কিসের মাঝে লিপ্ত আছি। আমাদেরকে ক্ষমা করো হে রহমানুর রাহীম। হে আল্লাহ তুমি মুসলমান সবাইকে হেদায়াত দাও। তুমি সকলকে সঠিক বুঝ দাও।
আজি আফছূছের সাথে বলতে হয়ঃ
ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হও
তবুও আসোনা হেদায়াতে পথে!
তওবাহ করো ক্ষমা চাও
চলো আল্লাহর বিধান মতে!
১৩ই এপ্রিল ২০১৬
মদিনা মনোয়্যারাহ সৌদি আরব।
বিষয়: বিবিধ
১০২৪ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে এটা ঠিক, আল্লাহ্ ভূমিকম্পের মত আরো অনেক কিছু দেখিয়ে বান্দাকে সতর্ক করে থাকেন.
ভূমিকম্প হলেও এখন মানুষের মনে আল্লাহর ভয় আসে না। এটা ফেসবুকে পোস্ট কমেন্ট করার একটা অনুষঙ্গ তোইরি হয়।
তবুও যদি আমাদের হুশ না হয়, তাহলে নিজেদের কপাল নিজেরাই খাব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন