‘’পথ পাওয়া দিনগুলো’’

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ১৪ মার্চ, ২০১৩, ০৫:০৬:২৮ বিকাল

সেদিনটি ছিল জুমা’র দিন! প্রতিদিনের মতই একটি দিন। তবে কিছুটা ব্যতিক্রম। আর আমার জীবনে অনেক অনেক মূল্যবান এই দিনটি। আজ আমি বুঝতে পারলাম আমি কেন এত বোকা? আমি শুধু বোকাই নই, বোকার পোষাক পরে বসে থাকা (মানে চরম বোকা) আমার এই বোকামির কারনে যদি একজন মানুষও দ্বীনের ব্যপারে অনিহা প্রকাশ করে তবে আমি যে, ধবংসের অতি নিকটতম হয়ে যাবো। আল্লাহ আমাকে ও আমার ঈমানকে হেফাজত করুন।

এই কথাটা আমি ছাড়া বাকি সবাই বুঝে ইসলাম কত মহা মূল্যবান ধর্ম। আমিই একমাত্র বোকা ছিলাম এতদিন, নিজকে নিজে বোকা ছাড়া আর কিইবা বলবো? আমি আল্লাহর এমন এক বান্দি যাকে আল্লাহ তা’য়ালা দয়া করে তাঁর প্রিয়তম বান্দিদের দ্বারা ইসলামের সুসংবাদ পৌছিয়েছেন, দ্বীনের আলো পৌছিয়েছেন আমার অন্ধকার অন্তরে। যারা আমাকে দ্বীন কি শিক্ষা দিয়েছেন, বুঝিয়েছেন মুসলমান হওয়ার কি দায়িত্ব,

কি কি আমার জন্য জানা ফরজ, আর কি কি আমার জন্য মানা ফরজ, আর শিখিয়েছেন গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার কি উপায়। যখন জেনেছি ঠিক তখন থেকেই খালি দীলে, শূন্য ঈমান নিয়ে চলতে শুরু করেছি। অনেক দেরিতে হলেও বুঝেছি যে, পর্দা করা ফরজ, কিন্তু পালনে সুযোগ দেবে এমন কেউ এই পরিবারে নেই। কারন সবাই সাধারণ জ্ঞানের অধিকারী।

ইসলামের জ্ঞান খুবই কম জানেন তার উপর যতটুকু জানেন ততটুকুও মানেন না। জেনেছি পর্দা ফরজ কিন্তু মানতে চেষ্টা করার শুরুতেই আশ-পাশের প্রতিবেশীর নানান কটূকথা। কি করা সকলের অপবাদ মাথা পেতে নিয়ে, একমাত্র আল্লাহকে রাজী-খুশি করার জন্য পর্দার (লেবাস) মানে বোরকা পরিধান শুরু করলাম। আগ-পিছ কিছু না ভেবে চলতে শুরু করলাম হিজাব পড়া জীবন নিয়ে।

তখন আসলে এজীবনটাকে আমার কাছে ভাল লাগলেও, তখনের কষ্টের ভাগটা ছিল পরিমানে অনেক অনেক বেশি। যা আমি এখনো উপলব্ধি করি কিন্তু আমি আজ কাউকে দেখাতে পারবো না, এবং সে চিত্র ও তুলে ধরা যাবেনা পুরোপুরি ভাবে। কারন ঘূর্নিঝড় এসে সব তছনছ করে গেছে, রেখে গেছে ডাল/পালা আর কিছু ভাঙা চূড়া বাড়ি ঘরের ধবংসাক্তক ছবি, যার প্রতিচ্ছবি কখনোই তুলে ধরা যাবেনা।

কারন তা দেখাতে হলে আবার ধবংসেরই প্রত্যাশা করা হবে। এই নতুন জীবনে ছুটে আসলো আমার কর্ণ-কুহুরে নানান জনের নানান কথা, শুধু কি কথা? এ যেন বিষাক্ত সর্পের দংশন, মনে মনে আল্লাহর সাহায্য চাওয়া ছাড়া কিছু করার নেই আমার। এই পর্দার কারনে আত্মীয়-স্বজনের আদর থেকে (মাহরুম) বঞ্চিত হলাম। বঞ্চিত হলাম প্রতিবেশীদের ভাল ব্যবহার থেকেও। বোরকা পরা মেয়েদের বিয়ে নিয়ে সমস্যা হয়।

এমন কি সবার সাথে নিজের জম্মদাতা পিতা পর্যন্ত এ ব্যপারে খারাপ মন্তব্য করলো যে, বোরকা পরা মেয়েদের নাকি লোকে খারাপ ভাবে। এদের বিয়ে দিতে কষ্ট হয়। বাবার বলা সে কথা গুলো সেদিন সহ্য করতে পেরেছিলাম এক আল্লাহর ভালবাসা আমার মনের মধ্যে গভীর হয়েছিল তাই। তখন মাঝে মাঝে মনে হতো পৃথিবীটা আসলে এমন কেন? কেন সহজকে সহজ মনে করা হয়না?

কেন ভালকে ভাল ভাবা যায়না? আমি কি তবে সবার বদ্দোয়ার অংশীদ্বার হচ্ছি? পর্দা করার কারনে চাচারা কেউ ডাকে ও না। পরক্ষনেই মনে হল আল্লাহ যদি খুশি থাকেন তবে আর কোন বদ্দোয়াই আমার কিছু করতে পারবে না। ক্ষনিক পরেই আমার মনকে আমি স্থীর করে নিলাম আল্লাহর জন্য আমি সব পারবো ইন.....লাহ। ক্ষত অন্তরেই সবার দেয়া সবকষ্ট নিরবে সহ্য করলাম

এক আল্লাহকে রাজী-খুশি করার উদ্দেশ্যে, আর সব সময় আল্লাহর দরবারে দোয়া ছুড়ে দিতাম হে আল্লাহ!! সবাই আমাকে খারাপ বলুক, খারাপ ভাবুক, যত ইচ্ছা মন্তব্য করুক আমি তো স্বাধারণ মানুষ! মাটির আদম (আঃ) এর সন্তান। অথচ কত মহিয়সী মানুষও কত লাঞ্চনা, কত বঞ্চনা সহ্য করে চলে গেছে পৃথিবীর বুক থেকে।

হে আল্লাহ! তুমি শুধু আমাকে সবর শক্তি দাও, আমি যেন সবার দেয়া কষ্ট সহ্য করতে পারি। নিরবে চলতে থাকলাম সামনে। আদর, ভালবাসা এমন কি ভাল ব্যবহারও পেলাম না নিজের আত্মীয় স্বজন থেকে, বাদ দিলাম সবকিছু। দেখি আল্লাহ আমায় কোন পর্যন্ত নিয়ে যায়। এমন জীবন নিয়ে সামনে চলা খুবই কঠিন হয়ে পড়লো আমার।

তারপরও চলছি তো চলছি আল্লাহ চালাচ্ছেন যেভাবে। এ এক কঠিন সংগ্রামী জীবন। যে জীবনে ভাল ব্যবহার কি, কি ভালবাসা, আর কি মানুষের মমতা তা ভূলে গেলাম। সব ভূলে সামনে চলতে শুরু করি। আমার নতুন জীবন নিয়ে। সাথে থাকলো বুক ভরা কষ্ট, আর যাতনা। আরো সাথে থাকলো মহান আল্লাহর ভালবাসা। তখন কখনো মাঝে মাঝে মনে হতো

আসলেই কি তাই পর্দা করলে বিয়ে হবেনা? ধীরে ধীরে মেনে নিলাম তাও যে, না হোক বিয়ে, বিয়ে দিয়ে কি হবে? যদি আল্লাহর সন্তুষ্টি ব্যতীত মরে যাই, যদি বিপথে থেকেই মরন এসে হানা দেয় তবে যে আমার দূ-জাহানই বরবাদ হয়ে যাবে। আনমণে দোয়া করতাম, ভাবতাম আল্লাহ যখন দিবে তখন আর কোন অপূর্ণতা থাকবে না। সে সময়ের প্রত্যাশা বুকে নিয়ে কষ্টের দিনগুলো পার করলাম,

আমার সে ভূবনে কষ্ট আর ছবর ছাড়া কিছু নেই। আল্-হামদুল্লিল্লাহ; আজ আমি আল্লাহর মেহেরবানীতে পরিপূর্ণ। তবুও কষ্টের কথা গুলো মনে এলে শান্তনা খুজে নেই আমার জীবন সাথীর কাছ থেকে। এভাবে দুই বছর গেল ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত। প্রয়োজনে শুধু মায়ের সাথে কথা বলতাম, এই একজন ব্যক্তিই তখন আমার জীবনে ছিল। যার জন্য আমার জীবনটা বিলিয়ে দিলেও কিছুই করা হবেনা।

কত কষ্টেও একমাত্র মা-ই আমাকে শান্তনা দিয়েছেন। নতুন করে কত স্বপ্ন দেখিয়েছেন। কত আশার বাণী শুনিয়েছেন, আমার এই মা। এই মা-ই আমাকে ছবর শিখিয়েছেন, বুঝিয়েছেন সবের পরেও আল্লাহ-ই সবকিছু। আর আল্লাহ খুশি থাকলে সব ঠিক থাকবে। আল্লাহ সাথী হলে আর কি চাই এই পৃথিবীতে? আমি তাই জানলাম, ও মেনে নিলাম নিরবে।

এই মায়ের মত বন্ধু আমি আর পাইনি। আর মা ছাড়া আর কাউকে কোনদিন পাবো ও না। যার পায়ের তলদেশে আমার জান্নাত। এই মা, মা-ই আমার সব ছিল তখন। সবার থেকে আলাদা এক মানুষ হলাম আমি। একদিকে আল্লাহর হুকুম, অপর দিকে মানুষের কটূকথা। নিরবে নিভৃতে শুধু আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি আল্লাহ এই সমস্যা থেকে আমাকে তুমি বাঁচাও।

নয়তো মুত্যু দাও। যদিও আমি জানতাম মৃত্যু কামনা করা উচিৎ নয়। তথাপি বাধ্য হয়ে এই এক কথাই বলতে লাগলাম। আর কাঁদতে লাগলাম একাকী হলেই মহান আল্লাহর কাছে। হে আমার প্রভু! তুমি আমাকে উত্তম ব্যবহার দান করো। যে ব্যবহার দ্বারা তোমার দ্বীনের পথে সৈনিক বাড়াতে পারি। হাসতে ভুলে গেলাম, ভুলে গেলাম সমবয়ষীদের সাথে খেলতে, আড্ডা দিতে,

সব কাজেই মনে হতো এটা গুনাহ ঠিক হবেনা। এরুপ করলে আল্লাহ পছন্দ করবেনা। নবী (সঃ) এর সুপারিশ পাওয়া যাবেনা। নানান ভাবনায় আর সবার অবহেলায় আমি যেন দুমড়ে মুচড়ে পড়ি। আমার মা আবার আমাকে নতুন ভাবে শান্তনা দেন। কারন আমার মা আমার এই সিদ্ধান্তকে খুবই পছন্দ করতেন। আর আমার মনের চিন্তা বুঝতেন। এবং সে অনুযায়ী পরামর্শ দিতেন।

যেন আমি এই পথ আর না ছাড়ি এজন্য। আমার মায়ের দেয়া পরামর্শে আমার যেন ঈমানী শক্তি বেড়ে যেত অন্য রকম শক্তি পেতাম মনের মাঝে। ভাবতাম আল্লাহ যদি আমার হয়। দুনিয়ায় আর কিছু কি বাকি রয়? আমার মা ও আমার জন্য দোয়া করতেন প্রান খুলে যেন এই যন্ত্রনা পেতে পেতে একদিন আল্লাহ সহজ করে দেন। হঠাৎ একদিন আল্লাহ সেদিনটি এনে দিলেন আমার জন্য।

সহজ করে দিলেন আমার কন্টকময় পথ। যাদের কাছ থেকে সামান্য সহযোগীতার আশা করতে পারিনি। তাদের পক্ষ থেকে পেলাম অকল্পনীয় ভাল ব্যবহার। যেখানে পর্দা পরিধান করলে বিয়ে হবেনা এমন চিন্তা ভাবনার লোক, সেখানে দু’হাতে সাহায্য পাওয়া কল্পনা-ই বটে। মনে হল আল্লাহর সাহায্য-ই আসতে শুরু করেছে। আস্তে আস্তে কিছু কিছু আত্মীয় স্বজন থেকে পেতে থাকলাম ভাল ব্যবহার।

সবাই না হলেও মোটামুটি অনেকে আমাকে, আমার পোষাককে সম্মান করতে লাগল। মনে মনে অনেকদিন পর আনন্দ পেলাম। আর ভাবতে লাগলাম আল্লাহ হয়তো আমার পৃথিবী বদলে দেবে এতদিন পর। আল্লাহ সত্য এবং আমি সৎপথে ছিলাম তাই তিনি আমাকে তাঁর পথে কষ্টের পরও টিকিয়ে রেখেছেন। আমি আন্তরিক শুকরিয়া আদায় করলাম আমার প্রতিপালক

সেই মহান স্রষ্টার কাছে যা চেয়েছি নিরবে, আনমণে, রাতের গভীরে, তিনি তাই দিয়ে আমাকে পূর্ণ করেছেন। তাই যখনই মনে আসে সেই দিনগুলোর কথা অসংখ্য, অজস্র শুকরিয়া করতে থাকি তাঁর তরে। তাঁরপর থেকে কষ্ট গুলোকে আর তেমন কষ্ট বলে মনেই হয়নি, মনে হয়েছে একাকি জীবনের কষ্টের চেয়ে এই কষ্ট বহুগুণে কম। আসলে সব কষ্টের সময়ই যদি

একজন সত্যিকারের শান্তনা দেয়ার মত ব্যক্তি পাওয়া যায় তবে মানুষ যে কোন বড় কষ্টেই ছবর করতে পারে। আমিও তাই সে সময়ের কষ্টে ছবর করতে পেরেছিলাম। যারা এমন কষ্টে পরেন নি তারা তা বুঝবেনও না, যারা পরেছেন একমাত্র তারাই বুঝবেন। মানে যারা ভুক্তভুগি তারাই এর আসলতা সম্পর্কে বুঝবে। আর আমিও বুঝতে পারলাম যে,

আল্লাহর কাছে আমরা যদি চাইতে পারি তবে তিনি সব চেয়ে মূল্যবান জান্নাত সেটাও বান্দাকে দেয়ার জন্য প্রস্তুত। আসলে আমরাই চাইতে জানি না। অথবা চাওয়ার মত ধৈর্য নেই আমাদের। সে যা হোক, সে সব দিন ফুরিয়ে গেছে ঠিকই কিন্তু মনের কোথাও যেন হঠাৎ হঠাৎ অনুভূত হয়, আল্লাহর ভালবাসায় মানুষ আসলে সবই পারে।

পৃথিবীর যেকোন মানুষের মনের মাঝে যখন আল্লাহর ভালবাসা গভীর হয় তখন সে মানুষ চোখ বন্ধ করেও আগুনে ঝাপ দিতে পারে। সব আবেগ, সব কষ্ট, সব সুখ, সব কান্না, সব চাওয়া যখনই পূর্ণ ভাবে আল্লাহর কাছে দিতে পারে তখনই আল্লাহ মহান সব কষ্ট, সব চাহিদা পূরন করে দেন। আমিও যখনই দিতে পেরেছি ঠিক তখনই তিনি আমার

ঐসময়ের জন্য যত কষ্ট ছিল তা দুর করে দিয়েছেন আল-হামদুলিল্লাহ! এবং আরও বেশি দিয়েছেন, যার জন্য আজীবন শুকরিয়া আদায় করলেও শেষ হবেনা। এক সময় লোক মুখে শুনতাম ইতিহাস, ইতিহাস, তখন বুঝতাম না আসলে ইতিহাস কি? আর এখন যখন বুঝি তখন মনে হয় প্রত্যেক মানুষের জীবনই এক একটা ইতিহাস। মানুষের জীবন নিয়েই আলাদা আলাদা ইতিহাস রচিত,

সে ইহিতাস কেউ রচনা করে, আর কারোটা অজানাই রয়ে যায় আজীবন। উঠেনা পত্রিকার পাতায়, বা রেডিও খবরে, বা অন্য কোন মাধ্যমে। যাই হোক, সবের পরেও আল্লাহই থাকেন পাশে। আমার সবচেয়ে কষ্টের সময়ে আমি কাছে পেয়েছি তিনি হলেন আমার প্রতিপালক মহান আল্লাহকে, আর কাছে পেয়েছি আমার মাকে, এদু’জনের দানের ঋন আমি কখনোই শোধ করতে পারবো না।

না আল্লাহর শুকরিয়া করে শেষ করা যাবে, আর না আমার মায়ের ঋন শোধ করতে পারবো। তবে মায়ের জন্য প্রান খুলে দোয়া করি আল্লাহ আমার মাকে পরিপূর্ণ হেদায়াত নসীব করুন। এবং দুনিয়াতে ঈমানের সাথে রাখুন, আর ঈমানের সাথে মৃত্যু দিন। আমার সেদিনের কষ্ট গুলোকে আজ কষ্ট বলে মনে হয়না কারন হিসেবে বলতে পারি আল্লাহ সে সময়ের কষ্টের দিন গুলোতে যখনই দোয়া করতাম তখনই বলতাম

হে আল্লাহ!! তুমি আমাকে একজন দ্বীনদ্বার জীবন সাথী মিলিয়ে দিও, যে আমাকে বুঝবে, পর্দার মানে বুঝবে, আমাকে পর্দা করতে উৎসাহ দিবে, আর সুযোগ করে দেবে এবং আমি তা সহজে করতে পারবো। সে আমাকে যদি গাছ তলায় ও রাখে আমি তাতে কষ্ট পাবোনা। আমার এব্যপারে কোন অভিযোগ ও থাকবে না। আমি সুখী হবো মনে প্রানে। প্রক্ষান্তরে আমাকে যদি রাজ-প্রাসাদে ও রাখে

আর আমাকে বেপর্দাতে থাকতে বলে আমার জীবনে কষ্টের শেষ থাকবে না। বেপর্দা জীবনের চেয়ে আমার কাছে দা এর নিচে জীবন দেয়া সহজ ছিল। আল-হামদুল্লিল্লাহ!! আমার এই জীবনে আমি আজ পূর্ণ। যাকে নিয়ে আমি সুখী, যাকে নিয়ে পূর্ণ, যাকে আমি আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে এনেছি অনেক সাধনার পরে যার প্রতি আমি অনেক অনেক খুশী।

আমার জীবনে আমি আমার যে চিরকালের দোসত-দোসর পেয়েছি তাতে আমি নিজেকে নিজে ভাগ্যবতী না বলে পারি না। এবং মহান মহীয়ানের দরবারে প্রত্যাশা তিনি যেন আমার এই পূর্ণবতী সাথীকে ইহজগতেও সম্মানিত করেন আর ওপারের জগতেও সম্মানিত করেন। আমি আমার পরম বন্ধুর শান্তি কামনা করি সবসময়। আমি তাঁর ভাল ব্যবহার, তাঁর দ্বীনদারীতেও অনেক অনেক খুশী।

আল্লাহ আমার এই প্রিয়তম বন্ধুর চরণের কাছে আমাকে রাখুন মৃত্যু পর্যন্ত। এবং তাকে খেদমত করার সুযোগ দিন আমার ছোট দু’হাতে আর কবুল করে নিন আমাদেরকে জান্নাতের বাগীতে। সব কষ্টের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি আল্লাহর কাছে কেউই মনে-প্রানে চেয়ে নিরাশ হয়না। যদি সে চাওয়ার মাঝে কোন খূত বা ছলনা বা মানুষকে ধোঁকা দেয়ার মনোভাব না থাকে।

মহান আল্লাহ সবাইকে আ’ম ভাবে হেদায়াত নসীব করুন। এবং তাতে অটল-অবিচল রাখুন। যেভাবে নবী (আলাই হিমুস-সালাম) গণকে রেখেছেন, সাহাবাগণকে রেখেছেন, সেভাবে আমাদেরকে ও রাখুন। আর আমাদের জন্য দ্বীনের পথে চলা সহজ করে দিন। আমি এবং আমার সাথী ও আমাদের ভবিষ্যতকে কল্যানময় করুন। আর পর্দাকে মানার জন্য এমন ভাবে সুযোগ করে দিন

যেভাবে নবী (সঃ) এর পত্নি, ও নবী (সঃ) এর কন্যাদ্বয় করে গেছেন। তাদেরকে অনুশরন করার তৌফিক দিন। আর আমাদেরকে এই সত্যপথের উপর অটল রাখুন যেন কঠিন ঝড়েও আমরা ভেঙে না পড়ি। আমাদের জন্য আর আমাদের আগত প্রজম্মের জন্য ইসলামের বিষয় মানতে সহজ করে দিন। আর কবুল করে নিন। আমিন! আমিন! আমিন!

বিষয়: বিবিধ

১৭৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File