"আল্লাহর ভালোবাসায়"
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০৭:৩৯:৪৯ সন্ধ্যা
"হোসি কনিওকে সমাহিত করা হবে বাংলাদেশে"
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় জাপানি নাগরিক হোসি কনিওর মরদেহ তার পরিবার গ্রহণ করতে অস্বিকৃতি জানিয়েছে। যার কারণে তাকে রংপুরেই সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রংপুর সিটি মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে জাপানি দূতাবাস থেকে ফোন করে তাকে ইসলামি শরিয়া মতে দাফনের অনুরোধ করা হয়েছে। মুসলমান হবার পর তার নাম হয় গোলাম কিবরিয়া। যার হাত ধরে এ জাপানি নাগরিক মুসলমান হয়েছিলেন তার নাম মাওলানা তাজুল ইসলাম। তাজুল ইসলাম বলেন, কনিও মুসলমান হবার ৮ দিনের মাথায় আমার সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন।
এখানে ক্লিক করুন
সুন্দর এই পৃথিবীতে নিজেকে সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য, নিজেকে আল্লাহর পছন্দশীল করার জন্য ইসলামের বিকল্প কোন পথ নেই। যে নিজেকে আল্লাহর রঙে রঙিন করতে চায় সে যেন আল্লাহর দেয়া বিধান ইসলামকে মেনে চলে। আর যারা সেই বিধানকে মেনে নিয়ে বেধর্মী থেকে ইসলামের সুশীতল ছায়া তলে আশ্রয় গ্রহন করেছেন তারা তো মাসুম বনে গেছেন।
“নিশ্চয়ই আল্লার নিকট একমাত্র ইসলামই আনুগত্যের বিধান (জীবন বিধান)। ”-(সূরা আলে ইমরান: ১৯)
যে ইসলাম ছাড়া অন্য প্রকার আনুগত্যের বিধান চায় তার থেকে সেটা গ্রহণ করা হবে ন। ”-(সূরা আলে ইমরান:৮৫)
অর্থাৎ আল্লাহর আনুগত্যের বিধান আল্লাহর নিকট একমাত্র ইসলামই। সূরা মায়েদার তিন নং আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা বলেন; আজ তোমাদের বিধান (জীবন বিধান) পূর্ণ করে দিলাম। ”(সূরা আল মায়েদা: ৩)
দ্বীন ইসলাম কতটা ব্যাপক তা শেষ নবী (সঃ) এর বাস্তব জীবন থেকেই পরিষ্কার বুঝা যায়। তিনি আল্লাহর রাসূল (সঃ) হিসেবেই সব কাজ করতেন। মসজিদে ইমামতি করার সময় তিনি যেমন রাসূল (সঃ) ছিলেন, মদীনার রাষ্ট্র পরিচালনার যাবতীয় কাজ করার সময়ও তিনি রাসূলই (সঃ) ছিলেন। যুদ্ধের ময়দানেও তিনি রাসূল (সঃ) ছিলেন। অর্থাৎ তিনি যত কাজ করেছেন ও যত কথা বলেছেন তা রাসূল হিসেবেই করেছেন ও বলেছেন। ধর্মীয় বিষয়ে যেমন তিনি রাসূল (সঃ) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, যুদ্ধনীতি ইত্যাদি বিষয়েও রাসূল (সঃ) হিসেবেই সবকিছু করেছেন। তাই রাসূলুল্লাহ (সঃ) এর গোটা জীবনটাই ইসলামী জীবন যতাটা ব্যাপক দ্বীন ইসলামও ততটা ব্যাপক। রাসূল (সঃ) কে সব অবস্থায় পূর্ণরূপে মেনে চলাই মুসলিম জীবনের কর্তব্য। শুধু ধর্মীয় বিষয়ে রাসূল(সঃ) কে মেনে চললেই ইসলামী জীবন গড়ে উঠে না।
“সূরা আহযাবের একুশ নং আয়াতে বলা আছে; তোমাদের মধ্যে যারা আল্লার (সন্তুষ্টি) ও শেষ দিনের (মুক্তির) আকাংখা করে তাদের জন্য রাসূল (সঃ) এর মধ্যে সুন্দরতম আদর্শ রয়েছে। “-(সূরা আল আহযাব: ২১) এই মর্মে যারা একমাত্র আল্লাহকে একমাত্র স্রষ্টা মেনে, রাসূল (সঃ) কে একমাত্র নেতা মেনে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তারা ইসলাম কবুল করার সাথে সাথে নিষ্পাপ মাসুম হয়ে যায় আর বাকি জীবনে সে যদি আল্লাহর বিধান মতো ও রাসূল (সঃ) এর আর্দশ মতো চলতে পারে তবে তো সোনায় সোহাগা। আল্লাহ ও তার রাসূল (সঃ) ই তার জন্য যথেষ্ট। এভাবে হোসি কনিওক ও তার মতো যারা আল্লাহর ভালোবাসায়; নিজের বাপ-দাদাদের ধর্ম পরিত্যাগ করে ইসলামের চিরশীতল ছায়া তরে আশ্রয় নিয়েছেন, আর সেজন্য নিজের স্বগোত্রের থেকেও পাননি সহানুভূতি, ধর্ম ত্যাগের কারনে যারা নিজের সমাজ থেকে, সম্পদ থেকে হয়েছেন বহিষ্কৃত তাদের সকল কাজকে মহান আল্লাহ তা'য়ালা কবুল করুন। তাদের ভুল গুলোকে ক্ষমা করুন। আর জান্নাতুল ফিরদাউসের বাগানে চিরস্থায়ী থাকার ব্যবস্থা করুন। আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১০৫৭ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহতায়লা তাকে কবুল করুন।
ইসলাম কবুল করায় অতীতার সব গুণাহ মাফ,
তারপরে আততায়ীর হাতে মৃত্যুর কারণে "শহীদ" এর মর্যাদা..
আসলেই ভাগ্যবান তিনি!!
আল্লাহতায়ালা কবুল করুন আমীন!
'অন্যায় ভাবে নিহত ব্যক্তিও শহীদি মর্যাদা পায়!'
উল্লেখিত দুই নীতিতে বিশ্বাস করতে হবে মরহুম জাপানী ইনশা আল্লাহ জান্নাতুল ফেরদাওসে আসীন হবেন!
আমিন আল্লাহুম্মা আমিন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন