Rose Rose জীবনটা ছোট্ট স্বপ্ন ছোট নয়! Rose Rose

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৪:১৭:৪৩ বিকাল

মানুষের জীবনটা ছোট্ট কিন্তু দু'চোখের স্বপ্ন ছোট নয়! জীবনের স্বপ্নগুলো দীর্ঘ থেকে দীর্ঘায়ু! সে স্বপ্ন পূরনের আকাংখাও কম নয় মানবিক অন্তরে! প্রত্যেক মানুষের মনেই ভিন্ন ভিন্ন আকাংখায় পূর্ণ! সবাই সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন চায় তবে সবাই পূর্ণতা পায়না! কেউ অল্পতেই পায় আর কেউ পাওয়ার আকাংখা বুকে নিয়ে বেঁচে থাকে! আর কেউ কখনোই পায়না! জীবনের এই ছোট্ট পরিসরে অপূর্ণই থেকে যায় তা!

ছোট্ট এই জীবনের পরিসরে কত প্রিয় প্রিয় ব্যক্তিত্বের সাথে পরিচয় ঘটেছে তা লিখে শেষ হবেনা! তবে কিছু কিছু ব্যক্তিত্বকে মনে রাখতেই হয়! মনে রাখতে হয় তাদের থেকে পাওয়া ভালোবাসাকেও হোক তা অল্প! আন্তরিকতাই মূল বিষয়! পৃথিবীর গোল বৃত্তের মাঝে চলতি পথে অনেকের সাথেই পরিচয় হয়, লেন-দেন হয়, সম্পর্ক হয়! আবার সময়ের ব্যবধানে ভুলেও যেতে হয়! তারপরও কিছু কিছু মানুষের স্মৃতি মনের মণি-কোঠায় স্থান করে আছে তারা কখনোই মনের সেই জায়গা থেকে সরে না! কারন তাদের নম্রতা, তাদের উদারতা, তাদের ভালোবাসা, ভালো ব্যবহার, তাদের মানুষকে উজার করে উপকার করার মন-মানষিকতা এতটাই গভীর যে, তাদের সেই উপকারকে ভুলে গেলে নিজের ব্যক্তি সত্তাকেই ভুলে যেতে হবে!

তাই আজকের এই লেখা সেই প্রিয় ব্যক্তিত্বকে নিয়ে যিনি জীবনের সবটুকুন সময়ই ব্যয় করেছেন মানুষের উপকারের জন্য! আর সেই উপকারের প্রতিদান আল্লাহর কাছেই চান! তিনি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবকিছু করেন উদার চিত্তে! কেউ তার কাছাকাছি না এলে বুঝবেই না তিনি কতটা উদারপ্রাণ? কতটা মানুষের জন্য প্রাণবন্ত! নিজেকে কতটা উজার করে মানুষের উপকারে নেমে যান তা স্ব-নজরে না দেখলে বিশ্বাস হবেনা!

আমার সেই প্রিয়তম ব্যক্তিত্ব পেশায় ডাক্তার (গঈনী ডাক্তার)! তিনি মদিনার সরকারি হসপিটালে চিকিৎসক হিসেবে আছেন! বাঙালি মহিলাদের একমাত্র চিকিৎসা সেবার কেন্দ্রবিন্দু এই ডাক্তার ভাবি! নিজের টাকা দিয়ে ঔষধ কিনে মানুষের সেবা করা বর্তমান সময়ে দূর্লভ ব্যপার! এই ডাক্তার ভাবি নিজেকে বিলিন করে মানুষের সেবা করেন! বিশেষ করে প্রবাসী বাঙালি ফ্যামেলি গুলো তার কাছে চির কৃতজ্ঞ সবসময়! কারন তিনি কোন রোগী থেকে ফি নেন না! বরং কোন কোন রোগীকে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে ঔষধ কিনে দেন! এমন ডাক্তারের মহৎ সেবার কথা স্বপ্নীল মনে হবে! তবে এটাই বাস্তবতা!

আমার প্রিয় এই ব্যক্তিত্ব নিজে পছন্দ করে বিয়ে করেন! পরিণয়ের পারম্ভে (হানিমুন) মধুচন্দ্রিমা থেকে ফেরার পথে কার এক্সিডেন্টে তলপেটে আঘাত পান! এই আঘাত ধৈর্যের সাথে বরণ করে নেন! এরপর পাঁচটি সন্তান (দুইটি মেয়ে ও তিনটি ছেলে) হয়ে মারা যান এই কষ্টেও সবর করেন! আল্লাহর কাছে পূর্ণপ্রাপ্তি পাবার আশায়! পরিশেষে এই প্রিয় মানুষটি বর্তমানে ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন রোগী! এই রোগেও তিনি প্রাণ ভরে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছেন!

কারন তিনি জানতে পেরেছেন তিনি যেকোন সময় মারা যাবেন, উনি তো সব সময়ই ইবাদত করতেন এখন আরো বেশী বেশী করে করতে চেষ্টা করেন! ২০১২ সালের শেষের দিকে উনার এই রোগ ধরা পড়ে, তখনই ডাক্তার জানিয়ে দেয় একসপ্তাহের মধ্যেই মারা যাবেন! কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণীতে তিনি এখনো বেঁচে আছেন! তবে গত সপ্তাহ থেকে খুবই বেশী অসুস্থ! এতদিন ও অসুস্থ ছিলো কিন্তু তিনি মনের জোর দিয়ে সবকাজ সমাধা করেন! গত কয়েকদিন খুবই অসুস্থ! গতপঁচিশে আগষ্ট তিনি কাউকেই চিনতে পারছিলেন না! পরিশেষে ভাইয়া ভাবিকে ঘুমের ঔষধ দিয়ে ঘুম পাঁড়িয়ে রাখেন! রোগীরা সবাই যেন তাদের হৃদয়ের চাঁদটাকে ক্ষনিকের জন্য মেঘের ভীড়ে হারিয়ে ফেলেছিলাম! ছাব্বিশে আগষ্ট মসজিদে নব্বীতে দেখার পর মনটা শান্ত হয়েছে! মনে হয় যেন তিনি আমাদের শরীরেরই অংশের মত!

ডাক্তার ভাবির কিছু হলে মদিনার বাঙালিরা অসহায় হয়ে পড়বে! প্রবাসে চিকিৎসা সেবা মানে খরচ ব্যয়বহুল! যারা পুরো ফ্যামেলি নিয়ে থাকেন তারা ভালো জানেন! প্রিয় ব্লগার ভাইয়া ও আপুনিরা আপনাদের সকলের কাছে আমার দোয়ার দরখাস্ত! আপনারা এই মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্বের জন্য মন ভরে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন তিনি যেন উনাকে মোটামুটি সুস্থ রাখেন যেন তিনি আমাদের মাঝে আরো অনেক অনেকদিন বেঁচে থাকেন! আর আল্লাহ যদি উনার হায়াত না ও রাখেন তবে সবাই দোয়া করবেন তিনি যেন পরিপূর্ণ ঈমান নিয়ে আল্লাহর কাছে যেতে পারেন! তিনি আমাদের বাঙালি পরিবার গুলোকে অনেক অনেক আন্তরিকতার সাথে সেবা দিয়েছেন! সেবা ছাড়াও যে কেউ কোন সমস্যায় পড়েছে তার উপকার করেছেন! উপকার ছাড়াও মানুষকে দ্বীন-ইসলামের দিকে ডেকেছেন! মানুষকে সহীহ ভাবে কোরআনের দারস্ দিয়েছন! মানুষকে প্রিয় নবী (সঃ)এর হাদীস শুনিয়ে দাওয়াত দিয়ে খাঁটি মুসলিম হতে সহায়তা করেছেন! মদিনার বাঙালিরাও তার ডাকে সাঁড়া দিয়ে ইসলামের সু-শীতল ছায়া তলে আশ্রয় নিয়েছেন! যদিও সবাই জন্মগত মুসলমান! মুসলমানরাই মুসলমানের বিধান থেকে দুরে! সে হিসেবে বলেছি!

ব্লগপ্ল্যাটফরমটা বর্তমানে আমাদের হৃদয়ের আহবান জানানোর মাধ্যম, জানার মাধ্যম, খবর পৌছে দেয়ার মাধ্যম, জানার মাধ্যম, অভিজ্ঞতার বীজ তৈরির মাধ্যম, এখান থেকে সহজেই পাওয়া যায় সত্য দ্বীনের সন্ধান তাই এইখানে জানালাম মনের আকুতি! আপনারা সকলেই এই প্রিয় বোনটির জন্য দোয়া করতে ভুলবেন না! এই ভাবি সবার উপকার তো করেই তেমনী আমার ছোট মেয়েটি যখন মারা যায় তখন এই ভাবি ও ভাইয়ার ভূমিকাই বেশী ছিলো! আমি আন্তরিক ভাবে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি তিনি তার জন্য কল্যাণের ফায়সালা করুন!

উল্লেখ যোগ্য একটি ঘটনা না বলে পারছিনা! যদিও চেয়েছিলাম লেখাটি অল্পতে শেষ করতে কিন্তু পারছিনা বলে দুঃখীত! গত নভেম্বরের কথা; একদিন আমি তার চেম্বারে যাই তখন তিনি আরেক রোগীর কথা বলছেন আমার কাছে (যদিও আমি উনার বয়ষে অনেক ছোট তথাপি তিনি আপনি বলেই সন্মোধন করেন আমাকে!) এটা উনার অনেক গুণের মাঝে আরেকটি গুণ! বলতেছেন ভাবি, একজন রোগী আসছিলো আজকে, যার চারটি মেয়ে আছে এবং তাদেরকে বিয়েও দিয়েছে, মহিলার ৫৫ বছর বয়ষ হয়ে গেছে কিন্তু ছেলে সন্তান হয়নি বলে চিকিৎসার জন্য আসছেন! যখন উনার সবকিছু জেনে উনাকে বলা হলো বাচ্চা ধারণ করার বয়ষ আপনার শেষ হয়ে গেছে তখন মহিলাটি এত কাঁদতে লাগলো যে, আমি ভাষা খুজে পাচ্ছিলামনা কি বলে উনাকে শান্তনা দেব!

তখন উনাকে ও উনার স্বামীকে বললাম শুনুন একটি গল্প; কোন একজন মহিলার পাঁচটি সন্তান হলো এবং একে একে সবগুলো সন্তানই মারা গেলো, ডাক্তার জানিয়ে দিলো আপনি আর কোনদিন মা হতে পারবেন না! কোনদিন মা ডাক শুনতে পাবেনা! এসবকিছু জানার পর এখন তিনি বর্তমানে ক্যান্সারের রোগ বয়ে বেড়াচ্ছেন নিজ শরীরে! ডাক্তার যদিও জানিয়ে দিয়েছেন যেকোন সময় মারা যাওয়ার কথা! তথাপি সে জানে যখন তখন সে মরে যেতে পারে, সে জানে সে মারা গেলে তার জন্য কান্নারও কোন মানুষ নেই তারপরও সে ধৈর্যধারণ করে আছে বলতে পারেন সে কিভাবে ধৈর্যধারণ করে আছে? সে মহান আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট আছে, সে আল্লাহর কাছে প্রতিদানের আশায় মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছে! আপনাদের তো মেয়ে হলেও চারটি মেয়ে আছে আপনারা তাদের লালন-পালন করেছেন! কিন্তু যে জীবনে মা ডাকটি কারো মুখ থেকে শুনেনি আর বর্তমানে তার শারিরিক অবস্থা শুনে আপনাদের অনুভুতি কি?

সেই দম্পতি বলল কে সেই মানুষ যে এত কষ্টেও নিজেকে ধৈর্যের পাহাড় বানিয়ে রেখেছে? আমি বললাম আমাদেরই মাঝে একজন আছে! লোকটা তখন বলল আসলেই আমাদের তো কষ্ট পাওয়ার বা হতাশায় ভুগার কোন দরকার নেই! আমাদের তো চারটা মেয়ে আছে, তাদের বিয়ে দিয়ে চারটা ছেলে আমরা পেয়েছি আমাদের কিছু হলে তারাই তো দেখতে পারবে আর আল্লাহ তো আছেনই! দম্পতিদ্বয় যেন ডাক্তার ভাবির এই কথা শুনে ধৈর্য নামক সোনার হরিণের সন্ধান পেয়ে যায়, তারা চলে যাওয়ার সময় বলে যায় আমরা প্রত্যেকেই নিজের কষ্টকে বড় মনে করি, আসলে নিজের কষ্টের চেয়েও অন্যের কষ্ট যে আরো বড় তা আজ বুঝতে পারলাম!

ডাক্তার ভাবি তখন আমাকে বলল; মানুষ যার ছেলে আছে সে মেয়ে চায়, আবার যার মেয়ে আছে সে ছেলে চায়, কেন মানুষ আল্লাহ যা দিয়েছে তাতে সন্তুষ্ট থাকেনা বলতে পারেন? আমার যে ছেলেও নাই মেয়েও নাই আমরা কি কিছু করতে পেরেছি? আমি বললাম ভাবি, মানুষের চাহিদার তো শেষ নাই যার আছে তার বেশী চাহিদা, আর যার নাই সে শুধু দীর্ঘশ্বাস নিয়েই বেঁচে থাকে! তখন ভাবি জানতে চাইলো ভাইয়ার কি ইচ্ছা? ছেলে না মেয়ে? আমি বললাম আল্লাহ যা দেন তাতেই আমরা খুশি! তিনি আমার জবাব শুনে খুব খুশি হলেন আর বললেন, সৌদিতেও এমন কিছু মানুষ আছে যারা আলট্রাসাউন্ড করে জানতে চায় ছেলে না মেয়ে? আগে জানানোর অনুমোদন ছিলো কিন্তু কয়েকটি পরিবার ভেঙে যাবার পর থেকে এখন আর জানানো হয়না। তিনি আরো বললেন আগের দিনে তো কেউই জানতো না, যখন হতো তখনই জানতো সেটাই ভালো ছিলো! এখন বেশী আধূনিক হওয়াতে সমস্যাও বেড়ে গেছে!

যখন আমার ছোট্ট মেয়েটা আল্লাহর কাছে চলে গেলো। তখন কয়েকজন ডাক্তার মহিলা এসে আমাকে আলহামদুলিল্লাহ পড়ালো! শান্তনা দিতে চেষ্টা করলো! আমি যখন কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম, কান্নার কারনে সিজারের দুইপাশের সেলাই খুলে গেলো তখন আমাকে এমারজেন্সিতে নিয়ে নতুন করে ড্রেসিং করিয়ে ব্যান্ডেজ করতে করতে তিনিই প্রথম আমাকে শান্তনা দিলেন এই বলে যে, ভাবি আপনার তো বয়ষ আছে চাইলে আপনি আবারও সন্তান নিতে পারবেন, আর একজন চলে গেছে আরেকজন তো আপনার কোলে আছে তাকে আদর করবেন! আর আমার তো পাঁচজন আল্লাহর কাছে চলে গেছে তারা এখন জান্নাতুল বাকিতে শুয়ে আছে আর আমার বয়ষও নেই বাচ্চা হবার তো আমি বেঁচে আছিনা? আপনি কেন এত ভেঙে পড়ছেন? আমি ডাক্তার ভাবির কথা শুনে হতবাক হয়ে গেছি! আমি কখনো শুনিনি উনার পাঁচটা বাচ্চা মারা গেছে, ভাবি বলল; আমি ডাক্তার তবে এর বাহিরে আমি একজন মা ও! আল্লাহ আমায় সন্তান দিয়েছেন কিন্তু কোনটাই ছয়মাসের বেশী হায়াত পায়নি! তবুও তো আমি আল্লাহ ফায়সালায় খুশি আছি আপনিও খুশি থাকুন! আল্লাহ এর প্রতিদান দেবেন!

ডাক্তার ভাবি নিঁখুত হাতে আমার সেলাইগুলো ঠিক করছেন আর বলছেন, জানেন ভাবি? যখন আমার সন্তান গুলোর কথা মনে পড়ে তখন আমি নিজেকে কি বলে শান্তনা দেই! আমি চুপ করে থাকলেও তিনি বলেই চলেছেন আমি এই বলে শান্তনা দেই যে, আমার ছেলেগুলো বেঁচে থাকলে হয়তো চোর, গুন্ডা, ছিনতাইকারি হতো, আর মেয়েগুলোও হতো বেপর্দা আর সে কষ্ট আমি সহ্য করতে পরবোনা বলেই হয়তো আল্লাহ আমাকে এভাবে পরীক্ষা করছেন! যখনই মনে পড়ে আমি তখনই আস্তাগফার পড়ি এই জন্য যে শয়তান এসে আমাকে ওয়াস-ওয়াসা দিতে পারে! আর আলহামদুলিল্লাহ পড়ি এই জন্য যে, আমার সন্তানেরা সত্তর হাজার সাহাবী (রাযিঃ) গণের সাথে হাশরের ময়দানে উঠবে আর আমাকে আমার স্বামীকে খুজে নেবে! এসব বলতে বলতে তিনিও কেঁদে দিলেন!

সেদিন আমি সেই ভাবির থেকে যেন নতুন করে সবর করা শিখলাম! সত্যিই তো আমার তো নুসাইবাহ্ আছে ভাবির তো পাঁচটি সন্তানের কেউই নেই! আমার ছোট্ট জীবনের মহা-মনীষিদের তিনিও একজন! এমন ডাক্তার আমি এর আগেও কখনো দেখেনি আর পরেও পাবো কিনা জানিনা! যে ডাক্তার মা বোনের মতো সেবা করে, রোগীর খাবারের ব্যবস্থা করে, রোগীর সুস্থতার জন্য দোয়া করে, নিজেও দ্বীন-ইসলামের বিধান মেনে চলে অপরকেও উৎসাহ দেয় সৎপথে চলতে! ভাবির মতো এমন উদারমনা সন্তান পৃথিবীর প্রত্যেক ঘরে ঘরে জন্ম হোক! আর সবাইকে আল্লাহর দিকে ডেকে নিয়ে যাক! পরিশেষে মহান আল্লাহর কাছে প্রাথর্না তিনি যেন এই ভাবির ভুল গুলো ক্ষমা করে, নেকী গুলোকে কবুল করে নেন! আর ভাবিকে হায়াতে ত্বয়্যিবাহ দান করে যতদিন বেঁচে থাকে সুস্থতার সাথে রাখেন আর শেষ বিদায়ের সময় ঈমানের সাথে নেন! ভাবি সবার কাছে শুধু এই দোয়া করার জন্যই অনুরোধ করেন!

বিষয়: বিবিধ

১৯৭০ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

338438
২৯ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:৪১
নাবিক লিখেছেন : কি বলবো বুঝতে পারছিনা। মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দা এবং ভালো মানুষগুলোকেই অধিক পরীক্ষায় ফেলেন।
উনার জন্য অনেক দোয়া.....
৩০ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:০৮
280037
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! উনার জন্যে সর্বোত্তম কল্যাণের দোয়া করুন ভাইয়া!
338448
২৯ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : আল্লাহতায়ালা উনার উপর রহম করুন। আর বেশি বলতে পারছিনা।
৩০ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:০৮
280038
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! আমিন আপনার দোয়ার সাথে!
338470
২৯ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫০
লোকমান লিখেছেন : আপনার ভাবির মত মানুষ বর্তামানে খুব কম আছে।
৩০ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:০৯
280039
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! ঠিক বলেছেন লোকমান ভাইয়া! দোয়া করবেন এই ডাক্তার ভাবির জন্য!
338485
২৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:২৩
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু, ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
৩০ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১০
280040
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! দোয়া করবেন এই সেবিকার জন্য!
338519
২৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১০:২৪
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : কি মন্তব্য করবো ঠিক বুঝতে পারছি না।আল্লাহ তার সকল গোনাহ মাফ করে দিন। আমিন
৩০ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১২
280042
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! আমিন আপনার দোয়ার সাথে!
338536
২৯ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:৪৮
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
আল্লাহ তায়ালা সেই ডাক্তার ভাবীকে আখিরাতে জাযায়ে খায়ের দান করুক।
আপনাকেও সুন্দর জীবন দানু করুক। আপনার আগত অতিথিকেও সুন্দর ও সহজভাবে দুনিয়াতে আসার তাওফিক দান করুক।

আকীকার দাওয়াত যেন পাই। ভুলবেন না কিন্তু।


৩০ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১২
280041
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! ভাইয়া আপনি বুঝতে ভুল করছেন! আমার পাখিটা তো এখন জান্নাতে উড়ছে! আর আমি মহান আল্লাহর কাছে উত্তম প্রতিদানের প্রত্যাশায় অপেক্ষা করছি..........!
৩০ আগস্ট ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৯
280077
আবু জান্নাত লিখেছেন : আমি বললাম ভাবি, মানুষের চাহিদার তো শেষ নাই যার আছে তার বেশী চাহিদা, আর যার নাই সে শুধু দীর্ঘশ্বাস নিয়েই বেঁচে থাকে! তখন ভাবি জানতে চাইলো ভাইয়ার কি ইচ্ছা? ছেলে না মেয়ে? আমি বললাম আল্লাহ যা দেন তাতেই আমরা খুশি! তিনি আমার জবাব শুনে খুব খুশি হলেন আর বললেন, সৌদিতেও এমন কিছু মানুষ আছে যারা আলট্রাসাউন্ড করে জানতে চায় ছেলে না মেয়ে? আগে জানানোর অনুমোদন ছিলো কিন্তু কয়েকটি পরিবার ভেঙে যাবার পর থেকে এখন আর জানানো হয়না।
এই লিখা পড়ে আমি ধারণা করিছিলাম নতুন কিছু... ধন্যবাদ।
৩০ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৪:২২
280095
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! ভাইয়া এটা তো গত বছরের কথা তখন সুখবর ছিলো! জানুয়ারী মাসে নতুন মেহমান এসেছিলো ও আটদিন সাড়ে আট ঘন্টা পৃথিবীতে হায়াত পেয়ে এখন জান্নাতের বাগানে প্রজাপ্রতি হয়ে উড়ছে! দোয়া করবেন আমাদের জন্য ছবর করতে পারি!
৩০ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৫
280123
আবু জান্নাত লিখেছেন : ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
বুঝলাম, জাযাকুমুল্লাহ খাইরান ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাতি খাইরাল জাযাহ
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৬:৩০
280317
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভাইয়া আপনাকেও জাযাকুমুল্লাহ খাইরান!
338549
৩০ আগস্ট ২০১৫ সকাল ০৭:৩৮
আবু জারীর লিখেছেন : ডাক্তার আপুর জন্য দুয়া করি আল্লাহ্‌ তার জীবনের বাকী দিন গুলো যেন সুস্থ্য রাখেন এবং তাকে দ্বীনের খেদমত করার সুযোগ দেন। তিনি ধৈর্যের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার যাযাহ এবং খায়ের মহান রব্বুল আলামিন তাকে যেন জান্নাতে দান করেন। তার জান্নাতি গৃহ যেন তার হারন ৫ জন সন্তান দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেন।

সাথে সাথে আপনার জন্যও দুয়া করি আল্লাহ্‌ যেন আপনার সবরের উত্তম প্রতিদান দেন। আর আমার তার দুইজন কন্যা সন্তান থাকার পরেও সে একজন পুত্র সন্তানের আকাঙ্খি,যদি তাতে কল্যাণ থাকে তাহলে মহান আল্লাহ্‌ যেন তার মনের নেক আশাও পূরণ করেন।

ধন্যবাদ আপু আল্লাহ্‌ আনাকে ভালো রাখুন।
৩০ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১১:১৪
280043
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! আপনার দোয়ার সাথে আমিন আমিন আমিন! আর সাথে আপনাদের জন্যেও কল্যাণের দোয়া! মহান আল্লাহ যেন আপনার ও ভাবির মনের ইচ্ছা পূরন করেন! আমিন! আমাদের জন্যেও দোয়ার দরখাস্ত রইলো!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File