আত্মার খোরাক (১৯)(মাহে রমাদ্বানে আলোচনা)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২৪ জুন, ২০১৫, ০৪:৪৭:৫৪ বিকাল
ঈর্ষা বা (হাসাদ) সম্পর্কিত হাদীসঃ-
হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা অবশ্যই ঈর্ষা হতে নিজেদেরকে বাঁচিয়ে রাখবে। কেননা অগ্নি যেভাবে কাঠকে জ্বালিয়ে ভষ্ম করে দেয়, অনুরুপভাবে ঈর্ষা ও মানুষের নেক আমলকে নষ্ট করে দেয়।"
(আবু দাউদ)
ব্যাখ্যাঃ- অন্যের নেয়ামতের ধ্বংস কামনাকে বলা হয় ঈর্ষা। সমাজে কিছু লোক দেখা যায় যারা অপরের স্বচ্ছলতা কর্মকুশলতা, পদমর্যাদা ও ধন-সম্পদ দেখে নিদারুণ অন্তর্জ্বালা অনুভব করে এবং মনে মনে তার ধ্বংস কামনা করে নিজে অনুরুপ নেয়ামত হাসিলের প্রচেষ্টা দোষণীয় নয়। তাকে হাসাদ বা পরশ্রীকাতরতাও বলা যায় না।
দ্বিমুখীপনা সম্পর্কে হাদীসঃ
হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন তোমরা দ্বিমুখী লোকটিকেই সবচেয়ে জঘন্য অবস্থায় পাবে। (দুনিয়ায়) সে কারো কাছে একরুপে আবির্ভুত হয়েছে তো অন্যের কাছে অন্যরুপে।
(বুখারী, মুসলিম)
হযরত আবু হোরায়রা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা নিজেদেরকে পরষ্পর দুই ব্যক্তির মধ্যে ঝগড়া ফাসাদ সৃষ্টি করা থেকে বাঁচাও। কেননা এর পরিণামে তোমাদের দ্বীন ধ্বংস হবে। তিরমিযী)
হযরত আবু বকর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের ক্ষতি সাধন করে কিংবা তাকে প্রতারণা করে সে অভিসপ্ত।
(তিরমিযী)
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে ঈর্ষা, গীবত, হিংসা, পরনিন্দা, দ্বিমুখীপনা সহ সকল প্রকারের সগীরাহ ও কবিরাহ গুনাহ থেকে হেফাজত করুন! আমরা যেন মহান আল্লাহর সামনে সম্মানের সাথে দাড়াতে পারি! আল্লাহ সেই তৌফিক দান করুন! আমিন ছুম্মা আমিন!
ছবির জন্য ধন্যবাদ গুগল মামুকে............।
বিষয়: বিবিধ
১০০০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গুগল মামু
গুগল কি কোন মানুষ
মন্তব্য করতে লগইন করুন