আত্মার খোরাক (১৭)(মাহে রমাদ্বানে আলোচনা)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২১ জুন, ২০১৫, ০৫:০৯:৫৯ বিকাল
চোগলখোরী সম্পর্কিত হাদীসঃ-
হযরত হোযায়ফা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সঃ) বলেছেন চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা।"
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম (সঃ) চোগলখোরী করতে নিষেধ করেছেন, অনুরুপভাবে তিনি গীবত বলাকে ও গীবত শুনা থেকেও লোকদেরকে নিষেধ করেছেন।"
(বুখারী, মুসলিম)
ব্যাখ্যাঃ- চোগলখোরী বলা হয় একের কথা অপরকে বলে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি করা ও ঝগড়া লাগিয়ে দেয়া। সমাজের বেশীর ভাগ ঝগড়া-ফাসাদ চোগলখোরী বা কূটকথার কারণেই সৃষ্টি হয়ে থাকে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা মারাত্মক পাপ। কেননা ইসলাম যে ধরনের আদর্শ ও শান্তিপূর্ণ সমাজ কামনা করে, তাতে চোগলখোরের অস্তিত্ব অকল্পনীয়। এ জন্যই আল্লাহর রাসূল (সঃ) মুসলমানদেরকে এ জঘন্য পাপটি পরিহার করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং চোগলখোর যে আল্লাহর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, এ সাবধান বাণীও উচ্চারণ করেছেন।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ)হতে বর্ণিত, তিনি বলেন একদা আল্লাহর নবী (সঃ) দুটি কবরের কাছ দিয়ে যাবার সময় বললেনঃ এই কবরের লোক দু'টি আযাবে লিপ্ত আছে। তবে তাদের এ আযাব এমন কোন কাজের জন্যে নয়, (যা পরিত্যাগ করা তাদের জন্যে সম্ভব ছিলো না।) তবে অপরাধের বিবচনায় তা খুবই মারাত্মক। এই দুই ব্যক্তির মধ্যে একজন চোগলখোরী করে (কটূ-কথা বলে) বেড়াতো এবং অন্যজন পেশাব করে উত্তমরুপে পবিত্র হতো না।"
(বুখারী)
পরিশেষেঃ মহান আল্লাহ তায়া'লা আমাদের সব রকমের গীবত শেকায়েত ও চোড়লখোরী থেকে বাঁচিয়ে রাখুন! এবং বিশেষ করে এই রমাদ্বানের একমাস ও পরের এগারো মাস যেন সকলকেই এই সকল কবিরাহ গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দিন! আমিন ছুম্মা আমিন!
ছবির জন্য কৃতজ্ঞতায় গুগল মামু.....।
বিষয়: বিবিধ
১০৯৫ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমিন। অনেক ধন্যবাদ..
ধন্যবাদ আপু রমজানের এই সুন্দর আয়োজনের জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন