পরামর্শ দিন প্লিজ!!
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ১৩ জুন, ২০১৫, ০১:১৮:৩৭ দুপুর
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু!
প্রিয় ব্লগ ও ব্লগের সম্মানিত ব্লগার ও সম্মানিত মডারেটর বৃন্দ! আমি কয়েকদিন থেকে কারো লেখা মন্তব্য লিখতে পারছিনা আজকে অনেক কষ্ট করে সন্ধ্যাতার আপির একটি লেখাতে মন্তব্য করতে পেরেছি! শুধু পাঠক হয়েই কাটাচ্ছি সময়! আপনাদের কারো কাছে কোন সহজ পরামর্শ থাকলে আমার লেখাতে মন্তব্য করে জানান। আমি লিখতে না পেরে আন্তরিক মর্মবেদনায় ভুগছি আমার বেদনা উপশম হওয়ার সহজ পন্থা জানিয়ে দিন! আর আমার পাতা খুলছেনা, আমি আমার পাতাতেও যেতে পারছিনা কি করবো? দিব্যি বুঝতে পারছিনা আবারও জালেমের হাত পড়েছে এই ব্লগের দিকে! কোন সহজ পরামর্শ থাকলে দিন প্লিজ! এই লেখাটাও পোস্ট হবে কিনা জানিনা হলে তো আলহামদুলিল্লাহ!
হে মাননীয় সম্পাদক আমাদের এই মত প্রকাশের প্লাটফরমকে আবারো নতুন রুপ দিন প্লিজ! নিত্য নতুন ডোমেইনে আবারো স্থানান্তরিত করে সমস্যা দূরীকরণের ব্যবস্থা করুন! আপনারা অনেক কষ্ট করে ও অনেক সমস্যার মোকাবেলা করে এই ব্লগ টিকে থাকার আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন মহান আল্লাহ আপনাদের সকল নেক কাজকে কবুল করে নিন! আপনারা যারা এই বগ্ল পরিচালনার কাজে নিয়োযিত আছেন বা কোন ভাবে সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের সবারই জন্য সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করি! এই সমস্যা মতে হচ্ছে শুধুমাত্র আমার না! আরো অনেকেই হয়তো এই সমস্যা। মহান আল্লাহ টুডে ব্লগের এই মানব কল্যাণমুখী যাত্রাকে স্থায়ী করে দিন! টুডে ব্লগের সম্মানিত ব্লগার আপু ও ভাইয়াদের এই মত প্রকাশের প্লাটফরমকে মজবুত ভিত্তি স্থাপন করার সুযোগ করে দিন! মহান আল্লাহ এই মহতী কাজের সু-বন্দোব্যস্ত করুন! সকলের জন্য সর্বাঙ্গীন কল্যাণের দোয়া রইলো!
বিষয়: বিবিধ
১৪৪২ বার পঠিত, ৩৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর আপনার পাতাতে কেউই যেতে পারছে না... ওইদিনের পর থেকে সবারই একই সমস্যা, শুধু আপনার একার নয়... মডারেটরগণ এখনও কিছুই করেন নি এই ব্যাপারে... তবে আশা করছি, অতি দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে...
আল্লাহর অনেক অনেক শুকরিয়া যে, তিনি আবারো টুডে ব্লগের পথ চলা সহজ করে দিয়েছেন! দোয়া করি আল্লাহ টুডে ব্লগের পথ চলাকে দীর্ঘায়ু করুন!
আল্লাহর অনেক অনেক শুকরিয়া যে, তিনি আবারো টুডে ব্লগের পথ চলা সহজ করে দিয়েছেন! দোয়া করি আল্লাহ টুডে ব্লগের পথ চলাকে দীর্ঘায়ু করুন!
আল্লাহর অনেক অনেক শুকরিয়া যে, তিনি আবারো টুডে ব্লগের পথ চলা সহজ করে দিয়েছেন! দোয়া করি আল্লাহ টুডে ব্লগের পথ চলাকে দীর্ঘায়ু করুন!
আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন। আমিন
আপনি ঠিক বলেছেন, কমেন্টেও মাঝে মাঝে সমস্যা করছে। আপনার মত সমস্যা আমারও, নিজের অথবা অন্য কারও ব্লগে ঢুকতে পারছি না। আগে টুকটাক সমস্যা এইবারের সমস্যাটা অনেক সিরিয়াস, কবে ঠিক হয়য় আল্লাহ্ ভালো জানেন। সম্পাদকমণ্ডলী ছাড়া পাঠকদের এখানে কিছুই করার নেই।
কষ্ট নেবেন না। এখন কাজ হচ্ছে ধৈর্যসহকারে অপেক্ষা করা। দোয়া রইল আপনার অপেক্ষা যেনো দীর্ঘায়িত না হয়।
আল্লাহর অনেক অনেক শুকরিয়া যে, তিনি আবারো টুডে ব্লগের পথ চলা সহজ করে দিয়েছেন! দোয়া করি আল্লাহ টুডে ব্লগের পথ চলাকে দীর্ঘায়ু করুন!
ভাইয়া আমি আপনার লেখা সমস্যার কারনে পড়তে পারিনি বলে দুঃখীত! ক্ষমা করবেন!
আল্লাহর অনেক অনেক শুকরিয়া যে, তিনি আবারো টুডে ব্লগের পথ চলা সহজ করে দিয়েছেন! দোয়া করি আল্লাহ টুডে ব্লগের পথ চলাকে দীর্ঘায়ু করুন!
- এই খুকি, আমি তোর কি হই জানিস তো। ছোট্ট হয়ে বড়দের সাথে বেয়াদবী। রাখ সময় মত এর বদলা নিব, তখন বুঝবি মজা, কেমন লাগে?
- যখনকারটা তখন দেখা যাবে, আগে ভাবিতো হও।
- ===========২৩
সরকার শেষ পর্যান্ত পদ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। মন্ত্রী এম্পিদের দূর্ণীতিবাজ আর দাঙ্গাবাজ গ্রুপটা ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছে। চামচা আর পাতি নেতাদের মধ্যে যারা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনি তারা গাঢাকা দিয়েছে। কিন্তু ১০ বছরের যন্ত্রনা জনগণ সহজেই ভুলতে পারেনি। বিশেষ করে যারা গুম, খুন, ধর্ষনের শিকার হয়েছে তাদের ঠেকায় এমন শক্তি কার?
দাঙ্গা ফাছাদ বন্ধের জন্য জোট নেত্রীর পক্ষ থেকে বার বার বিবৃতি আসলেও নির্যাতিত জনগণকে কোন ভাবেই বাগে আনা যাচ্ছিলনা। আন্দলনের সময় ভয়কাতুরে যে সব নেতা লেজ গুটিয়ে পালিয়ে ছিল তারা নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে আগুনে ঘী ডালতে থাকল। ফলে রোষের অনলে অনেকেই জ্বলে পুড়ে ছাড়খার হয়ে গেল।
এমন অরাজক পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশ যে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পড়বে, তা স্বার্থপর নেতা পাতি নেতারা বুঝতে না পরলেও জোট নেত্রী ও বিশেষ করে দেশ প্রমিক জন কল্যাণ সমিতির নেতারা ঠিকই বুঝতে পেরেছিল। তাই দ্রহের এই আগুণ নেভানর দায়িত্বও পরল ছাত্র সমিতির উপর।
এত দিন যেই জালিমদের অত্যাচারে ছাত্র সমিতি ছিল দিসেহারা এখন সেই জালিমদের রক্ষা করার জন্য মজলুম ছাত্র সমিতিকেই আবারও কোমড় বেঁধে মাঠে নামতে হল!
যে সকল ছাত্র নেতারা বিগত সরকারের আমলে ভেজা বেড়ালের মত গা বাচিয়ে চলেছে তারাই যেন এখন এক একটা মূর্তিমান দানব!
ছাত্র সমিতি তথা সাদীরা যখন শান্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যস্ত তখন বিড়াল থেকে সিংহে পরিণত হওয়া সদ্য প্রসূত টাইগার গুলোকে নিয়ন্ত্রন করতে সাদীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল। কোন কোন ক্ষেত্রে আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছে! যাহোক, জন কল্যাণ সমিতি ও ছাত্র সমিতির আপ্রাণ চেষ্টা আর জোট নেত্রীর সক্ত অবস্থানের কারণে শেষ পর্যন্ত মাস খানেকের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এল।
পরিস্থিতি পুরপুরি নিয়ন্ত্রণে আসলে, জাতীয় নির্বাচনের ইস্তেহার ঘোষিত হয়। সরকার পতন আন্দলনের সময় বিরোধী দলগুলো যতটা না ব্যাস্ত ছিল তার চেয়ে এখন বেশী ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে দল গুছিয়ে নির্যাচনের বৈতরণী পাড় হতে। আন্দোলনের ময়দানে যে সকল নেতাদের টিকিটিও খুজে পাওয়া যায়নি এখন তারাই সামনের কাতারে! দলের প্রতি নিজেদের আনুগত্ব প্রাকাশের জন্য মরহুম ও বর্তমান নেতা নেত্রীদের স্তুতি গেয়ে নিয়মিত কোরাস করছে, এমনকি গলা দিয়ে রক্ত পর্যন্ত ঝড়াচ্ছে! স্বর্থপর নেতা নেত্রীদের এমন আদিখ্যেতা দেখে সাদী ও আন্দলনে তার সহকর্মী বন্ধুরা মুখ টিপে হাসছে।
আন্দলন করেছে সাদীরা আর জোটের খাতিরে ফসল ঘরে তুলতে ব্যাস্ত আন্দলন বিমুখ স্বার্থপর নেতারা! এমতাবস্থা চুপ করে থাকলে আন্দলন থেকে অর্জিত সুফল জনগণের দোড় গোড়ায় পৌছবে না তাই সাদী আর তার বন্ধুরাও নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে আপন আপন কাজে ব্যাস্ত হয়ে পরল। অবশ্য সাদী মাঝে একবার আমজাদ শেখ সাহেবের সাথে দেখা করে নির্বাচনের পরে বিয়ের কথা ভাবা যাবে বলে জানিয়ে এসেছে।
এক দিকে সাদী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ব্যাস্ত, আর অন্য দিকে শায়লা তার মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত। মাঝে মধ্যে অবশ্য ফোনে কুশল বিনিময় হয়। শায়লাই সাদীকে ফোন দেয়। সাদী অবশ্য বিয়ের আগে এমনটা করতে কয়েকবার নিষেধ করেছে কিন্তু কে শোনে কার কথা?
নির্বাচনের সপ্তাহ খানেক পূর্বেই শায়লার পরীক্ষা হয়ে গেছে, সামনে বাকী শুধু সাদীর নির্বাচনী পরীক্ষা। সেটা হয়ে গেলেই দুজনের শুভ পরিণয়। ভাবতেই শায়লা কেমন যেন একটা পুলক অনুভব করে।
দেখতে দেখতে নির্বাচনও যথারীতি শেষ। সাদীর সমর্থিত দল বাংলদেশ জাতীয় জন কল্যাণ সমিতি (বাজাক্স) আশানুরুপ ৫০টি সংসদীয় আসনে জয় লাভ করেছে। জোটবদ্ধ নির্বাচন হয়েছে বলে সরকারও হয়েছে জোটের পক্ষ থেকে। (বাজাক্স) থেকে পাঁচ জন কে ফুল মন্ত্রী করা হয়েছে, তার মধ্য আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও আছে। সব মিলিয়ে সাদীর পোয়া বার। সম্ভাবনার সকল দুয়াড় গুলোই যেন সাদীর সামনে একটা একটা করে খুলে যাচ্ছে।
শায়লা এবং সাদী উভয়েই বারের পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বারের পরীক্ষাটা শেষ হলেই শুভ কাজটা শেষ করে কর্ম জীবনে আত্ম নিয়োগ করা জন্য দুজনই যখন প্রস্তুত ঠিক তখনই ঘটল নতুন বিপত্তি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন