Rose Rose "একটি ফজর ও রহষ্যময় পিঁপড়া" Rose Rose

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২৩ মে, ২০১৫, ০৬:৪৭:৩১ সন্ধ্যা



মানুষ ভুল ও গুনাহের ঊর্ধে নয়। মানুষের যে কোন কাজে, কথায় যে কোন ধরণের ভূল হতে পারে। আবার অনুরুপ ভাবে গুনাহ ও হতে পারে। হতে পারে সৎ পথ থেকে বিচ্যুত। তারপরও মানুষ তোঃ আল্লাহর অপার অনুগ্রহ আর হেদায়াতের নুর তাকে বারংবার নুরান্বিন করে। এভাবে নুরান্বিত করেই চলে অহরহ। তবে কেউ কেউ সহসাই ভুলের সংশোধন করতে পারে। আর কেউ কেউ মরনের পূর্ব পর্যন্ত ভুলের কোন সংশোধনই করতে পারেনা। আর গুনাহ থেকেও নিজেকে মুক্ত করতে পারেনা।

সেই প্রজ্ঞাময় মহা প্রতিপালক আমাদেরকে সমস্ত ভুল ও সমস্ত গুনাহ থেকে সবসময় মুক্ত রাখুন। আর তার হেদায়াতের আলোয় আমাদের হৃদয়কে আলোকিত করুন সবসময়। রাতে বেশী দেরী করে বিছানায় যাওয়া ও এক ধরণের ভূল কাজ। অনেকেই এই কাজটি বিনাবাক্যে করে ফেলে। আর মনে করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করে দেবেন তিনি। আসলেই মহান আল্লাহর একটি গুণবাচক নাম হলো গফ্ফার তিনি ছোট বড় সকল গুনাহেরই ক্ষমাকারী।

কিন্তু তাই বলে কি নিয়মিত গোনাহ করা ঠিক? ঠিকনা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার গফ্ফার নামের বরকতে ক্ষমা করুন সবসময়। ইদানিং আমার দ্বারাও সেই ভুল কাজটি বারংবার সংগঠিত হচ্ছে। আল্লাহ ক্ষমা করুন। আমি ইচ্ছে ও চেষ্টা করি সাড়ে দশটা বা এগারোটার মধ্যে ঘুমাতে কিন্তু নানান কারনে তা হয়ে উঠছেনা। আর এভাবে দেরী করে ঘুমানোর কারনে ফজরে সময়মত উঠে ফজর পড়াও কঠিন হয়ে পড়ছে। তারপর ও অনেক কষ্ট করে উঠে নামাজ আদায়ের চেষ্টা করি। নামাজ পড়ি।

ওদিকে শয়তান ও বসে নেই নিয়মিতই কোন কোন বাহানায় আমাকে দেরী করাবেই বিছানায় যেতে। আর ফজরে আমার জন্য উঠা কঠিন হয়ে যায়। কিছুদিন আগে মনে মনে এরাদা করেছি শয়তান যতই আমাকে উস্কানি দিক, যতই রাত জাগিয়ে রাখুক, যতই ভোর বেলা আমার পা টিপুক, যতই আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিক, যতই আমার চোখে ঘুমের সুরমা লাগিয়ে দিক আমি ফজর নামাজ পড়বোই ইনশা-আল্লাহ। কিছুদিন আগের ঘটনা। একদিনের শেষে রাতে বিছানায় তাড়াতাড়ি যাই যাতে ফজর নামাজ সময় মত পড়তে পারি, কিন্তু সেদিন হলো হিতে বিপরীত।

সেদিন আর চোখে ঘুম আসছেনা, আসছেন তো আসছেইনা। কি করি? এপাশ করি ওপাশ করি নাঃ ঘুম তো কোনভাবেই আসছেনা। তাই উঠে ব্লগে ঢুকে পড়ি পাঠক হয়ে। সবার শিক্ষনীয় কিছু লেখা পড়তে পড়তে এক পর্যায়ে লগিন করি। মন্তব্য ও প্রতি মন্তব্য করি। এবং আরো কিছু সময় পড়ে একটি লেখা ও পোস্ট করি। হঠাৎ মনে পড়ে এতরাতে জেগে এসব করছি এটা কি ঠিক হচ্ছে? অথচ আল্লাহ শেষ রাতে তার প্রিয় বান্দা-বান্দিদেরকে ডাকেন, যারা তার ডাকে সাড়া দেন তারাই তার প্রিয় হয়ে যান।

তখন উঠে গেলাম আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে। সেখানে যাওয়ার একটু পরই ঘুম এসে আচ্ছন্ন করছে যেন ঘুমে ক্লান্ত হয়ে পড়ছি একটুতেই। কয়েকবার সূরা ইয়াসিন পড়েছি তারপর মনে হচ্ছে ঘুমের কারনে বারবার আয়াতের লাইন গুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ঘুমের আচ্ছন্নতায় ভালো করে প্রার্থনা ও করতে পারছিনা। আল্লাহর ইচ্ছায় নামাজ শেষ করে, এবার উঠে ঘড়ি দেখি প্রায় দুইটা বাজে। তখন বিছানায় গিয়ে শুয়ে শুয়ে ভাবছি এত দেরি করে ঘুমিয়ে ফজর পাওয়াটা কঠিন হবে।

তারপরও মনে মনে বলতে থাকি আল্লাহ চাইলে ইনশা-আল্লাহ আমি ফজর সময় মতই পড়তে পারবো। তখন আল্লাহকে বলতে থাকি হে আল্লাহ! তুমি জাগিয়ে দিও আমাকে ফজরের সময়। কেন যেন সারা রাতের চেয়ে ফজরের সময়ের ঘুমটা খুবই আমারপ্রদ হয়ে থাকে। হতে পারে এটা শয়তানের চক্রান্ত। ছোট বেলায় মায়ের মুখে শুনতাম শয়তান নাকি ফজরের সময় মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য মানুষকে নামাজ থেকে বিরত রাখার জন্য বলে তুমি আরেকটু ঘুমিয়ে নাও। এখনো ভোর হয়নি।

মা বলতেন মসজিদে মুয়াজ্জিন ডাকে এই বলে যে, আরামের বিছানা হারাম করো। ঘুম হতে নামাজ ভালো। একটি ঘটনা মনে পড়ে গেলো। (আমি কিছুটা বুঝ হওয়ার পর থেকে দেখে আসছি আমাদের মসজিদে একলোক ফজরের সময় মানে আযানের পরপরই ইকামাত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত প্রত্যেক গলিতে গলিতে এই কথা বলে ডাকতো। হে ভাই! আরামের বিছানা হারাম করো ভাই। ঘুম হতে নামাজ ভালো ভাই। ঘর হইতে মসজিদে ভালো ভাই। এখানো এই লোক এই কথা বলেই বলেই ডাকে সবাইকে।

এই চাচার নাম জালাল। লোকে উনাকে জালাল পাগলা বলেই ডাকে। (উনি এই কথাতে নারাজ হন না। বরং খুশি মনে মসজিদ ও ইমামের খেদমত করে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেন। প্রতিদান যা চান তা শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে। কিন্তু কোনদিন একটি টাকা ও মসজিদের পক্ষ থেকে নিতে শুনিনি। মসজিদের খাদেম হয়েও একটি তরকারির দোকান করেন পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করেন আল্লাহ উনাকেও উত্তম জাযায়ে খায়ের দান করুন)

যাক সেসব কথা; এবার আসল কথায় আসি। আমি তখন বিছানায় শুয়েই অল্প ক্ষনের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়লাম। ফজরের সময় বর্তমান নামাজের গার্ডিয়ান (মোবাইলে) এর্লাম বেজে উঠলো। ঘড়িতে অর্ধবোজা চোখে চেয়ে দেখলাম মাত্র বাজে সাড়ে চারটা। (বলাবাহুল্য সে রাতে আমি আর আমার মেয়ে একা ছিলাম) সময় তো আছে আরেকটু ঘুমিয়ে নেই। বামপাশ ফিরে ঘুমাতেই কয়েক মিনিট গেলো ,তারপর ডান কানে ঢুকলো এক পিঁপড়া। ঘুমের চোখে মনে করেছি বাতাসে মনে হয় কান চুলকাচ্ছে চুলকানি ভাব হচ্ছে।

একটু পর লক্ষ করলাম কানের ভেতরে কি যেন হালকা ভাবে নড়ে-চড়ে উঠেছে। অনুভব করতে চেষ্টা করলাম কি সেটা? মনে পড়লো আরে কানে তো মনে হয় পিঁপড়া ঢুকে গেছে। এবার পিঁপড়ার আক্রমন রুখতে রেডিমেট তুলার কাঠি কানে ঢুকিয়ে নাড়া-চাড়া করতে করতে মনে হলো মা তো কানে পিঁপড়া ঢুকলে সরিসার তেল দিতো। আমার মায়ের মত করে কানের ভেতর সরিসার তেল দিলাম। তেল ভেতরে প্রবেশ করতেই পিঁপড়াটা আবারো নড়ে-চড়ে উঠলো। আর ব্যথাও সামান্য বেড়ে গেলো।

বারংবার নাড়াতেই একটি লাল পিঁপড়া বের হয়ে এলো কানের ভেতর থেকে। (ততক্ষনে কানের অবস্থা আহত) তারপরও আমি আলহামদুলিল্লাহ পড়লাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম মাত্র বাজে পৌনে পাঁচটা। অবাক হলাম না মাত্র পনেরো মিনিটের মধ্যে কতকিছু ঘটে গেলো তা দেখে। আমার আল্লাহ কোন সময় ব্যয় ছাড়াই অনেক কিছু করতে পারেন। তখন দৌড়েই অযু করে এসে ফজরের সালাত আদায় করলাম। এবার নামাজের মুসল্লাতে বসে বসে ভাবছি।

কয়েকবার আলহামদুলিল্লাহ পড়লাম। আর মনে মনে বলতে থাকলাম হে আল্লাহ তুমিই মূলত আমাকে ফজর পড়তে পিঁপড়াকে কাজে লাগিয়ে ছিলে। তাই আজকের ফজরটা মিস হয়নি আলহামদুলিল্লাহ। পিঁপড়াকে অনেক অনেক জাযা দিলাম। কারন সে আমাকে আল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে সহযোগীতা করেছে। ছাত্রী জীবনেও যখনই ঘুমাতাম, তখনও এর্লাম ঘড়ি ছিলোনা আমার কাছে।

কিন্তু আমার অভ্যাস ছিলো আল্লাহকে এই বলে ঘুমাতাম যে, হে আল্লাহ তুমি আমাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিও। আর যেই সময়ই উঠতে ইচ্ছা করতাম তখনই মহান আল্লাহ যে কোন ভাবে সেই সময়ই জাগিয়ে দিতেন আলহামদুলিল্লাহ। বেশীর ভাগ সময় মধ্যরাতে জাগার ইচ্ছা রেখে ঘুমাতাম (মানে রাত দু'টায়) প্রায় সবসময়ই ঠিক পৌনে দু'টায় জেগে যেতাম অযু করে এসে দেখতাম দু'টাই বাজে। বর্তমানে প্রবাসে ও আল্লাহই জাগিয়ে দেন। আল্লাহর কাছে আন্তরিক প্রার্থনা তিনি যেন সবসময়ই আমাকে সজাগ করে দেন প্রত্যেক সালাতের পূর্বে এভাবে পিঁপড়াকে কাজে লাগিয়ে বা অন্যকিছুকে কাজে লাগিয়ে।

আর প্রার্থনা সেই কঠিন দিনেও আমাকে ও সমস্ত মানুষকে সহযোগীতা করেন হে আমার স্রষ্টা মালিক। নিজেকে প্রকাশ করার জন্য এই লেখা লিখছিনা বরং মানুষকে এই কথা জানাতে লিখছি যে, আল্লাহই মানুষের এর্লাম ঘড়ি। আল্লাহকে স্বরন করে ঘুমালে তিনি ঠিক সময়মত জাগিয়ে দেন। তখন আর শয়তানের ধোঁকায় পড়তে হয়না।

শিক্ষনীয়ঃ প্রত্যেক ঘটনার মাঝেই থাকে কিছু না কিছু শিক্ষনীয় বিষয়। হতে পারে তা ছোট কোন বিষয়। এই লেখার মাঝেও আছে কতেক শিক্ষনীয়তা। আমরা মানুষ কখনো কখনো আল্লাহকে ভুলে যাই। মনে বেখেয়ালে বা ঘুমের ঘরে। বা বিশেষ কোন আনন্দানোষ্ঠানে। কিন্তু মহান আল্লাহ আমাদেরকে একটু ক্ষনের জন্যেও ভুলেন না। আমরা ভুল করি বা মনের বেখেয়ালে সত্য পথ থেকে বিচ্যুত হই তিনি কিন্তু সব সময় সজাগ দৃষ্টি ফেলে রাখেন আমাদের প্রতি।

আমাদের ঘুমের মাঝে ও তিনি পাহারা দেন। এবং কেউ যদি সত্যিকারার্থে সালাত আদায় করতে চায় তবে মহান আল্লাহ তাকে জাগিয়ে দেনই। আরো শিক্ষনীয় বিষয় হলো একটি ছোট্ট পিঁপড়া আল্লাহর হুকুমকে পালন করার জন্য ভোর বেলা আমাকে জাগিয়ে তুলেছে। আর আমরা সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হয়ে ও কি আল্লাহর হুকুমকে পালনের জন্য এতটা ব্যকুল?

যতটা ব্যকুল একটি লাল, কালো পিঁপড়া বা অন্য কোন ছোট্ট প্রাণীর মত? ফজরের সময় মুরগী ডাকে। তাকে মহান আল্লাহ তা'য়ালা মানুষের ঘুম ভাঙানোর কাজে সব সময়ের জন্য নিয়োজিত রেখেছেন। সে মুরগীর কোন হিসাব নেই। তারপরও সে তার ডিউটি প্রতিদিন পালন করছে। আল্লাহর রহমত লাভের আশায়। তবে আমরা মানুষ কি সেই ছোট্ট ছোট্ট প্রাণীর থেকেও অধম হয়ে গেলাম না?

একটু বিচার বিশ্লেষন করলেই জবাব বেরিয়ে আসবে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে আমরা কোথায় ছিলাম? কত মর্যাদা ছিলো আমাদের? আজকে আমরা কোথায় নেমে আসছি? সবাই একবার নিরবে ভাবুন আল্লাহর কাঠগড়ায় আমরা সবাই কি আসামী নই? সবাইকেই কি সেই দিনের মালিকের কাছে জবাব দিহিতা করতে হবেনা? মহান আল্লাহ জাল্লাহ শানহু আমাদের সকলের সহায় হোন।

বিষয়: বিবিধ

১৮৯৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

322083
২৩ মে ২০১৫ রাত ১১:০৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, হৃদয় ছোঁয়া গল্পটি, সত্যিই বিবেক নাড়া দেয়ার মত। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শয়তানের ধোকা থেকে হেফাজত করুক। প্রবাস জীবনের ফজর কাযা বেশী হয়। মহান প্রভূ সকলকে বুঝ দান করুক। শয়তান থেকে হেফাজত করুক। আমীন ইয়া আল্লাহ।
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:২৮
263514
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : য়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! আমিন ছুম্মা আমিন আপনার দোয়ার সাথে!
322085
২৩ মে ২০১৫ রাত ১১:২৪
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : যারা ঠিকসময়ে ফজরের নামায পড়ে তারা আল্লাহর বিশেষ প্রিয়। কিন্তু ঠিক সময়ে ফজরের নামায পড়াটা অনেক কঠিণ কাজ। যারা ফজরের সময় ঘুম থেকে উঠার জন্য খাছদিলে আল্লাহর সাহায্য চান তাদেরকে আল্লাহ ঠিকই জাগিয়ে দেন কিন্তু তখন শয়তান থাকে ফূলটাইম ডিউটিতে। এখানে বেশীর ভাগই শয়তানের পাতানো ফাঁদে ধরা পড়ে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:২৯
263516
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! সুন্দর মন্তব্য করেছেন আপনার কথার সাথে সহমত প্রকাশ করছি। আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমিন ছুম্মা আমিন।
322100
২৪ মে ২০১৫ রাত ০১:০৩
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আপনার লেখাটি ভালো হয়েছে, কিন্তু এতোদিন ব্লগিং করার পরেও প্যারাগুলো কোন কারণে এতো বড় করে লিখে পাঠকের বিরক্তির কারণ বানিয়েছেন? ছোট ছোট প্যারা করে লিখবেন, পড়তে সুবিধা হয়।

অনেক লোকজন একসাথে থাকলে একজনের দেরি করে ঘুমানোতে কোন অসুবিধা নেই, অন্যেরা ডেকে দিতে পারে। যদি তেমন কেউ না থাকে, একা ঘুমাতে হয়, তাহলে কোন কারণে যদি রাতে ঘুমাতে দেরি হয়, ফজরের সময় উঠতে না পারার সম্ভাবনাই বেশি, তাহলে ফজর নামায আজান হওয়ার সাথে সাথে পড়ে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া যায়। তাই করবেন।

কানে পিঁপড়া ঢুকলে এক কানে আঙ্গুল ঢুকিয়ে চেপে ধরে অন্য কারণে পানি দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে ফেলে দিলে পিঁপড়া বেরিয়ে যায় পানির সাথে। ছোটবেলায় এইভাবেই পিঁপড়া বের করতাম, এটা পরীক্ষিত। তেল হাতের কাছে না থাকলে এতা করতে পারেন।

ধন্যবাদ লেখাটি শেয়ার করার জন্য।
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩২
263517
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আদরের ভাইয়া! লেখার প্যারা এবার ছোট্ট করে দিয়েছি দেখুন তো হয়েছে কিনা? আর প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।
২৫ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৭
263564
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : এইবার খুব সুন্দর হয়েছে প্রিয় বোনটি।

ছোট ভাইয়ের পরামর্শ রাখার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
২৬ মে ২০১৫ দুপুর ০২:৫৮
263793
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আল্লাহ আপনাকে উত্তম জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমিন ছুম্মা আমিন।
322106
২৪ মে ২০১৫ রাত ০১:২৬
মাটিরলাঠি লিখেছেন :
ফজরে ঘুম ভাঙ্গার পর শরীর উঠতে চায় না, অলসতা লাগে। এ আলস্য কাটাবার একটি পদ্ধতি আমাদের পরিবারে চালু আছে। এ পদ্ধতিতে শুধু ফজর নয়, অন্য সময়েও ঘুম ভাঙ্গার পর বিছানা থেকে উঠতে কাজে লাগাতে পারেন। পদ্ধতিটিঃ দু আঙ্গুল দিয়ে নাক টিপে ধরে শ্বাস বন্ধ রাখুন যতক্ষণ পারেন, ধরুন ৩০ সেকেন্ড, ৪০ সেকেন্ড, যদি আরো পারেন ১ মিনিট, তারপর আস্তে আস্তে শ্বাস ছাড়ুন। আবার দম বন্ধ করুন নাক চিপে ধরে প্রক্রিয়াটি আবার করুন। আপনার আলস্য কেটে যাবে। ঘুম ঘুম ভাব কেটে যাবে। শরীর চাঙা হয়ে যাবে। শোয়া অবস্থায় মানুষের দেহে রক্ত চলাচল ও অক্সিজেন সরবরাহ কম থাকে। দম বন্ধ করলে দেহ কোষ গুলিতে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা পড়ে, দেহের সমস্ত কোষ আরো অক্সিজেন পাবার জন্য সক্রিয় হয়ে উঠে, ফলে দেহে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায়, স্নায়ুতন্ত্র উজ্জীবিত হয়ে উঠে, শরীরের আলস্য কেটে যায়। পদ্ধতিটিতে অভ্যাস হয়ে গেলে, একসময় দেখবেন, ঘুম ভাঙ্গার পর নাকে হাত দেয়া মাত্রই শরীর চাঙা হয়ে উঠছে।

জাজাকাল্লাহু খাইরান। Good Luck Good Luck
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৩
263518
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! সুন্দর ও প্রয়োজনীয় পরামর্শের জন্য জাযাকুমুল্লাহ আপনাকে।
322131
২৪ মে ২০১৫ রাত ০৩:৩২
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : আলহামদুল্লিলাহ।আপু সত্যি অনেক ভাল লাগলো।
কদিন ধরে আমার ফজরের নামায কাজা হচ্ছিল দেরি করে শোয়ার কারনে। ২-৩ দিন ধরে চিন্তা করেছি ঘুমালে ১২ টার মর্ধ্যে ঘুমাবো তা না হলে ফজরের নামাযের পর।
আপু দোয়া রাখবেন এবং আমার জন্য দোয়া করবেন।
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৪
263519
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া! আপনার মূল্যবান মন্তব্য আমার আগামি দিনের পাথেয়। তাই মনে রাখলাম। ফি আমানিল্লাহ মহান আল্লাহ আপনার জন্য ও আপনার পরিবারের জন্য সহায় হোন। আমিন। দোয়া করবেন আমাদের জন্যেও।
322139
২৪ মে ২০১৫ সকাল ০৫:১২
কাহাফ লিখেছেন :
'মুমিনের মিরাজ'খ্যাত এই সালাত কে আমরা কতনা অব হেলায় তরক করি! ইচ্ছাকৃত 'সালাত তরক কুফুরী'র পর্যায়ে জেনেও আমরা হুশে আসি না!
সালাত আদায়ে আমরা যত্নবান হবো-এই মিনতী সবার কাছে!

আর,কানে পিপড়া ইত্যাদি প্রবেশ করলে তেল দেয়া মনে হয় ক্ষতিকর অনেক! ডাক্তার রা নিষেধ করেন এমন করতে!
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৬
263520
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! আপনার দোয়ার সাথে আমিন। আর সুন্দর পরামর্শের জন্য জাযাকুমুল্লাহ।
322145
২৪ মে ২০১৫ সকাল ০৮:০৬
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : সবকিছু নির্ভর করে নিয়তের উপর. নিয়ত ঠিক থাকলে আল্লাহ সাহায্য করেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৬
263521
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! সুন্দর ও সঠিক কথাই লিখে মন্তব্য করেছেন। জাযাকুমুল্লাহ খাইরান।
322194
২৪ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:১১
ছালসাবিল লিখেছেন : ইয়া আপপু, Crying Crying আমার ও এরকম হয় মাঝে মাঝে
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৭
263523
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আদরের ছোট্ট ভাইটি আমার। আল্লাহ সাহায্য করুন ও সহজ করে দিন সবকিছু আমার ভাইটির জন্য আমিন।
322320
২৫ মে ২০১৫ রাত ০২:৩২
সন্ধাতারা লিখেছেন : Salam my beloved apuni. It is really a beautiful experience mashallah. Jajakallahu khair.
২৫ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৯
263524
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয়া প্রিয় আপুনি। দোয়া করবেন আমাদের জন্য যেন মহান আল্লাহ তা'য়ালা সবকিছু আমাদের জন্য সহজ করে দেন। আপনার জন্যেও অনুরুপ দোয়া। ভালো থাকুন সবাইকে নিয়ে। ফি আমানিল্লাহ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File