Rose Roseপ্রবাস ও আত্মার প্রশান্তি! Rose Rose

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ১৮ মে, ২০১৫, ০৯:৩৭:২৭ রাত



কা'বা ঘরের ছবি।



মসজিদে নব্বীর ভেতরের অংশ। উপরে সবুজ গম্বুজ দিয়ে শনাক্ত করা রাসূল (সঃ) এর রওজা। আর পাশেই রিয়াদুল জান্নাহ।



এই সেই রিয়াদুল জান্নাহ এর জলপাই রঙ ও সাদা রঙে মিশ্রিত কার্পেট! যেখানে দুই রাকাত নামাজ পড়ার জন্য সকল মুসল্লি আকাংখিত। এখানে দুই রাকাত নামাজ পড়ে যে দোয়া করা হয় তা কবুল করে নেন আল্লাহ তা'য়ালা।

কি বর্ণে বর্ণনা করবো মনের ভাষা। ভাষা যেন খুজেই পাইনা। বরকতময়তা। আলহামদুলিল্লাহি। একমাত্র মহান আল্লাহর প্রতি সিজদাহ এ অবনত হয়ে আর তার দানের প্রশংসা করে সাথে শুকরিয়া আদায় করলেও এর শুকরিয়া আদায় হবেনা। আলহামদুলিল্লাহ! মহান আল্লাহ আমাদেরকে মদিনাতে থাকার সু-ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এই জন্য মহান আল্লাহর অসংখ্য শুকরিয়া আদায় করি। তিনি যেন সব সময় এখানে থাকার ব্যবস্থা করে দেন।

প্রবাস যেন একটি কারাগারের মতই। যেখানে ব্যক্তি স্বাধীনতা বলতে কিছুই থাকেনা। তারপরও জীবনের চাহিদা মেটাতে আমার ভাইয়াদেরকে স্বদীচ্ছায় পাড়ি জমাতে হয় প্রবাসের সেই কারাগারে। পরিবারের সবার জরুরত পূর্ণ করতে, তাদের মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখতে, যখন যা প্রয়োজন তার চাহিদে মেটাতে অনেকেই বেছে নেয় সেই প্রবাস বরণকে। স্বদেশীরা মনে করে সেখানে শুধু টাকাই টাকা। আসলে কি তাই? না! টাকা সেখানে উড়ে না। বরং খুব পরিশ্রমের বিনিময়ে টাকা পাওয়া যায়। টাকা আছে তবে রক্তে অর্জিত সেই টাকা। জীবনের মহা-মূল্যবান সময়গুলো পাড় করে দিতে হয় প্রবাসে সেই টাকার জন্য। সেখানে নেই মা-বাবা ভাই-বোন বা অন্য কোন আত্মীয়-স্বজন। তারপরও একেঅপরের বন্ধু হয়েই চলে এখানে।

সারাদিনের অনেক পরিশ্রম আর ক্লান্তিতে যখন শরীর খুজে বেড়ায় আরামের বিছানা। মন খুজে বেড়ায় একটু সুখের ছোঁয়া। সারাদিন শেষে এ'শার সময় অনেকেই কাজ থেকে অবসর পান। বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে খুজে নিতে চেষ্টা করেন কিছুটা আরাম। তখনই মনের মাঝে উপলদ্ধি আসে আহাঃ যদি দেশে থাকতাম তবে সন্তান কোলে নিয়ে আনন্দোপভোগ করতে পারতাম। আহঃ যদি দেশে থাকতাম তবে মা-বাবা ভাই-বোনকে নিয়ে একসাথে থেকে খেতে পারতাম। গল্প করতে পারতাম। যাদের বউ আছে তারা ভাবেন শশুর বাড়িতে বেড়াতে পারতাম। কিন্তু প্রবাস যেন সবকিছুরই বাঁধা হয়ে আছে। এসব ভেবে তখন মনের মাঝে যে হতাশা আসে, যে কষ্টের সাগরে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সেই অবসর সময় থেকে কোন প্রবাসী ভাই-ই মুক্ত নয়।

ভাবনা কখনো কখনো চোখের কোনে অশ্রুধারা প্রবাহিত করে দেয়। কখনো বা মনের মাঝে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। কিন্তু কিছুই করার থাকেনা। নিজের স্বদেশের দিকে তাকালে তখন সকল কষ্টই মেনে নিয়ে প্রবাসেই থাকতে হয় বছরের পর বছর ধরে। অনেকে ঘুম ছাড়া বাকি সময় কোন না কোন কাজে ব্যয় করেই থাকেন কারন হিসেবে তারা বলেন অবসর থাকলে নানা রকম ভাবনা আসে আর সে সব ভাবনা ভেবে ভেবে মনে কষ্ট পাই তাই কোন সময়ই হাতে রাখিনা। জেগে থাকলে কাজ করা আর ঘুমিয়ে থাকাটা শুধুই বিশ্রাম করার জন্য।

প্রবাস জীবনটা যে কত কষ্টের তা স্বদেশীরা স্ব-নজরে না দেখলে বিশ্বাস করতে পারবেনা। যদি একবার দেখতো প্রবাসীদের কি পরিমাণ কষ্টের কামাই দিয়ে তারা বিলাসিতার জীবন চালায় তবে হয়তো বুঝতো। প্রবাসীদের ঘাঁম ঝরা অর্থ আর রক্ত ঝরা অর্থোপার্জন দিয়ে স্বদেশীদের কত আরাম আয়েসের জীবন চলে তা কল্পনাও করা যায়না। তারা যদি স্ব-চোক্ষে একবার দেখতো তবে হয়তো বিলাসিতার জীবন পরিত্যাগ করতো। আমার বোনেরা যদি একবার দেখতো তবে হয়তো কখনো ভালোভাবে খেতেও পারতো না। দামী পোষাক পরিধান বন্ধ করে দিতো। অলংকারের চাহিদা তাদের থাকতো না। কিন্তু স্ব-নজরে দেখেনা বলে সবকিছুই তারা করছেন অবলীলায়।

দেশে অনেক অনেক পড়া-শুনা করে এদেশে এসে এমন কাজ করেন যা সবার কাছে উল্লেখ করা যায়না। প্রবাসীরা অসহায় হয়ে থাকে প্রবাস বরণ করে। আরো অসহায় হয়ে থাকে পরিবারের সবার চাহিদা মেটাতে। অনেকে না বললে ও তাদের কষ্টের দীর্ঘশ্বাসে বুঝা যায় তারা কতটা কষ্ট বুকে নিয়ে প্রবাসে পড়ে আছেন। তারা বাস্তবিকই কতটা অসহায়। তা মুখে না বললে ও যারা প্রবাসে পরিবার নিয়ে থাকতে পারছেন আমার সেই বোনেরা কিছুটা উপলদ্ধি করতে পারছেন। বাকি যারা দেশে থেকে শুধু টাকা চাই টাকা চাই, গয়না চাই, বাড়ি চাই, গাড়ি চাই করছেন তারা প্রবাসীদের কষ্টের ক' ও বুঝতে পারছেন না।

প্রবাসী সেই ভাইয়ারা যার যার পরিবারের চাহিদা মেটাতে অনেক সময়, বিয়ে পর্যন্ত করতে পারেন না সময়মত। বিয়ের বয়ষ পাড় হয়ে যায় তারপর বিয়ে করেন। অনেকে ভাই বোনদের দেখতে দেখতে জীবনের মহা মূল্যবান যৌবনের সময় শেষ করে ফেলেন। পরিশেষে যখন বউ বাচ্চা হয় নিজের, তখন বউ-বাচ্চাদের সময় দেয়ার ও সময় থাকেনা। অনেক সময় দেখা যায় এ নিয়ে বউয়ের সাথে নানা রকম উচ্চ-বাচ্চ চলে। সেই কষ্টও মনের মাঝে বয়ে বেড়ান অনেকেই।

প্রবাসীদের কষ্টের শেষ নেই। হাজার রকমের কষ্ট বুকে নিয়ে তারা প্রবাসে কাটায়। এখানে আরামকে হারাম করে চলতে হয়। চলে সবাই। কারন একদিন বসে থাকলে কে দেবে এক প্লেট খাবার? তাই পাড়ত পক্ষে কেউই বসে থাকেনা। ওদিকে প্রবাসীদের পরিবারের চাহিদার শেষ নেই মাকে কল করলে বলেন তোর ছোট বোনদের ঈদ খরচ দিতে হবে। তোর বাবার অসুস্থতার জন্য ভালো চিকিৎসা করাতে হবে। বাবাকে কল করলে বাবা বলেন তোর মায়ের ওষুধ খরচ লাগবে। বাবা আরো বলেন তোর ছোট বোনের বিয়ে দিতে হবে। ছোট ভাইকে কল করলে বলে পরীক্ষার খরচ ও তারপর ভর্তির খরচ দিতে হবে ভাইয়া। ছোট বোনকে কল করলে সে বলে আপনাদের জামাই একটি মটর সাইকেল চাইছে। ভাইয়া কি করবো? অপরদিকে বাসার মেহমান খরচ। বউয়ের কসমেটিক খরচ, সন্তানের খাবার খরচ। শালির বিয়েতে উপহার দিতে হবে এমন হাজার খরচের তালিকা পেশ করা হয় প্রবাসীদের কাছে। তিনি বাধ্য সবার চাহিদা মেটাতে।

প্রবাসী শুধু মায়ের কথা গুলো শুনে বলে দেয় আচ্ছা চেষ্টা করবো দিতে, আপনারা কোন চিন্তা করবেন না। কিন্তু একবারও কি কারো মনের মাঝে উদয় হয় যে, ছেলেটি কোথা থেকে এত কিছু করবে? সবাই সবার চাহিদাকে পেশ করে যায় কিন্তু একবারও মা-বাবা ছেলের চাহিদার প্রতি তাকায় না। ভাই-বোনেরা ভাবেনা ভাইয়ের বিয়ের বষয় শেষ হয়ে যাচ্ছে। সে কিভাবে সন্তান প্রতি-পালন করবে? আর যাদের বউ আছে তাদের জন্যেও ভাবেনা পরের মেয়েটা কতটা কষ্ট করছে স্বামীকে প্রবাসে রেখে।

আমার লেখাটা কারো কারো কাছে বিষের মত লাগবে। কিন্তু আমি এই লেখার মাধ্যমে বুঝাতে চাইছি যে, প্রবাস জীবন কতটা কঠিন। কতটা কংকরময় এই জীবনের ধাপগুলো। কত কষ্ট বুকে বয়ে নিয়ে জীবনের সময়গুলো পাড় করেন প্রবাসীরা। সারাদিনের কঠিন পরিশ্রম শেষে অনেকে বিকেলে বা সন্ধ্যায় আসেন প্রিয় নবী (সঃ) এর মসজিদে (মসজিদে নব্বীতে) কিছুটা সময় কাটিয়ে যান। এখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে খুজে নিতে চান মনের প্রশান্তিকে।

আমি নিজেকে দিয়ে বুঝতে পারছি প্রবাস কতটা কষ্টময় জীবন। সারাদিন একাকি বাসায় থাকি, মেয়ের লেখা পড়া, রান্না করা, ঘরের বাকি কাজের পর যখনই অবসর পাই তখনই মনের মাঝে উঁকি মারে স্বজনদের দুরে রাখার কষ্টগুলো। কখনো চোখের কোনে ভেসে উঠে প্রিয় প্রিয় মুখগুলোর ছবি। কতদিন দেখিনা তাদেরকে। হাজারো কষ্টের পরে প্রিয় মুখগুলো চোখের পাতায় ভেসে উঠে মনের মাঝে কিছুটা আনন্দ আনয়ণ করলেও কষ্টই বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। মনে পড়ে যায় আহঃ যদি একসাথে থাকতে পারতাম। সেই কষ্টগুলো মনের মাঝে যে হতাশা তৈরি করে সেই হতাশা দুরীভূত করতেই অনেকে মসজিদে নব্বীতে এসে সময় কাটান। এখানে আসলে মনের মাঝে যেন প্রশান্তিতে ভরে যায়।

মসজিদে নব্বীতে আসলে কোথা থেকে যেন অনাবিল তৃপ্তি এসে মনের সকল হতাশাকে দুর করে দেয়। এটা সেই মহান আল্লাহরই বিশেষ অনুগ্রহ। কিছু সময় পূর্বে ও মনের মাঝে অনেক হতাশা জমে ছিলো। চোখের কিছুটা অশ্রুও ঝরে ছিলো, কিছুটা মুখের উপর প্রকাশিত ও হয়েছিলো কিন্তু যখনই এই মসজিদে আসি মনের সকল হতাশা, সকল কষ্ট, সকল না পাওয়ার কষ্ট যেন মসজিদে নব্বীর (হারামের) আশা-পাশের শীতল বাতাসের সাথে হারিয়ে যায়। মনের মাঝে এনে দেয় প্রশান্তির পরশ।

প্রবাসী ভাইয়ারা আরো শান্তি খুজে নেন রিয়াদুল জান্না এর মত মূল্যবান স্থানে দুই রাকাত নামাজ পড়ে। মনের সকল কষ্ট, সকল ক্লান্তি, সকল চাহিদা, সকল চাওয়া পাওয়া, সকল প্রার্থনা মসজিদে নব্বী ও সকলের মালিক আল্লাহর কাছে পেশ করে। এভাবে যারা মক্কা-মোকাররমায় বসবাস করেন তারাও কা'বার সামনে গিয়ে মনের প্রশান্তি অনুভব করেন। মায়ের কথা মনে পড়েছে? কাকে বলবেন এখানে তো আপনজন কেউই নেই তাই কা'বা ঘরে গিয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে ধৈর্য চেয়ে নেন। আর নেক হায়াতের দোয়া করেন আপনার মায়ের জন্য।

আমরা অনেক গুলো বাংলাদেশী পরিবার এখানে থাকি (যাদেরকে প্রবাসী পরিবারও বলা যায়)। কেউই আমার কাছাকাছি নেই। তারপরও একটু অসুখ হলে আপন জনের মত খোজ খবর নেন। এখানে প্রায় সবার মাঝেই স্বদেশ প্রেম জাগ্রত। স্বজন প্রিয়তার দুরুত্বের কষ্ট বিদ্যমান। তারপরও তারা প্রবাসে পড়ে থাকেন পরিবার নিয়ে। আর যারা আপন বউ ছেলে মেয়ে দুরে রেখে আছেন তাদের সবার কষ্টই এই পবিত্রতম স্থানগুলোতে গেলে কিছুটা শান্তনা পায়। আপনি প্রবাসী? আপনি মদিনায় থাকেন? আপনি মক্কা-মোকাররমায় থাকেন? তবে দিনের কিছু সময় সেখানে কাটান আল্লাহর সাথে ভালো সম্পর্ক করতে। তার প্রিয় রাসূল (সঃ) এর সাথে বন্ধুতের সম্পর্ক রাখতে, মনের না বলা অনেক কষ্টকে ভুলে থাকতে, আর নিজের সকল গুনাহ সমূহ ক্ষমা করিয়ে নিতে। মক্কা-মদিনা হোক আপনার আমার কষ্ট ভুলে থাকার স্থান।

আমারও যখনই স্বদেশের কথা মনে পড়ে। স্বজনের কথা মনে পড়ে, মায়ের চির আপন মুখটি চোখের কোনে ভেসে উঠে, ছোট ছোট ভাই-বোনদের মায়ার বাঁধনের কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে সহপাঠীদের সাথে থাকা মধুময় সময়গুলো তখন মসজিদে নব্বীতে আসি। মনটাকে প্রশান্ত করে নেই কিছু সময় কাটিয়ে। মন যেন ভরেনা এখানে সময় কাটিয়ে। আর যখন কোন শান্তনা বোধ না হয় তখন চলে যাই রিয়াদুল জান্নাহ তে সেখানে মনের সকল ক্লান্তি, সকল কষ্ট, সকল ব্যর্থতা, সকল আকাংকা মহান আল্লাহর কাছে পেশ করে মনকে খালি করে নেই। অনুভব করি কি প্রশান্তি? কি তৃপ্তি?মসজিদে নব্বীতে মক্কার কা'বা ঘরে।

বিষয়: বিবিধ

১২৮২ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

320887
১৮ মে ২০১৫ রাত ১০:০০
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:০৫
262149
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! উৎসাহ মূলক মন্তব্য দিয়ে যাবার জন্য আপনাকে জাযাকুমুল্লাহ খাইরান!
320888
১৮ মে ২০১৫ রাত ১০:০৩
হতভাগা লিখেছেন : কাবার ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে যে ৩ জন চেয়ারে বসে আছে । এখানে তো তুমুল কম্পিটিশন তওয়াফ করার কারণ হজরে আসওয়াদে চুমু দেবার জন্য এখানে খুবই কঠিন লড়াই চলে ২৪ ঘন্টাই ।

এত আরামসে তিনজন লোক বসে আছে !!! কোন সময়ের ছবি এটি ?

প্রবাস জীবনের কষ্টের কথা বলছেন এবং সাথে দেশের জন্য , দেশের পরিবার পরিজনের জন্যও হাহাকারের কথাও বলছেন ।

যেই না বলবো যে দেশে ফিরে আসেন অমনি '' আমি দেশে গেলে অভাগা এই প্রবাসের কি হবে '' এ রকম একটা অজুহাত চলে আসবে ।
১৮ মে ২০১৫ রাত ১০:১৭
262018
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : বসেছে অনেক দুরে...........
আপনি গিয়ে থাকলে বুঝতে অসবিদা হওয়া কথা ছিলনা........
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:১২
262150
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু হতভাগা ভাইয়া! এই সময়টা ছিলো শেষ রাতে, ফজরের প্রায় ঘন্টা খানেক আগে। তাওয়াফ শেষ করে অনেকেই চলে গেছেন তখন সাই করতে। আর হজ্জের মাস চলে যাবার পর কয়েক মাস ওমরাহকারিরা কম আসেন। তখনই স্থানীয়রা ওমরাহ করেন বেশীর ভাগ। আবার বেশী হাজী আসতে শুরু করেন রমাদ্বনের আগে আগে। আর তখন স্থানীয়দের জন্য অনেকটা নিশেধের মতই কা'বায় যাওয়া। অনেকে নিজের ইচ্ছা থেকেও যান না। কারন হাজীদের জন্য সুযোগ করে দেয়া উচিৎ। যেহেতু তারা সব সময় এখানে থাকেন। মন্তব্য দিয়ে যাবার জন্য আপনাকে জাযাকুমুল্লাহ খাইরান!
320895
১৮ মে ২০১৫ রাত ১০:১৮
আবু তাহের মিয়াজী লিখেছেন : পড়ে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:১৩
262151
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! উৎসাহ মূলক মন্তব্য দিয়ে যাবার জন্য আপনাকে জাযাকুমুল্লাহ খাইরান!
320897
১৮ মে ২০১৫ রাত ১০:২২
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
আমরা কেন জানি কষ্ট করে নষ্ট হওয়া কেই জিবনের সাফল্য মনে করি।
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:১৩
262152
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! উৎসাহ মূলক মন্তব্য দিয়ে যাবার জন্য আপনাকে জাযাকুমুল্লাহ খাইরান! ভাইয়া আপনার মন্তব্যের ভাষাটা বুঝলাম না। বুঝিয়ে দেবেন কি?
320905
১৮ মে ২০১৫ রাত ১১:৩৯
আবু জান্নাত লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ আপু, মদিনার ভালোবাসার লিখাগুলো অনেক অনেক ভালো লাগলো, সাথে প্রবাসীদের নিয়ে লিখাগুলো যেন অন্তরের মাঝে এক অন্যরকম অনুভূমি তৈরী করলো। সত্যিই প্রবাসীদের কষ্ট কেউ বুঝে না, সবাই মনে করে প্রবাস মানেই টাকার খনি। আপনার অনুভূমি প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক শুকরিয়া।
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:১৪
262153
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! উৎসাহ মূলক মন্তব্য দিয়ে যাবার জন্য আপনাকে জাযাকুমুল্লাহ খাইরান! সঠিক কথাই বলেছেন ভাইয়া!
320918
১৯ মে ২০১৫ রাত ০১:২১
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহামাতুল্লাহি ওবারাকাতুহু। প্রবাসীদের মনের কথা গুলো গুছিয়ে বলার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:১৫
262154
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! উৎসাহ মূলক মন্তব্য দিয়ে যাবার জন্য আপনাকে জাযাকুমুল্লাহ খাইরান!
320936
১৯ মে ২০১৫ রাত ০২:২৫
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : প্রায় সাডে পাঁচ বছর ধরে প্রবাসে আছি, মন যেন চটপট করতেছে, কবে যে মায়ের কোলে ফিরে যাব। প্রবাস জীবনের কষ্টের কথা শুধু প্রবাসীরা বুঝবে...আপনি অনেক ভাগ্যবতী, দুনিয়ার সেরা জায়গাতেই আছেন। আপনার দোয়ার মধ্যে বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলনরত ভাইদের নাম গুলো ও সামিল করিয়েন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:১৮
262155
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! মনে চাইলেও কিছু করার নেই ভাইয়া। ধৈর্য ধরা ছাড়া। আল্লাহ সুযোগ করে দিন আপনাকে মায়ের সাথে দেখা করে আসতে! ভাইয়া রওজায় গেলে সবচেয়ে বেশী দোয়া করি আমার দেশের জন্য আর স্বদেশী ভাই বোনদের জন্য। আল্লাহ আমার মাতৃভূমির হেফাজত করুন। আমিন। উৎসাহ মূলক মন্তব্য দিয়ে যাবার জন্য আপনাকে জাযাকুমুল্লাহ খাইরান!
320965
১৯ মে ২০১৫ সকাল ০৮:৪১
শেখের পোলা লিখেছেন : যথার্থই বলেছেন৷ প্রবাসীদের জীবনটাই যেন অন্যের চাহিদা মেটানোর যন্ত্র৷ যারটা পূরণ না হবে সে অসন্তুষ্ট হবে৷ হয়ত এক পর্যায়ে বে ইমান বলতেও বাধেনা৷আপনাকে ধন্যবাদ৷ আর পরে যখনই নবী সঃ এর কাছে যাবেন আাদের জন্যও দোওয়া করবেন৷
১৯ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:২৩
262156
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! সঠিক কথাই বলেছেন ভাইয়া। অনেক ভাই-বোনেরা তো বলেই বউ আসার পর ভাই বদলে গেছে। আসলে কি তাই? সংসার হলে তো সবাই নিজের সংসারকে আগে প্রাধান্য দিবে এটাই স্বাভাবিক। ভাইয়া একটি কথার সংধোশনী করে দেই মনে কষ্ট নেবেন না। (কথাটা হলো আমরা রওজায় যাই ঠিকই কিন্তু আমরা প্রার্থনা করি আল্লাহর কাছে)। রাসূল (সঃ) এর কাছে শুধু সালাম পৌছাই। আর এটা কোন মানুষ না করলেও আল্লাহর পবিত্র ফেরেশতাগণ সালাম পৌছে দেয়ার কাজে নিয়োজিত আছেন। যে কেউ প্রিয় নবী (সঃ) কে সালাম দিবে সে সালাম পৌছে দেয়া হয় প্রিয় হাবীব (সঃ) এর কাছে। তবে রিয়াদুল জান্নায় গেলে আপনার ও আপনার পরিবারের সবার জন্যে কল্যাণের দোয়া করবো ইনশা-আল্লাহ। উৎসাহ মূলক মন্তব্য দিয়ে যাবার জন্য আপনাকে জাযাকুমুল্লাহ খাইরান!
১৯ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০১
262168
শেখের পোলা লিখেছেন : সংশোধনিতে খুশী হলাম৷ তবে বলি আমি দোওয়া করতে বলেছি যখন আপনি সেখানে নামাজ পড়ে দোওয়া করেন, আর সে দোওয়া আল্লাহর কাছে, রসুলল সঃ এর কাছে নয়৷ ধন্যবাদ বোনটি আমার৷
২০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:০১
262370
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! খুশি হলাম আপনার মন্তব্য পড়ে! আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা মনে করেন রাসূল (সঃ) এর কাছে দোয়া চাওয়া হয়। তাই সংশোধনী করে দিলাম। আপনার ও আপনার পরিবারের সবার সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করি। দোয়া করবেন আমাদের জন্যেও!
321070
১৯ মে ২০১৫ রাত ০৮:৪৭
আফরা লিখেছেন : আসসালমু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আপু ।আপু এত পবিত্র জায়গায় থাকেন আমার জন্য একটু বেশি করে দুয়া করবেন আপু ।
১৯ মে ২০১৫ রাত ০৮:৫৪
262193
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ছোট্ট বোনটি আমার! হাঁ আমার বোনের জন্যই তো সকল কল্যাণের দোয়া সাথে আল্লাহ যেন উত্তম বরের ব্যবস্থা করে দেন! আমিন!
১০
321228
২০ মে ২০১৫ দুপুর ০১:২৯
নন্টে ফন্টের মামু লিখেছেন : আঁই নন্টে ফন্টের মামু। আঁই এক্কেরে লতুন আইচি। আঁই আন্নের বন্ধু হবার চাই। আন্নে কি আমারে এইহানে গিয়া দেইখ্যা আইবেন?
২০ মে ২০১৫ বিকাল ০৪:৪৯
262365
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! আমরা তো এখানে সবাই ভাই বোন ও এক পরিবারের মতই। সবাই সবার স্বজন।
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪৩
262387
নন্টে ফন্টের মামু লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম সালাম। তাইলে তো কথাই নেই। ফ্রি অন্নেক ভাই-বোন পেলাম মনে হয়!!
১১
321293
২০ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৪
শাহাদাত হুসাইন নবীনগর লিখেছেন : অবসরে যখন দেশে থাকা সেই প্রিয় মুখগুলো চেহারার সামনে ভেসে উঠে নিজেকে সামাল দিতে খোব কষ্ট হয় অনেক কষ্ট হয় ।
এই কথাটি প্রবাসীরা বুজলেও বুজেনা শুধু ঐ পাষান মনের মানুষগুলো যারা আমাদের রুজি করা টাকায় দেশে আরামে খায় ।
২০ মে ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৫
262380
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ভাইয়া! সঠিক কথাই বলেছেন। আল্লাহ জাযা দিন আপনাকে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File