ভাল বন্ধু হয়ে!! ( ধারাবাহিক গল্প ১৪ পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৮ মে, ২০১৫, ০১:১৭:১২ দুপুর
তেরো পর্বের পর
সেদিনের পর থেকে পরশ রোকেয়া ভাবির ঘরে যাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিলো। সে নিজে ও কষ্ট পাচ্ছিলো ভাবির সঙ্গ ত্যাগ করাতে কিন্তু কি করা? মনের কষ্টে পরশ আল্লাহকে বলে হে আল্লাহ তুমি মানুষের মাঝে এমন দুষ্ট মানুষও বানিয়েছো যারা মানুষকে কাঁদায়? যারা আমাকে, ভাবিকে কাঁদাচ্ছে তুমি তাদের হিদায়াত দাও আর আমাদেরকে ধৈর্য দাও। সময় কারোর জন্যই থেমে থাকেনা সময়ের গুণমতে সময় অতিবাহিত হতে থাকে তার নির্ধারিত নিয়মে এই গত হয়ে যাওয়া সময়ের যারা সৎ ব্যবহার করেছেন তারাই কামিয়াব হয়েছেন আর যারা সময়ের সঠিক ব্যবহার করতে পারেন নি তারাই বর্বাদ হয়েছেন কিন্তু কারো কারো চোখ আল্লাহ খুলে দেন তারা বুঝতে পারে আর কারো কারো চোখ মরনেও খুলেনা তারা অন্ধ ও অজ্ঞ হয়েই মারা যান আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন! পরশ সবার জন্য কল্যাণের দোয়া করে সব সময়!
ভাবি পরশকে কিছুতেই ভুলতে পারে না। ভাবি ভাবছে পরশে এত অল্প বয়ষে কতকিছু জানে, কত আমল করে অথচ পরশের তুলনায় সে নিজে তেমন কিছুই জানেনা। তেমন আমলও নেই তার। তারপর ও পরশের সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে তো কিছুটা জানতে পেরেছে আর মানতেও চেষ্টা করছে। রোকেয়া ভাবি ভাবছে এই অল্প আমল দিয়ে কি আল্লাহকে খুশি করতে পারবে? ভাবি আরো ভাবছে পরশের অনেক গুণের মাঝে একটি বিশেষ গুণ হলো সে সব সময় কোন না কোন দোয়া করতেই থাকে।
যে পরশের ক্ষতি করে পরশ তার জন্যেও দোয়া করে। আর যে তার কল্যাণ চায় তার জন্যেও দোয়া করে। আসলে পরশ তো সেই পরশ পাথরের ন্যায় যার ছোঁয়ায় স্বাভাবিক পাথর গুলো মূল্যবান হীরা হয়ে যায়। আমার সাথে পরশের দেখা না হলে আমি যেই গুনাহগার রোকেয়া তাই থাকতাম। পরশের পরশ পেয়ে আমি দ্বীনের পথে অনেকটা এসেছি এখন যদি পরশ দুরে সরে যায় তবে আমি কি করবো? আমাকে কি শয়তান আবারো ধোঁকা দেবেনা? হে আল্লাহ তুমি আমাকে, আমার ঈমানকে হেফাজত করো। আর পরশের জন্য উত্তম ব্যবস্থা করে দাও।
রোকেয়া নিয়মিত রাতে উঠে তাহাজ্জুদ পড়ে! স্বামীর হেদায়াতের জন্য দোয়া করে। আর পরশের জন্য দোয়া করে হে আল্লাহ তুমি পরশের জন্য উত্তম স্বামীর ব্যবস্থা করে দাও! পরশ যেন সব সময় সুখে ও শান্তিতে থাকে! তুমি তাকে সব সময় সুখে রাখো! রোকেয়ার জীবনের মোড় পরশের মাধ্যমে ঘুরলেও মূলত রোকেয়া জীবনকে মহান আল্লাহই পরিবর্তন করেছেন পরশের বন্ধুত্বের মাধ্যমে! তাই রোকেয়ার কাছ থেকে পরশ দোয়া পেতেই পারে! অনেকদিন রোকেয়ার সাথে পরশের দেখা হয়না কিন্তু তাদের মনের মিল ঠিকই ছিলো একে অপরের প্রতি! পরশ ও অনুভব করতো রোকেয়া ভাবিকে আর ভাবি তো সব সময়ই পরশের কথা মনে করে করে দোয়া করতে থাকে!
চলছে............চলবে।
বিষয়: বিবিধ
১০০৮ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"অল্প আমল দিয়ে কি আল্লাহকে খুশি করতে পারবে?"
আল্লাহর রাসূল (সাঃ) তো বলেছেন, আল্লাহকে খুশি করার জন্য, পরকালে মুক্তির জন্য আল্প আমলই যথেষ্ট যদি তা নিয়মিত পালন করা হয়।
পরশের মতোন পরশপাথরের পরশে পাথরও বুঝি হীরা-পান্নাতে পরিনত হয়! অনেক ভালো লাগলো!
চলছে............চলুক ...........
মন্তব্য করতে লগইন করুন