পানি পান করার আদব ও সুন্নত
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ১৭ এপ্রিল, ২০১৫, ০১:৫৫:০৬ দুপুর
পানির অপর নাম জীবন! পানি ছাড়া মানুষের কোনভাবেই চলেনা! সেই পানি পান করাতেও আছে অফুরন্ত নেকী! আমরা জানিনা বলেই অফুরন্ত নেকী অর্জন করতে পারিনা! মহান আল্লাহ আমাদেরকে তার অফুরন্ত নেয়ামত দিয়ে লালন-পালন করেছেন আমরা সেই নেয়ামত ভোগ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে সচেষ্ট হই! মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সেই তৌফিক দান করুন!
১/ বসে পানি পান করা মুস্তাহাব।
২/ ডান হাত দ্বারা পানি পান করা সুন্নত
৩/ পাত্রে যে স্থানে ফাটা রয়েছে ঐখানে মুখ না রাখা।
৪/ তিন শ্বাসে পানি পান করা উত্তম, প্রত্যেকবার পাত্র থেকে মুখ পৃথক করা।
৫/ পাত্রের ভীতরে শ্বাস অথবা ফুঁক দিবেনা।
৬/ পান করার শুরুতে بسم آلله বলা আর শেষে آلحمد لله বলা সুন্নত
৭/ পানি পান করার শেষে এই দোয়া পড়া।
آلحمد لله آلذى جعله مآء عذبآ فرتآ ولم يجعله بذنوبآ ملحآ آجآجآ.
তরজমাঃ- সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’য়ার জন্য, যিনি পানিকে মিষ্টি করেছেন। আমাদের গুনাহের কারনে তিক্ত করেননি।
৮/ দুধ, চা, এজাতীয় তরল জিনিস পান করার সময় এই দোয়া পড়া।
آللهم بآركلنآ فيه و زدنآ منه.
তরজমাঃ- হে আল্লাহ আমাদের, এই খাবারের মধ্যে বরকত দিন। এবং উহা বৃদ্ধি করে দিন।
৯/ জমজমের পানি কেবলার দিকে মুখ করে দাড়িয়ে পান করা সুন্নত
১০/ জমজমের পানি পান করার দোয়া।
آللهم آنى آسآلك علمآ نآفعآ و رزقآ وآسعآ و شفآعآ.
তরজমাঃ-হে আল্লাহ আমাকে উপকারী এলেম দান করুন। এবং রিযিকের প্রাচুর্য দান করুন। এবং আরোগ্যতা দান করুন।
১১/ পান করার পর যদি কোনো ব্যক্তিকে দিতে হয়, বা চায় তাহলে ডানদিক থেকে শুরু করা। যদিও ডানদিকের ব্যক্তি তুলনা মূলক ভাবে মর্যাদার দিক দিয়ে কম হয়, তবে যদি ডানদিকের ব্যক্তি বামদিকের ব্যক্তিদের দেয়ার অনুমতি দেয় তাহলে জায়েজ আছে।
১২/ পানির পাত্র যদি বড় হয়, এবং অধিক পরিমান পানি পড়ার আশংকা থাকে, তাহলে এমন পাত্র থেকে সরাসরি পান করা আদবের খেলাফ
১৩/ যে পান করাবে সে সর্বশেষে পান করা।
১৪/ কোনো মুসলমান ভাইয়ের, বিশেষ করে ফরহেজগার লোকদের অবশিষ্ট পানি বরকত মনে করে পান করা।
আগের পোষ্টের খাওয়ার আদবের, যে দোয়া আছে সেগুলোর তরজমা গুলো নিম্মরুপঃ-
১/ খাবার সামনে আসার দোয়ার তরজমাঃ- আয় আল্লাহ! তুমি আমাদের রুজিতে বরকত দাও ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচাও
২/ খাবার শুরুতে দোয়ার তরজমাঃ-আল্লাহর নামে ও আল্লাহর বরকত চাহিয়া শুরু করিলাম।
৩/ ভুলিয়া গেলে যে দোয়া তার তরজমাঃ- আল্লাহর নামের সাথে শুরু ও আল্লাহর নামের সাথেই শেষ।
৪/ খাবার শেষের দোয়ার তরজমাঃ- সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর জন্য যিনি আমাদিগকে খাওয়ালেন, পান করালেন, এবং মুসলমানের অন্তর্ভুক্ত করলেন।
৫/ দস্তর খানা উঠানোর দোয়ার তরজমাঃ- আল্লাহর জন্য সমস্ত প্রশংসা! এমন প্রশংসা যা অশেষ পবিত্র ও বরকতময়। হে আমার প্রভু এই খাবারকে অপ্রচুর মনে করে, বা চিরদিনের জন্য বিদায় দিয়ে, বা এর প্রতি বিমূখ হয়ে উঠলামনা।
৬/ দাওয়াত খাওয়ার দোয়ার তরজমাঃ- আয় আল্লাহ! যিনি আমাকে খাওলেন, পান করালেন, তাহাকেও তুমি খাবার দাও ও পান করাও
(তিরমীযি দ্বিতীয় খন্ড)
বিষয়: বিবিধ
১২১৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন