ভাল বন্ধু হয়ে!! ( ধারাবাহিক গল্প ৯)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৬ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:২৪:১৯ দুপুর
এভাবে প্রায় বছর খানেক চলে যায় কোরআন শিক্ষার আসরে এসে এসে। ভাবিও নামাজের নিয়মিত সূরাহ গুলো ভালোভাবে শিখে নেয় পরশ থেকে। ভাবির পড়ার মনযোগ খেয়াল করে পরশ বলে ভাবি এবার আপনি কোরআন পড়তে শুরু করেন আপনি পারবেন কারন আপনার আগ্রহ ও চেষ্টা আপনাকে অনেক আগে বাড়িয়ে দেবে। ভাবি তেলোয়াত শিখে নেয় সূরা ইয়াসিনের। সাথে প্রথম চারপারার তেলোয়াতও শিখে। ভাবি তো মহা খুশি কোরআন তেলোয়াত করতে পেরে। এখন ভাইয়া ও খুশি। পরশকে কি দিয়ে খুশি করবে? তাই তারা স্বামী স্ত্রী দুজনেই পরশের জন্য মন ভরে দোয়া করে। আল্লাহ যেন পরশের জন্য উত্তম বরের ব্যবস্থা করে দেন এর চেয়ে বড় দোয়া কি হয় পৃথিবীর জীবনে?
কিছুদিন পর পরশ বলে ভাবি আমার সামনে পরীক্ষা আর এখন আপনি একা একা কোরআন পড়তে পারেন আপনি পড়তে থাকবেন। এখন থেকে আমি আর আসবো না। তবে কয়েকমাস পর পর এসে আপনার পড়া শুনে যাবো। ভাবি তো পরশের এই কথা শুনে কাঁদতে শুরু করে, না পরশ তুই আমাকে কোরআন খতম করিয়ে তারপর যাবি নয়তো আমি তোকে যেতে দেবনা। পরশ বলে ভাবি এখন আর এমনটি করবেন না। আপনি নামাজ পড়তে পারেন, কোরআন তেলোয়াত করতে পারেন, পর্দা করতে শুরু করেছেন, ভাইয়ার কথা মানেন, তাহাজ্জুদ পড়েন আপনার আর ভয় কিসের? আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করছেন স্বামীকে সন্তুষ্ট করেছেন এখন সব সময় এগুলো নিয়মিত করবেন ইনশা-আল্লাহ আল্লাহর কাছে ক্ষমা পাবেন।
আপনার জন্যেও আমি দোয়া করবো আপনিও আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমাদের সম্পর্ক শুধু দুনিয়ার জন্য নয় আমাদের সম্পর্ক একে অপরের প্রতি ভালোবাসা একজন একজনকে নিয়ে যাবে জান্নাতের দিকে ইনশা-আল্লাহ! কোন বিষয়েই আল্লাহর উপর নারাজি ভাব প্রকাশ করবেন না ধৈর্য ধরবেন আর মনে রাখবেন সবকিছুই আল্লাহর পক্ষ থেকে হয় আপনার সাথে আমার দেখা এ তো শুধুই আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক আছে থাকবে। আর অনুরোধ করবো আপনার পরিবারে আপনার ছোট ছোট বোনদেরকে আপনি সব সময় নামাজের জন্য তাকিদ দেবেন। পর্দার ব্যপারে খেয়াল করবেন মনে রাখবেন নিজের নেক আমল দিয়ে কেউই জান্নাতে যেতে পারবেনা। আমি আপনার কাছে অনুরোধ করবো আপনি কখনো কোন কারনে মানুষকে কষ্ট দিবেন না। কারন বড়বড় ব্যাক্তিবর্গের অভিমত এমন ছিলো।
তরবারির আঘাত মানুষের শরীর জখম করে কিন্তু
মন্দ কথার আঘাত হৃদপিন্ড রক্তাক্ত করে দেয়।
----হযরত ওসমান (রাঃ)
তারা সব সময় নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতো অন্যকে কষ্ট দেয়া থেকে। আমাদেরকেও তাদেরই অনুসরন করতে হবে যতই কষ্ট মনে আসুক যতই বাঁধা আসুক সত্যের জন্যই আমাদেরকে লড়তে হবে। আর সব চাইতে বড় জিহাদ হলো নফসের সাথে জিহাদ করা সে নফসকে পরাজিত করতে পেরেছে সেই বড় বিজয়ী হয়েছে। আর অনুরোধ করবো ভাইয়ার কথাকে মূল্য দিবেন, দেখবেন একসময় ভাইয়া ও আপনার কথাইকেই বেশী মূল্যায়ণ করবে। আপনারা নিজেরা নিজেরা সামান্য বিষয় নিয়ে ঝগড়া করবেন না এতে করে আপনার সন্তান ছোট থেকেই বিপথগামী হওয়ার আশংকা বেশী থাকবে।
বিষয়ঃ বিবিধ
চলছে.............চলবে।
বিষয়: বিবিধ
১১২০ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ আপু ।
তোমাকে আল্লাহ উত্তম যাযা দিন!
লেখা অব্যাহত রাখুন ৷
মন্তব্য করতে লগইন করুন