হে ভাই ও বোন আপনাকেই বলছি (খ শেষ পর্ব)!
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২৪ মার্চ, ২০১৫, ০৬:৪৭:১২ সন্ধ্যা
ইসলাম অর্থ শান্তি। তাই যে বা যারা যতবেশী ইসলামের নিয়ম-নীতির মাঝে থাকতে পারবেন, নিজ সংসার ও সমাজে বাস্তব করতে পারবেন তিনি বা তারা তত বেশী সুখ ও শান্তির অধিকারী হবেন।সংসার সুখের হয় রমনীর গুণে
যদি স্বামী-স্ত্রী দু'জনারই পরকালের ভয় থাকে আপন মনে।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেনঃ- স্ত্রী লোকের জান্নাত এবং জাহান্নাম বলতে তার স্বামী।’
(আহমদ নাসাঈ) ।
ঠিক তাই! স্বামী-স্ত্রীর মিল মহব্বত থাকলে সে গৃহে জান্নাতের সুশীতল বাতাস বইতে থাকে। আর অমিল থাকলে তা জাহান্নামের যন্ত্রনার চেয়েও অধিকতর যন্ত্রনাদায়ক মনে হয়।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেনঃ-“আল্লাহ তা’আলার নিকট সেই স্বামী-স্ত্রীই মর্যাদার দিক থেকে নিকৃষ্টতর যারা একে অন্যের নিকট গমন করে, অথচ পরে পরস্পরের গোপন রহস্য অন্যের নিকট প্রকাশ করে।
(মুসলিম, আবু দাউদ)
রাসূলে আকরাম (সাঃ) এরশাদ করেন, যে স্ত্রীলোক স্বামীর বিনা অনুমতিতে ঘরের বাইরে পা বাড়ায়, সে যতক্ষন ঘরে প্রত্যাবর্তন না করে, ততক্ষন পর্যন্ত সমস্ত ফেরেস্তারা তার উপর অভিসম্পাত করতে থাকেন।
(তাবারানী)
অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর গোপন কথা, আচরণ এসব বাইরে প্রকাশ করা একেবারেই অনুচিত এবং তা গুনাহের কাজ। যারা এরুপ করে বুঝতে হবে তারা বিকৃত রুচি ও মন-মানষিকতা সম্পন্ন।ইসলামই নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের চুক্তিতে স্বামী পক্ষের শপথ হলো,
‘আমি আমার স্ত্রীর
(১) খোরাক
(২) পোশাক
(৩) বাসস্থানের দায়িত্বভার এবং
(৪) স্ত্রীর ইজ্জ্বত, আবরু হেফাজতের দায়িত্বভার গ্রহণ করছি
(৫) স্ত্রীর সাথে যাবজ্জীবন সদ্ধ্যবহার করার অঙ্গীকার করছি।
স্বামীর উপর স্ত্রীর কি কি অধিকার রয়েছে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে এ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি বললেন, “স্ত্রীর অধিকার হলো- যখন স্বামী খাবে, তখন তাকেও খাওয়াবে। স্বামী যখন যে মানের কাপড় পরবে, তখন স্ত্রীকেও সে মানের কাপড় পরাবে। স্ত্রীর মুখে আঘাত করবেনা। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করবে না। গৃহ ব্যতীত অন্য কোথাও তার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করবে না।"
(আবু দাউদ)
হযরত আবু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-“পরকালের ছওয়াবের নিয়তে যখন কোন ব্যক্তি আপন পরিবার-পরিজনের প্রয়োজনে ব্যয় করে, তখন তা তার জন্য সদকা স্বরুপ হয়।”
(বুখারী শরীফ)
অর্থাৎ আল্লাহর রাস্তায় সদকা বা দান করে যেভাবে মানুষ ছওয়াবের অধিকারী হয়, স্বামী নেক নিয়তে স্ত্রী ও পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণ ও প্রয়োজনীয় সকল ব্যয় করেও অনুরুপ ছওয়াবের অধিকারী হবে।
ইসলামে স্ত্রীর দায়িত্ব- সন্তান লালন-পালন, তাদেরকে সু-শিক্ষা দান, শশুর-শাশুড়ী এবং পরিবারের অন্যান্যদের সাথে সাধ্যমত ভালো ব্যবহার করা। অর্থাৎ ঘরের দায়িত্ব স্ত্রীর আর বাইরের দায়িত্ব স্বামীর। তাই স্বামী বর্তমান থাকাবস্থায় স্ত্রীর জন্য ঘরের বাইরে যাবার কোন প্রয়োজন নেই। তার পরেও কোন বিশেষ প্রয়োজনে বাইরে যেতে হলে স্বামীর অনুমতি নিয়েই ঘরের বাইরে যেতে হবে। অন্যথায় পাপ হবে। যদি স্বামী প্রবাসে থাকে তবে অবশ্যই মাহরাম সাথে নিয়ে বের হবে! যতটা সম্ভব স্ত্রীকে আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়ন করতে হবে!
হযরত আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেছেনঃ-“যে মহিলা পাঁচ ওয়াক্ত নামায নিয়মিত আদায় করবে, রমযানে রোযা রাখবে, নিজের ইজ্জত আবরুর হেফাজত করবে, এবং স্বামীর অনুগত থাকবে, বেহেশতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করার অধিকার তার থাকবে।”
(মিশকাত)
হযরত উম্মে সালমাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আর একটি হাদীসে পাই, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ-“যে মহিলা স্বামীকে সন্তুষ্ট রেখে মৃত্যু বরণ করে, সে অনায়াসে জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
(তিরমিযী)
অর্থাৎ স্ত্রীর জন্য স্বামীর সন্তুষ্টিই বড় সন্তুষ্টি। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর সন্তুষ্টি থাকলে, আল্লাহও সন্তুষ্ট। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর যদি এলার্জি না থাকে এবং স্বামী যদি স্ত্রীকে ইসলাম বিরোধী কোন কাজ করতে না বলেন, তবে স্ত্রীর অবশ্যই উচিৎ স্বামীর অনুগত হয়ে থাকা। এতে সংসার সুখের হবে, স্বামীর মনও পাওয়া যাবে। অতি কাঙ্খিত জান্নাতে যাওয়াও সহজ হবে।স্বামীকেও স্ত্রীর প্রতি হতে হবে সহনশীল।
সূরা নিসার ৪নং আয়াতে বলা হয়েছে, “তোমরা সন্তুষ্টচিত্তে স্ত্রীগণকে তাদের প্রাপ্য মোহর দিয়ে দাও।” দেনমোহরের হকদার হচ্ছেন স্ত্রী। বর্তমানে আমাদের দেশে স্ত্রীকে দেন-মোহর তো দেনইনা বরঞ্চ পাত্রপক্ষ কণে পক্ষের কাছে গহনা, নগদ টাকা, আসবাবপত্র আরো বিভিন্ন রকমের যৌতুক দাবী করেন। যৌতুক চাওয়া আইনত নিষিদ্ধ বলে এখন যৌতুকের নামকরণ হয়েছে ‘সম্মানী’। স্ত্রী পক্ষ থেকে স্বামী পক্ষের জন্য সম্মানী কিংবা উপহার।
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মোহর ধার্য করে কোন মেয়েকে এই নিয়তে বিয়ে করে যে, উক্ত মোহর দিবে না, সে ব্যভিচারী। আর যে ব্যক্তি কোন ঋণ এই নিয়তে গ্রহন করে যে তা শোধ করবে না, সে চোর।”
উকবা ইবনে আমর (রাঃ) হতে বর্নিত, নবী করীম (সাঃ) বলেছেনঃ-“মোহরের মধ্যে সেই পরিমান মোহরই উত্তম, যা আদায় করা সহজ সাধ্য।
(নায়লুল আওতার)
অবলা নারী, অসহায় স্ত্রীকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা ঠিক নয়। মোহর পাত্রের সামর্থ অনুযায়ী নির্ধারন করা উচিৎ। এবং বিয়ের সাথে সাথেই স্ত্রীর মোহরানা শোধ করে দেয়া উচিৎ।
এ সম্পর্কে সূরা নিসার ২৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
“তাদের মোহর তাদেরকে ফরয হিসাবে দাও।”স্বামী সে বাইরে যতই ভালো হোক না কেন, সে যদি ঘরে তার স্ত্রী ও পরিবার পরিজনের কাছে ভালো না হয়, তবে সে প্রকৃত ভালো হিসাবে গণ্য হবে না।
এ প্রসঙ্গে দুটি হাদীস উল্লেখ করা যায়,
(১) হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেছেনঃ-“তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি সবচেয়ে উত্তম, যে তার পরিবার-পরিজনের নিকট উত্তম। আমি আমার পরিজনের কাছে তোমাদের সকলের চেয়ে উত্তম।
(তিরমিযী, দারেমী)
(২) হযরত আয়শা (রাঃ) হতে বর্নিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ- "পূর্ণ মুমিন সেই ব্যক্তি, যার চরিত্র উত্তম। এবং সে তার পরিবার-পরিজনের (স্ত্রী-পুত্রদের) প্রতি সদয়।" (তিরমিযী)
স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যখন উত্তম চরিত্রের অধিকারী হবেন, তখন এই পৃথিবীর ছোট সংসারটিই সুখের স্বর্গরাজ্য হয়ে যাবে। সুখ পাখির পিছে প্রাণপণ ছুটতে হবেনা। সুখ পাখিটি আপনা আপনিই এসে স্বামী-স্ত্রীর ছোট্ট ঘরে চিরস্থায়ী বাসা বানাবে, তখন আর হতাশা ও দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে গাইতে হবে না-
'সুখ তুমি কি? বড় জানতে ইচ্ছে করে।’
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, কুরাইশ মহিলাদের মধ্যে তারাই উত্তম, যারা নিজেদের শিশু সন্তানদের প্রতি অধিকতর স্নেহশীলা এবং স্বামীর সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণকারিণী।
(বুখারী শরীফ)
বর্তমান যুগের কোন কোন স্ত্রীরা স্বামীর সংসারের কাজ করতে অপমানিত বোধ করেন। অথচ দোজাহানের বাদশাহ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)- এর অতি আদরের কন্যা ফাতেমা (রাঃ) স্বামীর সংসারে যাঁতা ঘুরাতে ঘুরাতে হাতে ফোস্কা পড়ে গিয়েছিল।স্বামীর আর্থিক সামর্থ থাকলে স্ত্রীকে সাহায্য-সহযোগীতার জন্য গৃহ পরিচারিকা রাখা উচিৎ। অন্যথায় নিজেই ঘরের কাজে স্ত্রীকে সহযোগীতা করা কর্তব্য। এতেও দোষের কিছু নেই। কারণ হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিজে পরিবারের যাবতীয় কাজে স্ত্রীদের সহযোগীতা করতেন। এমনকি তিনি আয়েশা (রাঃ) কে রুটি বানানোর কাজেও সাহায্য করতেন।
আসওয়াদ ইবনে ইয়াযিদ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন
“আমি আয়েশা (রাঃ) কে প্রশ্ন করলাম, রাসূল (সাঃ) বাড়ীতে কি করতেন? তিনি বললেন, পরিবারের যাবতীয় কাজ করতেন। আযান শুনলে বাইরে চলে যেতেন।”
স্ত্রীদেরকে অবশ্যই শরীয়তসম্মত পর্দার ভেতরে থাকতে হবে। এবং এক্ষেত্রে স্বামীকে অবশ্যই স্ত্রীকে পর্দার ব্যপারে সহযোগীতা করতে হবে ও উৎসাহিত করতে হবে! যাতে স্ত্রী সহজ ভাবে পর্দা করতে পারে! স্ত্রী যত বেশী বেগানা পুরুষের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করবে এবং গল্প-গুজব করবে ততই সে দিন দিন স্বামীর অবাধ্য হয়ে যাবে, তাই সাংসারিক শান্তি রক্ষার্থে স্ত্রীর জন্য পর্দা রক্ষা করা আবশ্যক।
এ প্রসঙ্গে সূরা নূরের ৩০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছেঃ-
“হে নবী! মুমিন স্ত্রী লোকদের বলে দিন, তারা যেন নিজেদের চোখকে বাঁচিয়ে রাখে। এবং নিজেদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাজত করে ও নিজেদের সাজসজ্জা না দেখায়। কেবল সেই সব স্থান ছাড়া যা আপনা থেকেই প্রকাশিত হয়ে পড়ে। এবং নিজেদের বুকের উপর ওড়নার আঁচল ফেলে রাখে। আর নিজেদের সাজসজ্জা প্রকাশ করবে না।”
হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নবী করীম (সাঃ) বলেছেনঃ "মহিলারা হল পর্দায় থাকার বস্তু। সুতরাং তারা যখন (পর্দা উপেক্ষা করে) বাইরে আসে, তখন শয়তান তাদেরকে (অন্য পুরুষের চোখে) সুসজ্জিত করে দেখায়।" (তিরমিযী)
দৃষ্টির অসাধারণ শক্তি আছে বলেই আল্লাহ পাক পুরুষ ও নারীকে দৃষ্টি নিয়ন্ত্রন করার জন্য আদেশ করে বলেছেন যে, “মুসলিম নর-নারী যেন স্বীয় চোখের দৃষ্টি নীচের দিকে রাখে।”
নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, “আল্লাহর অভিশাপ ঐ সকল নারীদের উপর যারা কাপড় পড়লেও উলঙ্গ মনে হয়।”
হযরত ওমর (রাঃ) বলেন, “নারীদের এমন আঁটসাঁট কাপড় পরতে দিওনা যাতে শরীরের গঠন পরিস্ফুটিত হয়ে পড়ে।”
শিক্ষিত অশিক্ষিত, ধনী-গরীব, সুন্দর-কুৎসিৎ সকল স্ত্রীদেরকেই তার স্বামীর পূর্ণ আনুগত্য স্বীকার করে নিতে হয়। মনে প্রাণে স্ত্রী ও স্বামীকে উপলব্ধি করে নিতে হবে যে,
* স্বামী স্ত্রী উভয়কেই আল্লাহকে ভয় করে চলতে হবে।
* উভয়েই উভয়ের মন-মানষিকতা বুঝে চলতে হবে।
* স্বামীর গার্হস্থ্য বিষয়াদি স্ত্রীকে নিজের গার্হস্থ্য বিষয় মনে করে চলতে হবে।
* স্বামীর সন্তান মানেই স্ত্রীর সন্তান।
* স্বামীর মান-ইজ্জত স্ত্রীর মান ইজ্জত তেমনী স্ত্রীর মান-সম্মান ও স্বামীর মান-সম্মান।
* স্বামীর সন্তান-সন্তুতি লালন-পালন করা স্ত্রীর দায়িত্ব তবে এক্ষেত্রেও স্বামীর খোজ-খবর রাখতে হবে।
* স্বামীর শরীর ও স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ্য রাখাও স্ত্রীর দায়িত্ব তেমনই ভাবে স্ত্রীর প্রতি খেয়াল রাখাও স্বামীর দায়িত্ব।
* স্বামী এবং স্ত্রী উভয়েই যদি উভয়ের প্রতি দায়-দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন থাকেন, বা কোন একজনের কিছু কমতি থাকে তবে একজনের উদারতা পূর্ণ ব্যবহারে আরেকজন উদার মনের হতে বাধ্য আর আর উভয়ে উভয়ের প্রতি সহনশীলতাই সংসার হবে সুখের এবং সেই সংসারে সদাই সুখ বিরাজ করবে ইনশা-আল্লাহ।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ “আমার আদর্শ বৈবাহিক জীবন যাপন করা। যে আমার আদর্শকে তুচ্ছজ্ঞান বা ঘৃনা করবে তাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই।" আসুন আমরা সকল স্বামী-স্ত্রী মিলে প্রিয় নবী (সঃ) এর আদর্শে উজ্জিবীত হয়ে পথ চলি, নবীর সুরে কথা বলি। লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ হতে বেঁচে থাকি।
‘অভাব এলে ভালোবাসা জানালা দিয়ে পালায়।' আমাদের কারো জীবনে যেন এমনটি না ঘটে। যতই অভাব আসুক আমরা সকলেই ধৈর্যের পরিচয় দেব ধৈর্য ধরবো স্বামী স্ত্রী একে অপরকে শান্তনা দেব। পার্থিব ও বৈষয়িক বিষয়ে সব সময় আমাদের চেয়ে নিম্ন অবস্থা সম্পন্নদের প্রতি দৃষ্টি রাখবো যাতে করে আমাদের মনে কোন ধরণের লোভের সঞ্চারন না হয় এবং দ্বীনের কাজে যারা আমাদের উর্ধ্বে সর্বদা তাদের অনুসরণ করবো যেন আমাদের মনের মধ্যে নবী (সঃ) এর আদর্শকে বাস্তবায়ন করার শখ সৃষ্টি হয়। তাহলে আমরা পৃথিবীতেও সুখে শান্তিতে থাকতে পারবো। আর পরোকালের জন্যও আমাদের জন্যে রয়েছে বিরাট নেয়ামত, যে নেয়ামতের গুনাগুণ কোনদিন শেষ হবেনা।
বিষয়: বিবিধ
১১৪৭ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
যাযাকুমুল্লাহ খাইরান ফিদ্দারইন!
মাশা-আল্লাহ, খুব সুন্দর পোষ্ট, পরতে পরতে অমীয়বাণী লিখাটিকে দিয়েছে এক অপূর্ব পূর্ণতা। প্রিয়তে রাখার মত পোষ্ট। অনেক ধন্যবাদ আপু। জাযাকিল্লাহু খাইর।
আমিন ছুম্মা আমিন!
আমিন ছুম্মা আমিন!
(মিশকাত)
জাজাকাল্লাহ খায়রান। অনেক রেফারেন্স দিয়ে লিখেঝেন। আল্লাহ আপনাকে অতি উত্তম প্রতিদান প্রদান করুক
আমিন ছুম্মা আমিন!
ভালো থাকবেন খুব ভালো সবসময়। দোয়া ও শুভেচ্ছা রইলো।
আমিন ছুম্মা আমিন!
আমিন ছুম্মা আমিন!
আমিন ছুম্মা আমিন!
আমার এখনো সে সুযোগ হয়য় নি, তবে মনে রাখব ইন শা আল্লাহ্।
চর্চাটা আছেতো নিজেদের মাঝে? সব সময় কি প্রয়োজনে বের হয়য়, কখনো কি এমন হয় না, ঠুনকো কারণ কে বড় কারণ বানিয়ে স্বামীকে অনুমতি দিতে ভুলবাল বুঝিয়ে পরোক্ষভাবে অনুমতি আদায় করা স্বামীর মন সায় না দেয়া সত্ত্বেও?
আপনার পোস্ট অনেক ভাল লেগেছে, কিন্তু আপনাদের অর্থাৎ নারীদের বলা আর কাজের মধ্যে যেন মিল খুঁজে পাই না, অবশ্য কিছু মা বোন ছাড়া, সংখ্যাটা অতি নগন্য।
আমিন ছুম্মা আমিন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন