আত্মার খোরাক (৫)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ১১:৩৪:৩৫ রাত
বিবাহ বিষয়ে হাদীসঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) বলেন, একদা নবী করীম (সঃ) (যুবকদের লক্ষ করে) বললেনঃ হে নওজোয়ানেরা! তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহের দায়িত্ব পালন করার যোগ্যতা রাখে, তাদের উচিৎ বিবাহ করা। কেননা বিবাহ দৃষ্টিকে সংযত করে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যে বিবাহের দায়িত্ব পালন করার যোগ্যতা রাখে না, তার উচিৎ (কামভাব দমনের জন্যে) রোযা রাখা।"
(বুখারী, মুসলিম)
হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ মেয়েদের সাধারণতঃ চারটি বিষয় দেখে বিয়ে করা হয়। তার সম্পদ দেখে, বংশ মর্যাদা দেখে, রুপ ও সৌন্দর্য দেখে এবং তার দ্বীনদারী দেখে। তবে তোমরা দ্বীনদারী মেয়ে লাভ করার চেষ্টা কর, তোমাদের কল্যাণ হবে।
"(বুখারী, মুসলিম)"
হাদীসের ব্যাখ্যাঃ- বর্ণিত হাদীসটির মর্ম এই যে, বিয়ের ব্যাপারে সাধারণতঃ লোকেরা পাত্রীর ধন-সম্পদ, বংশ-মর্যাদা, ও রুপ-লাবণ্য দেখে থাকে। আবার কেউ পাত্রীর তাকওয়া পরহেজগারীর গুরুত্ব দিয়ে থাকে। হুযুর (সঃ) বলেছেন, বিবাহ করতে গিয়ে তোমরা দ্বীনদার পাত্রীকে প্রাধান্য দিবে, তাহলে তোমরা দুনিয়া-আখেরাতের কল্যাণ লাভ করতে পারবে। তবে, হ্যাঁ কোন পাত্রীর মধ্যে যদি দ্বীনদারীসহ অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলোও বর্তমান থাকে, সেটা আরও উত্তম। কিন্তু কোন মুসলমানের পক্ষেই পাত্রীর তাকওয়া পরহেজগারীর খেয়াল না করে অন্য কোন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিয়ে করা ঠিক হবেনা।
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ সমগ্র দুনিয়াটাই হলো সম্পদ। (অর্থ্যাৎ দুনিয়ার যাবতীয় বস্তু সম্পদ স্বরুপ) আর দুনিয়ার যাবতীয় সম্পদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো নেককার বিবি।"
(মুসলিম)
হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ যদি তোমাদের কাছে এমন কোন বরের পক্ষ হতে বিবাহের প্রস্তাব আসে, যার দ্বীনদারী ও নৈতিকতা সম্পর্কে তোমরা আস্থাবান, তাহলে তার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক করবে। অন্যথায় পৃথিবীতে ফিৎনা-ফ্যাসাদ ও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে।"
(তিরমিযী)
বিষয়: সাহিত্য
১০১১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জাজাকাল্লাহু খাইর।
মন্তব্য করতে লগইন করুন