আত্মার খোরাক (৩)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ১৭ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৩:১৬:৩৬ রাত
হযরত আবু সাইদ খুদরী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,একদা নবী করীম (সঃ) এর খেদমতে একজন মৃত ব্যক্তিকে হাজির করা হল। উদ্দেশ্য হলো নবী করীম (সঃ) তার জানাজা আদায় করবেন। রাসূল (সঃ) জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমাদের এ সঙ্গীর কাছে কারো কোন কর্য আছে কি? লোকেরা বললো, হাঁ। রাসূল (সঃ) বললেন কর্য পরিশোধ করার মত কোন সম্পদ কি সে রেখে গেছে? লোকেরা বললো, "না" রাসূল (সঃ) বললেনঃ তাহলে তোমাদের সঙ্গীর জানাজা আদায় করো। (আমি পড়বো না)। হযরত আলী ইবনে আবু তালিব বললেন, হে আল্লাহর নবী (সঃ) আমি এর দেনা পরিশোধের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। অতঃপর রাসূল (সঃ) অগ্রসর হয়ে তার নামাযে জানাজা আদায় করলেন।"
(শরহে সুন্নাহ)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ একমাত্র দেনা ব্যতীত শহীদের যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দিবেন।
(মুসলিম)
ব্যাখ্যাঃ- উপরোক্ত দুটি হাদীসে-ই কর্য আদায়ের ব্যপারে অত্যধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সুরাং যারা দেনা পরিশোধের ক্ষমতা রাখে তাদের উচিৎ ওয়াদা মোতাবেক দেনা পরিশোধ করা। কেননা কর্য হলো বান্দার হক্ব আর তা সে বান্দাহ-ই মাফ করতে পারে যিনি কর্য দিয়েছেন। এমন কি যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় মৃত্যুবরণ করেছেন তার যাবতীয় গুনাহ মাফ করা সত্ত্বেও আল্লাহ কর্যের গুনাহ মাফ করবেন না, যে পর্যন্ত ঋনদাতা ব্যক্তি তা মাফ করে না দেয়।
তবে কেউ যদি প্রাণান্ত চেষ্টা করেও অভাবের তাড়নায় ঋণ পরিশোধ করতে না পারে, তাহলে আশা করা যায় ঋণদাতা দআরা ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে মাফ করিয়ে দিবেন।
হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি পরিশোধ করার ইচ্ছা নিয়ে কারোর কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে আল্লাহ তার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেন। ( অর্থ্যাৎ আল্লাহ ঋণ গ্রহীতার অন্তর্নিহিত নেক নিয়্যতের কারনে তাকে এমন স্বচ্ছলতা দান করেন, যার ফলে সে ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়।) আর যে আত্মসাৎ করার মনোভাব নিয়ে কারোর কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে আল্লাহ তাকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করেন (অর্থ্যাৎ তার অন্তরের কুটিলতার কারনে আল্লাহ তাকে অর্থ কষ্টে নিপতিত করেন, ফলে সে তার ঋণ তো পরিশোধ করতে পারেনা উপরন্তু তার দুনিয়া আখেরাত সবই বরবাদ হয়।)"
(বোখারী)
বিষয়: সাহিত্য
১১৮২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমৎকার দ্বীনি আলোচনার জন্যে জাযাকিল্লাহু খাইরান হে শ্রদ্ধেয়া আপুজ্বী!
অন্যের পাওনা তথা বান্দার হক্ব যথাযথ আদায় না করা কত বড় অপরাধ তা যেন কিছুটা হলেও বুঝতে পারলাম!
আল্লাহ আমাদের কে তা পালন করার তৌফিক দিন, আমিন!!
আর আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়লে খুবই ভালোলাগে। জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাইয়া।
আমিন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাইয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
আর আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়লে খুবই ভালোলাগে। জাযাকাল্লাহু খাইরান ভাইয়া।
মন্তব্য করতে লগইন করুন