Rose Roseজীবনটা ক্ষনিকের তবুও মনে স্বপ্ন উঁকি মারে! (১৫তম ও শেষ পর্বRose Rose

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৪ জানুয়ারি, ২০১৫, ০৯:৩২:২২ রাত

কানিজ আযাদের ঘরে এখনো আছে আযাদের স্মৃতি বুকে ধরে। কিন্তু মনিরও থেমে নেই সেও তার চেষ্টা চালাচ্ছে প্রতিনিয়ত কানিজকে হাত করতে। কানিজের মা নিজের বাড়ি ও কানিজের সাথে উভয় স্থানেই থাকে। কারন কানিজ এখান থেকে যেতে চাইছেনা। সবাই বুঝাতে থাকে কানিজের এভাবে একাকি থাকা ঠিক নয়। কানিজের উচিৎ এবার নতুন করে সংসারি হওয়া। কানিজও বিষয়টা নিয়ে খুবই ভাবে কিন্তু সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে কি করবে সে? অন্য কাউকে বিয়ে করা মানে তাকে মনিরের হাতে সপে দেয়া। শুধু শুধু কেন আরেকজনকে মৃত্যু মুখে হাজির করবে? আর মনিরকে গ্রহণ করলে মনির হয়তো খুশি হবে কিন্তু কানিজের নিজকে নিজে আরেকবার কোরবানি দিতে হবে কারন এতে কানিজের মূল্যায়ন কেমন থাকবে? আযাদ তাকে বাহ্যিকভাবে পূর্ণতা দিতে না পারলেও তাকে যে শান্তনার বাণী শোনাতো তাতে করে কানিজ অনেকটা আত্মতৃপ্তি লাভ করতো। কিন্তু মনির তো একেবারে বিপরীত। কোন রস কস নেই তার মাঝে। তার হৃদয়টা যেন শুধু পাথর দিয়েই বানানো সেখানে শুধু কঠোরতা আর লোভেই পূর্ণ। মনির সবসময় খেয়াল রাখে কানিজের বাসায় কে কখন আসে, কে যায়? কানিজ কখন কি করে? কার সাথে কথা বলে? এসব খোজ খবর মনিরের যেন নিত্য দিনের কাজ। মনির কানিজকে নিয়ে এতটাই চিন্তিত যে, নিজের বউ বাচ্চার কথা যেন একেবারে ভুলেই গেছে। অর্পা অনেক বুঝাতে ট্রাই করে মনিরকে কিন্তু মনির নাছোড়বান্দা সে যা বলেছে তা সে করবেই যেকোন ভাবে। অর্পার অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে নিষেধ হওয়াতে মনির অর্পাকে প্রথমে ভালো কথায় ও পরে কঠোর ভাবে বুঝাতে থাকে। কিন্তু অর্পা কোন ভাবেই রাজি হতে চায়না। পৃথিবীতে সবকিছুর ভাগ দেয়া যায় কিন্তু কোন নারীই তার আপন স্বামীর ভাগ দিতে চায়না সে যদি অক্ষম ও হয় তবুও। অর্পাও ঠিক তাদেরই একজন। সে রাজি হচ্ছেনা। আর মনিরও পরিষ্কার ভাষায় বলে দিয়েছে তুমি অনুমতি না দিলেও আমি জোর করেই কানিজকে বিয়ে করবো। কারন কানিজের যে সম্পদ আছে তা আমি হাতছাড়া করতে চাইনা। শেষে অর্পা যখন রাজি হচ্ছেই না তখন মনির তাকে আলাদা করে দুইকাঠা জমি লিখে দেয় এবং এক রকম জোর করেই অর্পার থেকে অনুমতি নেয় বাস্তবে অর্পা অনুমতি দেয়না।

ওদিকে কানিজকেও মনির নানা রকম ভাবে বুঝায়। আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে সবাই কানিজকে বুঝাতে থাকে। কিন্তু কানিজ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে। আর মনির কানিজকে কথার প্যাচে ফেলে ও যখন রাজি করাতে পারেনা তখন কানিজকেও দুই কাঠা জমি লিখে দিয়ে রাজি করায় এবং বলে যে, সম্পদ তো তোমার নামেই আছে, থাকবে আমি চাই তুমি শুধু এবাড়ির একজন হয়েই থাকো। কানিজ একপর্যায়ে অনেক বিবচেণা করে মনিরের কথায় শর্ত দিয়ে রাজি হয় কারন মনির অন্য কাউকে এখানে এসে থাকতে দিবেনা। (মনির এমনই লোভী সে নিজের আপন ভাইকে সহ্য করতে পারেনি সেখানে অপর একজনকে সহ্য করা কঠিনই আর অন্য কেউ কানিজকে বিয়ে করে এখানে এসে থাকবে এই বিষয় তো আরো কঠিন। সেজন্য কানিজের অনিচ্ছা থাকা সত্বেও মনিরকে বিয়ে করতে রাজি হয়। কানিজ মনিরকে বলেছে কখনোই যেন সম্পদের ব্যাপারে কানিজকে মনির চাপ সৃষ্টি না করে। তাহলে কানিজ সেটা মানবেনা। যদি মনিরের এমন কোন প্রয়োজন দেখা দেয় সেটা কানিজ দেখবে। কিন্তু কোন রকমের চাপ প্রয়োগ করে মনির যেন সম্পদ লিখে নিতে চেষ্টা না করে। মনির কানিজকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে সবকিছু মেনে নেয়। সব মিলিয়ে কানিজ মনিরের কথায় রাজি হয় এবং কানিজের মা বাবাও রাজি হয় কারন তাদেরকেও মনির নানাভাবে বুঝায়। বিশেষ একটি দিন ঠিক করে মনির ও কানিজের বিয়ের তারিখ হয়। মনির মহা ধূমধামের সাথে বিয়ের আয়োজন করে। এমন কি কানিজের পছন্দমত সবকিছু করে যাতে কোন কারনে কানিজ ঘুরে না বসে। কানিজ ও অতটা বোকা নয় সে মনিরকে এত সহজেই সম্পত্তি লিখে দিবে সেও মনিরকে হাতের তালুতে রেখে নাচাবে। কারন এতদিন কানিজ ছিলো তার ভাইয়ের বউ ভাবী আর এখন সে মনিরের ঘরনী হবে অধিকারটাই তো ভিন্ন। বিশেষ দিন আজকে কানিজের হলুদ সন্ধ্যা। সকলে মিলে খুব সুন্দর করে কানিজ ও মনিরের হলুদ সন্ধ্যার অনুষ্ঠান শেষ করে পরেরদিন বিয়ে। ওদিকে অর্পা হলুদেরদিন সন্ধ্যার আগে থেকেই অজ্ঞান হয়ে আছে। কাজের মেয়েটা পানি ঢেলে জ্ঞান ফিরায় আবার সে অজ্ঞান হয়ে যায় এভাবেই পুরো রাত কাটলো অর্পার। অর্পার মেয়ে মাহিমাকে কাজের মেয়েটাই রাখলো সারারাত। অর্পার সারারাতই কোন হুশ ছিলোনা।

অনেকটা মহাধূমধামের সাথে কানিজ আর মনিরের বিয়ে হয়ে গেলো। কানিজ এবাড়ির একজন হয়েই রয়ে গেলো আবার। কানিজকে মনির বউ বানিয়ে যেন প্রশান্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে; যেন সে হাতে আকাশের চাঁদ পায়। তার আনন্দ যেন হৃদয়ে আর ভরেনা। সে প্রায় মাস খানেক ঘর থেকেই বের হয়না আর বেশীর ভাগ সময় কানিজের সাথেই কাটায়। এমন কি অর্পার ঘরে গেলেও সাথে সাথেই চলে আসে। এভাবে কানিজ আর মনিরের সময় ভালোই কাটে। কিন্তু অর্পা হারায় তার স্বামীকে। অভিমান করে চলে যেতে পারেনা অর্পা কারন আবারও সে অনুভব করে তার ভেতর আরেক সত্তার। সে চলে গেলে হয়তো যেতে পারতো কিন্তু তার কারনে একটি ফুলের মত পবিত্র শিশুকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে সে চায়নি তাই মনিরের দেয়া আঘাত সয়েও অর্পা থেকে যায় মনিরের ঘরে। ওদিকে আরো কয়েক মাস পরেই কানিজও অনুভব করে সে ও মা হতে চলেছে। কানিজ মনিরকে বুঝায় অর্পারও তার প্রতি সমান অধিকার তাই কানিজ মনিরকে সিডিউল করে দেয় মাসের প্রথম সপ্তাহ অর্পার সাথে থাকতে এরপর দ্বিতীয় সপ্তাহ কানিজের সাথে পরের সাথে আবারও অর্পার কাছে এরপরে আবার কানিজের কাছে থাকতে এতে করে অর্পার অধিকার নষ্ট হবেনা আর ওদের দুজনের মাঝেও সম্পর্ক ভালো হবে। কারন অর্পা কানিজকে ভুল বুঝেনা দোষ তো সব মনিরের তারপরও আপন স্বামীকে দুরে রাখা প্রত্যেক নারীর পক্ষেই কঠিন আর একই বাড়িতে দুই-সতীন বসবাস করা তো আরো কঠিন। এতদিনে মনিরও কিছুটা স্বাভাববিক আচরণ করছে অর্পার সাথে। অর্পাও এখন অনেকটা স্বাভাববিক হয়েছে বিগত সময়ের থেকে। দুইজন-সতীন হলেও একে অপরের সাথে খুব মিলেমিশে থাকে যেন তারা দুজনেই একমায়ের সন্তান। বছর ঘুরে আসতেই কয়েকমাস আগে পরে অর্পার ও কানিজের উভয়েরই কোল জুড়ে আসলো আরো দুইজন কন্যাসন্তান। কানিজের এই জীবন সার্থক সে মা হতে পেরেছে। তবে এই আনন্দেও কানিজ আযাদকে ভুলে যায়নি সে মনের গভীরে অনুভব করে আযাদের স্মৃতি। আর আযাদের স্মৃতি বহন করতে সে বাড়িতে সবসময় থেকে গেলো মনিরের বউ হয়ে।

কানিজের একমেয়ে ও অর্পার দুইমেয়েদের যত্ন নিয়েই সময় চলে যায় কানিজ ও অর্পার। অর্পার ছোট মেয়ে মুনিয়া দেখতে খুব সুন্দর হলেও মেয়ের বয়ষ যখন ছয়ের পর হতে শুরু করেছে অর্পা খেয়াল করে তার মেয়ে মুখে কোনই শব্দ করেনা আর মুখে খুবই লালা পড়তে থাকে। যে বয়ষে বাচ্চা-শিশুরা মুখে আঃ আঃ উঃ উঃ বা বিভিন্ন শব্দ করে সে বয়ষে অর্পার মেয়ে মুখে কোন শব্দই করেনা। আরো কিছুদিন অপেক্ষা করে অর্পা ডাক্তারের দারস্ত হোন ডাক্তার কিছু পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে অর্পাকে জানান তার মেয়ে জন্মগত বোবা। (আর এই বোবা কখনোই ভালো হবার নয়)। অর্পা যেন শক খান আবারও একমেয়ে বঁধির আরেক মেয়ে বোবা। কি অপরাধে অর্পার এই শাস্তি? অর্পার তো কোনই দোষ নেই তবে কেন তার কলিজার টুকরা দুজনেরই এই অবস্থা হলো? অথচ রুপ তো একটা চেয়ে একটার কারোরই কম নয়। হে আল্লাহ! তাহলে কি মনিরের পাপের শাস্তি পাবে অর্পার বুকের ধন মাহিমা ও মুনিয়া? হে আল্লাহ! তুমি ওদেরকে ভালো ও সুস্থ করে দাও তুমি একের শাস্তি অন্যকে দিওনা আল্লাহ! অর্পা একেবারে ভেঙে পড়ে কি হলো তার জীবনে দুটি সন্তানেরই এই অবস্থা। সে আল্লাহর কাছে রাতে দিনে ক্ষমা চাইতে থাকে। তার সন্তানদের কল্যানের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি করতে থাকেন আল্লাহ যেন তাদেরকে পরিপূর্ণ করে দেন। অর্পা মনিরকে বলে আপনার ভুলের কারনে এই সন্তানেরও এই কঠিন অবস্থা হয়েছে আপনি আল্লাহর কাছে খাসভাবে তওবা করেন তাতে হয়তো আল্লাহ ওদের উপর সদয় হবেন। কিন্তু মনিরের এতে কোনই পরিবর্তন হয়না। সে তার মতই চলতে থাকে তার সম্পদ আর অর্থের অহমিকা নিয়ে।

ওদিকে মনিরের আগের দুই মেয়ে থেকে কানিজের মেয়ে যেন হয়েছে জমিনের চাঁদ। সে এতটাই সুন্দরী হয়েছে যে, যে কেউ তাকে এক পলক দেখার পর কোলে নিতে চাইবেনা। সবাই খুবই আদর করে এই মেয়েকে, বাড়ির ভাড়াটিয়া সহ সবাই কানিজের মেয়েকে আদর করে। কানিজ আযাদ নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে মেয়ের নাম রাখে আফনান। হঠাৎ কানিজও তার মেয়ে আফনানকে তৈল মাখতে গিয়ে লক্ষ করলো তার মেয়ে আফনানের ডান পা বাম পায়ের তুলনায় ছোট। দু-পা সমান করলে একটি পা সুন্দরভাবে সমান হয় আর আরেকটি সমান হয়না। কানিজের মনেও কি এক আশংকা দেখা দিলো সে মনিরকে বিষয়টা জানালো মনির আফনানকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেলো এবং ডাক্তার দেখালো ডাক্তার পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বললো হ্যাঁ আফনানের একটি পায়ের রগ ছোট সে বড় হলে যখন হাঁটতে শিখবে তখন একটু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটবে। কানিজ মনের মাঝে খুবই কষ্ট পায়। কানিজের মন হয় মনিরের ভুলের মাশুল হয়তো এই সন্তানদেরই দিতে হবে। কারন মনির মানুষের মনে অনকে কষ্ট দিয়েছে। সে তার ভাইয়ের মনেও অনেক কষ্ট দিয়েছে আল্লাহ সবার প্রতি সহায় হোন। এবাড়িতে তিন-তিনজন কন্যা প্রত্যেকেরই একটা একটা সমস্যা আছে। একজন বঁধির, একজন বোবা, একজন খুঁড়া। কানিজ আর ভাবতে পারেনা এই মেয়েদের নিয়ে আগামিতে কি সমস্যার সম্মুক্ষিন হবেন তারা। তবে কানিজের মনে হয় মনির যদি এখনো মহান আল্লাহর কাছে সঠিক ভাবে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায় তবে হয়তো আল্লাহ এই কন্যাদের প্রতি সহানুভুতি করবেন নয়তো পরবর্তীতে কি হবে কানিজ কিছুই যেন ভাবতে পারেনা। কানিজ বাসায় এসে মনিরকে খুব বুঝায় দেখ আমাদের ভুলের কারনেই হয়তো এই সন্তানদের এই পরিণতি হয়েছে তুমি এখন থেকে কারোর উপর কোন রকমের জুলুম করনা। মাজলুমের প্রতি সদয় আচরণ করো হয়তো আল্লাহ এতে করে এই মেয়েদের প্রতি সদয় আচরণ করবেন। কানিজের কথা শুনে মনির কিছুটা নমনীয় হলেও কথায় বলেনা কয়লা ধুইলেও ময়লা যায়না মনির হয়েছে সেই স্বভাবের। তাই তিন-তিনজন মেয়ের এই অবস্থা দেখেও মনিরের তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি সে তার মত করেই চলা ফেরা করে। মনির কানিজকে বুঝায় তোমরা শুধু শুধুই মেয়েদের নিয়ে এত ভাবছো। আমার অনেক টাকা আছে এই অহমিকায় সে মনে করে তিন মেয়েকে তিন বাড়ি লিখে দিলে কে ওদেরকে গ্রহণ করবেনা। যে কেউই লুফে নিতে চাইবে তার কন্যাদের কারন মনির মনে করে টাকার কাছে পৃথিবীর সবকিছুই বিক্রিত। টাকা ছাড়া কিছুই হয়না এখানে। টাকার নৌকা নাকি পাহাড় দিয়ে চলে। যার টাকা আছে তার কাছে এসব কোন সমস্যাই না। আমি মেয়েদেরকে দেশের সেরা স্কুলে লেখা পড়া করাবো উচ্চ শিক্ষিত বানাবো আর আমার মেয়েরা দেখতে তো এতটা খারাপ নয় সামান্য একটু সমস্যা তখন সমস্যা হবেনা। কানিজ চুপসে যায়। আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে হে আল্লাহ! তুমি মনিরকে সঠিক বুঝ দাও আর এই মেয়েদের উপর রহম করো। এভাবেই চলতে থাকে কানিজ, অর্পা আর মনিরের সংসার। মেয়েরাও বড় হতে থাকে ধীরে ধীরে আগামির কথা জানে একমাত্র আল্লাহই কি হবে এই মেয়েদের পরিণতি? হতে পারে দুজন মায়ের দোয়ায় আল্লাহ মাহিমা, মুনিয়া ও আফনানের প্রতি সদয় হবেন। নয়তো মনিরের শেষ বয়ষে মেয়েদের পরিণতি দেখে হয়তো হেদায়াত হতে পারে.............।

পরিশেষে এ গল্প থেকে শিক্ষনীয়ঃ- কথায় বলে লোভে পাপ আর পাপে মৃত্যুঃ আর সেই পাপে কখনো কখনো একেবারে মৃত্যু হয়না। মৃত্যু হলে তো একেবারেই সব শেষ। কিন্তু জীবন মৃত্যুর মাঝের জীবনই যে কঠিন জীবন এই উপলদ্ধিটা সময়মত সবাই করতে পারেনা। বরং করে অনেক সময় আর সুযোগ হারিয়ে বা অনেক খেসারত দিয়ে। মনিরের সঠিক পথে আসার জন্য তার পরিবারের এই অবস্থাই কি যথেষ্ট নয়? অথচ সে এসবকিছুর পরও অর্থ আর সম্পদের অহমিকায় নিজেকে ডুবিয়ে রেখেছে। অর্থ, সম্পদ, অট্টালিকা মানুষের জীবনে প্রয়োজন হলেও এসবের কাছে নিজের আখলাককে বিক্রি করা ঠিক নয়। মানুষের আখলাককে তার স্বহাবস্থানে রেখে পৃথিবীর সময় পাড় করতে পারলেই হয়তো পরোপারে সহজে পাড়ি দেয়া যাবে। নয়তো এসবের কারনে সেখানে কঠিনভাবে ধরা পড়তে হবে। আমরা আমাদের শেষ পরিণতি নিয়ে চিন্তিত নই বলেই লোভে পড়ি আর লোভে পড়ে নানা রকম অপকর্ম করি শেষে পরিণতি হয় কঠিন। কেউ কেউ হয়তো শেষ পরিণতির আগেই ক্ষমা চাইতে পারে মহান স্রষ্টা কাছে, হতে পারে তার প্রিয়পাত্র। আর কেউ কেউ সে পথে থেকেই স্রষ্টার শাস্তির মালিক হোন। আল্লাহ সবার প্রতি সহায় হোন।

বিষয়: সাহিত্য

১৩১৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

299281
০৪ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১১:৫৩
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : জীবনটা ক্ষনিকের বাট আপনার ধারাবাহিক মনে হয় চিরস্থায়ী। পড়তে পড়তে হাপিয়ে উঠলাম। Yawn Yawn

ডোন্ট মাইন্ড আপু মজা করলাম। Sad Sad
০৫ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:৫৯
242334
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনার মূল্যবান সময় অপচয় করে পড়ে মন্তব্য করার জন্য যাযাকুমুল্লাহ আপনাকে......।
299288
০৫ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ১২:৪৯
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম..............শ্রদ্ধেয়া আপুজ্বি।বাস্তবতার আলোকে জীবনঘনিষ্ঠ মর্মস্পর্শী লিখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বারাকাল্লাহু ফিক।
মঙ্গলময় সর্বাবস্থায় তোমাকে ভালো ও সুস্থ আনন্দময় রাখুন। আমাদের সকলের এহজীবন এবং আখেরাত অনাবিল সুখ আর শান্তিময় হোক পরম করুণাময়ের নিকট এই প্রার্থনা রইলো।
০৫ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
242335
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনার মূল্যবান মন্তব্য পড়ে মনের মাঝে উৎসাহ পেলাম। আর আপনার দোয়ার সাথে আমিন সাথে আপনারও সর্বাঙ্গীন কল্যান কামনা করি।
299353
০৫ জানুয়ারি ২০১৫ সকাল ১১:৪০
মিরন লিখেছেন : আপনার ধারাবাহিক লেখার এটাই প্রথম পড়লাম, ভাল লাগলো, আপনার উচিৎ অল্পকথায় অধিক ভাব প্রকাশ অভ্যাস তৈরি করা,
০৫ জানুয়ারি ২০১৫ দুপুর ১২:০৫
242336
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : মার ব্লগবাড়িতে বেড়াতে এসে সুন্দর পরামর্শ দেয়ার জন্য আপনার শুকরিয়া আদায় করছি।
দোয়া করবেন যেন সুন্দর ও অর্থবোধক লেখা লিখতে পারি যেসব লেখা পড়ে মানুষের উপকার হবে।
আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যান কামনা করি।
299402
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০১:৩০
দিল মোহাম্মদ মামুন লিখেছেন : ভাল লাগলো, চালিয়ে যান, সাথে আছি
০৬ জানুয়ারি ২০১৫ রাত ০৩:৪২
242365
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালোলাগা রেখেছেন ও সাথে থাকার জন্য আপনাকে যাযাকুমুল্লাহ খাইরান।
314536
১২ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩২
সাদামেঘ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম..............শ্রদ্ধেয়া আপুজ্বি।বাস্তবতার আলোকে জীবনঘনিষ্ঠ মর্মস্পর্শী লিখাটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। বারাকাল্লাহু ফিক।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৪৯
255792
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! উৎসাহ মূলক মন্তব্যের জন্য আপনার শুকরিয়া!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File