জীবনটা ক্ষনিকের তবুও মনে স্বপ্ন উঁকি মারে! (১৪ তম পর্ব)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৪:১০:০৬ রাত
কানিজ কয়েকজনকে কল করে যখনই আযাদের কাছে আসে দেখে আযাদ চুপচাপ হয়ে গেছে এত সময় যে কষ্ট হচ্ছিলো সেটাও এখন আর হচ্ছেনা। কানিজ প্রথমে ভাবে আযাদ হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু যখনই আযাদকে ডাকতে থাকে আর আযাদ কোন জবাব ও দেয় না আর কানিজের দিকে তাকায়ও না তখনই তার মনে ও মস্তিস্কে প্রচন্ড চাপ অনুভব করে আযাদ কি তাহলে নিরবে চলে গেলো? এমন তো কথা ছিলো না কেন তবে এভাবে চলে গেলে? কানিজ এসব ভাবতে গিয়ে হঠাৎই পড়ে যায়। যখন ফজর হয়ে চারিদিকে আলো ফুটে উঠে, পাখিরা গেয়ে ওঠে ঘুম ভাঙানির গান, সূর্যটাও কথামত আকাশে এসে হাজির হয়, কর্মব্যস্ত মানুষ গুলো কর্মের পেছনে ছুটতে থাকে তখন একজন লোকের ঘুম আসে চিরদিনের ঘুম। আরেক জন তার মায়ায় স্বজ্ঞান হারিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকে ঘরের মেঝেতে। ভোর রাতে কল পেয়ে যখনই লোকজনের সমাগম ঘটে কানিজের বাবা ও আযাদের বোনাইরা আসে কানিজ ও যেন আযাদের সাথী হতে চায় তাই সে ও আযাদের মত নিশ্চুপ শুয়ে আছে। তখনও কানিজের জ্ঞান নেই। তারা কয়েকবার দরজায় কড়া নাড়ে কিন্তু ভেতর থেকে দরজা কেউই খুলে দেয়না। তাই বাহির থেকে দরজা ভেঙে ভেতরে যায় ওরা সবাই। কিন্তু গিয়ে তো সবাই অবাক কি হলো দুজনেই কি একসাথে চলে গেলো? আযাদের বোনদেরও খবর দেয়া হলো ওরা আসলে বুঝতে পারে কানিজ বেঁচে আছে। পারিবারিক ডাক্তারকে ডাকা হয় ডাক্তার আযাদের শিরা পরীক্ষা করে বলে অনেক আগেই আযাদ ভাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আযাদের বোনেরা কানিজের মাথায় পানি ঢালে, হাতে পায়ে তেল মাখতে থাকে কিন্তু কানিজের জ্ঞান তখনও ফেরেনি। পুড়ো বাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। এ যে প্রিয়জনকে চিরদিনের জন্য হারানোর কান্না। সবাই কাঁদছে, কেউ কাউকে শান্তনা দেয়ার ভাষাও যেন ভুলে গেছে। আর কানিজকে নিয়েও আশংকা করছে সবাই। কি হলো কানিজের? যে মানুষটা নিজেকে বিলিন করেও কিছু পেলোনা তার কি অবস্থা হবে? আর কানিজের জ্ঞান ফিরে না এলে তো আযাদকে কোন কিছু করা যাবেনা। কারন আযাদের ব্যপারে এখন সবার চেয়ে কানিজের মতামত জানা বেশী জুরুরী। আযাদের মাকে সরাসরি বলা না হলেও আযাদের মা সবার একসাথে আযাদের বাসায় যাওয়াতে আযাদের মা বুঝে নিয়েছে আযাদ হয়তো আর নেই। মেয়ের ঘরের নাতনীর কাছে রেখে এসেছে আযাদের মাকে কিন্তু তিনি সেখানেই আবারও স্টোক করেন আযাদের ভাগনি তার মাকে কল করে বলে আম্মু নানু যেন কেমন করছে তোমরা তাড়াতাড়ি আসো। তারা কয়েকজন ছুটে যায় মায়ের কাছে। মাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
প্রায় ছয় সাত ঘন্টা পরে কানিজের জ্ঞান ফিরে আসে। সে কোনই শব্দ করেনা চুপচাপ যেন কিছুই হয়নি এবাড়িতে। সবাই কাঁদছে কিন্তু কানিজের চোখে কোন পানি নেই সে শুধু অপলক চোখে তাকিয়ে আছে কিছুই বলছে না। সবাই খুব চেষ্টা করে সামান্য একটু কাঁদাতে পেরেছে কানিজকে। কানিজের কাছে অনুমতি নিয়ে আযাদের দাফন-কাফনের ব্যবস্থা করা হয়। এই কঠিন সময়েও মনির যেন মনে মনে খুশি হয়। কারন তার ইচ্ছা ছিলো এমনই। মনিরের রাস্তা এখন প্রসস্থ! সে সবার সামনে ভাইয়ের জন্য মায়া কান্না করলেও তার মনের রুপ খুবই ভয়ংকর। আযাদ চলে গেলো। সবাই কানিজকে নানা রকম ভাষায় বুঝাতে থাকে। আর কানিজ থাকে সেই একই অবস্থায়। কানিজের মা ও এসে কানিজকে নানা রকম ভাবে বুঝাতে থাকে আর কানিজকে কিছুদিনের জন্য বাবার বাড়িতে যেতেও অনুরোধ করে কিন্তু কানিজ সেখানে যেতে চায়না কারন কানিজ জানে স্বামী মারা যাওয়ার পর স্বামীর ইদ্দত পালন করতে হয় চারমাস দশদিন। এর মধ্যে খুব জরুরত না হলে বাহিরে না যাওয়াই ভালো। কানিজও মনে মনে ভেবে নিয়েছে এই ইদ্দতের সময় সে এখানেই থাকবে যদি কারো স্বইচ্ছায় কানিজের সাথে থাকতে চায় তবে থাকবে। নয়তো কানিজ এই সময়ে কোথাও যেতে চায়না। কানিজের মা কানিজের কাছে থেকে গেলেন। কারন মেয়ের এই কঠিন সময়ে শান্তনা দেয়ার লোকের প্রয়োজন। আর মায়ের মত শান্তনা পৃথিবীর কেউই দিতে পারেনা। (কানিজের মায়ের অতীতের যত রাগ সব যেন গলে পানি হয়ে গেছে) কানিজের আপাতত সাথী হয়ে রইলো তার মা ও আরো কয়েকজন আত্মীয়া! কানিজ এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। তার মা তাকে খুব নরম ভাষায় বুঝাচ্ছেন যে, কেউই পৃথিবীতে চিরদিন থাকেনা কোন না কোন সময় তাকে চলে যেতে হয়ই। আমাদের মনে হতে পারে আযাদ হয়তো কিছুটা আগে চলে গেছে কিন্তু আল্লাহর হিসাবে যখন যার সময় শেষ সেই শুধু যায়। সবাই কানিজকে বুঝাতে চেষ্টা করছে কিন্তু মন তো বুঝতে সময় লাগবে। কানিজ বলে মাগো মা আযাদ আমাকে চির আযাদী করে গেছে। দেখ কিছুই সে নেয়নি বরং দিয়ে গেছে সে কি নিয়ে গেছে জানো তোমরা? সে নিয়ে গেছে একবুক কষ্ট, অপূর্ণতা, আর পরম রক্তের আত্মীয় থেকে পাওয়া কঠিন আঘাত। কানিজের মা কানিজকে বুঝায় এতেই হয়তো কল্যান আছে মা তুই ধৈর্য ধর আল্লাহ তোকে এর প্রতিদান দেবেন। কানিজ চুপসে যায়। যে ঘরের খাঁচায় দুটি কবুতর আজ কতটা বছর ধরে একই সাথে থেকেছে, সে ঘরে একাকি কানিজের থাকা কঠিন। কারন ঘরের প্রত্যেকটি দেয়াল থেকে শুরু করে সবকিছুতেই যেন আযাদের স্মৃতি বিজোড়িতো। ঘরের সবকিছুই যেন আযাদের কথা মনে করিয়ে দেয় কানিজকে। কানিজ কোন ভাবেই ভুলতে পারেনা আযাদকে। কানিজের মায়ের কথায় কানিজ কিছুটা শান্তনা পেতে থাকে। দেখতে দেখতে কয়েক সপ্তাহ হয়ে গেলো আযাদের চলে যাবার কানিজও কিছুটা স্বাভাবিক এখন।
ওদিকে আযাদের মা আবার অসুস্থ হয়ে একেবারে কথা বন্ধই হয়ে যায় এখন সে কি বলে বুঝা যায়না। শুধু অস্পষ্ট শব্দ কানে আসে। তবে আযাদের মা যে আযাদের জন্যই এতটা আঘাত পেয়েছেন সেটা বুঝতে পারে সবাই। কানিজের শাশুড়ী এখন সম্পূর্ণ বেড রেস্টে আছে। শোয়া অবস্থাতেই খাওয়াতে হয়, উঠতে পারেনা। আর এভাবেই প্রাকৃতিক প্রয়োজনও সারাতে হয় আর এসব করছে আযাদের বোনেরা। কারন আযাদের মায়ের ইচ্ছা সে এবাড়িতে আসতে চায়না। তাই মেয়ের ওখানেই আছে। সবাই ওখানে গিয়েই দেখে আসে। মনিরও মাঝে মাঝে যায় মাকে দেখতে। কিন্তু ওর বোনেরা ভয় পায় মনির আগের কথাগুলো জেনে। কারন মনির কি করতে কি করে। আর মনিরকে দেখলেই মনিরের মা যেন কি শংকা অনুভব করে যা মুখে বললে কেউই বুঝেনা। কিন্তু মেয়েরা কিছুটা আঁচ করতে পারে। মনির খুবই সম্পদের লোভী আর তাই বোনেরাও মনিরের সাথে কোন বিষয়ে বাঁধতে চায়না বা কথা কাটাকাটি করতে চায়না। চায় তাদের সম্পর্ক আগের মতই থাকুক। সময় চলে যেতে যেতে কানিজের ইদ্দত পালন শেষ সে এখন আসলেই আযাদ। এখন আর কোন পেরেশানি নেই একজন মানুষকে নিয়মিত যত্ন করার, গল্প করার, মুখে তুলে খাইয়ে দেয়ার, সব কাজ থেকেই যেন কানিজ অবসর। কানিজের এখন সময় কাটে ইসলামিক কিছু বই পড়ে আর নামাজ, তাসবীহ, তেলোয়াত করে। আর প্রান ভরে আযাদের মাগফিরাতের জন্য প্রার্থনা করে। মনির সবসময় মনের মাঝে কুচিন্তা নিয়েই ঘুরে ফেরে। তার এখন কয়েকটা চিন্তা একটি কানিজকে বিয়ে করা, আরেকটি তার মায়ের সম্পদ লিখে নেয়া এই দুই হলেই যেন মনির ষোলো কলায় পূর্ণ। সে কোনটাতেই পিছিয়ে নেই। সে উভয় কাজেই সমানে গুরুত্ব দিয়ে সামনে এগুচ্ছে। একদিকে মাকে হাত করতে প্রায় প্রতিদিনই বোনেরা বাড়িতে আগমন অপর দিকে কানিজকে নানা রকম কথা বলে বুঝানো। মনির কানিজের মাকে সরাসরি বলে কানিজের বিয়ের কথা তার মা চুপ করে থাকে এবং এও বলে যে, বিয়ে করলে মনিরকেই করতে হবে নয়তো এখানে অন্য কাউকে নিয়ে সংসার করা মনির কিছুতেই মেনে নেবেনা। বলে রাখি ( মনির তার ভাই খোকার থেকেও জেনে নেয় কানিজকে সে বিয়ে করবে কিনা খোকা না করে দেয় কারন খোকার দুই সন্তান আছে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে) মনিরের কথা শুনে খোকার বউ মনিরকে আচ্ছা করে বকে দেয়। মনির সেই বকাকে সুযোগ মনে করে লুফে নেয়। কানিজ মনিরকে বলে দেয় যে, সে এখন বিয়ের কথা ভাবছে না। আযাদ চলে যাবার পর যে ক্ষত অন্তরে হয়েছে তা ভালো হতে আরো সময়ের প্রয়োজন। সময় হলে কানিজ জানাবে এমনটি বলে মনিরের থেকে কিছুটা রেহাই পায় কানিজ। আযাদ চলে যাবার প্রায় বছর ঘুরে আসতে চলেছে তার মায়ের শরীর ইদানিং তেমন ভালো যাচ্ছেনা হঠাৎ হঠাৎ জবান বন্ধ হয়ে আছে মুখে তখন আর কোন শব্দও হয়না। সবাই একসাথ হয় আবার মায়ের অবস্থা কিছুটা ভালো হলে চলে যায়। মনিরও সুযোগ খুজতে থাকে কি করে মনের ইচ্ছার বাস্তবায়ন করবে। এভাবে একদিন মনির সে সুযোগ পেয়ে যায় ও কাজে লাগায়। মনিরের বোন মেয়েকে নিয়ে পরীক্ষা দেয়াতে যায় আর সেই সুযোগই মনির কাজে লাগায়। তার মায়ের মুখে কোন কথা নেই মৃত্যে মত পড়ে আছে মা কিন্তু মনির তার মায়ের থেকে টিপসই নিয়ে নেয় দলিলে এবং সেখান থেকে দ্রুত চলে যায় নিজের বাড়িতে মনির যেন স্বস্থির নিঃশ্বাস নেয় মায়ের থেকে টিপসইটা হাসিল করে। এর কয়েক সপ্তাহ পরেই কানিজের শাশুড়ীও পাড়ি জমায় না ফেরার দেশে। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজীউন)
××কোনো মহিলার স্বামী মারা গেলে মহিলাকে নিম্নোক্ত কাজ করতে হয়:১- যে ঘরে স্বামী মারা গেছে, যদি সে সেখানে থাকে তবে সেখান থেকে বের না হওয়া। আর যদি অন্য কোথাও থাকে, তবে সেখান থেকেও ৪মাস দশ দিন বের না হওয়া। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿وَٱلَّذِينَ يُتَوَفَّوۡنَ مِنكُمۡ وَيَذَرُونَ أَزۡوَٰجٗا يَتَرَبَّصۡنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرۡبَعَةَ أَشۡهُرٖ وَعَشۡرٗاۖ فَإِذَا بَلَغۡنَ أَجَلَهُنَّ فَلَا جُنَاحَ عَلَيۡكُمۡ فِيمَا فَعَلۡنَ فِيٓ أَنفُسِهِنَّ بِٱلۡمَعۡرُوفِۗ وَٱللَّهُ بِمَا تَعۡمَلُونَ خَبِيرٞ ٢٣٤ ﴾ [البقرة: ٢٣٤]
“আর তোমাদের মধ্যে যারা স্ত্রী রেখে মারা যায়, তারা (স্ত্রীগণ) নিজেরা চার মাস দশ দিন অপেক্ষায় থাকবে। অতঃপর যখন তারা তাদের ‘ ইদ্দতকাল পূর্ণ করবে, তখন যথাবিধি নিজেদের জন্য যা করবে তাতে তোমাদের কোন পাপ নেই। আর তোমরা যা কর আল্লাহ্ সে সম্পর্কে সম্যক খবর রাখেন।” [সূরা আল-বাকারাহ: ২৩৪]
তবে যদি গর্ভবতী হয়, তবে সে সন্তান প্রসবের পরই বের হতে পারবে। কারণ, আল্লাহ বলেন,
﴿وَأُوْلَٰتُ ٱلۡأَحۡمَالِ أَجَلُهُنَّ أَن يَضَعۡنَ حَمۡلَهُنَّۚ﴾ [الطلاق: ٤]
“আর যাদের গর্ভে সন্তান রয়েছে তাদের ইদ্দতকাল হচ্ছে সন্তান প্রসব করা পর্যন্ত”। [সূরা আত-তালাক: ৪]
তবে একান্ত প্রয়োজন বা আবশ্যকীয় কাজে বের হতে পারবে, যেমন, রোগী হলে ডাক্তার দেখানো, খাবার ক্রয় ইত্যাদি, যখন তার কাজ করে দেওয়ার কেউ থাকবে না। অনুরূপভাবে ঘর নষ্ট হয়ে গেলেও বের হতে পারবে। তাছাড়া একাকী সে ঘরে ভয় পেলেও সেখান থেকে বের হতে পারবে।
২- ইদ্দতের সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাজসজ্জার পোষাক পরিধান করতে পারবে না। হলুদ বা সবুজ বা অন্যকোনো রঙীন পোষাক। বরং সাজসজ্জাহীন পোষাক পরিধান করবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ নির্দেশই দিয়েছেন।
৩- ইদ্দতের সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্বর্ণ, রৌপ্য, আলমাস (ডায়মণ্ড), বা মনি-মুক্তার কোনো অলঙ্কার পরিধান করতে পারবে না।
৪- শরীরে বা কাপড়ে খোশবু ব্যাবহার করতে পারবে না। তবে যদি কোনো কারণে দুর্গন্ধ অনুভুত হয়, তখন সেটি দূর করার জন্য সাময়িকভাবে লাগাতে পারবে।
৫- ইদ্দতের সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত সুরমা লাগাবে না, চেহারায় সৌন্দর্যবর্ধক কিছু লাগাবে না। তবে সাধারণ, পানি ও সাবান দিয়ে ধৌত করতে পারবে। মেহেদী ব্যবহার করতে পারবে না। তাকে সরাসরি কেউ বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে না। সেও বিয়ের কথা বলবে না।
বিষয়: সাহিত্য
১২৭১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আজকের পর্বে ঘটনার ধারাবাহিকতায় দ্বীনী বিষয়ে কিছু সুন্দর প্রয়োজনীয় আলোচনা এসেছে!
স্বামী মারা গেলে নারীদের 'ইদ্দত' নামে যে বিষয়টা পালন করা জরুরী তা আজ সমাজ থেকে যেন উঠেই যাচ্ছে!
অনেক বাহানা সৃষ্টি করে তা পালন করা হচ্ছে না!
অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকিল্লাহু খাইরান হে শ্রদ্ধেয়া.......
অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকিল্লাহু খাইরান, আপু ।
আপনার উৎসাহ মূলক মন্তব্যে পুলকিত হলাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন