Rose Roseজীবনটা ক্ষনিকের তবুও মনে স্বপ্ন উঁকি মারে! (১৩ তম পর্ব) Rose Rose

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২০ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০২:২১:১৫ দুপুর

প্রায় আট মাস হতে চলেছে মনিরের মেয়ের বয়ষ। দেখতে খুবই সুন্দর মেয়েটি এবং খুব মায়া ও আছে চেহারাতে যে কেউ একবার দেখলে কোলে নিতে চাইবে। কিন্তু সে কোন দিকে শব্দ হলে বুঝতে পারেনা। এমন কি মা বাবা কেউ ডাকলেও সেদিকে তাকায় না। সোনামনি বা বাবামনি যা বলেই ডাকুক না কেন সে তাকায় না। এক সময় মনিরের বউয়ের সন্দেহ হয় সব বাচ্চারা কোন শব্দ হলেই তাকায় হোক সেটা খেলনার শব্দ বা হোক অন্য কোন শব্দ কিন্তু তার মেয়ে কেন তাকায় না? অনেক চিকিৎসা আর অনেক কাঠখঢ় পুড়ানোর পর জানা যায় মনিরের মেয়ে জন্মগত বধির। সে কোনদিনই শুনতে পাবেনা। তারপরও ডাক্তারেরা আশ্বাস দিয়েছে বড় হলে হয়তো কোন সমাধানে আসা যেতে পারে কিন্তু এখন কিছুই বলা যাচ্ছেনা। আপনারা পুরো ব্যপারটিকে আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন। আগামিতে হয়তো কোন আধুনিক চিকিৎসায় সকল বঁধিরেরা শুনতে পাবে। কিন্তু মনিরের বউয়ের মনে ভয় হয় যে, মনিরের কর্ম কান্ডের কারনেই হয়তো তাদের সন্তানের এই পরিণতি হয়েছে। সে মনিরকে বোঝাতে থাকে সে যেন বড় ভাই ও ভাবীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেয় তাহলে হয়তো আল্লাহ তাদের মেয়ের প্রতি সদয় হবেন। কিন্তু মনির তার স্থান থেকে এক চুল পরিমাণ ও সরবেনা। সে অর্পাকে বলে আল্লাহর যাকে যেভাবে ইচ্ছা হয়েছে বানিয়েছে তাতে আমার দোষ কি? আর আমার মেয়ের কানে সমস্যা তাতে কি? আমি সব চেয়ে ভালো চিকিৎসা করাবো তাতে করে আমার মেয়ে কানে শুনতে পাবে। আর শুনতে না পেলে কার কি? কে বলবে আমার মেয়েকে বধির? কার বুকের কলিজা এত বড় যে মনিরের মেয়েকে বঁধির বলবে তার কলিজাটা বের করে ফেলবোনা? অর্পা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়ে আর বলে আল্লাহ তুমিই ভালো জানো কি থেকে কি হয়েছে তুমি আমার মেয়ের প্রতি দয়া করো আমার মেয়েকে শ্রবনশক্তি দান করো। আর এই লোককে হেদায়াত নসীব করো।

মনিরের কাজের মেয়েটা মনিরের মেয়ে মাহিমাকে কোলে করে আযাদের বাসায় আসে। কানিজ দেখে কোলে নেয় মাহিমাকে। আর ডাকতে থাকে মাহিমা মাহিমা এই দেখ তুমি কার কোলে এসেছো? আমি তোমার চাচী মা হই। মাহিমা কাজের মেয়ের দিকেই তাকিয়ে আছে আর কোন দিকে তাকায় না। কাজের মেয়েটা বলে ভাবী মাহিমা তো কানে শোনেনা। ডাক্তার বলেছে সে জন্মবঁধির কোনদিনও শুনতে পাবেনা। কানিজ বলে এত সুন্দর মেয়েটা কোনদিনও শুনতে পাবেনা? বড়ই কষ্টদায়ক কথা। আল্লাহর ইচ্ছা কখন কাকে কি দিয়ে পরীক্ষা করবেন তিনিই ভালো জানেন। আযাদকে দেখায় দেখ মনিরের মেয়ে অনেক সুন্দর তাইনা? আযাদ বলে হ্যাঁ তাই। কানিজ বলে দেখ মেয়েটা কত মন ভুলানো অথচ মেয়েটা বঁধির কিছুই শুনতে পায়না। আযাদের মনেও আসে আল্লাহ যাকে যেভাবে ইচ্ছা তৈরি করেন তারপরেও নিজেদের কিছুটা কৃতকর্মের ফল ও হয় এসব কারন। আল্লাহ সবার কল্যান করুন এটাই প্রার্থনা করি সবসময়। কত যে আনন্দ করছে কানিজ, আযাদ শুধু অপলক নেত্রে তাকিয়ে আছে কানিজের প্রফুল্লতার দিকে। কানিজ মাহিমাকে কোলে নিয়ে কত যে আদর করছে, কত ভাবে চুমা দিচ্ছে, একবার বুকে নেয় আরেকবার দুইহাতে শোয়ায়, এই সময়ে তো কানিজের কোলেও এমনই একটি বাচ্চা থাকার কথা ছিলো, কথা ছিল কানিজের ও মা হবার। কথা ছিলো কানিজও তার সন্তানকে নিয়ে হাসি আনন্দে দিন কাটাবার কিন্তু আযাদের অভাগা ভাগ্যের সাথে জোড়া লেগে তাকেও সেইসব সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হতে হলো। আযাদ পারলো না কানিজকে কিছুই দিতে শুধুমাত্র সম্পদ কি মানুষকে সুখী করতে পারে? কখনোই পারেনা। মনিরের মেয়েকে দেখার পর থেকে আযাদের মনেও নানা রকম ভাবনার উদয় হয়েছে। সে অনুভব করছে কানিজের জীবনটাতো বর্তমানের চেয়ে আরো সুন্দর হতে পারতো। কিন্তু কানিজ কেন নিজেকে এভাবে ত্যাগের মধ্যে রেখে আনন্দ খুজে বেড়াতে চেষ্টা করছে? আযাদ তো একটি জড়র নাম মাত্র। সে নিজে কিছুই করতে পারেনা তাকে সবকিছু করে দিতে হয়। কানিজের জন্য আযাদের খুব খারাপ লাগতে থাকে।

মাহিমাকে নিয়ে কাজের মেয়েটা কয়েক ঘন্টা থাকলো কানিজের কাছে! মাহিমাও মায়ের মত আদর পেয়ে কোনই কান্নাকাটি করেনি। চাচী মার কাছে বেশ আনন্দেই ছিলো এত সময়। কাজের মেয়েটা এবার বলে বড়ভাবী মাহিমাকে নিয়ে আজকে যাই অন্যদিন আবার আসবো কারন অনেকক্ষন হয়েছে তো মাহিমাকে খাওয়াতে হবে এবার। কানিজ বলে নিয়ে যাও মাহিমাকে কানিজের কোল থেকে নেয়ার সময় কানিজের মনটাতেও যেন কোন মেঘ দেখতে পেলো আযাদ। কানিজ হঠাৎ করেই যেন নিজেকে লুকাতে চাইলো আযাদের থেকে কিন্তু পারলো কি? আযাদ তো আগে থেকে ভাবছিলো এবার তার ভাবনাতে যোগ হলো কানিজের চোখের পানি। কানিজ মুখে কিছু না বললেও আযাদ যা বুঝার বুঝে নিয়েছে। কানিজ পাশ কাটিয়ে ভেতরের রুমে চলে গেলো যেন আযাদের কোন প্রশ্নের সম্মুক্ষিন না হয়। কানিজ ভেতরে গিয়ে খুবই কাঁদলো। প্রতিটি মেয়ের মনেই জীবন সাথী পাওয়ার পর একটি সন্তানের কামনা করেন। ছেলে হোক বা মেয়ে হোক। বিয়ের পরবর্তী স্বপ্নই থাকে মানুষের মা বাবা হওয়ার। কানিজের সেই স্বপ্নও পূরন হলোনা কখনো হবেও না। কানিজ ও খুবই ভাবে কি থেকে কি হয়ে গেলো জীবনটার? কানিজ কাঁদছে অঝরে কাঁদছে কোনকিছু দিয়েই সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছেনা। তার কান্নার ভাষা হয়তো আযাদই বুঝতে পারছে আর কেউ নেই বুঝার মত। কানিজ মন ভরে কাঁদছে ওর কান্নায় মুখটা যেন ধোঁওয়া হয়ে যাচ্ছে। এরপরও কানিজের কান্না থামছে না। কানিজের আজকে কি হলো মাহিমাকে কোলে নিয়ে? মাহিমা কি কানিজকে মনে করিয়ে দিয়ে গেছে আরেকটি মাহিমার কথা? মাহিমা কি কানিজের মনে ঝড় তুলে দিয়ে যায়নি আজকে? কিসের ঝড় বইছে কানিজের মনে আজ? এতদিন তো কানিজ ও আযাদ ভালোই কাটাচ্ছিলো সময়গুলো। কিন্তু আজকে একটি অবুধ শিশু কি করে গেলো আযাদ ও কানিজের মনে? কেউ কাউকে প্রকাশ না করলেও দুজনের আচরণে দুজন ঠিকই বুঝতে পারছে ওদের সবকিছু থাকার পরও কিসের অভাব আছে দুজনের? কানিজ আযাদ থেকে লুকায় আর আযাদ কানিজ থেকে লুকায় উভয়ে উভয়ের কান্না লুকায়, কষ্টকে লুকায়, লুকায় কাংখিত মনের আকাংখাকে তারপরও কি পেরেছে কেউ কারো থেকে মনের কষ্টকে লুকাতে?

আযাদ অনুভব করে কানিজের কষ্টকে, কিন্তু সে নিরুপায়। তার কিছুই করার নেই কানিজের এই আন্তরিক কষ্টকে দুর করার জন্য। সেদিনের সেই সময়গুলো খুব কষ্টেই কাটে দুজনের। কেউ কাউকে বুঝতে দিতে না চাইলেও লুকানে পারেনি একে অপরের কষ্টকে। পৃথিবীতে এমন কিছু কষ্ট আছে যেগুলো পূরন করা সাময়িক ভাবে কঠিন, এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যেখানে শুধে অপারগতাই বিদ্যমান কিন্তু বাস্তবে চাহিদা আছে সেক্ষেত্রে কষ্টের শেষ থাকেনা। বিকেলে দুজনেই স্বাভাবিক হতে চেষ্টা করে ও একে অপরের সাথে কথা বলে মনের কষ্টকে হালকা করতেও চেষ্টা করে তারপরও মনের সব কষ্টে কি স্বাভাবিক হওয়া যায়? কিছু কিছু আছে যেগুলো হেসে উড়িয়ে দেয়া যায়, আবার কিছু কিছু কষ্ট আছে যেগুলোকে মনের মাঝে স্থান দিতে না চাইলেও জোর করে স্থান করে নেয়। কানিজ আর আযাদের আজকে সেরকমই অবস্থা হয়েছে। বিকেলে নিত্যদিনের মত গল্পে কেউই মনোযোগ দিতে পারেনি। তারপরও একজন একজনকে হাসাতে, আনন্দ দিতে সচেষ্ট ছিলো। তাদের এই চেষ্টার মাঝেও উভয়ে উভয়ের মুখ দেখে যেন অন্তরের কষ্টের ছাপ বুঝতে পেরেছে। আযাদ এবার কিছু কথা বলে কানিজকে, কানিজ চুপচাপ শুনে যায়। আযাদ প্রশ্ন করে কানিজ তুমি আজকে সবদিনের চেয়ে কিছু ভিন্ন, মাহিমাকে দেখেই কি তোমার এই পরিবর্তন? কানিজ মুখে কিছুই বলতে পারেনা তবে মাথা নাড়িয়ে না জবাব দেয়। আযাদ বলে তোমাকে আমি চিনি কানিজ তুমি কখন কেমন থাকো সেটাও আমি অনুভব করি। তুমি লুকাতে চাইলে কি হবে আমার চোখে তা দেখা হয়ে গেছে। কানিজ জবাব দেয় থাক না এসব কথা আমি কষ্টকে বেশী মূল্যায়ন করতে চাইনা তাহলে কষ্ট ঘাড়ে চেপে বসবে। এই পাঠ টা বাদ দাও অন্য কথা বলো। কানিজ ও চায়না এসব কথা তুলে দুজনেরই মনটা আরো খারাপ থাকুক। বিকেলের এই সময় নিত্য সময়ের তুলনায় ভিন্নই কাটলো। কিছু গল্প করলো দুজনে। আযাদ মাহিমার বিষয়টা নিয়ে খুবই টেনশন করছিলো সারাদিন সাথে কানিজের কষ্ট নিয়েও। রাতে শোয়ার সময় কানিজকে বলে কানিজ আজকে আমার কেমন যেন লাগছে, ঘুম আসছে না। কানিজ জানতে চায় কেমন লাগছে? খুলে বলো। কানিজ বলে তুমি কি কোন বিষয় নিয়ে আন্তরিক টেনশনে ভুগছো? আযাদ না বলে। তখন কানিজ উঠে আযাদের ঠান্ডা পানি দিয়ে আযাদের শরীর মুছে দেয়, মাথায়ও কিছুটা পানি দেয় এরপর একগ্লাস গরম দুধ দেয় পান করতে যাতে আযাদ ঘুমাতে পারে। কানিজ ভাবে এই সময় চা দিলে রাতে আরো ঘুম হবেনা। আযাদ কানিজকে বলে তুমি এবার শুয়ে পড়ো প্রয়োজন হলে তোমাকে ডাকবো। কানিজ শুতে চায়না তবুও আযাদের কথায় শুয়ে পড়ে। রাতে আযাদের চোখ দু'টো এক করতে পারেনি। শেষ রাতে বুকের বাম পাশে খুবই ব্যথা অনুভব করে আযাদ, কিন্তু কানিজ সারাদিনের ক্লান্ত থাকায় আযাদ কানিজকে ডাকেনা। বুকের ব্যথা চাপা রেখে ঘুমাতে চেষ্টা করে কিন্তু ব্যথা ক্রমশই বাড়তে থাকে, আযাদের ছটফটে কানিজের ঘুম ভাঙে কানিজ বলে কি হয়েছে? আমাকে ডাকোনি কেন? আযাদ সে জবাব না দিয়ে বলে কানিজ আমার সময় হয়েছে চলে যাবার তুমি তোমার মত করে তোমার জীবনকে সাজিয়ে নিও আর আমাকে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা করে দিও কানিজ কান্নায় ভেঙে পড়ে এখনো ফজর হয়নি কাকে ডাকবে? কি করবে? কানিজ তার আব্বুকে কল করে বলে আব্বু আপনি আসেন আযাদ যেন কেমন করছে। আযাদ শুধু বলে কানিজ তুমি ব্যস্ত হইওনা। তোমার সাথে আমার ওপারে দেখা হবে এই পার্থিব জীবনে আমি তো তোমায় কিছুই দিতে পারিনি তবে ওপারে আল্লাহ হয়তো সে সুযোগ দেবেন। কানিজ ও ক্ষমা চেয়ে নেয় আযাদের থেকে, কানিজ কল করতে যায় আযাদের বোনাইদেরকে কিন্তু ততক্ষনে আযাদ পাড়ি জমিয়েছে না ফেরার দেশে, যেখান থেকে কেউ কখনো ফিরে আসেনা। আযাদ আযাদের মনের কষ্ট নিয়ে চলে গেছে ওপারে সাথে নিয়ে গেছে কানিজকে পূর্ণ করতে না পারার কষ্টও (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজীউন।)

বিষয়: বিবিধ

১৩৭১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

295943
২০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:২২
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৪
239642
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালোলাগা রেখে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনার শুকরিয়া।
295952
২০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৬
ফজলে এলাহি মুজাহিদ লিখেছেন : চলুক, খুব ভালো হচ্ছে গদ্য লেখা।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৫
239643
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : উৎসাহ মূলক মন্তব্যে পুলকিত হলাম। যাযাকুমুল্লাহ!
295962
২০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩৮
আফরা লিখেছেন : শেষ পর্যন্ত আযাদ মারাই গেল---- (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজীউন।)
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৫
239644
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : হাঁ! আমরা কেউই জানিনা কার ডাক কখন আসে। তাই সবাই যেন পূর্ণ প্রস্তুতি নিতে পারি সেই দোয়াই করবেন।
295970
২০ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৭
এ কিউ এম ইব্রাহীম লিখেছেন : ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৬
239645
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালোলাগা রেখে যাবার জন্য মোবারকবাদ
295978
২০ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৬
লোকমান লিখেছেন : গল্প নাকি সত্য ঘটনা?
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
239648
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : এটা নিছক একটি গল্প তবে কারো জীবনের সাথে মিলে গেলে সে যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয়। কারন অনেক সময় কল্পনা আর বাস্তব মিলে যেতে পারে।
296131
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:০৪
কাহাফ লিখেছেন :
শেষ পর্ব এটা???
গল্প-উপন্যাসে মানুষ তার অসম্পুর্ণ-অসম্ভব চাওয়ার বাস্তবতা দেখতে পছন্দ করে!
সব কিছুর সুন্দর সমাপ্তি কামনা করে!
আযাদের মৃত্যু বিষাদময়!!!
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৯
239650
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : কাহাফ ভাই আরেকটু ছবর করেন আসছে শেষ.....। অনেক কঠিনতাই অনেক সময় সহজ পথ খুলে দেয়। দোয়া করবেন যেন সুন্দর পরিসমাপ্তি করতে পারি।
296174
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:২২
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : ১৩ তম পর্ব !! মারা গেল জীবিত লাশটি !! খুব কষ্ট লাগল আযাদের জন্য । ভাবছিলাম এই ১৩ তম পর্বটি পড়বো না। But শেষে Office এর কাজ ফাকি দিয়ে পড়ে পেললাম। না পড়ে থাকতে পারলামনা।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:১২
239652
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : এতেই ছিলো আযাদের জন্য কল্যান ও কানিজের কষ্টের অবসান। কারন আযাদ নিজে অক্ষম হয়ে যে কষ্ট অন্তরে বয়ে বেড়িয়েছে তার থেকেও আযাদ প্রশান্তি লাভ করেছে। আর কানিজকে উম্মুক্ত করে গেছে কঠিন জীবন থেকে। সাথে থাকার জন্য আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যান কামনা করছি।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৩২
239671
লজিকাল ভাইছা লিখেছেন : সেটা বিয়ের আগে হতে পারত।সেত Accident এর পরই কানিজকে free করে দিয়েছিল, এবং সেতাই হয়া উচিৎ ছিল।
২১ ডিসেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৫:৫৭
239731
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : হতে পারতো হয়তো। কিন্তু সবকিছু শুরুতেই অবসান হলে কেমনে হবে? তাই একজন মেয়ের ধৈর্যের পাহাড় কতটা মজবুত তা ফুটে উঠেছে লেখার মধ্যে। ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File