Rose Rose প্রবাসীর বউ (তিন পর্বের গল্পের ২য় পর্ব) Rose Rose

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১১:১৮:০০ রাত

লোপা নিজের মা বাবার সাথে এক রকমের কঠিন কথা বলে থেকে গেল শশুরালয়ে! লোপার শশুর কিছুটা নমনীয় ব্যবহার করেছে লোপার সাথে আর বাকিরা সবাই ওকে এমন কষ্ট দিচ্ছে যে, সংসার ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়! যেই মানুষটা লোপার প্রতি মমতার ব্যবহার করেছে সেই মানুষটা হঠাৎ করেই চলে গেলো না ফেরার দেশে! লোপা আরো একাকি হয়ে গেলো! আর এই পরিবারে কোন চাহিদার কথা প্রকাশ করা তো দুরের কথা একটি মাত্র কন্যা সন্তান তার জন্যেও কোন আবদার করতে পারেনা! কাকে বলবে মনের কষ্টের কথা গুলো? সব কষ্ট বুকে নিয়ে থেকে গেলেও থাকতে পারবেনা হয়তো এখানে! কারন সবকিছুর কষ্ট করা যায় কিন্তু স্বামী নামক সেই সম্মানিত ব্যক্তির সম্মানের দিকে যদি কেউ হাত বাড়ায় তো সেখানে কিছুতেই থাকা যায়না! আত্ম সম্মান বাচিঁয়ে থাকা বড়ই কঠিন আর যেখানে লোপার স্বামীই ঠিকমত খোজ খবর রাখেনা! সেখানে বাকি সবার কথা তো বাদই! লোপাকে যখন ভাতে, কাপড়ে, তেলে, সাবানে কষ্ট দিয়েও তাড়াতে পারলো না! তখন ননদের জামাইরা সুযোগ খুজে তাকে মানুষের চোখে অপমানিত করার চেষ্টা করে! দুই ভাসুরের মধ্যে বড়জন মোটামুটি ভালো ব্যবহার করেছে কিন্তু এই অপচেষ্টা থেকে মেজু ভাসুর নামক জলদস্যুও বাদ পড়েনি! দেবরেরাও বাদ পড়েনি বড়ভাবীকে অপমান করতে! অনেক জ্বালা আর যন্ত্রনা ভোগ করতে করতেও একজনের অপেক্ষায় থাকলো কয়েক বছর! ভাইয়েরা ও পরিবার থেকে নানা রকম কথা বলে লোপার স্বামীর কান আগেই ভারী করেছিল তাই লোপার সাথে ওর স্বামীর দুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে! লোপার স্বামীকে জানানো হয়েছে লোপার চরিত্র খারাপ! বোনদের সংসার ভাঙবে এমন মেয়ে এবাড়িতে থাকলে! অন্য অনেকের সাথে সম্পর্ক আছে! এমন কি একথা ও বলেছে যে, লোপার কোলে যে সন্তান সে সন্তানও তোর নয় অন্য কারো! এসব বলে বলে ভাইকে বুঝিয়েছে একরকম আর বউকে বলেছে তোমার স্বামী আর তোমাকে নিয়ে সংসার করতে ইচ্ছুক না! আর এ কারনেই সে দেশে আসছে না! তুমি যতদিন এসংসারে থাকবে সে ততদিনই দেশে ফিরবেনা! তুমি ওর জীবন থেকে চলে গেলে হয়তো সে আমাদের মায়ায় দেশে আসবে! নয়তো তোমার জন্য আমরা আমাদের ভাইকে চিরতরে হারাবো! এসব বলে লোপাকে আরো দূর্বল করে দিলো! লোপা এসব শুনে শুধু বলল আপনার ভাইয়ের মেয়েকে কি করবে? তখন লোপাকে জানানো হলো সে স্বীকার করেনা এ সন্তান তার অতএব বুঝতেই পারছো সে কি চায়? লোপার আর বুঝতে বাকি রইলো না যে লোপার এবাড়িতে থাকার আর কোন অধিকার নেই! কারন যার অপেক্ষাতে সে তিন তিনটা বছর কাটিয়ে দিলো সেই কিনা তাকে মুখোমুখি কিছু না বলে শুধুমাত্র সন্দেহের উপর নির্ভর করে সংসার ভাযতে চায় তাকে সে দুর থেকে কিভাবে বুঝাবে? লোপা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে কেন লোপার স্বামী ওকে এড়িয়ে চলেছে দিনের পর দিন? কেন খোলা মনে কোন চিঠি প্রেরন করেনি? কেন নিয়মিত খোজ-খবর নেয়নি? আজ লোপার কাছে সবকিছু পরিষ্কার! লোপা বুঝতে পারলো কাছাকাছি থাকলে হয়তো এসব সমস্যা থাকলেও লোপার সংসার টিকে থাকতো কিন্তু এখন দুরত্বের কারনে কোনদিনই হয়তো লোপার স্বামীর সন্দেহ ভাঙানো যাবেনা! লোপার সবচেয়ে বড় কষ্ট শুধু একটিই লোপার স্বামী তার সন্তানকে একটি বারও দেখলো না! মেয়ে জুঁইকে দেখলে হয়তো ওর প্রতি অবিচার করতো না! অন্তত জুঁইকে তো স্বীকার করতো! কি করা সামনের দিকে কোন আসার রশ্নি দেখতে পায়না লোপা! লোপা আনমণে ভাবছে এখানে থাকা আর ঠিক হবেনা!

লোপার বাবা মা তো আগে নিতে চেয়েছিল সে যায়নি কিন্তু এখন তো যেতেই হবে! লোপা ভাবলো আগামি কালকেই এখান থেকে চলে যাবে বাবার বাড়িতে রাতেই হলো আরেক দূর্ঘটনা! দেবর, ভাসুর, ননদ, সবাই মিলে লোপার ঘরে এসে নানা রকম কটূ কথা বলল এবং বলল কখনোই আমার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করবেনা! আর কোন থালা পুলিশও যাতে না করে এসব বলে নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকে লোপা শুধু বলল ভাইয়া আমি কারো উপর দোষ দিচ্ছি না তবে সেই মানুষটাকে কখনো পেলে শুধু বলব কেন সে দুটি জীবন নষ্ট করলো? কেন সে আমার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করল? এই কথা বলতেই লোপাকে ওর ননদেরা খুব মারলো আর বলল তুমি কোন কিছু বলারই সুযোগ খুজবেনা! এই মেয়েই তার নয় সে কেন নষ্ট করবে এর জীবন? লোপা খুব কাঁদলো আর মনের কষ্টে বলল আমি তাকে কখনোই ক্ষমা করবোনা! কিন্তু এই সন্তানই একদিন তাকে প্রশ্ন করবে? আমি সেই দিনের অপেক্ষাতেই থাকবো! আর সে আমাদের দুটি জীবন নষ্ট করেছে সে কখনোই সুখী হবেনা আল্লাহ যেন তাকে কখনোই সুখ না দেন! সে যেন জীবনের ধাপে ধাপে বুঝতে পারে তার ভুল গুলো কি আর আমার অপরাধ কি? এবং এই সন্তান কার? সময়ই তাকে ভুলগুলো ধরিয়ে দেবে! আমি থাকবোনা এখানে চলে যাবো কিন্তু এই সন্তান এই বংশেরই সন্তান সে কোন একদিন না কোন একদিন তার অধিকার আদায় করে নেবে! লোপা পরের দিন ভোর বেলায় এবাড়ির সব মায়া মমতা ছিন্ন করে চলে আসলো বাপের বাড়ি! তার পোষাক, আর চেহারা দেখে মা বাবার বুঝার বাকি রইলো না যে লোপা কতটা কষ্টের স্বীকার হয়েছে! লোপার মা বাবা লোপার কাছে ক্ষমা চাইলো! মারে তুই আমারদেরকে ক্ষমা করে দে! আমরাই তোর জীবনটা এভাবে নষ্ট করেছি! কেন তোকে তোর ইচ্ছামত দেশী পাত্র দেখে বিয়ে দিলামনা! তাই তো আজকে তোর নিষ্পাপ মেয়েটাকে ও কষ্টের ঘানি টানতে হচ্ছে? আমরাই দায়ী এর জন্য! তুই চিন্তা করিস না আমরা তোকে দেশী ছেলে দেখে আবার বিয়ে দেব! কিন্তু লোপা তা মেনে নিতে নারাজ! লোপা বলে জীবনে বিয়ে একবারই হয় আর তা আমার হয়েছে! আমি মেয়েটাকে কোনভাবে মানুষ করতে পারলেই হলো বিয়ে টিয়ে আমার দরকার নেই! বস শুনে লোপার ভাইয়েরা পুলিশের কাছে যেতে চাইলো লোপা না করে দিলো ভাইদের! বলল আমার জন্য আপনারা কেন জীবনের হুমকি নেবেন? কোন দরকার নেই আমার কপালে যা ছিল তাই হয়েছে! এভাবে চলতে থাকলো আরো দুই বছর! লোপার মেয়ের বয়ষ এখন পাঁচ বছর হতে চলল! এদিকে লোপার বাবারও স্বাস্থের অবস্থা ভালো না সবাই লোপাকে নিয়ে চিন্তিত লোপাকে যদি আবার বিয়ে দিয়ে দিতে পারতো লোকটার চিন্তা কমতো কিন্তু লোপা রাজি হচ্ছেনা! সে ঘরে বসে নকশী কাঁথা সেলাই করে দিতো মানুষের! লোপার ভাইয়েরাও কিছু দিতো এতে করে মেয়েটার খরচ চালাতো! এখন দিন দিন মেয়ের খরচ বাড়বে পড়া-শুনাতে দিতে হবে! কি করবো লোপা? কোন সিদ্ধান্তই সে নিতে পারছেনা! এরই মাঝে লোপার বাবার জীবনের ক্লান্তি লগ্ন এসে গেলো লোপাকে তিনি অসিয়ত করে গেলেন সে যেন নতুন করে সংসার করে! কারন ভাইয়েরা একজন বিয়ে করেছে আস্তে আস্তে বাকিরাও সংসারি হবে তখন লোপাকে কে দেখবে? আর লোপার মেয়ে জুঁইয়ের দায়িত্বই বা কে নেবে? লোপা কি করবে? বাবা তো ঠিকই বলেছে ভাইয়েরা সবাই সংসারি হলে তখন জুঁইয়েরই বা কি হবে? লোপা তার বাবাকে কথা দেয় সে কাউকে নিজের থেকে গ্রহন করবেনা কিন্তু যদি কেউ নিজের আগ্রহে তাকে গ্রহনের ইচ্ছা করে তবে সে সেখানে বিয়ে করবে! সেদিন রাতের শেষেই লোপার বাবা চলে গেলেন আপন গন্তব্যে!

লোপা আরো একাকি হয়ে গেল! কি হল মাত্র কয়েকটা বছরে যেন জীবনের চাকাটা উল্টো চলছে! লোপা মন থেকেও কোন পুরুষের প্রতি সম্পর্ণ বিশ্বাস করতে পারছেনা! আবার বিয়ে করল সেখানেও যদি এমনই হয় তো সে কতবার বিয়ে করবে? আর কতবার এক ভুল করবে? সে আত্ম হত্যা করতে পারেনা কারন তা মহা পাপ আর তার একটি সন্তান আছে তার দায়িত্বই বা কাকে দেবে? তাকে নতুন করে বাঁচতে হবে তার জুঁইয়ের জন্য! কিন্তু লোপা আরো ভাবে জুঁইয়ের জন্মদাতা পিতাই তো জুঁই কে স্বীকার করেনি অপর আরেকজন লোক কি জুঁইকে আপন করে নেবে? লোপা আর ভাবতে পারেনা! কোন সমাধানের পথও খুজে পায়না! জীবনের শুরু না হতেই কি হতে কি হয়ে গেল? কেন এমনটি হলো? কোনই জবাব পায়না লোপা! আস্তে আস্তে লোপার সকল ভাইয়েরা বিয়ে করে! লোপার কষ্ট যেন আরো বাড়তে থাকে! লোপার ভাইয়েরা বোনকে বেশী আদর করে বা জুঁইকে কেন খরচ দেয় এসব নিয়ে প্রায়ই ভাবীদের অভিযোগ! লোপা শেষে গ্রাম ছেড়ে শহরে আসার পরামর্শ চায় ভাইদের কাছে! ভাইয়েরা রাজি হতে চায়না! শেষে রাজি হয় কোন একজন আত্মীয়ের বাসায় থেকে লোপা কাজ করবে! কিন্তু লোপার বড় ভাবী লোপার মেয়েকে রেখে দেয় গ্রামে! সে জুঁইকে আসতে দেয়না! লোপাকে বলে যে তুমি সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকলে জুঁইয়ের কি হবে? আরো কিছুদিন জুঁই এখানে থাকুক তুমি দেখ কিছু করতে পারো কিনা! লোপা জীবনের মানে বুঝতে পেরে আপন সন্তানের আগামির জন্য পাড়ি দিলো গ্রাম ছেড়ে শহরে! এখানে নতুন আরেক পরিবেশ! নতুন সব মানুষ! সব নতুনের মাঝে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়াও অনেকটা কঠিনই মনে হলো লোপার কাছে! লোপা কোনকিছু আর ভাবতে পারেনা! শুধুই এখন জুঁইকে মানুষের মত মানুষ করতে হবে! পিছনে ফিরে যাবার কোন সুযোগ নেই! আর কার আশায়ই বা পিছনে ফিরবে? সংসার সাজালো সেও তো ভেঙে গেলো! এখন আর অতীতের কথা ভেবে লাভ নেই! সামনে এগুতে হবে জুঁইয়ের ভবিষ্যতের জন্য! লোপা ওর একজন মামাতো ভাইয়ের বাসায় আসলো মামাতো ভাইয়ের এমব্রয়ডারীর ব্যবসা ছিলো! তারা অনেক মেয়েদের দিয়ে শাড়ি, পান্জাবী, থ্রী পিজে ডিজাইন করে মার্কেটে ছাপ্লাই দেয়! লোপার তো কোনই অভিজ্ঞতা নেই এই কাজের! তারপরও সে ভাই ও ভাবীকে বলল আমি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাজগুলো শিখে নেবো এবং প্রডাকশনে কাজ করো! কারন তাকে তো কোন না কোন কাজ করতেই হবে! আর এখানে অন্তত সম্মানের সাথে ঘরে বসে কাজ করলো কিন্তু বাহিরে গিয়ে করতে হলে সেখানে আরো বিপাকে পড়তে হবে লোপাকে! তাই লোপা দিন/ রাত পরিশ্রম করে কাজগুলো আয়ত্ব করে নিলো এমন কি পুরাতন কর্মীদেরকেও ছাড়িয়ে গেল কাজের অভিজ্ঞতায়! ললোপার মূল্য বাড়লো কাজের যোগ্যতার কারনে! লোপা অনেক পরিশ্রম করতে থাকে আর বেশী পরিশ্রমের কারনে আয়ও বাড়লো! সকাল হয় কাজের ভেতরেই সময় চলে যায় রাত এসে লোপাকে মনে করিয়ে দেয় এখন তোমার বিশ্রামের প্রয়োজন! সারাদিন অনেক পরিশ্রম করেছ! এবার কিছুটা বিশ্রাম নাও! লোপা স্বল্প খাবার খেয়ে বিছাতে যায় কিছু ভাববার সময়ও নেই ঘুম এসে জড়িয়ে ধরে লোপার ক্লান্ত দেহকে!

লোপা এখানে আসার দুই বছর হলো! ও আসার পর থেকে ওর মামাতো ভাইয়ের কাজের খুবই উন্নতি হয়েছে! এবং লোকমুখে প্রশংসাও অনেক পেয়েছে! এখন আর আগের মত লোকেরা কাজের মধ্যে ভুল খুজে পায়না কারন লোপা খুব খেয়াল করে কাপড় গুলো কার্টোন করে, নম্বর দেয় যেন সে নিজের কাজ করে! একদিন লোপার মামাতো ভাইয়ের সাথে একজন মার্কেটের মালিক ও একজন ফলের ব্যবসায়ী আসে! তারা লোপার ভাইয়ের কাছে জানতে চায় কিভাবে তাদের আগের ব্যবসার সমস্যা দুর হলো? মামাতো ভাই বলতে গিয়ে বলে আমার এক বোনের কৃতিত্বেই তা সম্ভব হয়েছে! লোকেরা সেই বোনের প্রশংসা শুনে দুষ্টোমির ছলে বলে যে, আপনার বোনের কি বিয়ে হয়েছে? নয়তো দেখেন তো আমাদের দুজনের মধ্যে কাউকে পছন্দ হয় কিনা! লোপার মামাতো ভাই মনটা খারাপ করে বলে ভাইরে এ জগতে সবারই বিয়ে হয় আগে পরে কিন্তু সংসার জীবনে সবাই স্থায়ী হতে পারেনা! এবার ফলের ব্যবসায়ী বলল যে মেয়ের এতগুণ তার সংসারের এই অবস্থা? আমাকে বলেন তার প্রকৃত অবস্থা আমি এখনো বিয়ে করিনি! লোপার ভাই সংক্ষেপে লোপার জীবন বৃত্তান্ত বর্ণনা করলেন! লোকটা শুনে কিছুটা হদয় হলো লোপার প্রতি! আরো লোপার ছোট মেয়ে জুঁইয়ের কথা শুনে সে আরো মর্মাহত হলো এবং বলল ভাই আপনি লোপার সাথে আমার বিষয়টা আলোচনা করেন লোপার যদি অমত না থাকে তো আমি বিয়ের কাজটি তাড়াতাড়ি সমাধা করতে চাই! লোপার ভাই বলল আপনি কেন মেনে নেবেন আরেক জনের সন্তান? ব্যবসায়ী লোকটা বলল আমি কারো সন্তান মেনে নয় একজন অসহায়ের প্রতি বন্ধ সূলভ আচরণ করতে চাই! লোপার ভাই বলল আপনি লোপাকে দেখেননি! না দেখেই জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন? ফলের ব্যবসায়ী লোকটা বলল আমি লোপাকে দেখতে চাইনা তার গুণেই মুগ্ধ থাকতে চাই নয়তো দেখতে গেলে কোন সমস্যা হতে পারে বলেই চলে যেতে চাইলো আরো বলল আপনি আপনার বোনেরা সাথে কথা বলে আমাকে জানান! আমি অপেক্ষাতে থাকলাম!

লোপার ভাই লোপাকে সব বিষয়টা জানালো এবং লোপার মতামত জানতে চাইলো! লোপা বলল আমার একজন মেয়ে আছে সে কথা কি বলেছেন তাকে? ভাই বলল হাঁ বোন বলেছি সে সবকিছু জেনেই তোমাকে গ্রহন করতে রাজি এখন তোমার মত পেলে আমরা আগে বাড়তে পারি! লোপা সময় নিলো ভাববার! আর বলল আমার ইচ্ছে ছিলো জীবনে আর বিয়েই করবোনা কোনভাবে মেয়েটাকে মানুষ করতে পারলেই আমার সফলতা! তখন লোপার মামাতো ভাই ও ভাবী মিলে লোপাকে অনেক বুঝালো বলল কতদিন তুমি কাজ করতে পারবে? আর তোমার তেমন বয়ষও হয়নি! লোকটার ব্যবসাও অনেক ভালো করে তোমার কোনই কষ্ট হবেনা! আর সবচেয়ে বড় কথা হলো লোকটা যেহেতু তোমার সব বিষয় জেনেই গ্রহন করতে চাইছে তুমি আর অমত করনা বোন রাজি হয়ে যাও! লোপা অনেক ভেবে চিন্তে রাজি হলো লোপার আপন ভাইয়েরা তিনজন লোপার মা ও জুঁইকে আনা হলো সবার সম্মতিতে লোপার আরেক নতুন জীবন শুরু হলো! এক কষ্টের সাগর পেরিয়ে তীরে এসে নতুন সর্গ সাজানোর!

(ক্রমশ.................চলবে)

বিষয়: সাহিত্য

৩৫০৫ বার পঠিত, ৬৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

266962
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৩৩
আফরা লিখেছেন : জানি না লোপার জীবনে কি আছে তবে আশা করি সে যে কষ্ট আর ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে আল্লাহ তার ভাল করবেন ।ইনশা আল্লাহ !

২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪১
210820
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : লোপারা ধৈর্য করতে জানে বলেই আল্লাহই ওদের সহায় হোন!
266975
২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৫৬
ফেরারী মন লিখেছেন : এই জন্যই বলি বিয়ে করে কেউ প্রবাসে যাবেন না। গেলে বউ সঙ্গে নিয়ে যাবেন। আহারে লোপা হতভাগী মেয়েটার জন্য কষ্ট হচ্ছে। Sad
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৪
210821
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : প্রবাসে থাকা উনুচিত নয় তবে যাকে যতটুকুন সম্মান তা দিলেই ভাইকে ভাইয়ের মর্যাদা স্ত্রীকে স্ত্রীর মর্যাদা তাহলে কিন্তু এই সমস্যা গুলোকে এড়িয়ে চলা যায়! আর এক তরফা ভাবে কাউকেই বিশ্বাস করা ঠিক নয়!
266979
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:১৭
কাজী লোকমান হোসেন লিখেছেন : আসলে আমি নিজেও একজন প্রবাসী , দীর্ঘ দিন থেকে দেখে আসছি বিবাহিত প্রবাসীদের মধ্যে ৮০% প্রবাসী একধরনের পীড়ায় ভুগে , মাঝে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় দৃষ্টি গোচরে আসলে অনেক খারাপ লাগে , একজন প্রবাসীর দেশে না গিয়ে বছর বছর প্রবাসে টাকার পিছে দোড়ানো নিয়ে আমার নিজ এলাকার একটা মেয়েকে লেখা আছে , ইনশাআল্লাহ্‌ এই ব্লগে পোস্ট করবো , আপনার লেখায় লোপা নামের মেয়েটার জন্য কষ্ট হলেও এই বিষয় গুলো দেখতে দেখতে কখন যে পাথর হয়ে গেছি নিজেও টের পাইনি , ধন্যবাদ Good LuckGood Luck
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৬
210822
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : প্রবাসে থাকুক কিন্তু সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে যেন বউয়ের কারনে মা কষ্ট না পায় আর মা বোনেরা কারনে বউ কষ্ট না পায়! আল্লাহই তো উভয়ের সম্মান আলাদা আলাদা দিয়েছেন কারো সাথে কারো তুলনা হয়না!
আপনার লেখার অপেক্ষাতে রইলাম!
267006
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:০০
সাদিয়া মুকিম লিখেছেন : পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম Hurry Up Hurry Up

Rose Good Luck Love Struck
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৭
210823
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ইনশা-আল্লাহ তাড়াতাড়ি দিতে ট্রাই করবো দোয়া করবেন আমাদের জন্য আর আপনার জন্যেও কল্যানের দোয়া!
267028
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৪:২৪
কাহাফ লিখেছেন :
কিছু জানোয়ার তুল্য মানুষের কারণে সমাজে এমন সব ঘটনা ঘটছে অহরহ।প্রবাসী নামের কলংক এরা।
অনেক ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্যে.....।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৯
210824
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : প্রবাস মানেই কারাগার! তাই বলে সেখান থেকে কারো উপর জুলুম করা ঠিক নয়! এক তরফা কথা শুনাও ঠিক নয়!
267055
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪০
মামুন লিখেছেন : ধন্যবাদ ভালো লেগেছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
শুভেচ্ছা রইলো। Rose Good Luck
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৫৯
210827
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালোলাগা রেখে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনার প্রতিও শুভেচ্ছা রইলো! ইনশা-আল্লাহ পাবেন!
267056
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:৪৯
ইমরান ভাই লিখেছেন : Loser Hurry Up Hurry Up Hurry Up জলদি করুন বাকি অংশ লায়লা আপা। Broken Heart Time Out

Rose Rose Rose Rose Rose Rose Rose
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:০১
210828
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মোবারকবাদ
বাকি অংশের জন্য তো একটু অপেক্ষা করতেই হবে! তবে তাড়াতাড়িই দেব ইনশা-আল্লাহ!
267082
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৫২
প্রবাসী আশরাফ লিখেছেন : কঠিন বাস্তব জীবনের আলোকে তিক্ততার পরশ মাখানো চোখে জল আনার মতো গল্পকাহন। পড়তে পড়তে মনটা অবশ হয়ে গিয়েছিল, শেষ দিকে এসে কেমন যেন মনটা পূনরায় চাঙা হতে হতে আনন্দে ভরে উঠেছে।

ভালো লাগলো আপনার গল্পটি।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২২
210954
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : জীবনটাই কঠিন! তার সবকিছুতেই কঠিনতা লুকায়িত! হৃদয় অবশ হওয়ার মতই কঠিন বাস্তবতা! আল্লাহ সবাইকে নিরাপদে রাখুন!
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২৩
210956
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : জীবনটাই কঠিন! তার সবকিছুতেই কঠিনতা লুকায়িত! হৃদয় অবশ হওয়ার মতই কঠিন বাস্তবতা! আল্লাহ সবাইকে নিরাপদে রাখুন!
267090
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:২২
210955
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালো লাগা রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে
১০
267091
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : এই ব্যাপারটা নিয়ে এত দেখেছি যে কিছূতেই এখন আর অবাক হইনা। কিছু মাবাবা প্রবাসি পাত্র দেখলেই তার যোগ্যতার বিবেচনা না করেই মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যান। আবার কিছু প্রবাসি আছেন যারা সামর্থ থাকা সত্বেয় নিয়মিত দেশে গিয়ে পরিবারের খবর নেওয়ার চাইতে প্রবাসে বেশি টাকা কামানর জন্য উৎসুক থাকেন। প্রবাসির স্ত্রী শশুরবাড়িতে যে অত্যাচার ও অবিচার এর শিকারহন এটাও সত্য। আমাদের সমাজে এই ধরনের মা-বাবাও কম নাই যারা পুত্রের অর্থ এত বেশি প্রয়োজন বা লোভ করেন যে তার স্ত্রীকে নিজেদের শত্রু মনে করেন। যেটা প্রয়োজন হচ্ছে এই বিষয়গুলি কে যক্তি দিয়ে বিবেচনা করা। অনেকেই পিতামাতার প্রতি শ্রদ্ধার কথা বলে এই ক্ষেত্রে বউ এর প্রতি অবিচার এর বিরুদ্ধে কিছু করতে চাননা। আবার এখন অনেক নারিই তথাকথিত নারি অধিকার নিয়ে এত উত্তেজিত যে স্বামিকে নিজের সম্পদ মনে করেন।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৩
210976
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আমি মনে করি উভয়েরই উভয়ের অধিকারের প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিৎ
১১
267095
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৩০
আবু ফারিহা লিখেছেন : লোপার নতুন জীবন যেনো সুখ দিয়েই শেষ হয় এই কামনা। ধন্যবাদ অাপনাকে।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৩
210977
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : শুভ কামনার জন্য আপনাকে যাযাকুমুল্লাহ!
১২
267100
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ১২:৪৪
অনেক পথ বাকি লিখেছেন : প্রবাসীদের বউ দেখলে মায়া লাগে। স্বামীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত এক নারী।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৪
210978
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : স্বামীর ভালোবাসা থেকে তো বঞ্চিত থাকেই! সাথে প্রাকৃতিক চাহিদা থেকেও বঞ্চিত করা হয়!
১৩
267157
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০৩:৪৯
ভিশু লিখেছেন : আমার গ্রামেও প্রবাসী পরিবারে প্রায় এরকম ঘটনাই হতে শুনেছি! অনেক আগে থেকেই আমি জামাই+বউ সবসময় ১সাথে থাকার পক্ষে! এটি সম্ভব না হলে মিনিমাম বৈষয়িক প্রয়োজন পুরনের পরই যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যেই তাঁদের আবার ১সাথে বসবাসের তীব্র এবং বাস্তব চেষ্টা থাকা উচিত! মহানবী সা. তো এমনকি যুদ্ধের ময়দানেও উম্মুল মু'মিনীনদের সাথে রাখতেন! অনেক শুকরিয়া আপুজ্বি সুন্দর এবং শিক্ষণীয় একটি ঘটনা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার জন্য! স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন... Rose Rose Rose হারামে গেলে আমার কথা কি সামান্য মনে পড়ে?... Sad ১টু দোয়া করছেন তো... Rolling Eyes Angel Day Dreaming
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৭
210980
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনি ঠিকই বলেছেন ভিশু ভাইয়া! কিন্তু কিছু ভাইয়েরা আছেন যারা শুধু মনে করেন মা বাবাকে খুশি করলেই জান্নাত মিলবে! একথাটা আদৌ ভাবে কিনা জানিনা যে, স্ত্রীর অধিকার নষ্ট করলেও তো আল্লাহর কাছে জবাব দিহিতা করতে হবে! তাই উভয়ের প্রতিই সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিৎ
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:১৮
210981
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনি ঠিকই বলেছেন ভিশু ভাইয়া! কিন্তু কিছু ভাইয়েরা আছেন যারা শুধু মনে করেন মা বাবাকে খুশি করলেই জান্নাত মিলবে! একথাটা আদৌ ভাবে কিনা জানিনা যে, স্ত্রীর অধিকার নষ্ট করলেও তো আল্লাহর কাছে জবাব দিহিতা করতে হবে! তাই উভয়ের প্রতিই সতর্ক দৃষ্টি রাখা উচিৎ! আর মসজিদে নব্বীতে গেলেই ব্লগার সবার জন্য কল্যানের দোয়া করি আর আপনার কথা আমার সবার আগেই মনে পড়ে!
অভিনন্দন জানানোর জন্য আপনার শুকরিয়া!
১৪
267159
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ বিকাল ০৪:১৫
প্রেসিডেন্ট লিখেছেন : এ সমাজে এমন লোপাদের সংখ্যা খুব কম নয়। Yawn Yawn Yawn খুব খারাপ লাগছে মন্দভাগী মেয়েটির জন্য। আগামী পর্বে ভাল খবরের আশায় আছি। Rose Rose Rose Rose
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২০
210983
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : লোপারা শুধু সয়েই গেলো জীবন ভর! ইনশা-আল্লাহ পাবেন!
১৫
267173
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
সালমা লিখেছেন : বিয়ের পরে একটা মেয়ের জন্য একাকি থাকা অনেক কষ্টের, আপনাকে ধন্যবাদ ,ভালো লেগেছে।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।
আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২১
210984
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : বিয়ের পর একাকি থাকা সত্যিই খুবই কষ্টের! তারপরও স্বজনদের সহানুভুতিটা যদি বেশী থাকে তবে সেই কষ্ট সহ্য করা সহজ হয় নয়তো জীবনটাকে জ্বালাময়ীই মনে হতে থাকে!
১৬
267181
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:০২
আরোহী রায়হান প্রিয়ন্তি লিখেছেন : লোপার কথা পড়ে মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গিয়েছিল। কি মন্তব্য করবো খুঁজে না পেয়ে গতরাতে মন্তব্যই করা হয়নি। অপেক্ষায় রইলাম পরের পর্বের।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:২৪
210985
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : বাস্তবতাই তো মানুষেরই মানুষের জন্য মন কাঁদে! মন খারাপ হয় কিন্তু আপন জনেরা বুঝতে চায়না বা এড়িয়ে চলে! আর সেসব বিষয়গুলো বড়ই বেদনাদায়ক!

আমার ব্লগে আপনাকে দেখে খুব ভালো লাগলো! আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যান কামনা করি! দোয়া করবেন আমাদের জন্য!
১৭
267219
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৩২
মনসুর আহামেদ লিখেছেন : আপু,গল্পের প্লট রচনায় আপনার অভিজ্ঞতা অনেক।
স্বার্থক লেখিকা বলতে হবে। বাস্তব ধর্মী। মনে হচ্ছে আমাদের সমাজেরই অংশ।লেখাটা হৃদয় ছুঁয়ে যান। চালিয়ে যান। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৫৮
211116
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : কঠিন বাস্তবতা! আর এসবই আমাদের হাতে বানানো সমাজের প্রতিচ্ছবি! দোয়া করবেন আমাদের জন্য
১৮
267226
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫২
স্বপন২ লিখেছেন :
আপা,লোপার জন্য আমার কষ্ট হচ্ছে। পরবর্তী সময় মনে হলো, এটা আপুর বানানো গল্প। তাই
আবেগের তাড়নায় আহত হলেও,পরক্ষনে ব্যথা
নিরসন হলো। যদিও এটা সমাজের প্রতিচ্ছবি।
লেখাটায় বুঝা গেল। আপনার চিন্তা চেতনা আল্লাহ
মুখী। গল্পের চরিএ গুলো ইসলামের আলোতে উদ্ভাসিত হবে।আপনার সূধীর সংখ্যা বাড়ছে।
অপেক্ষায় থাকলাম পরের পর্বের।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০২:৫৯
211117
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : লেখায় ভাষায় এটা গল্প হলেও এমন অনেক বাস্তবতা লুকিয়ে আছে আমাদের সমাজে আর অনেক অনেক লোপারা এসবের ভুক্তভুগি!
১৯
267229
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:৫৮
পবিত্র লিখেছেন : এগুলিই চলছে আমাদের সমাজে। বাস্তবটিত্র তুলে ধরেছেন। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। Waiting
স্টিকি পোস্টে অভিনন্দন!

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:০০
211118
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : অভিনন্দন জানানোর জন্য আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যান কামনা করছি!
২০
267284
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:৪২
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : এসব আমাদের সমাজের বাস্তব চিত্র। প্রবাসীদের এ ব্যাপারটা খুব গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত বিয়ের পর কতটুকু সময় তার স্ত্রী এবং পরিবারকে দিতে পারবে।
অভিজ্ঞতার আলোকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। স্টিকি পোষ্টে অভিনন্দন Good Luck Rose Good Luck
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:০০
211119
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভাই আপনার সাথে একমত প্রকাশ করছি!
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৫:১০
211127
বৃত্তের বাইরে লিখেছেন : আমিও আপু। ধন্যবাদ আপুHappy শুভেচ্ছা জানবেনGood Luck
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:৫৯
211136
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনাকেও শুভেচ্ছা আন্তরিক মন্তব্যের জন্য
২১
267309
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১২:৫৪
বিদ্রোহী কবি লিখেছেন : লোপা আর আমার বাগ্নী রেবিনের মধ্যে মিল খুজে পাচ্ছি, প্রবাসীদের অনেক সমস্যা আছে, এক তরফা বিচার করে যাচাই বাছাই না করেই। আল্লাহ সবাইকে বুঝার ও লোপাদের ধর্য্য ধরার তৌফিক দান করুনি। আমিন
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৩:০১
211120
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : বাস্তবে অনেকের সাথে হয়তো মিলে যাবে বৃত্তান্তগুলো! আল্লাহ সবাইকে তার সঠিক বুঝ দিয়ে সঠিক পথে পরিচালিত করুন!
আমিন!
২২
267355
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৮:০৫
সাদামেঘ লিখেছেন : আমাদের সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে এই রোগ ছড়ানো ছিটানো সচেতন ভাইয়েরাই এই রোগের মহা ঔষধ দিতে পারেন! নয়তো আগামিতে কি হবে চোখ বুজলেই অনুমাণ করা যাবে!
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫২
211416
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : যথার্থই বলেছেন!
২৩
267372
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৯:২২
নূর আল আমিন লিখেছেন : আপু লোপা আর জুইয়ের জিবনটা যেনো ভালোভাবে কাটে এই দিয়ে গল্পটা শেষ হয়
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৩
211417
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : দেখা যাক কতটা আশাশৈলি ভাবে শেষ করা যায়!
২৪
267486
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০১:২৭
বাকপ্রবাস লিখেছেন : জীবনিক বাস্তবতার গল্প, প্রবাসীর ব্যাপারটা সমাধান যোগ্য নয়, প্রবাস সবাই যাবেই, কারন দেশে থেকে আয় োজগার করা যায়না, এটা নিয়তি, অন্যগুলো সচেতনতার ব্যাপার, প্রবাসীরা ঘন ঘন আসতে পারবেনা, কিছু করার নেই, কন্যা পক্ষ যেন ব্যাপারটা আগেই বিবেচনা করে বিয়ে দেয়, কেননা প্রবাসীরা বিয়ে করবেই যদি কন্যা রাজি থাকে, উন্নয়নশীল বিশ্নের এটাই বাস্তবতা, সমাধান নেই উন্নত দেশ না হওয়া পর্যন্ত।
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১০:৫৬
211418
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনার যুক্তির যবটুকুন মেনে নিতে পারলাম না! বিদেশে থেকেও প্রবাসী ভাইয়েরা নিজ পরিবার ও জীবন সাথী সম্পর্কে সজাগ দৃষ্টি রাখতে পারেন! যদি সে মানুষের হক্ব বুঝে থাকে! কারন যার যার পরিবার সম্পর্কে সে নিজেই ভালো জানে! সে অনুযায়ী ব্যবস্থা করলেই হয়! আল্লাহ সবাইকে সবার অধিকার বুঝে চলার তৌফিক দিন।
মন্তব্য রেখে যাবার জন্য শুভেচ্ছা আপনাকে
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ১১:২৪
211426
বাকপ্রবাস লিখেছেন : কারন দেশে থেকে আয় োজগার করা যায়না, এটা নিয়তি, অন্যগুলো সচেতনতার ব্যাপার,

উপরের লাইনে আমি আপনার কথাটাই বোঝাতে চেয়েছি, ((অন্যগুলো সচেতনতার ব্যাপার,)) লাইনটার ব্যাখায় পেলাম আপনার কাছে তাই দুইজনই সেইম টু সেইম বলা যায় হা হা হা
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩২
211557
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : এখন মেনে নিচ্ছে আপনার যুক্তি! ধন্যবাদ জানবেন
২৫
267506
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : কোন সন্দেহ নেই প্রবাসীদের স্ত্রীরা খুবই যাতনার মাঝে থাকে। তবে নিজের স্ত্রী-সন্তান দেশে রেখে কেউ প্রবাসে আসতে চায়না। ভাগ্য তাদের এভাবে ঘুরিয়ে নিয়ে আসে। শুধুমাত্র আমীরাতেই ১৫ লক্ষাধিক বাংলাদেশী চাকুরী করে। পনর লক্ষের মাঝে চার হাজার মানুষ তাদের পরিবার নিয়ে থাকতে পারছে কিনা সন্দেহ। বাকী পনর লক্ষের অন্তত আট লক্ষ মানুষের স্ত্রী দেশে আছে। বাকী সাত লক্ষ অচিরেই বিয়ের পিড়িতে বসবে। দেশীয় কন্যারা দেশে অবস্থান রত ব্যক্তিদের হাতে যত নিগৃহীত হয় প্রবাসীদের হাতে তেমন হয়না।

বর্তমানে এটাই জীবনের ধারা, এটা বদলানো যাবেনা। তাই দেশে সুস্থ সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিধান পালনের গুরুত্ব দেওয়া উচিত। গত মাসের জরিপে দেখা গেছে অষ্ট্রেলিয়ায় পুরুষের চেয়ে নারী বেশী, বিয়ে হচ্ছেনা। শুধুমাত্র আমিরাতেই ব্যাচেলর ইিসেবে চাকুরী করে প্রায় ত্রিশ হাজার অষ্ট্রেলিয়! সবত্রই যখন এই দশা, তখন এসব বন্ধনকে অটুট রাখতে সামাজিক সচেতনতা ও ধর্মীয় বন্ধন অক্ষুন্ন রাখা বেশী জরুরী্।

আপনার সুন্দর পোষ্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
211558
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : নজরুল ইসলাম টিপু ভাই আপনার যুক্তি মেনে নিলাম! তবে বাস্তবে যদি আমাদের ভাইয়েরা আরেকটু সচেতন হতো পরিবার ও স্ত্রীর ব্যাপারে হয়তো অনেক সমস্যা এড়িয়ে চলা যেত! আল্লাহ সবাইকে সবার হক্ব বুঝার ও আদায়ের তৌফিক দিন! আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য শুভেচ্ছা জানবেন!
২৬
267520
২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ দুপুর ০২:৪৮
মাহফুজ আহমেদ লিখেছেন : খুবই হৃদয়স্পর্শী লিখা । আগামী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৫
211559
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : এই তো ভাইয়া আরেকটু অপেক্ষা করুন হাজির হবো শেষ পর্ব নিয়ে ইনশা-আল্লাহ!
২৭
267758
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ০৭:২৬
রেহনুমা বিনত আনিস লিখেছেন : শেষ্পর্বের অপেক্ষায় রইলাম Day Dreaming
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
211561
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপুজি দোয়া করুন সম্পূর্ণ করে আনছি!
২৮
269206
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪০
আবু সাইফ লিখেছেন : তৃতীয় পর্বের অপেক্ষায় থেকে এটাতে মন্তব্য করা হয়নি!
২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ রাত ০৮:০৯
213050
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : Good Luckমন্তব্য রেখে যাবার জন্য ধন্যবাদGood Luck
২৯
278798
২৮ অক্টোবর ২০১৪ রাত ০৪:১৮
নাছির আলী লিখেছেন : ভাই আপনাকে অনেক মুবারকবাদ সমাজের বাস্তবতাকে তুলেধরার জন্য।
২৮ অক্টোবর ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৩২
222688
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আপনাকে মোবারকবাদ পড়ে মন্তব্য রেখে যাবার জন্যে!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File