"কবিগণ দাবিদার মন্তব্যের"
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ১৬ জুন, ২০১৪, ০৭:০৮:৩৫ সন্ধ্যা
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ ভাই খুব সুন্দর লিখেছেন লেখার ভাষায় অনেক কিছু বুঝিয়েছেন, আসলে কবির চিন্তার প্রকাশই হলো কবির লেখা, হতে পারে তা কয়েক লাইনের কবিতা আবার হতে পারে তা বিশাল গদ্য! কিন্তু যুগে যুগে অনেক কবি গত হয়ে গেছেন কিন্তু পরিপূর্ণ মূল্যায়ন পাননি! আমরা তাদের আন্তরিক ভালোবাসার সাথে স্বরন করি! আর আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে বড় বোনের স্যালুট! সব সময় সব লেখার মন্তব্য দিতে পারিনা কারন সংসার, সন্তান, ইবাদত সব মিলিয়ে ব্যস্ততার যাঁতাকলে পিষে যাই তারপরও মাঝে মাঝে ব্লগে আসি, কিছুটা সময় দিতে ট্রাই করি! আর এজন্য একথা মনে করার কোন সুযোগ নেই যে লেখার মান ভালো নয়! বরং লেখার মান ঠিকই আছে আমাদের সময়গুলো নিয়মের শেকলে বাঁধা
তাই হয়তো কখনো কখনো মন্তব্য করা হয়ে ওঠেনা! এই কথাগুলো লিখে আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ ভাইয়ের নিচের লিংকের লেখার মন্তব্য করেছিলাম! এবার আমার কিছু অভিব্যক্তি প্রকাশ করছি! মানুষ মানেই কর্ম ব্যস্ত জীবনে বসবাস! ভাইদের ব্যপারে বলতে গেলে বলতে হবে কখনো তাকে ছুটতে হয় পাগলা ঘোড়ার মত লাগামহীন হয়ে! কখনো ছুটতে হয় অর্থের পেছনে! কখনো বা সংসারের সকল চাহিদা পূরনে নিজেকে পারি দিতে হয় প্রবাসে! এরই মাঝে ভাইয়ারা হয়তো কিছুটা সময় গুছিয়ে নেন একটি লেখা ব্লগারদের উপহার দেবার জন্যে! হোক তা ছোট বা বড়, হোক তা কবিতা বা গল্প! নিয়মিত শেয়ার করতে পারাটা এখন সোনার হরিণের মত ব্যপার হয়ে দাড়িয়েছে! আর বোনদের ব্যপারে যদি বলি তবে বলবো যারা সংসারি তারা সংসার দেখা-শুনা, সন্তান পালন, ইবাদত, আত্মীয়-স্বজনের হক্ব, এখন আবার যোগ হয়েছে ব্লগাদের হক্ব! এই সবকিছু ঠিক রেখে একটি ছোট কবিতা পোস্ট ও তাদের জন্য অনেক! যে যেখানেই থাকুক না কেন ব্যস্ততা এসে সেখানেই ঘাঁয়েল করে!
তবে আমি অস্বীকার করছি না যে যারা লেখক তারা ভালো মানের লিখেনা! বরং সবার লেখার মানই আলাদা আলাদা ভাবে শীর্ষ্যে! কিন্তু আমাদের সময় সল্পতার কারনে আমরা সব লেখার মান মূল্যায়ন করতে পারিনা! তবে মাঝে মাঝে খুব আফছূছ হয় তাদেরকে নিয়ে যারা এখনো সংসারের বোঝা কাঁধে নেননি তারা তো বেশীর ভাগ লেখার মন্তব্য করতে পারেন! যুগে যুগে অনেক লেখকই তাঁর লেখা দিয়ে সেই যুগকে অলংকৃত করছেন! করেছেন আলোকিত! কিন্তু সবাই কি তার লেখার সঠিক মূল্যায়ন পেয়েছেন? পাননি! এমন সময় এসে লেখার জন্য পুরষ্কার পেয়েছেন যখন তিনি পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দুরে! না ফেরার দেশে! চিরদিনের জন্য ঘুমে আচ্ছন্ন! আসলে যথা সময়ে যথা মূল্যায়ন আমরা করতে ও পারিনি এবং তারাও পায়নি! আমি নিজেও লেখা পোস্টের আগে পরে কিছু সময় ব্লগে থাকি কখনো কখনো লগিন রেখেই ঘরের কাজ-কর্ম করি এবং ফাঁকে ফাঁকে এসে দেখি কোন কোন লেখা পোস্ট হয়েছে! আর মন্তব্য করতেও চেষ্টা করি! মাঝে মাঝে আমার সাথি বলে তোমাকে ব্লগ চেনানোটা ঠিক হয়নি! তুমি দেখি এখন ব্লগের নেশায় বিভোর থাকো! আসলে ব্লগের নেশায় নয়! সুন্দর সুন্দর লেখা গুলো পড়ার নেশায় মাঝে মাঝে রান্না করতেও দেরি করে ফেলি! মেয়ে এসে বলে আম্মু আজকে কি রান্না করবে না? সারাদিনই কি ল্যাপটপ নিয়ে বসে থাকবে? তবুও অবুঝ মনকে তো প্রবাদ দিতে হবে! তাই মাঝে মাঝে লং টাইম ব্লগে থাকি আবার মাঝে মাঝে লগিন থেকেই কাজ করি, মেয়েকে পড়াই, নিজে কিছু লেখি! এছাড়াও আছে কোরআন হাদীসের দারস্ নিয়মিত সব কাজ সম্পন্নের দায়িত্ব পালন! সবমিলিয়ে আসলে সব লেখার মান নির্ণয় করা হয়ে ওঠেনা! তাই বলে কেউই দুঃখ পাবেন না অবশ্যই অনেক লেখার মান অনেক ভালো এবং শিক্ষনীয় অনেক লেখা থাকে যেগুলো পড়ে সঠিক মন্তব্য করাটা কঠিন তারপরও করি, করতে চেষ্টা করি! কিছু কিছু লেখকের লেখা না পড়ে থাকতে পারিনা! নাম লগিন না করেও অনেক সময় অতিথি হয়ে পড়ে নেই! কি করা মনের কাংখিত চাওয়ার সবগুলোই তো আর বাঁধা দেয়া যাবেনা তাই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্রগুলো পূরন করে নেই! আগে আগে আমারও মন খারাপ হতো কেন কেউ কারো লেখায় মন্তব্য করেনা? কেন ভূল হলে ধরিয়ে দেয়না? কেন উৎসাহ দেয়না আরো বেশী করতে লিখতে? কেন অর্থবোধক মন্তব্য করতে কৃপনতা করে? এসব প্রশ্নের জবাব এখন অনেকগুলো আমার কাছেই আছে! তাই এখন আর মন্তব্যের আশা করি না! শুধু চেষ্টা করি লেখাটা দিয়ে মানুষের উপকার করতে! এবং অন্যের লেখাগুলো সুযোগ বুঝে পড়ে নেই কারন এতে অভিজ্ঞতার শিকড় মজবুত হয়! আর কিছু উপকারও সাধিত হয়!
পৃথিবীতে যারাই বেশী নন্দীত হয়েছেন যারাই বড়ত্বের খাতায় নাম লিখিয়েছেন, যারাই মনীষি হয়েছেন তারাই ততবেশী ত্যাগ করেছেন! জাতিকে উপহার দিয়েছেন সুন্দর লেখনীর মাধ্যমে বই পড়ার আকাংখা! সুন্দর লেখার গাঁথুনী দিয়ে প্রকাশ করেছেন তাদের মনের বাঞ্চনা! অনেকে অনেক লেখা দিয়ে চিনিয়েছেন সঠিক পথের! তারা সবাই কি সঠিক মূল্যায়ন পেয়েছেন? পাননি! আপনি খুজে দেখুন ইতিহাসের পাতায় পাতায় বড় বড় গ্রন্থকারগণ গোপনেই রয়েছেন তাদের লেখার মাঝে! তাদের ছবি ভাসেনা আমাদের চক্ষুর সামনে! তাদের জীবনিতিহাস থেকে আমরা শিক্ষা নেইনা! তারা প্রকাশ্যে সম্মাননা পুরষ্কার পাননি ঠিকই কিন্তু অংসখ্য হৃদয়ের ভালোবাসা পেয়েছেন! পেয়েছেন সম্মান! এখনো তারা সুন্দর লেখনীর জন্য দোয়া পাচ্ছেন তাদের পাঠকদের কাছ থেকে!
পরিশেষে জানাতে চাই আমিও মন্তব্যের প্রত্যাশী কিন্তু সব সময় আমি নিজে যেমন সময়ের সল্পতার কারনে সব লেখার মন্তব্য করতে পারিনা তেমনী সবাই এই চিন্তায় মনকে শান্তনার প্রবাদ শুনাই! আর পরের কথা হলো প্রবাসী মজুমদার ও আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ এই দুজনের লেখা পড়ে খুব কষ্ট লেগেছে কিন্তু কি করা? আমরা সবাই সময়ের শেকলে বাঁধা সব সময় এরপরও বলবো প্রত্যেক কবিগণই দাবিদার মন্তব্যের! লেখার মান যাচাই-বাছায়ের জন্য উপযুক্ত পাঠক ও প্রয়োজন! আরও বলবো যাদের সময় আছে তারা ব্লগ পড়ে মন্তব্য করতে কার্পন্য করবেন না! কারন হতে পারে আপনার একটি মন্তব্য লেখকের মগজে আরো লেখনীর ইচ্ছা শক্তি ঢেলে দেবে, হতে পারে লেখার কোন ভূল থাকলে ধরিয়ে দেবে, হতে পারে সেই মন্তব্য পড়ে লেখকের মেধার বিকাশ আরো প্রসস্থ হবে! আল্লাহ আমাদেরকে তৌফিক দিন মানুষকে মূল্যায়নের এবং লেখকদের লেখার মূল্যায়ন করার!
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ ভাইয়ের লেখা!
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4114/sirajazad/46684#.U5QMXSdPLE
প্রবাসী মজুমদার ভাইয়ের লেখা! http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1802/probashimojumder/42547#.U5Qj9Cjm4e
বিষয়: সাহিত্য
১২৭৪ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ সুন্দর বিশ্লেষনের জন্য। পড়ে ভাল লাগল। আমার পোষ্টটি লিখেছিলাম মুলত ব্লগারদের হয়ে। আপনার কথাগুলো নিরেট সত্য। তবুও আমার মনে হয়, সাহিত্য চচ্যাটাকে আমরা এখনও সিরিয়াসলি নেইনি। অনেকের কাছেই এটি অনেকটা ছোটবেলার লেংটা শিুশুদের মত। মালা ঠোলা নিয়ে বসে মাটিকে ভাত বাানিয়ে মিছে মেহমানদারীরর অভিনয়। পেছন থেকে ডাক এলে লাথি দিয়ে ফেলে থুত থুত করে চলে গেলাম....। পরিপক্খদের থেকে এমনটি আশা করা দুঃখজনক। আমি আমাকে দিয়ে সবার ব্যস্ততাকে মুল্যায়ন করলেও কিছু বিষয় চোখে পড়ার মত বলেই কিছুটা খোচা দেয়ার জন্য লিখেছি এমন করে..।
আপনার মন্তব্যে মনটাতে ভালো লাগছে!
তারপরও আমি এখনও বলি..... মাহবুবা সুলতানা লায়লা আপু কে..... কিন্তু মনে মনে .....
কি আর বলবো, আমার মতো গরীবদের কথা? পারি না লিখতে ছড়া, না কবিতা - না পারি গল্প, না পারি প্রকাশ করতে নিজের মনে ভাবটা।
তাইতো আমার ব্লগে যাওয়াও হয়না তেমন একটা। তবুও মুখ বুঝে সয়ে নিই মনের ভিতরের কষ্টটা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন