মদিনার চত্বরে (১)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৮ এপ্রিল, ২০১৪, ০৩:৩৭:৪৩ দুপুর
সূচনাতেই মদিনার ইতিহাস
সমস্ত প্রসংশাই আল্লাহর তা'য়ালার যিনি আমাকে মদিনাতে কবুল করেছেন এবং মক্কা মদিনা ভ্রমন করার সৌভাগ্য দান করেছেন আমি অন্তরের অন্তস্থল থেকে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। আর প্রিয় রাসূল (সঃ)এর উপর অসংখ্য দুরুদ ও সালাম। এবং আরো প্রাথর্না করছি তিনি যেন আমাকে মদিনাতেই চিরদিনের জন্য কবুল করেন মদিনাতে থাকার সহজ ব্যবস্থা করে দেন আমিন। মদিনা আরবিতে: المدينة, সরকারী ভাবে: المدينة المنورة আল-মদিনা আল-মুনাওয়ারাহ অথবা মদিনাহ হিসেবেও একে আনুবাদ করা হয়ে থাকে। আল-মদিনাকে এই শহরে বসবাসকারি লোকেরা মসজিদে হারাম বলেও অভিহিত করে থাকেন। পশ্চিমী সৌদি আরবের হিজায অঞ্চলের একটি শহর। এইটি ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র শহর। এইখানেই আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিজরত করে এসেছেন এবং এখানেই আমাদের প্রিয় রাসূল (সঃ) এর পবিত্র রওজা মোবারক। এই শহরটি আরো বেশ কয়েকটি কারনে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) হিজরতের পরে মদিনায় বসবাস করেছেন। ঐতিহাসিক আরো কারনে মদিনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শহর। বিশেষ করে মুসলমানদের কাছে নবী (সঃ) এর বসবাসের কারনেও অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও পবিত্র এই মদিনা নগরটি। ইসলামর প্রাচীনতম ও ঐতিহাসিক তিনটি মসজিদ এই শহরে অবস্থিত যেমনঃ-
১/ মসজিদে নববী বা মদিনা মসজিদ
২/ কুবা মসজিদ (যেটি ইসলামের ইতিহাসে প্রথম মসজিদ) এবং
৩/ মসজিদে আল-কিবলাতাঈন (যে মসজিদে মুসলমানদের কিবলা পরিবর্তন হয়েছিল )। হযরত মুহাম্মাদ যখন ৬২২ খ্রিস্টাব্দে তার সাহাবীদের নিয়ে পবিত্র মক্কা হতে মদিনার উদ্দেশ্যে সফর করেন তখন সে স্মৃতির উপর ভিত্তি করে ইসলামি বর্ষপঞ্জি প্রতিষ্টিত হয় যা হিজরী সাল নামে পরিচিতি লাভ করে। নবীজি (স এর মদিনায় হিজরতের পরে যে পবিত্র কুরআনর বাণী নাযিল হয়েছিল তাকে মাদানী সুরা বলা হয়। মদিনা শহর আরো কয়েকটি কারনে আ'ম লোকের কাছে ভালবাসার পাত্র যেমনঃ-
উহুদ পাহাড় ও তার পাশেই হযরত আমির হামযাহ (রাযিঃ) সহ আর অসংখ্য সাহাবী (রাযিঃ) গণের রওজা মোবারক অবস্থিত
অনেক স্বপ্ন আর জীবনের কাংখিত আকাংখার একটি মদিনা মনোওয়ারা! এখানে যেন রয়েছে জীবনের বিশেষ একটি অংশ! এখানের সবকিছুতে যেন অন্য রকম ভাললাগা মমতায় জড়ানো! জীবনের অনেক কষ্ট ভুলে যাওয়া যায় এই চত্বরে আসলে! অনেকেই প্রবাসী হয়ে আছেন এই মদিনাতে কার কাছে কেমন লেগেছে জানিনা আমি! তবে আমার কাছে লেগেছে অতুলনীয়! এত সুন্দরে পূর্ণ শহরেই কোন একসময় আমাদের প্রিয় হাবীব (সঃ) ছিলেন ভাবতেই মনটাতে আনন্দের ঢেউ ওঠে এই ঢেউ যেন সকলের মনের তীরে তীরে পৌছে দিতে ইচ্ছে করে আমার! সংসার আর বাহ্যিক প্রয়োজন প্রতিদিন তা পেরে উঠি না! তবে সুযোগ পেলেই ইচ্ছে করে মানুষের অন্তরে অন্তরে পৌছে দেই মদিনাকে দেখার স্বাদ! মদিনাতে আসার আকাংখা!
কতদিন গেয়েছি কে জানে? এই সেই মদিনার গান!
××উড়িয়া যাওরে জোড়ার কবুতর উড়িয়া যাওরে মদিনায়!
মোদের সালাম পৌছিয়ে দিও দয়াল নবী (সঃ) এর পাক-রওজায়!
বারে বারে ভাবি একা বসে নিরালায়.....রে
পাখি হলে উড়ে যেতাম সোনার মদিনায়.......রে!
পাখি তুই বলে গেলিনা ও পাখি জানিয়ে গেলিনা
যাবিরে তুই রওজাপাকে সোনার মদিনা...........!
আমার মত করে আরো অনেকেই এমন মদিনার গান গেয়েছেন হয়তো! হয়তো এখনো অনেকের মন মদিনাকে দেখার জন্য ব্যকুল! স্বর্ন খচিত এই মদিনা এমনই একস্থান, যেখানে প্রিয় নবী (সঃ) এর চিরদিনের বাসস্থান আর এ মসজিদে নব্বীতে প্রবেশ করলেই মনটাতে কেমন যেন শান্তি প্রবেশ করে যা বাস্তবে মুখোমুখি না হলে সবাই উপলদ্ধি করতে পারবেনা! আর এই মসজিদে নব্বীর আসল রুপ সরেজমিনে না দেখলে মনের পূর্ণ প্রশান্তি লাভ সম্ভব নয়! তবে আমি চেষ্টা করবো পর্যায়ক্রমে আপনাদের সাথে এই মদিনার চত্বরের কিছু ছবি শেয়ার করবো ইনশা-আল্লাহ!
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৭ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
পাখি হলে উড়ে যেতাম সোনার মদিনায়.......রে!
পাখি তুই বলে গেলিনা ও পাখি জানিয়ে গেলিনা
যাবিরে তুই রওজাপাকে সোনার মদিনা...........!
অপরূপ লিখেছেন জনাব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন