আসুন ভাল কাজ করি (পর্ব ১ম)
লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৬ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৫:৩০:৫৭ বিকাল
সালাম
আসুন ভাল কাজ করি (পর্ব ১ম)
আমরা প্রতিদিন কোনো না কোনো কাজ করি। আর কাজ না করলেও সময় বা দিন আমাদের জন্য বসে থাকেনা। সময় চলতে থাকে আল্লাহর দেয়া আপন রীতি নীতেতে, আমরা বিভিন্ন কাজ করে সময় কাটাই, কেউ চাকুরী করে, কেউ ব্যবসা করে, কেউ সফর করে, কেউ গল্প করে, কেউ গল্পের বই পড়ে, কেউ গান গেয়ে, কেউবা শুনে, কেউ রূপচর্চা করে, কেউ নিজে সেঁজে, কেউবা অন্যকে সাঁজিয়ে, কেউ অভিনয় করে, কেউবা অভিনয় দেখে, কেউবা নানান খেলায় মত্ত হয়ে। যে যেভাবেই করুক সময় তো বয়ে চলছেই, আর আমরা এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর পানে।
এঅবস্থায় থাকতে থাকতে কারো কারো মর্ত্যু হয়ে যায়, কারো ঈমানের হালতে, কারো আবার বেঈমানের হালতে এতে কারো কোনো আফছূছ নেই আর আমরা আফছূছ করিওনা। আর আমরা এসবকিছু করি দুনিয়ার জীবনের জন্য, আর এদুনিয়ার জীবনের জন্য যদি এতো কিছু করা লাগে তো আখেরাতের জন্য আমাদের কি করা উচিৎ? আমরা কি কেউ আনমনে ভাবি ওপারের কথা? কি হবে ওপারে? কি হবে কবরে? কি হবে হাশরে? কি হবে মিজানে? আমলনামা কি ডান হাতে পাবো না বাম হাতে? এসব ভাবোনা আমাদের প্রত্যেক মানুষের ভাবা উচিৎ নয় কি? অবশ্যই ভাবা উচিৎ কারন আমরা সবাই বিবেগবান ও মরনশীল। আর আমাদের সবারই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে। সবচেয়ে বড় সত্য হল একদিন আমরা কেউ ছিলাম না। আর একদিন কেউ থাকবোনা।
আর থাকবোনা বলেই আমাদের পরোকাল নিয়ে ভাবা উচিৎ কি ভাবে এই অবস্থা নিয়ে মহান আল্লাহর সামনে দাড়াবো? আল্লাহ যখন জানতে চাইবে কি কাজে সময় ব্যয় করেছো? এই একটা প্রশ্নের জবাব দেয়ার জন্য আমরা কি সবাই প্রস্তুত আছি? যদি প্রস্তুত না থাকি তো আজ থেকেই প্রস্তুতি নেয়া শুরু করি। যদি রাজী থাকেন তো গতদিন গুলোর কাজের সাথে যোগ করি আজকের একটি ভাল কাজ, নিজে ভাল কাজ করি আর মুসলমান ভাইয়ের জন্য ভাল চিন্তা করি। আসুন মুসলমান ভাইয়ের যে কোনো কাজে বা বিপদে অনুগ্রহের হাত বাড়াই, কেননা হাদীসে আছে
عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَرْحَمُ اللَّهُ مَنْ لَا يَرْحَمُ النَّاسَ –رواه البخاري
তরজমাঃ- যারির ইবনে আবদুল্লাহ রাযিঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুল (সঃ) বলিয়াছেন আল্লাহ তা’য়ালা ঐব্যক্তির উপর রহম করেনা, যে মানুষের উপর রহম করেনা।
‘’বোখারী শরীফ’’
আসুন প্রতিদিন বা প্রতিদিনের শেষে রাতে অন্তত একটি করে ভাল কাজ করি। মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার করি। একটি করে সুন্নত আদায় করি সওয়াব পাওয়ার আসায় আর নবীজি (সঃ)এর সুপারিশ পাওয়ার আসায়। এবং দিনের শেষে রাতে নিজ নফসের হিসাব নেই আজ সারাদিন কি কি করেছি। কয়টি ভাল আর কয়টি মন্দ? আল্লাহ হিসাব নেয়ার আগে আমরা নিজেরা নিজেদের হিসাব নেই। আর সংকল্পবদ্ধ হই কারো উপকার করতে না পারলেও অন্তত ক্ষতি করবো না। আজকের ভাল কাজটি হল সালাম দেয়া এবং নেয়া। কেননা হাদীস শরীফে আছে প্রথম সালামকারী অহংকার মুক্ত।
(বায়হাকী)
অন্য হাদীসে আছে, হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ- বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (সঃ) এরশাদ করিয়াছেন, তোমরা ঐপর্যন্ত জান্নাতে যাইতে পারবে না, যে পর্যন্ত মুমিন না হইয়া যাও। (অর্থাৎ তোমাদের জিন্দেগী ঈমান ওয়ালা না হইয়া যায়) এবং তোমরা ঐপর্যন্ত মুমিন হইতে পারিবে না, যে পর্যন্ত পরষ্পর একে অপরকে মহব্বত না কর। আমি কি তোমাদেরকে ঐ আমলটি বলিয়া দিবনা, যাহা করিলে তোমাদের মধ্যে মহব্বত সৃষ্টি হয়? (উহা এইযে,) তোমরা পরষ্পর সালামের খুব প্রচলন ঘটাও
বর্ণনায়ঃ- মুসলিম
আসুন আমরা সবাই নবীজি (সঃ) এ বাণীকে বাস্তবায়ন করি এবং ঈমান ওয়ালা হই
আর মহামূল্যবান জান্নাতের মালিক হই, আমরা সবাই এই ছোট আমল করে কি জান্নাতের মালিক হতে চাইনা?
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তৌফিক দিন।
আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১২৬০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন