‘’যিনি চলে গেছেন’’

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:২৪:৪৯ রাত

পৃথিবীতে কেউই চিরদিনের জন্য আসেনি এসেছে কিছুদিনের জন্য আখেরের সামানপত্র গুছাতে যেন এদুনিয়ার জীবন যেকোন ভাবে কাটিয়ে পরোকালে চিরশান্তির আবাস স্থলে সুখে কাটানো যায়। যে বুঝে সে দুনিয়াতে সাধারন ভাবে কাটিয়ে আখেরের সামান গুছিয়ে নেয়। আর যে না বুঝে সে দুনিয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে আর আখেরের জন্য কিছুই সঞ্চয় করেনা তার পরিণতি মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) আমাদেরকে অবগত করেছেন এখন যার যার জ্ঞান বিবেক ব্যয় করে তা বাস্তবে আনার দায়িত্ব তার তার নিজের।

যিনি চলে গেছেন তার ঈমান আখলাক নিয়ে তিনি তো ভালই গেছেন আল..........লাহ। যারা পরবর্তীতে যাবেন ভাবার বিষয় তাদের সকলের। আমার একজন আত্মীয় সম্পর্কে দাদা হয় এই তো গতমঙ্গলবার দুপুরে উনার সাথে কথা হল সালাম বিনিময়ের পর বলল কৌশল বিনিময় হল শেষে দোয়া করতে বললেন এই বলে যে, আগামি বছর আবারও হজ্জে যাব ইনশাল্লাহ দোয়া করো নাতীন। আমি বললাম ফি আমানিল্লাহ! বললাম আমার জন্যেও দোয়া করবেন দাদা যেন আপনি যখন হজ্জে যান তখন আমিও সেখানে থাকতে পারি। উনি বললেন ইনশাল্লাহ করতে পারবে। আবারও সালাম বিনিময় করে একে অপর থেকে বিদায় হলাম।

একসপ্তাহের ও কম ব্যবধানে উনি চলে গেলেন মহান আল্লাহর সান্যিধ্যে চির শান্তির নিদ্রায়। আর কারো ডাকে উনার ঘুম ভাঙবেনা, আর এপৃথিবীতে উনার সাথে দেখা হবেনা। কারন উনি চলে গেছেন উনার ঈমান আখলাক নিয়ে আর আমাদের সবার জন্য রেখে গেছেন উনার আখলাকের কিছু গুণাবলী যেগুলো শিক্ষনীয়। উনি সব সময় খুব ধীরে ধীরে হাঁটতেন আর সব সময় উনার মুখে থাকতো মহান আল্লাহর স্বরন, ছোট বড় কারো সাথেই দেখা হলে হাসি মুখে কথা বলতেন, ভাল কাজের পরামর্শ দিতেন, আরো আরো অনেক গুণাবলী ছিল আমার এই দাদার সকলে আমার এই আত্মীয়র জন্য খাসভাবে দোয়া করবেন মহান আল্লাহ যেন উনাকে উত্তম বাসস্থান দান করেন এবং আমাদের সবাইকেও সত্য পথের পথিক করে দেন যেন আমরাও সে পথে চলে মহান আল্লাহর সামনে সম্মানিত ভাবে দাড়াতে পারি।

উনার না ফেরার দেশে চলে যাওয়া যেন এলাকার সবাইকে ভাবুক করে তুলেছে। মনটা খুব খারাপ হওয়া সত্তেও লিখতে বসেছি। যখন উনার ইন্তেকালের কথা বলছেন মুয়াজ্জিন তখনই হঠাৎ যেন শীতল বাতাস প্রবাহিত হল, হালকা বৃষ্টি বর্ষন হল, এসব দেখে আমার মনে হয়েছে মু’মিনের আকাশ হতে একটি মূল্যবান নক্ষত্র খসে পড়লো আরো মনে হয়েছে, মূহূর্ত্বে মনে পড়ছেনা এটা কোন হাদীস তবে যতটুকু মনে পড়ছে মু’মিন ব্যক্তির মৃত্যুতে আসমান কাঁদে জমিন কাঁদে.............। এই তো গতকালও কয়েক ওয়াক্ত নামাজে শরীক হয়েছেন অথচ আজকে উনি কোথায়? গত ফজরের নামাজ পড়েছেন, শুক্রবারে জু’মার নামাজ পড়েছেন অথচ মহান আল্লাহ ইচ্ছায় জু’মা রাতের শেষ ভাবে উনাকে ডেকে নিয়েছেন আপন সান্যিধ্যে, যিনি মহান আল্লাহকে শেষ রাতে স্বরন করে আরামের নিদ ভঙ্গ করে দাড়িয়ে যেতেন তাহাজ্জুদে প্রার্থনা করতেন আপন মনে। আজকে তিনি চলে গেছেন মহান আল্লাহর আরো নিকটে, আমাদের সকলকেই যেতে হবে সেই ঠিকানায় আমরা কি সেখানে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছি? করেছি কি আখেরের সামান মজুদ? আসুন সবাই নিরবে নিভৃতে ভাবি..... ভাবতে থাকি আমাদের কিভাবে চলা উচিৎ আর আমরা কিভাবে চলতেছি। আমাদের কিভাবে এজীবন পরিচালনা করা উচিৎ আর কিভাবে আমরা জীবন পরিচালনা করছি? মহান আল্লাহ আমাদেরও সুন্দর ঈমান ও সুন্দর আখলাক নিয়ে উনার সামনে হাজির হওয়ার সুযোগ করে দিন। আর আমাদের সকলকে ও সকলের আমালকে কবুল করে নিন। পরিশেষে আবারও উনার জন্য চিরস্থায়ী বাসস্থানের বাসিন্দা বানানোর প্রার্থনা রাখলাম মহান আল্লাহর কাছে।

বিষয়: বিবিধ

১৩৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File