‘’ভয়ংকর নগদ খবর’’

লিখেছেন লিখেছেন মাহবুবা সুলতানা লায়লা ০৬ মে, ২০১৩, ১০:৩৩:১৮ সকাল

কি হচ্ছে বাংলার জমিনে কেউ কিছুই জানেনা। মিডিয়াও যেন চোর ধরা পড়ার মত লজ্জায় পড়ে, লুকিয়ে আছে। আর কোন কোন মিডিয়াকে জোর পূর্বক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যেন বাংলার ঘরে ঘরে নগদ খবরগুলো না পৌছায়। বাঙালির থেকে গোপন রাখতেই এই আয়োজন বাংলাদেশের বড় বড় মাথাদের। রাতের অন্ধকারে নির্বিচারে গুলি করে, বোমা মেরে, যত লোক হত্যা করেছে তার হিসাব একমাত্র আল্লাহই জানেন। এবং আল্লাহই এই বিচার কার্যসপন্ন করবেন ইন.............লাহ। শহীদি চত্বর থেকে হটানোর জন্য পুলিশ বিজিবি সহ আরো অন্যান্য প্রায় দশ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র বাহিনী নিরস্ত্র মাজলুমের উপর অত্যাচারের ষ্টীম রুলার চালিয়েছে। যা বলার বা লেখার অবকাস রাখেনা। নানা রকম কৌশল করে শহীদি চত্বর থেকে মাজলুম জনতাকে হঠিয়ে দিয়েছে, তাদের থেকে যারাই গলিতে গলিতে অবস্থান নিয়েছে সেখান থেকেও বাঁচতে পারেনি অনেকে। সেখান থেকেও মাজলুম জনতাকে হটানো হয়েছে। এই তো গেলে রাতের আয়োজন।

রাতের আয়োজনের পর সকালে হেফাজতের কর্মীরা ও রাস্তায় নেমেছে। তারা মরন পণ করেছে হয় শাহাদাত নয়তো দাবি আদায়ের পূর্ণতা নিয়ে গাজীর বেশে ফিরবেন ঘরে। নয়তো লড়াই জীবন এবং অধিকার আদায়ের শেষ অবলম্বনকে আঁকড়ে ধরে রাস্তায়ই থাকার দৃঢ় মত প্রকাশ করেন। কিছু গাড়ি ভাংচূর করেছে।

ফজরের পর থেকে যাত্রাবাড়ি মাদ্রাসা রোড সহ শনির আখড়া, চিটাগাং রোড সব জায়গায় পুলিশ অবস্থান নিয়েছে যারাই রোডে আসছে তাদেরকেই ধাওয়া দেয়া হচ্ছে। গুলি চালানো হচ্ছে। এই পনের মিনিট আগে জানতে পারলাম যাত্রাবাড়িতে গুলি করে তিনজনকে হত্যা করেছে। শহীদি চত্বর থেকে দুইজন মাদ্রাসার ছাত্র একজন গুলি খাওয়া আরেকজন তাকে ধরে চিকিৎসার জন্য আনা ছাত্র থেকে এই খবর পাওয়া গেছে। অসংখ্য নেতা কর্মীর লাশ গুম করা হয়েছে বলেও সে জানায়। বর্তমানে পুলিশ রাস্তা ও এলাকার গলি পথ অবরোধ করে আছে। সাধারন মানুষও চলা ফেরা করতে দিচ্ছেনা। আর পাঞ্জাবি ও টুপি ওয়ালা দেখলেই গুলি ছুড়ছে। কেউই বের হয়ে আসতে পারছেনা। মাদ্রাসার আশে পাশে অলি গলিতে যে যেখানে অবস্থান নিয়েছে সে সেখানেই আছে। বের হলেই পুলিশ ধাওয়া করছে।

হেফাজতের কর্মীরা মুরুব্বী আল্লামা শফী এর পক্ষ থেকে নির্দেশের অপেক্ষায় অপেক্ষমান। বেলা এগারটায় কি করণীয় তা প্রকাশের পর হেফাজতের কর্মীরা সিদ্ধান্ত নেবেন তাদের করণীয় বর্জনীয় সম্পর্কে। এখন শুধুই অপেক্ষা কি করবেন হেফাজত কর্মীরা? কি করবেন সাধারন জনগন? কি হবে একটু পর তা জানার জন্য শুধু অস্থীর মন নিয়ে অপেক্ষা করা।

মহান আল্লাহ মাজলুম মানবতার যত ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তা ইসলামই দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে পূরন করুন। হে আল্লাহ আপনিই তো সকল ক্ষমতার আঁধার। আর সর্ব শক্তি ও সব ক্ষমতার ব্যবহার আপনারই হাতে। আপনি বাংলাদেশের সব কিছুকে ঠান্ডা করে দিন। শান্তিময় করে দিন। আপনার খাস অনুগ্রহ দান করুন যারা এখন রাজপথে, অলিতে গলিতে, মাঠে ময়দানে, এমন কি কারো ঘরে ঘরে মাদ্রাসাতে অবস্থান নিয়েছেন সবার প্রতি। সকল ক্ষমতার মালিক আপনি আপনার দয়া অনুগ্রহ দান করুন। আমাদের প্রার্থনা কবুল করুন।

বিষয়: বিবিধ

১৭২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File